ত্বক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ত্বক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

সৌন্দর্য চর্চায় রূপে-গুণে অনন্যা গোলাপের পাপড়ি


ফুলের রাজ্যে গোলাপের কদরটা সবসময়েই বেশি। প্রেম নিবেদন কিংবা ভালোবাসা প্রকাশে গোলাপ না থাকলেই নয়। নারীর সাজেও গোলাপের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। চুলের এক পাশে একটি গোলাপ গুঁজে দিলে পুরো সাজেই যেন আসে পরিপূর্নতা। ঘরের কোনে কয়েকটি গোলাপ রেখে দিলেও এর মিষ্টি সুবাসে মন ভালো থাকে সারাদিন। আপনি কি জানেন যে রূপচর্চাতেও গোলাপের পাপড়ির আছে অসাধারণ কিছু ব্যবহার? জেনে নিন সৌন্দর্য চর্চায় গোলাপের পাপড়ির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে।

টোনার

টোনার হিসেবে গোলাপের পাপড়ির জুড়ি নেই। কিছু গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। এবার পানিটাকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে রাখুন। এরপর ঠান্ডা সেই পানির মধ্যে তুলা ভিজিয়ে সেটা দিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। গোলাপের পাপড়ির এই টোনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ত্বক মসৃণ করে

নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ। গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও সুন্দর।

ব্রণের উপদ্রব কমায়

অনেকেরই ত্বকে ব্রণের উপদ্রব আছে। গোলাপের পাপড়িতে আছে অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ির রস ব্রণের লালচে ভাব কমাতে সহায়তা করে এবং ব্রণের আকৃতি ছোট করে দেয় বেশ দ্রুত।

রোদে পোড়া ভাব কমায়

প্রচন্ড রোদে বাইরে বের হলে ত্বকের রং অনেকটাই কালচে হয়ে যায়। নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটাই কমে যায়। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ। এছাড়াও গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

চোখের নিচের কালচে ভাব কমায়

গোলাপের পাপড়ির রস চোখের নিচের কালো ভাব কমিয়ে দেয়। কিছু গোলাপের পাপড়ি বেঁটে চোখের নিচের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। অথবা গোলাপের পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের উপর দিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে পুরোপুরি। সেই সঙ্গে চোখের ক্লান্তিও দূর হবে।

মেঘ

ত্বকের কোমলতা ধরে রাখুন শশা ও তরমুজের মাস্কে



বাড়িতে বসে একসঙ্গে ত্বকে পরিষ্কার করতে, পোড়া ভাব দূর করতে, ক্লান্তি কাটাতে ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন এই মাস্ক।

কী কী লাগবে-

শশার রস-২ টেবিল চামচ
তরমুজের রস-২ টেবিল চামচ
গুঁড়ো দুধ-১ চা চামচ
দই-১ চা চামচ

কীভাবে লাগাবেন-

সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে ভাল করে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। তরমুজ ত্বক পরিষ্কার করে। পোড়া ভাব তুলে টোনারের কাজও করে। ত্বকের কাল ভাব কাটায় শশাও। ত্বকরে নরম ও টানটান রাখে দই। ফর্সাভাব ধরে রেখে ত্বককে উজ্জ্বল করে গুঁড়ো দুধ।
মেঘ

নিখুঁত ত্বকের জন্য রাতের ২টি ফেসিয়াল মাস্ক


কাঠ ফাটা রোদ আর একটু পরই বৃষ্টি। দুয়ে মিলে আবহাওয়া হয়ে উঠেছে অস্বস্তিকর। না ভালো করে গরম যাচ্ছে না একটু ঠাণ্ডা হচ্ছে পরিবেশ। এই সময়টায় ত্বক আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে চলতে যেয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। ব্রণ, ত্বকের রুক্ষতা, কালো ছোপ দাগ ইত্যাদির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সকলেই সমাধান খুঁজছেন।
অনেকে ভরসা করেন বাজারের ত্বকের প্রোডাক্টের ওপর। কিন্তু কেমিক্যালে ভরপুর এই প্রোডাক্টগুলোর চাইতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক জিনিসের ওপর। ঝলমলে উজ্জ্বল এবং সমস্যাবিহীন ত্বক পেতে সারাদিন শেষে রাতে একটু সময় বের করে নিন ত্বকের যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল রাতে ব্যবহারের ২ টি ফেসিয়াল মাস্ক যা দূর করবে ত্বকের সমস্যা।

চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েলের ফেসিয়াল স্ক্রাব

সব ধরনের ফেসিয়াল স্ক্রাবের মধ্যে এই স্ক্রাবটি সবথেকে ভালো। কারন এই স্ক্রাবটির উপাদান অনেক সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক বলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অলিভ অয়েল ত্বককে কোমল করে ও চিনি ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর করে।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। ২ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে নিয়ে মুখের ত্বকে হালকাভাবে ঘষে লাগান। মুখে এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বকের উজ্জলতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

কলা এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক

কলা খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারি। কলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কোমলতার জন্য একটি অসাধারন উপাদান। অন্যদিকে দই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারি।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টি কলা, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দুধ ও ২ চা চামচ টকদই। প্রথমে একটি বাটিতে কলা নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে মধু ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।

মেঘ

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

সৌন্দর্যচর্চায় ৫ ধরনের ভুল আমরা প্রতিদিন করে থাকি

 রূপ সচেতনতায় প্রতিদিন আমরা ব্যবহারিক অনেক কাজই করে থাকি। সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রূপের সৌন্দর্য রক্ষার্থে অনেক কাজ করে থাকি। মূলত শরীরকে সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখার জন্যই এমন অনেক কাজ করে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো না জেনেই এমন অনেক কাজ করছি যেগুলো আমাদের শরীরের ক্ষতি করছে। নিত্যদিনের ব্যস্ততার ভিড়ে সেদিকে আমাদের একেবারেই খেয়াল নেই। ফলে খুব কম পরিমাণে হলেও ক্ষতি করছে শরীরের।

১. পুরো মাথায় কন্ডিশনারের ব্যবহার :
চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং চুলের বিভিন্ন পুষ্টি যোগাতে আমরা অনেকেই গোসলের সময়ে চুল শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় এই যে অনেকেই আছেন যারা শুধু চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে পুরো মাথাতেই ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখার বিষয়টি হল কন্ডিশনার কোনো মতেই সমস্ত মাথায় ব্যবহার করা ঠিক নয়। এটি শুধুমাত্র চুলে ব্যবহার উপযোগী। এটি মাথার ত্বকে ঘষলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।

২. বডিস্প্রে ব্যবহার করা :
বডিস্প্রে মূলত কাপড়ে স্প্রে করার জন্য। কিন্তু প্রায় অনেকেই এই ভুলটি করে থাকেন যে তারা কাপড়ে স্প্রে না করে শরীরের উপরে স্প্রে করেন। ব্যবহৃত বডি স্প্রে বা পারফিউমের মান কেমন আপনি জানেন না। তাই স্কিন ক্যান্সারসহ ত্বকের নানান রকম রোগ হতে রেহাই পেতে তোকে স্প্রে ব্যবহার করবেন না।

৩. গলার ত্বকের খেয়াল না করা :
আমরা মুখের ত্বকের বেশ খেয়াল করে থাকি। মুখের ত্বককে ভালো রাখতে বিভিন্ন রং ফর্সাকারী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু এগুলো গলায় ব্যবহার করিনা। এতে করে মুখ বেশ উজ্জ্বল দেখালেও গলা তুলনামূলকভাবে অনেক কালো দেখায়। খেয়াল রাখতে হবে যে মুখ এবং গলা আলাদা কিছু না। মুখের পরিচর্যায় যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই একই উপকরণ গলার ত্বকের পরিচর্যায়েও ব্যবহার করা উচিৎ।

৪. চোখের চারপাশে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা :
মশ্চারাইজার মূলত মুখের ত্বকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে নমনীয় এবং শুষ্ক করার জন্য। কিন্তু যদি এই মশ্চারাইজার চোখের উপরে বা চারপাশে ব্যবহার করা হয় তাহলে চোখে ফোলাভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া চোখে ক্লান্তির ছাপ এবং ঘুম ঘুম ভাবের দেখা দিতে পারে। এ কারণে চোখের চারপাশে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

৫. অনেক সময় ধরে গোসল করা :
এই গরমে অনেক সময় ধরে গোসল করলে বেশ ভালো লাগে। মনে হয় যে যতক্ষণ গোসলখানায় থাকা যায় ততক্ষণই আরামে ও শান্তিতে থাকা যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে গোসল করা শরীরের জন্য ভালো না। কেননা অনেকক্ষণ গোসলে শরীরের তৈলাক্ততা একেবারে কমে যায় অর্থ ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহারে এর শুষ্কতা আরও অনেক বেড়ে যায়।


মেঘ

জেনে নিন রোদে পোড়া দাগ থেকে চটজলদি মুক্তির ৫ টি উপায়


 জৈষ্ঠ্যের তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। কিন্তু তাই বলে তো ঘরে বসে থাকলে চলে না। নানা কারণে প্রতিদিন বাসার বাইরে বেরুতেই হয়। আর সেকারনে মুখে ছোপ ছোপ কালো দাগ পড়ে যায় সহজেই। আর ত্বকের রঙও হয়ে আসে কালচে। এগুলো রোদের তীব্র অতিবেগুনী রশ্মির কারণে হয়ে থাকে। এর যত্ন যদি আপনি এখনই না নিয়ে থাকেন তবে এগুলো আপনার ত্বকে স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।

তাই খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন রোদে পোড়া কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতেঃ

১। লেবুর রসঃ
পুরো মুখে লেবুর রস ও সমপরিমাণ মধু মেখে ৫-১০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এ কাজটি করার চেষ্টা করুন। লেবুর প্রাক্রিতিক ব্লিচিং উপাদান আপনার ত্বককে আগের উজ্জ্বলতায় ফিরিয়ে আনবে আর মধু করবে ময়েশ্চারাইজারের কাজ। সুতরাং রোদে পোড়া দাগ মিলিয়ে গিয়ে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের মতই উজ্জ্বল বা তার চেয়েও সুন্দর।

২। টকদইঃ
রোদে পোড়া দাগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবার জন্যে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সারা মুখে টকদই লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এর কার্যকরী ব্লিচিং উপাদান প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার রোদে পোড়া দাগ সারিয়ে তুলবে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার ত্বকের লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৩। এলোভেরাঃ
এলোভারা আপনার ত্বককে দেয় ঠান্ডা অনুভূতি আর সেই সাথে সতেজ করে তুলতেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন যদি স্রেফ ১০ মিনিটের জন্যে আপনার ঘাড় গলায় ও মুখে এলোভেরার রস লাগিয়ে রাখতেপারেন এটা কেবল রোদে পোড়া কালো কালো ছোপ থেকেই আপনাকে মুক্তি দেবে না বরং ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে বলিরেখা রোধ করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে বহুদিন।

৪। টমেটোঃ
রোদে পোড়া দাগ থেকে সব চেয়ে ভালো উপায় হল টমেটো। টমেটো ভালোভাবে পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা টমেটোর পেস্ট ১৫-২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ব্যস, খুব জলদিই মুক্তি পাবেন রোদে পোড়া দাগ সহ পুরোনো ব্রনের দাগ থেকেও।

৫। আলুঃ
আলু রূপচর্চায় এবং ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। যদিও অন্যান্য উপাদানের চেয়ে এটি কাহ্নাইকটা বেশী সময় নেয়। আলু ভালোভেবে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পর দাগ কমে আসবে।

৮। কাঁচা পেঁপেঃ
কাচা পেঁপের পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এটি আপনার ত্বকের নানা দাগ দূর করতে ভীষন কার্যকরী।

সেই সাথে এটি প্রতিরোধে গড়ে তুলুন কয়েকটি জরুরী অভ্যাসঃ
প্রতিদিন ঘরের বাইরে বেরুবার আগে কমপক্ষে এসপিএফ-২৪ যুক্ত সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।
২ ঘন্টা পর পর মুখ ধুয়ে নতুন করে সানস্ক্রীন লাগান।
সবসময় রোদে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন
ঘুমাবার আগে ময়েশারাইজার লাগিয়ে ঘুমান

রোদে পোড়া ত্বককে অবহেলা করবেন না বা ভাববেন না নিজে থেকেই সেরে যাবে এটি। সহজেই ত্বকের কালো ছোপ তুলে ফেলুন আর থাকুন সুন্দর, সবসময়ে।


মেঘ

খুব সহজ ১০ টি উপায়ে নির্মূল করুন শরীরের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক

 ফাটা চামড়া বা স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আমাদের শরীরের ত্বকে বিভিন্ন অংশে এই ফাটা দাগগুলো দেখা যায়। মূলত এই সমস্যা বাড়তি ওজনের জন্য হয়। শরীরের আয়তন যখন বেড়ে যায়, ত্বক তখন স্ট্রেচ করে বাড়তি আয়তনকে ঢাকতে। ফলে তৈরি হয় এই দাগ। আবার গর্ভ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে চামড়ার টানজনিত কারণে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে। এটি ত্বকের উপরে দৃশ্যমানলাইনের মত দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন- পেটের প্রাচীর, কোমর, হাত, ঘাড়, হাটুর পেছনে, উরু এমনকি বুকেও দেখা যায়। স্থুলতা তো অবশ্যই, সাথে গর্ভ ধারণের মত শারীরিক ধকল এবং শরীরে পানি ঘাটতির কারণেও হতে পারে এ ধরনের সমস্যা।

ত্বকের এই ফাটা দাগ দূরীকরণ যেন এক অসম্ভব কাজ। কিন্তু না, এখন আর অসম্ভব নয়। বরং খুব সম্ভব। কীভাবে জানতে চান?

১. গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

২. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে।

৩. প্রতিদিন ৩ বার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। যতদিন দাগটি নির্মূল না হয় ততদিন এই পদ্ধতিটি শরীরে এ্যাপ্লাই করে যাবেন।

৪. শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

৫. ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে।

৬. চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।

৭. এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপওে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি।

৮. ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯. এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার।

১০. প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে।



মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

চোখের ফোলা ভাব দূর করার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়



সুন্দর এক জোড়া চোখ খুব সহজেই নজর কেড়ে নিতে পারে সবার। টানা টানা চোখের চাহনি যে কাউকে কাবু করে ফেলতে পারে নিমিষেই। আর তাই চোখ জোড়াকে সুন্দর করে তোলার জন্য নানান প্রসাধনীর ব্যবহার করেন নারীরা। কিন্তু সেই চোখ জোড়াই যদি হয়ে ওঠে ক্লান্ত ও ফোলা ফোলা? তাহলে পুরো চেহারাতেই ক্লান্তির ছাপ পরবে। রাতে ঘুম কম হওয়ার কারণে, কান্নাকাটি করার কারণে অথবা দূর্বলতার কারণে চোখে ফোলা ভাব চলে আসে। ফলে চেহারার উজ্জ্বলতা কম দেখায় এবং চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়ে।
চোখের ফোলা ভাব দূর করার আছে খুব সহজ উপায়। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেই চোখের ফোলা ভাব দূর করা সম্ভব। জেনে নিন চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি দূর করার সহজ কিছু উপায়।

১) চোখের ফোলা ভাব দূর করার জন্য চামচ ব্যবহার করতে পারেন। দুটি টেবিল চামচ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ফেলুন। এবার চামচের নিচের অংশ চোখের নিচের ফোলা স্থানে রেখে চোখ বন্ধ করে রাখুন। চামচ গুলো গরম হয়ে গেলে সরিয়ে ফেলে আবার ঠান্ডা চামচ দিন। এভাবে ১৫ মিনিট ঠান্ডা চামচ রাখলে চোখের ক্লান্তি কমে যাবে এবং ফোলা ভাব কমবে।

২) ব্যবহৃত টি ব্যাগও চোখের ফোলা ভাব কমাতে সহায়তা করে। টি ব্যাগ ব্যবহারের পর সেটা কিছুক্ষন ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা হলে সেটা চোখের উপর রেখে চোখ বন্ধ করে রাখুন ১৫ মিনিট। চোখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালিও কমে যাবে ধীরে ধীরে।

৩) চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশও বেশ কার্যকরী। একটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এরপর সেটাকে খুব ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা তুলে ফেলুন। এরপর একটি তুলা অথবা ব্রাশের সাহায্যে সেটাকে চোখের নিচের ত্বকে ধীরে ধীরে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এরপর চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলে চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে অনেকটাই।

৪) প্রচুর পানি পান করুন। চোখের ফোলা ভাব দূর করতে পানি পানের বিকল্প নেই। চোখের নিচের অংশ বেশি ফুলে থাকলে কিছুক্ষন পরপর পানি খান। এভাবে সারাদিন পানি পান করলে চোখের ক্লান্তি কেটে যাবে এবং চোখের নিচের ফোলা ভাব কমে যাবে।

