রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

সৌন্দর্য চর্চায় রূপে-গুণে অনন্যা গোলাপের পাপড়ি


ফুলের রাজ্যে গোলাপের কদরটা সবসময়েই বেশি। প্রেম নিবেদন কিংবা ভালোবাসা প্রকাশে গোলাপ না থাকলেই নয়। নারীর সাজেও গোলাপের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। চুলের এক পাশে একটি গোলাপ গুঁজে দিলে পুরো সাজেই যেন আসে পরিপূর্নতা। ঘরের কোনে কয়েকটি গোলাপ রেখে দিলেও এর মিষ্টি সুবাসে মন ভালো থাকে সারাদিন। আপনি কি জানেন যে রূপচর্চাতেও গোলাপের পাপড়ির আছে অসাধারণ কিছু ব্যবহার? জেনে নিন সৌন্দর্য চর্চায় গোলাপের পাপড়ির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে।

টোনার

টোনার হিসেবে গোলাপের পাপড়ির জুড়ি নেই। কিছু গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। এবার পানিটাকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে রাখুন। এরপর ঠান্ডা সেই পানির মধ্যে তুলা ভিজিয়ে সেটা দিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। গোলাপের পাপড়ির এই টোনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ত্বক মসৃণ করে

নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ। গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও সুন্দর।

ব্রণের উপদ্রব কমায়

অনেকেরই ত্বকে ব্রণের উপদ্রব আছে। গোলাপের পাপড়িতে আছে অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ির রস ব্রণের লালচে ভাব কমাতে সহায়তা করে এবং ব্রণের আকৃতি ছোট করে দেয় বেশ দ্রুত।

রোদে পোড়া ভাব কমায়

প্রচন্ড রোদে বাইরে বের হলে ত্বকের রং অনেকটাই কালচে হয়ে যায়। নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটাই কমে যায়। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ। এছাড়াও গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

চোখের নিচের কালচে ভাব কমায়

গোলাপের পাপড়ির রস চোখের নিচের কালো ভাব কমিয়ে দেয়। কিছু গোলাপের পাপড়ি বেঁটে চোখের নিচের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। অথবা গোলাপের পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের উপর দিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে পুরোপুরি। সেই সঙ্গে চোখের ক্লান্তিও দূর হবে।

মেঘ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন