বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

ঘরেই তৈরি করুন প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার


মেকআপ রিমুভার যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা সব নারীরাই জানেন। মেকআপ না তোলা এবং ঠিক মতো মেকআপ না তোলার ফলাফল পুরোটাই ভোগ করতে হয় আমাদের ত্বকের। ঠিকমতো মেকআপ না তুললে শুরু হয় ব্রনের সমস্যা। এমনকি বয়সের আগেই ত্বক বুরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে মেকআপ না তুললে। তাই মেকআপ তোলাটা এবং ভালো করে তোলাটা অনেক বেশি জরুরী।

আপনি মার্কেট থেকে যে সব মেকআপ রিমুভার কিনে থাকেন তার বেশিভাগই থাকে নানা কেমিকেলে ভরপুর। সেসকল মেকআপ রিমুভার নিয়মিত ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল সম্পূর্ণ নিরাপদে মেকআপ তোলার জন্য প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার তৈরির পদ্ধতি।

দুধ এবং শসার মেকআপ রিমুভার
দুধ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য উপাদান। এই দুধ ব্যবহার করে অনায়াসে আমরা আমাদের মেকআপ রিমুভার বানিয়ে ফেলতে পারি

৪/৫ চা চমচ গুঁড়ো দুধ এবং ৩/৪ চা চামচ শসার রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এতে প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে তরল পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর একটি ব্রাশের সাহায্যে এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর মুখ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে মেকআপ উঠে যাবে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হবে।

ময়দা এবং টকদইয়ের মেকআপ রিমুভার

১ টেবিল চামচ ময়দা, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং প্রয়োজনমতো টকদই একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে মুখ ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মেকআপ ত্বকের গভীর থেকে দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক থাকবে সুস্থ।

মেঘ

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪

ঘরোয়া উপায়েই দূর করুন মেছতার দাগ!


মেছতার দাগ নিয়ে অনেকেই বিপদে পরেন। মুখে কালো বা বাদামী রঙের ছোপ ছোপ দাগের কারণে দেখতেও ভালো লাগে না। মেছতার দাগ নারীদের মধ্যেই বেশি চোখে পড়ে। মেছতার জন্য আধুনিকভাবে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু সব চাইতে ভালো হয় মেছতার দাগ যদি প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করা যায়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতার দাগ দূর করার পদ্ধতিগুলো।

মধু ও টকদই
একটি বাতিতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু নিয়ে এতে দিন ১/২ টেবিল চামচ টক দই। খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট ত্বকে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যাবহারে মেছতার দাগ থেকে মুক্তি পাবেন।

লাউ
এক টুকরো লাউ নিয়ে চুলার আগুনে হাল্কা করে পুড়ে নিন। এই পোড়া লাউ মেছতার দাগের ওপর ঘসুন ভালো করে। প্রতিদিন এই পদ্ধতিটি পালন করুন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই মেছতার দাগ থেকে রেহাই পাবেন।

দারুচিনি ও দুধ
এক চিমটি দারুচিনি গুড়ো এবং সামান্য দুধের সর হাতের তালুতে আঙুল নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি মেছতার দাগের ওপর লাগান। শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

মধু ও অর্জুন গাছের ছাল
অর্জুন গাছের ছাল জোগার করে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। প্রতিদিন ১ চা চামচ এই গুড়োতে পরিমাণ মত মধু মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে মেছতার দাগের ওপর লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ভালো ও দ্রুত ফল পাবেন।

মেঘ

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪

সৌন্দর্যের ৪টি বড় সমস্যার ছোট্ট ঘরোয়া সমাধান


সুস্থ সুন্দর ত্বক আমাদের সকলেরই কাম্য। সুন্দর ত্বক আমাদের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের দেখতে আকর্ষণীয় লাগুক। এর জন্য আমরা অনেকেই অনেক কিছু করে থাকি। কিন্তু সব সময় ত্বকের সব সমস্যার সমাধান হাতের কাছে পাওয়া যায় না। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ত্বকের ৪ টি সমস্যার ঘরোয়া সমাধান।

মুখের ত্বকে তাৎক্ষণিক লাবণ্য
দিন শেষে বাসায় ফিরে মুখের দিকে তাকালে সন্ধ্যার বা রাতের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার ইচ্ছেটাই উবে যায়। তখন দরকার মুখের ত্বকের তাৎক্ষণিক লাবণ্য ফিরিয়ে আনা। এর জন্য রয়েছে একটি ভেষজ সমাধান। আধা চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন ভালো করে। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখে এসেছে তাৎক্ষণিক লাবণ্য।

হাত ও পায়ের ত্বকের কালো ছোপ ও রুক্ষতা
এই সময়ে সারাদিন ঘোরাঘুরিতে সব চাইতে বেশি ক্ষতি হয় হাত এবং পায়ের। রুক্ষ হয়ে যায় হাত পায়ের ত্বক। কালো ছোপ পড়ে কড়া রোদের জন্য। এইসময় হাত পায়ের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে হাত ও পায়ের ত্বকে আপেলের খোসা ঘষে নিন নিয়মিত। এতে হাত ও পায়ের ত্বকের রুক্ষতা এবং কালো ছোপ দূর হবে।

মুখে বাদামী ছোপ পড়লে
অনেকের মুখের ত্বকে বাদামী ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। অনেকে একে মেছতা বলে ভুল করেন। কিন্তু আসলে এটি মেছতা নয়। এই ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মুখের ত্বকের দাগ দূর করতে
মুখে অনেক সময় নানা কারণে দাগ পড়ে। ব্রণের দাগ, পোড়া দাগ, কিংবা লালচে কিছু দাগ। এই সমস্যার সমাধান করতে। সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান। দ্রুত যে কোন দাগ মিলিয়ে যাবে।

মেঘ

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

ঘরেই তৈরি করে নিন আন্ডার আই সেরাম


যাদের রাত্রি জাগার অভ্যাস রয়েছে এবং অনিদ্রা রয়েছে তাদের চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল হয়। এছাড়াও সব চাইতে সমস্যা হয় চোখের নিচের চামড়া কুঁচকে গেলে। যারা কম ঘুমান তাদের চোখের নিচের ত্বক কুঁচকে যায়। এতে দেখতে বিশ্রী লাগে এবং অল্প বয়সেই বয়স্ক মনে হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে এবং চারপাশে আন্ডার-আই সেরাম লাগানো উচিৎ। এতে ত্বক কুঁচকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। আন্ডার আই সেরাম বাজারে পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন এই প্রসাধনটি। এতে করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থেকেও রেহাই পাবেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- নারকেল তেল
- ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল

পদ্ধতিঃ
- প্রথমে ২/৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে নিন।
- এরপর ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল একটি সুঁই দিয়ে ছিদ্র করে ভেতরের তেল নারকেল তেলে দিয়ে দিন।
- এই দুটি তেল একসাথে একটি পরিষ্কার চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। খুব ভালো করে মেশাবেন যাতে আলাদা তেল মনে না হয়।
- এরপর এটি একটি পরিষ্কার কৌটোয় ভালো করে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রেখে তেল জমাট বাঁধিয়ে ফেলুন।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করে, ফ্রিজ থেকে এই সেরামটি বের করে পরিষ্কার আঙুলের মাধ্যমে চোখের চারপাশে লাগিয়ে ঘুমাবেন। ব্যস, চোখের নিচের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে সহজেই রেহাই পাবেন।

মেঘ

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

মেকআপে নতুনত্বের ছোঁয়া আনুন নীল মাসকারায়


বহুকাল ধরেই নিজের চোখ জোড়াকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নারীরা নানান প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরের অভিজাত নারীরা চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে ও চোখ ভালো রাখতে সুরমা ব্যবহার করতেন। এরপর ধীরে ধীরে চোখের মেকআপে নতুন মাত্রা যোগ করে কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, মাসকারা ইত্যাদি। এরপর সেগুলোতেও নতুনত্ব আনার জন্য নানান রঙের কাজল ও মাসকারার ব্যবহার শুরু হয়।

চোখ দুটোকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং চোখের পাপড়িকে ঘন ও লম্বা দেখাতে ব্যবহার করা হয় মাসকারা। দোকানে কালো ও নীল রঙের মাসকারা পাওয়া গেলেও সচরাচর আমরা কালো মাসকারাটাই বেছে নেই চোখের জন্য। অন্য কোনো রঙের মাসকারা ব্যবহার করলে কেমন দেখাবে সেই ভয়ে কখনই ব্যবহার করা হয় না নীল মাসকারা।

চোখের সাজে ড্রামাটিক লুক নিয়ে আসতে ব্যবহার করতে পারেন নীল মাসকারা। মেকআপের একঘেয়েমি নিমিষেই কাটিয়ে দিতে নীল মাসকারার বিকল্প নেই। আসুন জেনে নেয়া যাক নীল মাসকারায় নিজেকে সাজিয়ে তোলার কিছু টিপস।

মাসকারা দেয়ার আগে চোখে লেন্স পরতে চাইলে পরে নিন। নীল মাসকারার সাথে নীল, একুয়া ও হ্যাজেল রঙ এর লেন্স বেশ মানিয়ে যায়।
চোখের পাপড়িতে নীল মাসাকারা ব্যবহারের জন্য চোখের উপর ভালো করে বেজ মেকআপ দিয়ে নিন। কনসিলার দিয়ে চোখের নিচের কালি ঢেকে ফেলুন। তাহলে চোখটাকে দেখাবে অনেক বেশি প্রানবন্ত ও উজ্জ্বল।
চোখের পাপড়িতে নীল মাসকারা ব্যবহারের আগে আইশ্যাডো দেয়ার কাজ সেরে নিন। নাহলে আই শ্যাডো মাসকারায় লেগে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ন্যুড আইশ্যাডো দেয়াই ভালো। গাঢ় রঙ এর আইশ্যাডোর সাথে নীল মাসকারা একেবারেই মানায় না।
চোখের পাপড়িতে প্রথমে এক কোট কালো মাসকারা দিয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর চোখের পাপড়িতে উপরে ও নিচে দুই তিন কোট নীল মাসকারা লাগিয়ে নিন।
মাসকারা ভালো করে শুকিয়ে গেলে চোখের কোলে নীল অথবা সাদা কাজল লাগিয়ে নিন।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়!

প্রাচীনকালে এত ধরনের প্রসাধন সামগ্রী কিংবা সৌন্দর্যবর্ধক ক্রিম বা লোশন ইত্যাদি কিছুই কিন্তু ছিল না। কিন্তু তারপরেও তারা ছিলেন প্রাকৃতিক ভাবেই সুন্দর। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে কারো সৌন্দর্যের উপমা দেয়ার সময় প্রাচীনকালের দেবীদের সাথে তুলনা করা হয় এখনো। প্রশ্নটা হচ্ছে, কী ছিল প্রাচীন সময়ে ত্বক চর্চার গোপন রহস্য?

প্রাচীনকালের ছিল আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে করে তুলতো সুন্দর ও ঝলমলে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হতো না রূপচর্চায়। সেই সব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির চর্চা এখনো রয়েছে। দরকার শুধু আপনার সুনজর ও একটুখানি সময়। আপনিও এইসব আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর করে তুলতে পারবেন।

ত্বক পরিস্কারের জন্য কাঁচা দুধ
মুখের ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়া পরিস্কার করার সব চাইতে প্রাচীন পদ্ধতি হলো কাঁচা দুধ। ত্বকের উপরিভাগ ও রোমকূপের গোড়ার ময়লা যা চোখে ধরা পড়ে না এবং ফেসওয়াস দিয়েও পরিষ্কার করা যায় না, তা দূর করতে কাঁচা দুধের তুলনা হয় না। এছাড়াও দুধ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ময়েচারাইজ ও উজ্জ্বল করে তোলে। বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর একটি তুলোর বল দুধে ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন প্রতিদিন। এক সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সমস্যা দূর হতে দেখতে পাবেন।

ত্বকের উজ্জলতা ও বয়সের ছাপ রোধে কমলালেবুর রস
কমলালেবুর রস ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। এবং কমলালেবুর রসের ভিটামিন সি-এর অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ রোধে সহায়তা করে। এর জন্য আপনার লাগবে তাজা কমলালেবুর রস। একটি তাজা কমলা লেবুর রস বের করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে। এর সাথে দূর হবে ত্বকের বয়সের ছাপ।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা সবচাইতে প্রাচীন ও ভালো প্রাকৃতিক উপায় ব্রণের সমস্যা সমাধানে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সকল ধরনের ব্রন ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এটা ব্রন দূর করে না কিন্তু ব্রণের কারণগুলো দূর করতে সহায়তা করে। আর এর জন্য আপনার শুধুমাত্র অ্যালোভেরার পাতা লাগবে। একটি অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে এর ভেতরের রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের পরিবর্তন টের পাবেন।

ত্বকের রিঙ্কেল, পিগমেনটেশন, দাগ দূর করতে আলু
আলু অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা ত্বক থেকে সব ধরনের দাগ ও ছোপ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। শুধুমাত্র একটুকরো আলু ত্বকে ঘষে নিলেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিদিন একটুকরো আলু মুখের ত্বকে ঘষে নিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ত্বক থেকে দাগ উধাও হবে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি।

ত্বকের কোমলতায় ও মসৃণতায় মধু
মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে কোমল করে তুলতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের ব্রণের সমস্যায় তৈরি ক্ষুদ্র গর্তগুলো দূর করে ত্বককে করে তোলে মসৃণ। হাত ও মুখ ভালো মতো ধুয়ে এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০/২৫ মিনিট। প্রতিদিন ব্যাবহারে বেশ ভালো ফল পাবেন।

মেঘ



চুল পড়া বন্ধ করতে

মানসিক চাপ, বড় অসুখের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথার ত্বকে চর্মরোগ, বংশগতির কারণেও চুল পড়ে। তবে চুল পড়া কমাতে প্রধানত চুলে পুষ্টি জোগাতে হবে। সে জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এ ছাড়া সময়মতো খাওয়া-ঘুমানো ও পানি পরিমাণমতো পান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় যেন নখের আঁচড় মাথার ত্বকে না লাগে।

আরেকটি বিষয় হলো, চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গজিয়ে যায়। সে কারণে এটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খুশকি দূর না হলেও চুল পড়ে। খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুই দিন খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্যান্য দিন প্রোটিন, অ্যামাইনো প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জেল ও চুলের স্প্রে কম ব্যবহার করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। আসল কথা হলো, চুলকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে।

মেঘ

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৪

টিপস

বাড়িতে পানি রাখার জন্য কী ব্যবহার করেন? নিশ্চয়ই জগ বা বোতল! হালকা এবং সহজে ভাঙ্গে না বলে পানি রাখার কাজে প্লাস্টিকের বোতল এবং জেরিক্যানের ব্যবহার এখন প্রায় সবাই করে থাকেন। তবে কাচের বোতলের মতো গরম পানি ঢেলে দেয়া যায় না বলে এর ভেতরে দাগ-ময়লা-শ্যাওলা পড়ে গেলে পরিষ্কার করাটা খুব মুশকিল হয়ে যায়। তাই বলে কি ওরকমই থাকবে ওগুলো? নাকি বাতিল করবেন ভাবছেন? তারচেয়ে বরং খুব সহজেই পরিচ্ছন্ন করে নিতে পারেন ওগুলোকে। এর জন্য প্রয়োজন হবে আরেকটা ফেলনা জিনিসের, আর সেটা হলো ভাতের মাড়! কী করে পরিষ্কার করবেন, জেনে নিন সেই সহজ পদ্ধতিটি।

প্লাস্টিকের বোতল বা জেরিক্যানের ভেতর ভাতের ঠান্ডা মাড় ভর্তি করে রেখে দিন দু-তিন দিন। দু-তিন দিন পর মাড়সহ ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন বোতল বা জেরিক্যানগুলোকে তারপর মাড় ফেলে দিন। এরপর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। বোতল বা জেরিক্যানের এই ঝকঝকে রূপ দেখে ওগুলো ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আপনার মুহূর্তেই বদলে যাবে! প্লাস্টিকের জগ, মগ ইত্যাদিও ধুতে পারেন এভাবে।



মেঘ

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

ক্ষতের দাগ মুছে ফেলার প্রাকৃতিক উপায় ও টিপস

অনেকেই বিভিন্ন সময়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে অ্যাকসিডেন্ট কিংবা ইনজুরির কবলে পড়তে পারেন। সেই অ্যাকসিডেন্ট বা ইনজুরির ভয়াবহতার চিহ্ন বহন করে শরীরের কোনো স্থানের দাগ। অ্যাকসিডেন্টের ফলে হওয়া জখম হয়তো শুকিয়ে যায়, কিন্তু দাগ রয়ে যায়। এই দাগ বার বার মনে করিয়ে দেয় সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি। এছাড়াও নিত্যদিনের জীবনে ছোটখাট কাটা-ছেঁড়াতেও ত্বকে সৃষ্টি হয় দাগের,

অনেকে অনেক ধরনের ঔষধ ব্যবহার করেও দূর করতে পারেন না সেই দাগ। অনেকে আবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ঔষধ ব্যবহার করেন না। বাধ্য হয়ে সেই অযাচিত দাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। এই ধরনের দাগ গুলো শুধুমাত্র সৌন্দর্য হানিকারক নয়। এর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়ায়। আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য ধরুন। এইসব দাগের চিকিৎসা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

কিন্তু আপনার দৃঢ় মনোবল থাকলে অবশ্যই আপনি প্রাকৃতিক উপায়েই এই দাগগুলো দূর করতে পারবেন। এইসব দাগ দূর করার জন্য আজকে আপনাদের জন্য রইল কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। বেশি ওজন বা সন্তান হওয়ার কারণে যাদের ত্বক ফেটে দাগ হয়েছে,তাদেরও কাজে আসবে এই উপায় গুলো।

লেবু ও শসার রস
একটি গোটা লেবু চিপে নিন। এতে একটি মাঝারি আকারের শসার চার ভাগের এক ভাগ অংশের রস বের করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় আলতো ঘষে লাগান। দিনে অন্তত ৩ বার লাগাবেন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করবে আর শসার রস দাগ হালকা করবে।

অ্যালোভেরার রস
অ্যালভেরাকে বলা হয় জাদুকরি গাছ। এর পাতার রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান গভীর দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী। তাজা অ্যালভেরা পাতার রস দিনে ২/৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিয়মিত লাগাবেন। কিছুদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হতে শুরু করবে।

চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপ জল
চন্দনগুঁড়ো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই দাগ দূর করার কাজে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটা সবচাইতে কার্যকরী উপাদান। একটি বাটিতে ২ চা চামচ চন্দনগুঁড়ো নিয়ে এতে ঘন পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজন মত গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন পেস্টটি ব্যাবহার করুন। দাগ দূর হবে।

পেঁয়াজ কিংবা রসুনের রস
অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ অথবা রসুনের রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য বেশ জনপ্রিয়। যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে এদের জুড়ি নেই। তবে নিয়মিত ব্যবহার না করলে কাজ হতে বেশ দেরি হয়। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ বার তাজা পেঁয়াজ বা রসুনের রস লাগাবেন আক্রান্ত স্থানে। দাগ দূর হবে ও নতুন কোষ হতে সাহায্য করবে।

নিমের পাতা
নিমে গাছে ডাল ও পাতা যে কোন বড় ধরনের অসুখ দূর করতে যেমন কার্যকরী তেমনই গভীর দাগ দূর করতেও বেশ কার্যকরী। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আক্রান্ত স্থানের অস্বাভাবিক কোষ দূর করে। দিনে অন্তত ২ বার নিম পাতা বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগান। পাশাপাশি একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে ৩০/৪০ টি নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি গোসলের কাজে ব্যাবহার করুন।

দাগ দূর করার অন্যান্য কিছু টিপস
•দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করুন। এতে নতুন কোষ গঠন হয় দ্রুত।
•একটি তুলোর বল গ্রিন টি তে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। দাগ হালকা হবে।
•আক্রান্ত স্থান মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে ৬/৭ বার করে প্রতিদিন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ দূর করে।
•ভিটামিন ই তেল কিংবা ক্যাপস্যুল ভেঙে আক্রান্ত স্থানে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। চামড়ার উঁচুনিচু ভাব দূর করে মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে
•একটি কলা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর হতে সাহায্য করবে।

মেঘ



সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪

টিপস (পায়ের দুর্গন্ধ)

গায়ের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার, তাই না? আরো বিব্রতকর হলো পায়ের দুর্গন্ধ! মনে করুন, খুব ভালো পোশাক-আশাক পরে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে পা থেকে জুতোটা খুললেন আর ভকভক করে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলো। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন তো! এমন পরিস্থিতিতে কেউ পড়তেই চাইবে না, তাই না? অনেকেরই পা বেশি ঘামে। ফলে জুতোর ভেতর আবদ্ধ থেকে ঘামে ভিজে পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় আর তৈরি হয় বিব্রতকর সব পরিস্থিতি। বিশেষ করে শীতের দিনে। শীতের দিনে প্রায় সবার পায়েই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, কারোটা কম আর কারোটা বেশি। অথচ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার উপায়টা কিন্তু খুবই সহজ। কী সেটা? জেনে নিন।

প্রতিদিন জুতা পরার আগে পায়ে মেখে নিন শরীরে ব্যবহার করার ট্যালকম পাউডার। এরপর মুজা পরে জুতা পরুন। এতে সারাদিন জুতা পরে থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ কম হবে। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পায়ে খানিকটা আফটার শেভ লোশন মাখুন। পায়ের দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও মারা পড়বে।


মেঘ

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।

তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।

ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।

চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।

কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

মেঘ

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

টিপস

অলিভ অয়েল চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সংক্রামক রোগ রোধে কাজ করে। এতে করে চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও চুলের ভঙ্গুরতা কমায়।

পদ্ধতিঃ
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ৪/৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে পুরোরাত এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে চুলের আগা ফাটা ৭০-৮০% কমে যাবে।

মেঘ

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

টিপস

দৈনন্দিন জীবনযাপন অনেকখানি সহজ করে দেয় যে জিনিসটি, তা হলো ফ্রিজ! কাঁচা এবং রান্না করা- দু ধরনের খাবারই সংরক্ষণ করা ফ্রিজের কারণে হয়ে গেছে অত্যন্ত সুবিধাজনক। রান্না করা খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি খাবারও থাকে ভালো। ফ্রিজের এত ভালো দিক থাকলেও রয়েছে একটি সমস্যা! এতে হরেক রকম খাবার রাখা হয় বলে ফ্রিজের ভেতর প্রায়ই কটু গন্ধের সৃষ্টি হয়। এই দুর্গন্ধ মিশে যায় খাবারের সাথে। ফলে খাবারের ভালো গন্ধও হয়ে যায় নষ্ট। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধের এই সমস্যাটা যত ভয়াবহই হোক না কেন, এর সমাধানটা কিন্তু খুবই সহজ! এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটুখানি খাবার সোডা।

একটা ছোট্ট বাটিতে অল্প কিছু খাবার/বেকিং সোডা নিন। এরপর এই বাটিটা ফ্রিজের এক কোণায় রেখে দিন। বাটি যেন ঢেকে রাখবেন না, এটা খোলাই থাকুক। দেখবেন, ফ্রিজে আর মোটেও গন্ধ হচ্ছে না! সপ্তাহখানেক পর পর বাটিতে রাখা খাবার সোডা পাল্টে দিন।



মেঘ

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৪

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন মাত্র ৭ দিনে!

উজ্জ্বল ও কমনীয় ত্বক সকলেরই কাম্য।
বিশেষ করে একটু উজ্জ্বল ত্বক পাবার জন্য
আমরা অনেকেই অনেক কিছু করে থাকি।
মনে মনে সবারই নিজের ত্বকের রঙ
নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থেকেই যায়। তারই
প্রেক্ষিতে আমাদের এত প্রচেষ্টা। কিন্তু মন
অনেক খারাপ হয়ে যায় তখনই যখন আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে একটুও ফলাফল
দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে শেষ মেশ বাধ্য
হয়ে লেজার ট্রিটমেন্ট এর শরণাপন্ন হন একটু
উজ্জলতা পাবার আশায়।

আচ্ছা, যদি প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বকের রঙ
উজ্জ্বল করা যায় তাহলে কেমন হবে? আর
তা যদি হয় মাত্র ৭ দিনে অর্থাৎ মাত্র ১
সপ্তাহে, তাহলে? হ্যাঁ, এই অসম্ভবকে সম্ভব
করার উপায় ও উপকরণ সবই রয়েছে প্রকৃতিতে।

দরকার শুধু একটু নিয়মিত কিছু জিনিষ
মেনে চলা ও উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার
করা ধাপে ধাপে। আসুন তবে দেখে নেই সে ধাপ
গুলো যাতে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক,
মাত্র ৭ দিনে!

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য প্রচুর
পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। দিনে ৬-৮
গ্লাস পানি পান করা অবশ্যই দরকার। যদি ১
সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখতে চান
তবে নিয়ম করে প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান
করুন।

রোদ পরিহার করুন
ত্বকের
উজ্জলতা বাড়াতে সবচাইতে বেশী জরুরী ত্বককে সূর্যের
ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচানো। যতটা সম্ভব
রোদ এড়িয়ে চলবেন। বাইরে বের হলে ছাতা ও
স্কার্ফ ব্যবহার করবেন অবশ্যই। বাজারে নানান
রকমের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়,
তবে সেগুলো অনেকের ত্বকেই মানানসই হয় না।
বাইরে থেকে ফিরে প্রতিদিন একটি টমেটোর রস
বা থেঁতো করা টমেটো মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট
রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়ার ছাপ
পড়বে না।

ঘরে বসেই ব্লিচ করুন
ব্লিচ করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু
এর জন্য পার্লারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন
নেই। বাসায় বসেই ব্লিচ করুন। সপ্তাহের ২/৩
বার করতে পারেন।
-ব্লিচের জন্য সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক
উপাদান লেবু। একটি লেবু
নিয়ে মাঝামাঝি কেটে নিন। এরপর এক খণ্ড
নিয়ে মুখে হালকা ভাবে ঘষে ত্বকে শুকতে দিন।
শুকিয়ে যাবার পর হালকা গরম
পানি দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন।
তবে যদি অ্যালার্জির
সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এটা ব্যবহার
না করাই ভালো।

-যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ১ টেবিল
চামচ দুধ ও ১ টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম
পানি দিয়ে সামান্য ঘষে তুলে ফেলুন। এটা রোজ
করতে পারবেন।

ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করুন প্রতিদিন
আমরা প্রতিদিনই প্রায় বাসা থেকে বের হই।
বাইরে বের হলে যে কোনো ঋতুতেই ত্বকের
ওপরে ধুলোর আস্তরণ পড়ে। বাসায় ফিরে শুধু
ফেসওয়াস ব্যবহারে এই ধুলো যেতে চায় না।
আর এই সব ধুলো দূর করতে আপনাকে প্রতিদিন
ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু
প্রতিদিন স্ক্রাব করাও সম্ভব নয়।
সুতরাং আপনাকে ত্বকের উপরিভাগ
হালকা করে অন্য কোনোভাবে পরিষ্কার
করে নিতে হবে। এই জন্য প্রথমে ফেস ওয়াশ
দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে আলগা ময়লা পরিষ্কার
হবে। তারপর কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে সেই
তুলো দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
কালো হয়ে ওঠা তুলোই প্রমাণ
করবে কী পরিমাণ ময়লা আপনার
ত্বকে জমে ছিল।

ত্বকে লাগান ঘরে তৈরি ত্বক উজ্জ্বল
করার মাস্ক
৭ দিনে ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অবশ্যই
ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য মাস্ক ব্যবহার
করতে হবে। আর তা ঘরে বসেই তৈরি করে নিন।
ব্লিচ করার মত এই মাস্কও প্রতিদিনই ব্যবহার
করুন। ১ সপ্তাহে রঙ উজ্জ্বল হবেই।
-১ চা চামচ হলুদ বাটা নিন। হলুদ
বাটা মিহি হতে হবে। হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার
করতে পারেন। এর সাথে ৩ টেবিল চামচ লেবুর
রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট
পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালার্জির
সমস্যা থেকে থাকে তবে এটা ব্যবহার না করাই
ভালো।

-যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ২ টেবিল
চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই
ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর
ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভালো স্কিন প্রোডাক্ট
সব কিছুর শেষে অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার
লাগাতে হবে। এর জন্য ভালো কোন ব্র্যান্ডের
ময়েসচারাইজার ব্যবহার করুতে পারেন। যে সব
স্কিন প্রোডাক্টে হাইড্রেটের
মাত্রা বেশী সেসব কিনুন ও ব্যবহার করুন।
ব্লিচের পর বা মাস্ক লাগিয়ে মুখ ধোয়ার
পরে অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার লাগাবেন।
রাসায়নিক প্রসাধন ব্যবহার
করতে না চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

রাতে অবশ্যই নাইট ক্রিম কিংবা অলিভওয়েল
মেখে ঘুমোতে যাবেন। ১ সপ্তাহে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়বেই।



মেঘ

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৪

হেয়ার আয়রন নয়, প্রাকৃতিক উপায়েই চুল "স্ট্রেইট" করুন ঘরে বসে!

ফ্যাশন সচেতন অনেককেই চুল
রিবন্ডিং বা স্ট্রেইট
করতে দেখা যায়। কারন
ইদানিং উঠেছে স্ট্রেইট চুলের চল।
ঢেউ খেলানো ও কোঁকড়া চুলের
মেয়েরা চুল স্ট্রেইট করে ফেলছেন।
ছেলেরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই।
কারন লম্বা স্ট্রেইট চুলের
সাথে যে কোন ধরণের পোশাকের
স্টাইল মানিয়ে যায়। দেখতেও অনেক
স্মার্ট লাগে। এখন ১ বছরের জন্য চুল
স্ট্রেইট করা যায় পার্লারে।

অথবা বাসায় বসে স্ট্রেইটনার
দিয়ে অনেকে চুল স্ট্রেইট করে নেন।
ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট
করার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের
অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের
আগা ফাটে ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ।
যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। তখন
ঝামেলায় পড়ে যান অনেকে। কিন্তু
যদি স্ট্রেইটনার ছাড়াই প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করা যায়
তবে কেমন হয়? বাসায় বসে চুলের যত্ন
নেয়ার পাশাপাশি কিছু
পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করতে পারবেন
বেশ সহজে। এবং পাশাপাশি চুল
হবে স্বাস্থ্যোজ্জল।

দুধের ব্যবহার:
এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য
আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ,
১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল।
চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয়
তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু
দিয়ে নিন।

প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও
পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান।
চুলের জট একটি বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই
মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব
দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন।
মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা রাখুন। তারপর
চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল
শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে।
এভাবে স্ট্রেইট
করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর
আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে।

মুলতানি মাটির হেয়ার মাস্ক:
এই পদ্ধতি ব্যাবহারের জন্য লাগবে ১
কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫
চা চামচ চালের গুঁড়ো।

প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব
ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর
এতে মুলতানি মাটি ও চালের
গুড়ো দিয়ে ভালো মত
মিশিয়ে একটি পেস্টের মত
তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড়
দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন।
এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই
পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন।
যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার
চেষ্টা করুন।

পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত
চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন।
এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই
পেস্টটি চুলে লাগান। চুল
প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।

অলিভ ওয়েল ও ডিমের মিশ্রণ:
মিশ্রণটি তৈরি করতে লাগবে ২
টি ডিম ও ২ চা চামচ অলিভ ওয়েল।
একটি বাটিতে ভালো করে ২ টি ডিম
ফেটে নিন। এতে অলিভ ওয়েল
ভালো করে মিশিয়ে রাখুন। চুলের জট
ছাড়িয়ে নিন। একটি হেয়ার ব্রাশের
সাহায্যে মিশ্রণটি চুলের সব
দিকে ভালো মত লাগান।

পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল
ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল স্ট্রেইট
হবে এবং পাশাপাশি চুলের উজ্জলতাও
বাড়বে।



মেঘ

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৪

সহজে ব্রণ দূর করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের
সমস্যা সমাধানের অন্যতম
কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা।
অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায়
পাকাপোক্তভাবে স্থান
করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার
জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের
সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের
ত্বকে ব্রণের
সমস্যা সমাধানে রইলো অ্যালোভেরা জেলের
তৈরি কিছু ফেসপ্যাক। ব্রণের চিকিৎসায়
অ্যালোভেরা অন্যতম সেরা উপাদান।

যে কোনো পার্লারেও ব্রণের সমস্যায়
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করতেই বলা হয়। এখন
আর কষ্ট করে পার্লার যেতে হবে না,
অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক দিয়ে নিজেই করে নিন
পার্লারের ফেসিয়াল।
ব্রণ যে কোনো ধরণের ত্বকেই হতে পারে।
তবে সবচাইতে বেশি যন্ত্রণা করে তৈলাক্ত
ত্বকে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কত
কিছুই না করেছেন আপনি। কত ক্রিম মেখেছেন,
পার্লারে গিয়েছন। কিন্তু তাতেও কি ব্রণ দূর
হয়েছে? হয়নি। বরং এত
গুলো টাকা বেরিয়ে গেছে পকেট থেকে। আজ তাই
আমরা নিয়ে এলাম ব্রণ দূর করার দারুণ এক
পদ্ধতি। এতে টাকা আপনার মোটেও খরচ
হবে না। কিন্তু খুব সহজেই দূর হবে ব্রণের
উপদ্রব,ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার
নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই
জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার
তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল
বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু
প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন
পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার
দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর
কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।

-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের
হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত
এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই
হলদেটে রসটি ফেলে দিন।

-হলদেটে রস পড়া বন্ধ
হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর
পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ
কেটে ফেলে দিন।

-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ
চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত
অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই
অ্যালোভেরা জেল,
যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
ব্রণ দূর করার জন্য আপনার নিত্যদিনের সাধারণ
ফেসপ্যাকেই অ্যালোভেরা জেল
মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি ব্রণের পরিমাণ খুব
বেশি না হয় তাহলে মুলতানি মাটি, চন্দন,
গোলাপ জল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেস
প্যাক তৈরি করুন ও মুখে মাখুন।
শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রনে খুব
জ্বালাপোড়া ও
ব্যথা থাকলে অ্যালোভেরা জেল
ফ্রিজে জমিয়ে বরফ তৈরি করে নিন ও সেই বরফ
আক্রান্ত জায়গায় ঘষুন। আরাম মিলবে। ব্রণও?
সারবে।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা-মধু
ফেস প্যাক
যে কোনো ধরণের ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
দেখা যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এই
উপদ্রব হয় অনেক বেশি। যাদের মুখে ব্রণের
ভীষণ উপদ্রব, তারা ব্যবহার করতে পারেন এই
ফেসপ্যাকটি।

পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটির জন্য আপনার লাগবে শুধু
মাত্র অ্যালোভেরা পাতা ও মধু।
প্রথমে একটি বড়
অ্যালোভেরা পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তা পানিতে সেদ্ধ
করে নিন। এরপর সেদ্ধ
পাতাটি বেটে বা পিষে পেস্টের মত তৈরি করুন।
পেস্টটিতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু খুব
ভালো করে মেশান। এরপর এই
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২
বার ব্যাবহারে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
থেকে মুক্তি পাবেন।




মেঘ

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪

বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য স্বল্প খরচে ঘরেই করুন বডি স্পা

আজকাল বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদের
দেশেও বডি স্পার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। ফেসিয়ালের মাধ্যমে আমাদের মুখের
ত্বক যেমন সুন্দর হয়,
তেমনি বডি স্পা করলে পুরো শরীরের ত্বকের
নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারনত
পার্লারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরাই
বডি স্পা করে থাকেন।

বডি স্পা-তে আপনার ত্বকের ধরন ও
সমস্যা বুঝে ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে। নিয়মিত
বডি স্পা করলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে ও
র্যাশের মতো সমস্যাগুলো সহজেই দূর হয়।
বডি স্পাতে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল
দিয়ে সারা শরীরে ভালো করে ম্যাসাজ
করা হয়ে থাকে। এতে শরীরের সমস্ত
ক্লান্তি কেটে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিম
দিয়েও ম্যাসাজ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার
বাথ সল্ট দিয়ে স্ক্রাবিং করা হয়, এতে ত্বকের
মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

বডি স্পা করার সময় ত্বকের ধরন
বুঝে নানা ধরনের প্যাক লাগানো হয়ে থাকে।
এক একটি প্যাকের গুণাবলী একেক রকম।
যেমন, পেঁপের প্যাক ত্বক ময়েশ্চারাইজ
করে আর চকলেটের প্যাক বডি ট্যান দূর
করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেয়া যাক বডি স্পা এর
উপকারিতা গুলো-

- বডি স্পাতে ডিপ টিস্যু মাসাজের
মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় ও
রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়

- বডি স্পা সানট্যান দূর করে ত্বকের
উজ্জলতা বাড়ায়।

- অনেক সময় বডি স্পাতে ওয়াটার
থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। এতে শুধু
ত্বক পরিষ্কারই হয় না, শরীর
থেকে টক্সিক উপাদানও দূর হয়ে যায়।

- বডি স্পা করলে মনের নানা টেনশন দূর
হয়ে মন প্রফুল্ল হয় ।

- ব্ল্যাক হেডস ও অ্যাকনের
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বডি স্পা দারুণ কাজ
দেয়।

বাড়িতেই করুন বডি স্পা–
যাদের পার্লারে গিয়ে বডি স্পা করানোর সময়
নেই তারা বাড়িতে বসে খুব সহজেই
বডি স্পা করতে পারেন । বাড়িতে ওটমিল, যবের
ভুসি ,টক দই ও মধু
একসাথে মিশিয়ে সারা শরীরে ঘষে ঘষে লাগান।
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক
উজ্জ্বল হবে। তারপর মুলতানি মাটি ও চন্দন
গুঁড়ো কাঁচা দুধ দিয়ে গুলিয়ে বডি প্যাক
তৈরি করুন ও সারা শরীরে মেখে নিন।
শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড়
বা তুলো দিয়ে হালকা কুসুম
পানিতে ভিজিয়ে প্যাক তুলে ফেলুন।
সবশেষে অলিভ অয়েল দিয়ে সারা শরীর ম্যাসাজ
করে নিন । অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য দারুন
উপকারী, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল
করতে সাহায্য করে। তারপর সম্পূর্ণ শরীর কুসুম
গরম পানিতে ধুয়ে ভালো বডি ক্রিম
লাগিয়ে নিন।

এবার দেখুন তো, নিজের কাছেই অন্যরকম
লাগছে না?





মেঘ

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

অনেকে এসএমএস পাঠিয়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্টের কথা জানতে চেয়েছেন। আমি মেঘ সব সময় চেষ্টা করি রূপচর্চাকে সহজভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে। কতটুকু পারি জানি না তবে যখন আপনাদের ধন্যবাদ পাই তখন খুব ভালো লাগে। অনেক বক বক করেছি এবার কাজের কথায় আসি। 

আমাদের চুল তৈরি হয়েছে ক্যারোটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে। এই ক্যারোটিনের কারণেই চুল সুস্থ ও সবল থাকে। চুলের ইলাস্টিসিটিও ধরে রাখে এই প্রোটিন। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট যা চুলের গভীরে পৌঁছে চুলে পুষ্টি জোগায়।
এছাড়াও এই ট্রিটমেন্ট দুর্বল বা ভঙ্গুর
চুলে পুষ্টি জুগিয়ে কয়েক গুন ঝরঝরে ও সতেজ করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ।

পদ্ধতি :
প্রোটিন ট্রিটমেন্টের বেশ কয়েকটি ধাপ
রয়েছে। প্রথমে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এবার চুলের
গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে তেল লাগান। খেয়াল রাখুন প্রতিটি চুলের গোড়ায যেন তেল পৌঁছায়। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন
১০ মিনিট। এতে তেল মাথার ত্বকের
গভীরে প্রবেশ করবে। এরপর চুলে প্রোটিন প্যাক লাগান। ১টি ডিম, আধা কাপ টক দই, ২ টেবিল চামচ মধু আর ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে আর চুলে ভালো করে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার লাগান। হয়ে গেল আপনার চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

এ ট্রিটমেন্ট মাসে দুবার করুন। চুলের স্বাস্থ্য
দেখে নিজেই অবাক হবেন।





মেঘ

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

রূপচর্চায় পেঁপের ৭টি চমৎকার ব্যবহার

বাংলাদেশের অতি সহজলভ্য একটি ফল হলো পেঁপে। প্রাচীন কাল থেকেই পেঁপে খাদ্য ও রূপ চর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন মিশরের সুন্দরী সম্রাজ্ঞীরা কাচা পেঁপে ব্যবহার করতেন ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল তুলতে। যুগে যুগে রূপ সচেতন নারীদের রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান ছিলো পেঁপে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপ চর্চায় পেঁপের দারুণ কিছু ব্যবহার প্রসঙ্গে।

পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ এবং এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সহায়তা করে।

কাঁচা পেপে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পুরো মুখে নিয়মিত লাগালে ব্রণের উপদ্রব কমে এবং ব্রণের দাগ মিলিয়ে যায়।

পেঁপে বাটা পায়ের ফাটা দূর করে পাকে মসৃণ করতে সহায়তা করে।

পেঁপের খোসা মুখের ত্বকে, হাতে কিংবা পায়ে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

মুখের ত্বকে নিয়মিত পেঁপের রস লাগালে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে।

পেঁপে বাটা ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে ও ত্বক কোমল হবে।

চুল শ্যাম্পু করার আগে চুলে পেঁপে বাটা বা পেপের রস লাগালে খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে ।

মেঘ

পার্লারে নয়, কম খরচে ঘরেই সেরে নিন হারবাল ফেসিয়াল

ত্বকের উজ্জলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে ফেসিয়াল অনেক বেশি উপকারী। ফেসিয়াল করলে ত্বক অনেক সুন্দর থাকে, তারুণ্য ধরে রাখা যায় অনেকদিন। এছাড়া ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকেই পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন। ইদানিং ছেলেরাও ফেসিয়াল করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন অনেক ছেলেদের সেলুনেও করানো হয় ফেসিয়াল।

কিন্তু যদি ঘরেই বসে করে নিতে পারেন ফেসিয়াল তবে কেমন হয়? আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ফেসিয়াল করার পদ্ধতি। সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য ঘরেই সেরে ফেলুন ফেসিয়াল। অবশ্যই পার্লারের তুলনায় মাত্র চার ভাগের একভাগ খরচে।

১ম ধাপ- ত্বক পরিস্কার করুন
প্রথমেই ত্বক পরিষ্কার করে নিন ভালো করে। কোনো সাবান বা ফেস ওয়াস দিয়ে নয়। পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর এক টুকরো টমেটো ত্বকে ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উপরভাগের ময়লা দূর হবে।

২য় ধাপ- ত্বক স্ক্রাব করুন
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্ক্রাবার তৈরি করে স্ক্রাব করে নিন। একটি বাটিতে আধ কাপ নারিকেল তেল নিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ চিনি ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আঙ্গুলে ডগা দিয়ে হালকা করে ম্যাসাজ করে নিন ১০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।

৩য় ধাপ- ত্বকে লাগান ফেইস প্যাক
ত্বকে ঘরে তৈরি একটি ফেইস প্যাক লাগিয়ে ফেলুন। একটি বাটিতে একটি পাকা কলা নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে পিষে নিন। এতে একটি গোটা টমেটোর রস চিপে দিন। এরপর এতে যোগ করুন ১ চা চামচ অলিভ অয়েল। ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এই সময়ে চোখে শসার কুচি দিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ও মুখ ভালো করে ধুয়ে মুছে ফেলুন।

৪র্থ ধাপ- ত্বকে লাগান টোনার
মুখ মুছে ফেলে ত্বকে টোনার লাগান। এটাও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই করে ফেলুন। কাঁচা দুধে একটি তুলোর বল ডুবিয়ে নিয়ে ত্বকে ঘষুন। ত্বক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবং ত্বক মুছে ফেলুন।

৫ম ধাপ- ত্বকে ময়েসচারাইজার ম্যাসাজ করুন
এই ধাপে একটি ভালো ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক সবচেয়ে ভালো ময়েসচারাইজার হচ্ছে অলিভ অয়েল এবং বাটার। ১ চা চামচ অলিভ অয়েল কিংবা বাটার হাতে নিয়ে ১০ মিনিট মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ব্যস হয়ে গেল আপনার ফেসিয়াল করা। মাসে বেশ কয়েক বার করতে পারেন এই ফেসিয়াল। কারন এতে ত্বকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। বরং ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।

মেঘ

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

মাত্র দুই সপ্তাহে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের ত্বকের সমস্যা সমাধানে রইল অ্যালোভেরা জেলের তৈরি কিছু ফেস প্যাক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেইসপ্যাক
একটু উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। নিজের ত্বকের বর্ণকে একটু উজ্জ্বলতা দিতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন। মাত্র দুই সপ্তাহের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ছড়িয়ে যাবে অন্যরকম জেল্লা। রোদে পোড়া দাগ মুছে যাবে, আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক রঙটি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে অ্যালোভেরা জেল, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চমচ মধু, ১ চা চামচ দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল। প্রথমে মধু, হলুদ গুঁড়ো, দুধ ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেল পিষে কিংবা ব্লেন্ড করে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ত্বক শুষ্ক করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই হলদেটে রসটি ফেলে দিন।
-হলদেটে রস পড়া বন্ধ হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ কেটে ফেলে দিন।
-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই অ্যালোভেরা জেল, যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

মেঘ


বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

সমস্যা অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের? পার্লারে নয়, সমাধান হোক ঘরেই!

সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, ঝলমলে চুল সবারই কাম্য। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত কেমিকেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুর ব্যবহার, নিত্যনতুন চুলের স্টাইল পরিবর্তন, চুলে কালার করা এইসব মিলিয়ে দিন দিন চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও খসখসে। চুলের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা শেষ হয়ে যায় একেবারেই। অনেকেই এই ধরণের অতিরিক্ত রুক্ষ চুল থেকে রেহাই পেতে শরণাপন্ন হন ডাক্তারের কেউ যান পার্লারে। আবার অনেকেই রঙ-চঙে বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে ব্যবহার করেন নামি দামী ব্র্যান্ডের হেয়ার প্রোডাক্ট। কিন্তু এত ঝামেলায় না গিয়ে বাসায় বসে একটু সময় বের করেই আপনি চুলের রুক্ষতা দূর করতে পারেন। তাও আবার সামান্য ঘরোয়া জিনিষপত্র দিয়েই। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে চলুন দেখে নেই চুলকে রেশমের মত মোলায়েম করে তোলার সহজ একটি হেয়ার মাস্ক।

অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক
অ্যালোভেরা খুব ভালো একটি ময়েসচারাইজার। যা শুধুমাত্র ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতাই নয়, দূর করে চুলের রুক্ষতাও। অ্যালোভেরার ব্যবহার চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ৩/৪ টেবিল চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, দেড় টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৩ টেবিল চামচ টক দই। চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
একটি পাত্রে সকল উপাদান একসাথে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন ভালো করে। ২০-৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং একটি মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন! সপ্তাহে ৩ বার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পেতে।

মেঘ


বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪

সমস্যা যখন চুল পড়া

টাক হওয়ার চিন্তায় নাকি টাক হয়। টাক হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, অতিরিক্ত চুলপড়া কিন্তু আসলেই একটি বড় সমস্যা। মাথার চুল পড়া নিয়ে সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। চুল পড়া নিয়ে আপনাদের জ্ঞানের পরিধিকে আরো একটু বাড়ানোর প্রয়াস চালানো হয়েছে আজকের লেখায়।

চুলপড়ার স্বাভাবিক ধরন
আপনার আয়ুষ্কাল কত বিধাতা তা নির্দিষ্ট করে না দিলেও মাথার চুলের আয়ুষ্কাল কিন্তু নির্দিষ্ট। স্বাভাবিক পরিবেশে মাথার চুল তিন বছর পর্যন্ত বাচে। তিন বছর আয়ুষ্কাল পূর্ণ হওয়ার পর আস্তে সে চুল ঝরে পড়ে। মাথার চুল ঝরে পড়া কিন্তু পাতা ঝরা বৃক্ষের মতো নয়। মাথার চুল প্রতিদিনই ঝরে পড়ে এবং প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক। বুঝতেই পারছেন বালিশে কিংবা চিরুনির মধ্যে দু-চারটা চুল লেগে থাকলে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই বরং এটাই স্বাভাবিক। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা প্রায় দশ ভাগ চুল প্রতিদিন ঝরে পড়ার জন্য রেডি থাকে। যদি কোনো কারণে এ ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায় তবেই সেটাকে চুল পড়া রোগ বলা যায়। উল্লেখ্য, প্রতিদিন যে পরিমাণ চুল ঝরে পড়ে সেটা আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে।

চুলপড়ার কারণ
নানা কারণে মাথার চুল পড়তে পারে। কিছু কারণে মাথার সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়। আবার কিছু কারণে শুধু মাথার নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে।
. বংশগত কারণে অনেকের মাথার চুল পড়ে যায়। সোজা কথায় বংশে কারো টাক থাকলে আপনারও টাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে চুল পড়া শুরু হয়। মহিলাদেরও বংশগত কারণে চুল পড়তে পারে। তবে তাদের তো আর টাক হয় না। পুরো মাথার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ চুল পড়ে যায়। আশার কথা হলো মহিলাদের ক্ষেত্রে এ চুল পড়া ৪০-৪৫ বছর বয়সে পিরিয়ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয়।
. তীব্র জ্বরের আক্রমণের পর মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। অনেকের মধ্যে অবশ্য একটা ধারণা বদ্ধমূল আছে যে, টাইফয়েড জ্বরের পর চুল পড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং খুব অল্প দিনের মধ্যে চুলের পরিমাণ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
. গর্ভাবস্থায় অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। স্বল্প সময়ে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে। আশার কথা হলো প্রথম প্রেগনেন্সিতে এমন সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে সাধারণত এমন হয় না।
. হঠাৎ করে অনেক ওজন কমে যাওয়া চুলপড়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে যারা একদম ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে ডায়েটিং করেন এবং দ্রুত ওজন কমান, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও পরে আবার নতুন করে চুল গজিয়ে ওঠে।
. ক্যানসারের চিকিৎসা বিশেষ করে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির পর মাথাসহ সারা দেহের চুল পড়তে পারে। চিকিৎসা শেষে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে।
. থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও মাথার চুল পড়তে পারে।
. কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলোতে পুরো মাথার চুল না পড়ে নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে যায়। যেমন- অটোইমিউন রোগ, অতিরিক্ত টেনশন, ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে মাথার চুল পড়তে পারে।

চুল পড়া রোগে কার কাছে যাবেন
রাস্তাঘাটের সাইনবোর্ড কিংবা পত্রিকার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট না হয়ে চুলপড়ার সমাধান পেতে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি রোগের ইতিহাস, রক্ত, চুল ইত্যাদির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ঠিক করবেন আপনার চিকিৎসার সর্বোত্তম পন্থা কি? প্রয়োজনে তিনি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীকে রেফার্ড করবেন।

চিকিৎসা
চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই কারণ নির্ণয় করতে হবে। অনেক সময় কোনো কারণ খুজে পাওয়া যায় না। তবে নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। যদি ফাংগাসের কারণে হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিফাংগাল দিতে হবে। যদি অটো ইমিউন রোগে হয়ে থাকে তবে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২% মিনোক্সিডিল (MINOXIDIL) Bswjk]
ব্যবহার করেও আপনি আপনার টাক সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এ ওষুধটি শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না বরং কিছু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ওষুধ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। তবে এর প্রধান সমস্যা হলো মাথার সামনের অংশে এটা তুলনামূলক কম কাজ করে। যদিও এ স্থানের টাক পুরুষদের বেশি বিব্রত করে। বর্তমানে এ ওষুধটি বেশি শক্তিসম্পন্ন ৫% হিসেবেও বাজারজাত হচ্ছে। বাজারে ফিনেসটেরাইড (FINASTERIDE) নামে আরো একটি ওষুধ পাওয়া যায়, যেটা মূলত চুল পড়া প্রতিরোধ করে। তাই যার মাথায় এখনো যথেষ্ট চুল আছে তার জন্য এটা ভালো ওষুধ হতে পারে। বয়স্ক মহিলারা এ ওষুধটি ব্যবহার করতে পারলেও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা নিরাপদ নয়।
বর্তমানে অত্যন্ত সফলভাবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মাথার পেছন থেকে চুল নিয়ে সামনে বসিয়ে দেয়া হয়। অপারেশনের মাধ্যমে টাক অংশের চামড়া ফেলে দিয়ে চুলযুক্ত অংশ জোড়া লাগানোর ঘটনাও এখন বিরল নয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পর রোগীকে ফিনেসটেরাইড খেতে দেয়া হয় যাতে নতুন লাগানো চুল ঝরে না পড়ে। কৃত্রিম চুল কিংবা অন্য লোকের চুল টাক মাথায় বপন করেও বর্তমানে টাক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

চুল পড়া বন্ধে বিউটি পার্লারে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার বেশি কার্যকর। কেননা পার্লারে নেয়া চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা চুল পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নিচে দেয়া সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া রোধ করা যায়।

১. হালকা গরম তেল ব্যবহার। যে কোন প্রাকৃতিক তেল যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) হালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে মেসেজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২. প্রাকৃতিক রস ব্যবহার। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন। রাত্রে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

৩. মাথা মেসেজ করা। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালু মেসেজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে।

৪. এন্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার। মাথার তালুতে হালকা সবুজ চা প্রয়োগ করে একঘণ্টা পর্যন্ত রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল কিছুক্ষণ কচলান। সবুজ চাতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

মেঘ


মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৪

জেনে নিন ব্ল্যাকহেডস দূর করার "ব্যথামুক্ত" পদ্ধতি

নাকের উপরে, নাকের আশেপাশে ও ঠোঁটের নিচে বেশিরভাগ মানুষেরই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডস হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বক নোংরা, অনুজ্জ্বল ও কালো দেখায়। এছাড়াও ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকলে ত্বক অমসৃণ থাকে এবং সহজে মেকআপ বসতে চায় না। যাদের ব্ল্যাকহেডস হয় তারা পরিষ্কার করতে রীতিমত হিমসিম খান তা বলাই বাহুল্য। একবার হলে সহজে যেতে চায়না ব্ল্যাকহেডস, পার্লারে গিয়ে পরিষ্কার করালেও কিছুদিন পরেই আবারো ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব শুরু হয়। তাছাড়া বারবার পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করানোও বেশ খরচের ব্যাপার। আরও খারাপ বিষয়টি হচ্ছে, এই ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক।

বেশ সহজেই ঘরেই পরিষ্কার করে ফেলা যায় ব্ল্যাকহেডস। ঘরোয়া ফেস প্যাক ব্যবহার করেই বিচ্ছিরি ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যথা বিহীন ঘরোয়া পদ্ধতি।

উপকরণঃ
১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

পদ্ধতিঃ

প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন।
শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি।
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।
শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে।
সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।

মেঘ


রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪

আজীবনের জন্য নিখুঁত ত্বক ৬ রকমের তেলে!

শীত এবং শীত শেষের শুষ্ক রুক্ষ আবহাওয়া ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া দূষিত পরিবেশ ত্বকের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ, কালো ছোপ, শুষ্কতা এই সবই ত্বকের সমস্যা। এছাড়াও ত্বকে বয়স জনিত দাগ, রিঙ্কেলও অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। শুধুমাত্র মুখেই নয়, এই ধরণের ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় পুরো দেহে। কিন্তু খুব সহজেই এইসব ধরণের সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। কীভাবে, জানতে চান? কিছু তেলের ব্যবহারে।

অবাক হলেন? অবাক হলেও সত্যি তেল আমাদের ত্বকের যতটা উপকার করতে পারে তা কোন নামি দামী ক্রিম বা লোশন পারে না। তবে দেখে নিন ত্বকের যত্ন-আত্তির জন্য কার্যকরী ৬ ধরণের তেল। এই তেল গুলোই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনাকে দিতে পারবে নিখুঁত ত্বক। আজীবনের জন্য!

নারকেল তেল
নারকেল তেল আমরা ব্যবহার করে থাকি চুলের যত্নে। কিন্তু এই নারকেল তেলের ব্যবহার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও হাত পায়ের ত্বককে মসৃণ ও কোমল করতে ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল। ছেলেদের শেভিং ক্রিমের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল।

সূর্যমুখী তেল
সূর্যমুখী বীজ অনেকেই খেয়ে থাকেন এর অসাধারণ স্বাদের জন্য। কিন্তু এই বীজ থেকে যে তেল হয় তা আমাদের ত্বকের কতোটা কার্যকরী সেটা অনেকেই জানেন না। সূর্যমুখী তেল খুব ভালো একটি প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। তা ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে করে মসৃণ ও সুন্দর।

কাঠ বাদাম তেল (আলমন্ড অয়েল)
কাঠ বাদাম তেল শুধুমাত্র চুলকে ঝলমলে উজ্জ্বল করতেই নয় ব্যবহার হয় ত্বকের সমস্যা সমাধানে। ত্বকের বয়স জনিত চাপ দূর করতে কাঠ বাদামের তেল অনেক বেশি কার্যকরী। কাঠ বাদামের তেলের সাথে খানিকটা মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা ফেইস প্যাক মুখের বয়সের ছাপ এবং রিঙ্কেল দূর করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বককে কোমল উজ্জ্বল এবং নরম করে কাঠ বাদামের তেল।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল রান্নায় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। এর পাশাপাশি অলিভ অয়েল ত্বকের মহাঔষধ হিসেবেও কাজ করে। অলিভ অয়েল সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। এছাড়াও অলিভ অয়েলের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকে যে কোন ধরণের ইনফেকশন দ্রুত ঠিক করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে ত্বকে আসে দীপ্তি।

তিলের তেল
হাড় মজবুত করার জন্য তিলের তেলের মালিশের গুণ প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু তিলের তেল ত্বকের জন্যও অসাধারণ একটি উপাদান। তিলের তেলের রয়েছে ত্বক ফাটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে নিজের ইলাস্টিসিটি ফেরত পায়। এতে করে ত্বক ফাটার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় রুক্ষ আবহাওয়াতেও।

গোলাপের তেল
শুনতে নতুন শোনালেও ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। তৈলাক্ত ত্বকে অন্যান্য সকল ধরণের তেল ব্যবহার করা না গেলেও গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় অনায়েসে। গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। গোলাপের তেল ত্বক ঝুলে পরার হাত থেকে রক্ষা করে। এবং এই তেল ব্রণের বিরুদ্ধেও কাজ করে।

মেঘ



রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার

শীতকালীন সবজি টমেটো এখন সারাবছরের সবজি হিসেবে সব সময়ই দেখতে পাওয়া যায়। পাকা টমেটো অনেকেই বেশ পছন্দ করে খেয়ে থাকেন। টমেটোর সবচাইতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় যদি টমেটো কাঁচা খাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ১ টি কাঁচা টমেটো আপনাকে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। টমেটোর রয়েছে আরও একটি গুণ। আর তা হলো টমেটো রূপচর্চার জন্য বেশ কার্যকরী একটি সবজি। রূপচর্চায় নানান ভাবে টমেটো ব্যবহার করা যায়। আসুন তবে দেখে নিই টমেটোর এমনই কিছু ব্যবহার।

রোদে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে টমেটো
রোদে পোড়া দাগ ও রোদের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য সবচাইতে বেশি কার্যকরী এই টমেটো। একটি গোটা টমেটো দুভাগ করে কেটে নিয়ে বিচির দিকের অংশ মুখে গলায় ও হাতে ঘষে নিন ভালো করে। রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনের বাবহারে দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে আরও উজ্জ্বল করবে।

ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল দূর করতে টমেটো
ডার্ক সার্কেল ও বয়সের ছাপ জনিত রিঙ্কেল দূর করতে টমেটোর জুড়ি নেই। একটি টমেটো চিপে এর রস বের করে রাখুন একটি পাত্রে। এরপর এতে দিন সমপরিমাণ লেবুর রস। ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে ও রিঙ্কেলের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর সাধারণভাবেই ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দূর হবে ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল।

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটো
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটোর ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন যাবত। ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস, ১ টেবিল চামচ কমলালেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ শসার রস দিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ। মুখের ত্বক ভালো করে পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

মেঘ


শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

সুন্দর ত্বকের জন্য ৫টি দারুণ খাবার

দেহের সুস্থতার জন্যে আমরা কত কিছুই তো করে থাকি। আর এর প্রভাব অবশ্যই পড়ে ত্বকে। আর ত্বকের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটু বেশিই যত্ন বরাদ্দ করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, যেসব নামী দামী প্রসাধনী আপনার ত্বকের উপকার করছে বলে ভাবছেন, সেগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়াটাই বেশি? সুন্দর ত্বকের জন্য এত কিছু প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন কেবল সঠিক খাবারের। এমন কিছু খাবার, যেগুলো খাওয়া এবং ত্বকে মাখা উভয়ই বেশ উপকারী। এগুলো আপনার ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও সুস্থ।

জেনে নিন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

অলিভ অয়েলঃ
সেই প্রাচীণকাল থেকেই কিন্তু রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার হত। প্রাচীণ রোমানরা ত্বকচর্চায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতো।রাতে ঘুমাবার আগে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন অলিভ ওয়েল। এটা আপনার ত্বককে করবে কোমল ও উজ্জ্বল। আরো ভাল ফল পেতে সালাদের সাথে মিশিয়ে নিন খানিকটা অলিভ তেল। ত্বক, স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভালো।

স্ট্রবেরীঃ
আপনি কি জানেন, স্ট্রবেরীতে আছে কমলা বা আঙ্গুরের চেয়ে বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্যে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে ত্বককে করে তোলে কোমল আর লাবণ্যময়।এছাড়া দই ও মধুর সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকেও! পেয়ে যান সহজেই কোমল প্রাকৃতিক ত্বক।

গ্রীন টিঃ
গ্রীন টি এখন যথেষ্ট সহজলভ্য। এটি শুধু আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এমনকি এটা স্কিন ক্যান্সারকেও রাখে ১০০ হাত দূরে। গ্রীন টির ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটা আপনার চোখের কালি ও ফোলাভাব দূর করবে খুব সহজে!

বেদানাঃ
আপনি কি জানেন, বেদানার রস গ্রীন টির চেয়ে দ্রুত কাজ করে আপনার ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দিতে। রোজ খানিকটা বেদানা আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। খাবার পাশাপাশি খানিকটা ওটমিলের সাথে বেদানার রস মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট। ব্যস! নিমেষেই পেয়ে যান সুন্দর ত্বক।

মিষ্টি কুমড়াঃ
আপনি কি জানেন এই অতি পরিচিত সবজিটি আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। কুমড়ায় আছে ভিটামিন এ ও সি এবং প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই খাবারটি। খাবার পাশাপাশি, কুমড়োর পেস্ট বানিয়ে খানিকটা টকদই ও মধু মেশান ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। দেখবেন ত্বক হয়ে উঠেছে নরম ও কোমল।

এবার এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, সহজেই!

মেঘ