৫) চোখের উপর ঠাণ্ডা শশার টুকরা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। চোখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

মেঘ

ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার এবং মুখের কালো দাগ দূর করার কিছু টিপস…

“ত্বক ফর্সা করতে ফেয়ার নেস cream কতই তো ইউস করলাম। কই কোনো তো কাজ হলো না।” এমন আফসোস শোনা যাই অনেকের মুখে। কিন্তু আমরা যদি ঘরে একটু সময় দিয়ে হারবাল উপায়ে ত্বকের সামান্য একটু যত্ন নি তাহলেই কিন্তু আমাদের ত্বক অনেক খানি সুন্দর হয়ে উঠবে।

আজ আপনাদের জানাব সহজ ও ঘরওয়া পদ্ধতি তে ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার কিছু টিপস:

✏ প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য মসুর ডালের বেসন, মধু ও সামান্য তিলের তেলের মিশ্রণ বেশ উপযোগী। রোদে পোড়া ভাবও দূর হবে।

✏ মধু, কাঁচা হলুদ, দুধ ও তিলের তেল চুলায় অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে ফিরে প্রতিদিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

✏ বেসন-দই, লেবুর প্যাক: ২ চামচ আটা, মসুরির ডাল বাটা অথবা বেসন নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মেশান৷ এবার ওর মধ্যে দই মিশিয়ে প্যাকটাকে গাঢ় করে নিন৷ মুখে, ঘাড়ে ভালো করে ঐ প্যাকটা লাগান৷ ২০ মিনিট রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের চমক বাড়বে৷

✏ ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে বাইরে থেকে ফিরে মুখে, গলায় ও হাতে টমেটোর রস লাগান। শুকিয়ে গেলে আরো একবার লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না।

✏ পাতিলেবুর রস, নিমপাতার রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

✏ কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।

✏ দই এবং ময়দা মিশিয়ে মাখলেও ত্বকের কালো ছোপ তুলতে সাহায্য করে কলা পেস্ট করে মধু মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


মুখের কালো দাগ দূর করার কিছু টিপস:

✏ মুখের কালো দাগ দূর করতে আপনি মধু , লেবু, গোলাপ ফুলের পাতা অনেক কার্যকর। এক সাপ্তাহের মাঝেই আপনি তার ফলাফল পাবেন। এই উপাদান গুলি আপনি পেস্ট করে এক সাপ্তাহ ফেইসে লাগাবেন দেখবেন অনেক ভাল লাগবে।

✏ একটি ডিমের কুসুমের সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ৩ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

✏ প্রথমে শুকনো হলুদের গুড়ার সঙ্গেদেশি ঘি মিশান।তারপরে মিশ্রিত গুড়া আঙ্গুলের ডগা দিয়ে খুঁত বা দাগের ওপর আলতো ভাবে মাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পরিপূর্ণভাবে দাগ দূর করা সম্ভব।

✏ দুভাগ পানি ও এক ভাগ আগুনে পোড়া সোডা মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। মিশ্রিত সোডা খুঁত বা দাগযুক্ত স্থানে এক মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে জোরে জোরে ক্ষত স্থানে কোন ক্রিম বা মালিশ ব্যবহার অনুচিত। এ পদ্ধতি ক্ষত টিস্যুকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলে। আর মনে রাখবেন প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি ও ফল খাবেন।





মেঘ

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

এই গরমে ত্বকের জন্য উপকারী যত তেল

গ্রীষ্মকালে তেল ব্যবহার করলে ত্বক আরও অনেক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকেই তেল ব্যবহার থেকে দূরে থাকেন এই গ্রীষ্মে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, একমাত্র তেলই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে থাকে। এই গরমে যে ৫ ধরনের তেল তৈলাক্ততার পরিবর্তে ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে, আপনার ত্বককে রাখবে সুন্দর ও লাবণ্যময়। আসুন, জানি সেই তেল ও ব্যবহারবিধি।

১. গোলাপের তেল :
এই গরমে গোলাপ থেকে উৎপাদিত তেল ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। এটা ত্বকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহারে ত্বকের মসৃণতা ফিরে আসে, ত্বকে ছিদ্রপথ পরিষ্কার করে ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনে। এছাড়া এটি ত্বকে ম্যাসেজ করলে বিভিন্ন কালো দাগ ও রেখা দূর হয়। প্রতিদিন এই গোলাপ তেল গোসলের আগে বা পরে সারা দেহে ম্যাসেজ করতে পারেন। এতে ভালো ফলাফল আসবে।

২. ক্যামোমিল তেল :
এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যবহারেও ত্বকের মসৃণতা ফিরে আসে কোনো ধরনের তৈলাক্ততা করা ছাড়াই। এটি রাতে শোবার আগে সারা দেহে লাগাতে পারেন। ফলে তৈলাক্ত নয় বলে গরমে আরাম পাবেন। মনেই হবে না যে আপনি কোনো ধরনের তেল ব্যবহার করেছেন।

৩. চায়ের গাছের তেল :
এটি ব্রণযুক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী। চা গাছের তেলে রয়েছে এ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও এ্যান্টিফাংগাল এবং এটি প্রাকৃতিকভাবে এ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে। ত্বকে যদি কোনো কারণে ব্রণ উঠে থাকে তাহলে এই চায়ের তেল একটি নির্দিষ্ট সময় করে ব্রণযুক্ত ত্বকে মাখবেন। যেমন এটি যদি রাতে মাখতে পারেন তাহলে বেশি ভাল ফলাফল পাবেন। টানা এক সপ্তাহ ব্রণযুক্ত ত্বকে এই তেল ম্যাসেজ করলে নিমেষেই ব্রণ চলে যাবে এবং ফিরিয়ে আনবে উজ্জ্বলতা।

৪. লেমনগ্রাস :
এটি মূলত পোকা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু এই তেল সংবেদনশীল ত্বকের বিভিন্ন জ্বালা কমানোর জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেমনগ্রাস তেল যদি কোনো কাটা, পোড়া, জ্বলে যাওয়া ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আরামদায়ক ফল লাভ করবেন। ক্ষত জায়গায় ঘা হওয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে এই তেল। এছাড়া জ্বালা পোড়া অনেক কমিয়ে দেয়।

৫. ল্যাভেন্ডার তেল :
গ্রীষ্মকালে ব্যবহার উপযোগী এই লেভেন্ডার তেল সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে জ্বলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করে এর উপরে গরম পানির ফোঁটা ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরে ত্বকের উপরে এটি শুকিয়ে এলে মোটামুটি ১০ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলতে হয়। এভাবে গরমে এই তেল ব্যবহারে ত্বকের মসৃণতা ফিরে আসে।


মেঘ
বিউটিশিয়ান




সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

ঘাড়ের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায়গুলো

আমরা প্রতিনিয়তই যেভাবে আমাদের মুখের ত্বকের যত্ন নেই, সেভাবে কিন্তু ঘাড়ের অংশটির যত্ন নেয়া হয় না। মুখ ধোয়ার সময় আমরা হয়তো ঘাড়ের অংশটুকুও ভালোভাবে ধুয়ে নিচ্ছি কিন্তু ময়েশ্চারাইজিং এর প্রশ্নে ঘাড় একেবারেই বাদ পড়ে যায়। নানা ফেসপ্যাকের ক্ষেত্রেও আমরা গলাকে প্রাধান্য দিলেও ঘাড়কে মোটেই পাত্তা না দেয়ায় ধীরে ধীরে ঘাড়ে বিচ্ছিরি কালো দাগ, বলিরেখা ও নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সুন্দর মুখের সাথে বেমানান কালো দাগযুক্ত ঘাড় কিন্তু আপনার ইম্প্রেশনটাকেই নষ্ট করে দিতে পারে।

কিন্তু ঘরে বসেই ঘাড়ের এই বিচ্ছিরি কালো দাগ তুলে ফেলার জন্যে আছে চমৎকার কিছু উপায়।

১। লেবুর রসঃ
লেবুর রসে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। যা আপনার ঘাড়ের কালো দাগ তুলে ফেলে প্রাক্রিতিকভাবেই! সমপরিমাণ লেবুর রস ও গোলাপজল নিন। প্রতিইদিন রাতে ঘুমানোর আগে এটি ঘাড়ে মেখে নিয়ে ঘুমাতে যান। এক মাস এটি করুন। দেখবেন, কালো দাগ মিলিয়ে গেছে!

২। চালের গুঁড়ার স্ক্রাবঃ
ঘাড়ের ত্বকের যত্ন নেয়ার আগে প্রয়োজন মৃত কোষগুলো তুলে ফেলা। এজন্যে চালের গুড়া নিন। দেখবেন, একেবারে মিহি পাইডার যাতে না হয়, আধাভাঙ্গা হলে আরো ভালো। এর সাথে টমেটো পেষ্ট মেশান।ঘাড়ের ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর হাতের আঙ্গুল পানিতে ভিজিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার এটি করুন।

৩। ওজন কমানঃ
অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঘাড়ে ভাঁজ পড়ে ঘাম জমে জমে কালো দাগই কেবল না, বলিরেখাও পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো উপায় হলো, ওজন কমিয়ে আনা।

ঘাড়ের কালো দাগ প্রতিরোধ করবেন যেভাবেঃ
-প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় ঘাড়ও ভালোভাবে ধুয়ে নিন
- ময়েশ্চারাইজার কেবল মুখে ও গলায়ই নয়, বরং ঘাড়েও লাগান
-মাসে একবার আমন্ড অয়েল গরম করে ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন।
-রোদে বেরুবার আগে ঘাড়েও সানস্ক্রীন লাগান
- যেসব মেটালের গয়নায় ঘাড়ে কালো কালো দাগ পড়ে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
ব্যস, এবার ঘাড়ের বিচ্ছিরি দাগ থেকে সহজেই মুক্তি পান আর এড়িয়ে যান পুনরায় কালো ছোপ পড়া থেকে। সুন্দর থাকুন, সবসময়!

মেঘ
বিউটিশিয়ান

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

ত্বকের যত্নে গোলাপের পাপড়ির


যুগ যুগ ধরেই রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান হলো গোলাপের পাপড়ি। প্রাচীন কাল থেকে রূপসচেতন নারীরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে আসছেন তাদের রূপচর্চার উপাদান হিসেবে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় গোলাপের পাপড়ির ব্যবহার সম্পর্কে।

টোনার

গোলাপের পাপড়ি টোনার হিসেবে বেশ উপকারি। গোলাপের পাপড়ি সেদ্ধ করে পানিটা একটি বতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বাইরে থেকে এসে একটি তুলাতে সেই পানিটা ভিজিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। ত্বক থাকবে সুন্দর ও উজ্জ্বল।

ব্রণ দূর করে

যাদের অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা আছে তাঁরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি ব্রণ দূর করতে সহায়ক। যাদের ব্রণের উপদ্রব হয় তারা ব্রণের উপরে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। গোলাপের পাপড়ির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণকে ছোট করে দেয় এবং এর লালচে ভাব কমিয়ে আনে।

সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে

গোলাপের পাপড়ি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে উপকারী। বাইরের কড়া রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের রস, গ্লিসারিন ও শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। রোদে পোড়ার থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবেন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে।

চোখের কালি দূর করে

গোলাপের পাপড়ি চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করে দেয়। গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে রেখে দিন। এরপর সেটা ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি তুলা গোলাপের পানিতে ভিজিয়ে চোখে দিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে।

ত্বককে মসৃণ করে

গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত গোলাপের পাপড়ির রস অথবা গোলাপের পাপড়ির তেল ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও উজ্জ্বল।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

বিশ্বের ৯টি সেরা রঙ ফর্সাকারী ক্রীমের "ভালো-মন্দ"

ত্বকের যত্নে প্রতিনিয়ত আমরা কত কিছুই করে থাকি। ব্যস্ত জীবনে হয়তো ঘরোয়া উপায়ে সব সময় ত্বকের যত্ন করা হয়ে ওঠে না। তাই আমাদের নির্ভর করতেই হয় ফেয়ারনেস ক্রীমের ওপর। কিন্তু যেন তেন ক্রীমের ব্যবহার কিন্তু আপনার ত্বকের জন্যে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া, কালো হয়ে যাওয়া, মসৃণতা নষ্ট সব ত্বকে নানা স্থায়ী দাগও পড়ে যেতে পারে। তাই জেনে নিন বিশ্বের সেরা ৯ ক্রীমের ভালো মন্দ যা বাংলাদেশেও সহজলভ্য।
১। ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট ক্রীমঃ
• এতে আছে ট্রিপল নিউট্রিয়েন্ট সিস্টেম, ভিটামিন বি-৩, প্রো বি-৫ ও ই
• নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে একটা উজ্জ্বল আভা দেখা দেয়
• এসপিএফের মাত্রা-২৪ এবং ত্বকের সাথে খুব সহজে মিশে যায়।
সমস্যাজনক দিকঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক চকচকে মনে হতে পারে
• বলিরেখা প্রতিরোধে এর কোন ভূমিকা নেই
২। টাচ এন্ড গ্লো এডভান্সড ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• এতে আছে উদ্ভিদের নির্যাস ও মাল্টিভিটামিন
• এসপিএফ-১৫, তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট লুক আনে
• ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল করে
সমস্যাজনক দিকঃ
• এসপিএফের মাত্রা যথেষ্ট নয়। রোদে সূর্য থেকে সুরক্ষা দেয় না।
৩। লোটাস হারবারল হোয়াইট গ্লো স্কিন ইমালশনঃ
• এটি অনেকটা লোশনের মত। সহজেই ত্বক এটাকে শুষে নেয়
• এসপিএফ ভালো এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে পারফেক্ট
সমস্যাজনক দিকঃ
• দামের তুলনায় পরিমাণে থাকে খুবই কম ।
৪। ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে দারুণ কার্যকর
• ইউ ভি ফিল্টার সূর্যের অতি বেগুনী রশ্নি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
• ত্বকের রোমকূপকে বন্ধ করে না ফলে ত্বক ব্রন থেকে সুরক্ষিত থাকে
• খুব সামান্য পরিমাণ ব্যবহারেই দারুণ কাজ দেয়
সমস্যাজনক দিকঃ
• শুষ্ক ত্বকের জন্যে ভালো নয়। ত্বকে সাদাটে পাউডারের মত ছোপ রেখে যায়
• এলকোহল ও আরো কিছু উপাদান এতে থাকে। যাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে
৫। লরিয়েল প্যারিস পার্ল পারফেক্ট ট্রান্সপারেন্ট রোজি ফেয়ারনেস ডে ক্রীমঃ
• সব ধরনের ত্বকের উপযোগী
• সূর্যের অতি বেগুনী রশ্নি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
• ত্বকের উজ্জ্বল আভা আনে নিয়মিত ব্যবহারে।
সমস্যাজনক দিকঃ
• অন্যান্য ক্রীমের তুলনার দাম বেশি
৬। ল্যাকমে পারফেক্ট রেডিয়েন্স ইন্সটেন্স হোয়াইটেনিং ডে ক্রীমঃ
• ভিটামিন বি-৩ যুক্ত
• ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়
• সাধারনত ব্যবহারের পর ত্বকের উপর বাড়তি কিছু দেয়া আছে বলে মনে হয় না
সমস্যাজনক দিকঃ
• এতে কিছু ক্ষতিকর উপাদান আছে যা ত্বকের জন্যে ভালো নয়
৭। পন্ডস হোয়াইট বিউটিঃ
• তৈলাক্ত ত্বকে খুব ভালো মানিইয়ে যায়
• আর্দ্র আবহাওয়ায় খুব ভালো কাজ করে।
• এসপিএফের মাত্রা ২০ এবং খুব দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে গিয়ে দ্রুত এক ধরনের গোলাপী আভা দেখা দেয়
সমস্যাজনক দিকঃ
• শুষ্ক ত্বকের জন্যে যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজার সম্পন্ন নয়।
৮। নিভিয়া ভিসেজ স্পার্কলিং গ্লো ক্রীমঃ
• সব ধরনের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ও ত্বকের মেলানিনের মাত্রা কমিয়ে আনে
• ত্বকে আর্দ্রতা যুগিয়ে মসৃণ করে তোলে
• আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
• এতে হোয়াইন ক্রিস্টালিন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে
সমস্যাজনক দিকঃ
• পরিমাণের তুলনায় কিছুটা দামী
৯। গার্নিয়ার লাইট ওভারনাইট পিলিং ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• এতে আছে মাইক্রোপিলিং ফলের নির্যাস
• সব ধরনের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ও ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্য দূর করে
• ভিটামিন সি ত্বককে সজীব করে তোলে
• ত্বকের দাগ দূর করে
সমস্যাজনক দিকঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে কিছুটা চকচকে ও ভারী মনে হতে পারে।
তাহলে এবার বেছে নিন এপ্নার ত্বকের জন্যে এই বিশ্বসেরা ক্রীমগুলোর মধ্যে কোনটি পারফেক্ট! কেননা, ত্বকের যত্নে “নো কম্প্রোমাই

মেঘ
বিউটিশিয়ান



মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

৫ টি সৌন্দর্য সমস্যার ঝটপট ঘরোয়া সমাধান

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় আমরা নানা ধরণের কাজ করে থাকি। কিন্তু সব সময় সব ধরণের সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না। ত্বকের কিছু সমস্যা, চুলের সমস্যা, কুনুই ও হাটুতে কালো ছোপ সহ নানা সমস্যার কারণে আমরা কেউই একেবারে সঠিক সৌন্দর্য পাই না।
এই ধরণের সৌন্দর্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা নানা উপায় খুঁজে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ঘরের টুকিটাকিতেই এই ধরণের সৌন্দর্য সমস্যার খুব ভালো সমাধান পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এমনই ৫ টি সমস্যা ও তার ঘরোয়া সমাধান।

ত্বকের কালচে ভাব ও রুক্ষতা দূর করতে
নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। কিন্তু ত্বকের কালচে ভাব এবং রুক্ষতা দূর না করতে পারলে তো আর তা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে ব্যবহার প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন এবং ১ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। খুব সহজেই নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন।

কুনুই এবং হাঁটুর কালচে ছোপ দূর করতে
কুনুই ও হাতুড়ে খুব সহজেই কালচে ছোপ পরে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চাইলে একটুকরো লেবুর ওপর খানিকা চিনি ছড়িয়ে নিয়ে কালচে অংশগুলোতে ঘষুন। এরপর ২০ মিনিট পরে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে তা দিয়ে কালচে অংশ আবার ঘষে নিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস সমস্যার সমাধান।

নখের পাশের মোটা চামড়া
হাত ও পায়ের নখের পাশে অনেক সময় মোটা চামড়া নজরে পরে। এতে নখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে একটুকরো আলু নিয়ে মোটা চামড়ার ওপর ঘষুন। এরপর একটি তুলোর বলে আলুর রস নিয়ে তা দিয়ে আলতো করে ১০ মিনিট ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মোটা চামড়া দূর হয়ে যাবে।

চোখের নিচের ফোলা ভাব
চোখের নিচেতা ফোলা ভাব থাকলে দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দুটি তুলোর বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে চোখের ওপর রেখে দিন ২০ মিনিট। চাইলে ব্যবহৃত টী বাসগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করেও চোখের ওপর রাখতে পারেন। ফোলা ভাব দূর হবে নিমেষেই।

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুলের কন্ডিশনার
কন্ডিশনার চুলের জন্য বেশ জরুরী। কিন্তু কন্ডিশনারের কেমিক্যাল চুলের অনেক ক্ষতি করে। তাই ঘরোয়াভাবেই চুলকে কন্ডিশন্ড করে নিতে পারেন খুব সহজে। ঠাণ্ডা কাঁচা দুধ নিন। গোসলের পূর্বে এই ঠাণ্ডা কাঁচা দুধ চুলে লাগান এবং একটি চিরুনি দিয়ে ভালো করে আঁচড়ে নিন। চাইলে একটি স্প্রে বোতলে ভোরে চুলে স্প্রে করে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট চুলে রেখে সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল ও চকচকে।




মেঘ

বিউটিশিয়ান




শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

কীভাবে বাছাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন?

আমাদের ত্বক সুন্দর রাখার জন্য আমরা কতো কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। নানান ধরণের ক্রিম, ফেসিয়াল ইত্যাদি। কিন্তু বছরের সারাটা সময়েই যে জিনিসটি ব্যবহার করা আমাদের সকলের উচিৎ তা হচ্ছে সানস্ক্রিন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো সময়েই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম এবং শীতকালে। কড়া রোদ এবং আবহাওয়ার বিরূপ ভাব ত্বকের ওপর ছাপ ফেলে যায় খুব খারাপ ভাবে। শুরু হয় ত্বকের নানা সমস্যা। এই সকল সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিৎ সানস্ক্রিন। আরও একটি বিষয়ে সকলের খেয়াল রাখতে হবে তা হলো সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার। কোন ধরণের ত্বকে কেমন সানস্ক্রিন লাগাতে হবে তা আমাদের জানতে হবে। বেছে নিতে হবে সঠিক সানস্ক্রিন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কীভাবে বাচাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই পানির মাত্রা বেশি অর্থাৎ ওয়াটার বেইজড সানস্ক্রিন বাছাই করা উচিৎ। এতে করে রোদ এবং ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন।

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্য
শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যও আলাদা ধরণের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সানস্ক্রিন এমনিতেই ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। রুক্ষ ত্বকে সাধারণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পরে। তাই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। একই সাথে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য
সাধারণ ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাছা বাছি করার প্রয়োজন নেই। কারণ সাধারণ ত্বকের ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালো ভাবেই কাজ করে। সাধারণ ত্বকের জন্য শুধুমাত্র ভালো ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে ত্বক ঘেমে গেলেও সানস্ক্রিন ত্বকে থাকবে।

মনে রাখবেনঃ
- সানস্ক্রিন কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন।
- অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে এর উপকরণগুলো ভালো করে পরে নেবেন।
- যে সকল সান্সক্রিনে অক্সিবেঞ্জোন, রেটিনাইল পালমিটেট এবং প্যারাবেন্স জাতীয় উপাদান রয়েছে সে সকল সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ধরণের উপাদান ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

মেঘ

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

এই মৌসুমে ঝলমলে ফর্সা ত্বক পাবার দারুণ উপায়




বসন্তের চনমনে আবহাওয়া শীতের রুক্ষতাকে দূর করে দিয়েছে। কিন্তু বসন্তের আবহাওয়া শীতের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন হওয়ায় ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শুরু হয়ে যায় ত্বকের সমস্যা। কড়া রোদ, গরম বাতাস এবং রুক্ষ আবহাওয়ার ধুলোবালির কারণে ত্বকের উপরিভাগ হয়ে যায় কালো, রুক্ষ এবং প্রাণহীন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী যারা তাদের ত্বকে ধুলোবালি খুব সহজে আটকে যায় এতে ত্বকের উপরিভাগ কালো দেখায় এবং ব্রণের প্রকোপ বাড়ে। আবার শুষ্ক এবং স্বাভাবিক ত্বক রোদে পুড়ে এবং আদ্রতা হারিয়ে ফেটে যায় এবং কালো ছোপছোপ দাগ পড়ে। তাই এই সময় সবারই দরকার ত্বকের ভালো যত্ন নেয়া ত্বকের উপরিভাগ থেকে এই ময়লার কালো আস্তরণ সরিয়ে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সময় উপযোগী ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ৩ টি ফেইস মাস্ক।

রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে কাঠবাদামের ফেইসমাস্ক
শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে পপড়ে। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বকে পপড়ে কালো ছোপ। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করুন কাঠবাদামের ফেইসমাস্ক।

এই ফেইস মাস্কের জন্য লাগবে ৫/৬ টি কাঠবাদাম এবং সামান্য দুধ। সকালে ৫/৬ টি কাঠবাদাম অর্ধেক কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সারাদিন শেষে রাতে এই কাঠবাদাম এবং দুধ ভালো করে ব্লেন্ড করে পাতলা পেস্টের মত তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগান। ২ ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি হবে। যদি পারেন তবে এই পেস্টটি সারারাত মুখে রাখার চেষ্টা করুন। এতে দ্রুত ফল ভালো পাবেন।

তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে শসা এবং লেবুর রসের ফেইস মাস্ক
আবহাওয়া অনেক রুক্ষ হওয়ায় বাতাসে ধুলোবালি বেশি হয় এই সময়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকে ধুলোবালি আটকে গিয়ে ত্বকের উপরিভাগ কালো চিটচিটে করে ফেলে এবং সৃষ্টি করে ব্রণ। তাই উজ্জলতা বৃদ্ধিতে এবং ব্রন থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন শসা এবং লেবুর রসের ফেইস মাস্ক।

এই ফেইস মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টেবিল চামচ শসার রস, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ হলুদ গুড়ো এবং ১ চা চামচ মধু। সব কটি উপাদান একসাথে ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ভালো করে লাগান। ব্রাশ দিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হয়। এই মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রাখবেন মাত্র ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাস্কটি তুলে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

স্বাভাবিক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে কলার ফেইস মাস্ক
স্বাভাবিক ত্বক যাদের তারা এই সময় ত্বকের নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে কালো হয়ে যায়। তাই উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করুন কলার ফেইস মাস্কটি।

এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে মাঝারি আকৃতির অর্ধেকটা কলা, ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ১ টেবিল চামচ টক দই। একটি বাটিতে চামচের সাহায্যে কলা পিষে নিয়ে এতে ডিমের সাদা অংশ এবং টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। পার্লারের ফেসিয়ালের মত কাজে দেবে।

মেঘ

ঘরেই তৈরি করুন ত্বকের রঙ "ফর্সা" করার ক্রিম

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বকের রঙের উজ্জলতার জন্য আফসোস করেননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু আফসোসই নয়, অনেকে তো রঙ চঙে রঙ ফরসাকারি ক্রিমের বিজ্ঞাপন দেখে সেই ক্রিম কিনে মুখে লাগান দিনের পর দিন। কিন্তু এতে লাভ হয় কতোটুকু, তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? হয়তো কিছুটা পরিবর্তন নজরে পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এইসব রঙচঙে বিজ্ঞাপনের ক্রিম শুধুমাত্র টাকা জলে ফেলার সমান।

অনেক ধরণের ফেস প্যাক রয়েছে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য। কিন্তু অনেকেই ফেস প্যাকের চাইতে ক্রিমের প্রতিই ভরসা রাখেন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল একটি রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম যা সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত এবং বেশ কার্যকরী। বেশ সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারবেন এই ক্রিমটি।

উপাদানঃ

দেড় কাপ ঘরে তৈরি চিনি ছাড়া দই
৩/৪ টি কাঠ বাদাম
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ মধু
১ চিমটি হলুদ গুড়ো

ঘরে চিনি ছাড়া দই তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ফেলুন। এরপর এই দুধটুকু ঠাণ্ডা হতে দিন।
•একটি পাত্রে দুধ ঢেলে নিয়ে ঠাণ্ডা দুধে ৩/৪ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পাত্রের মুখ পরিষ্কার পাতলা কাপড় কিংবা স্বচ্ছ প্ল্যাস্টিক দিয়ে ভালো করে বেঁধে ফেলুন।
•এরপর এই পাত্রটি গরম কিন্তু অন্ধকার স্থানে রাতভর রেখে দিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল দই।

ক্রিম তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে কাঠ বাদামগুলো পিষে নিন । চাইলে পাটায় বেটে নিতে পারেন। কিন্তু পাটা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেবেন। একদম মিহি গুঁড়ো করতে হবে।
•এরপর কাঠবাদাম গুড়ো, মধু, দই, লেবুর রস এবং হলুদ গুড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন।
•ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
•এই ক্রিম ফ্রিজে একটি ঢাকনাযুক্ত কৌটায় সংরক্ষণ করতে পারবেন ৭ দিন।
•এই ক্রিম শুধু রাতে লাগাবেন। দিনে এই ক্রিম লাগাবেন না। কারণ হলুদ এবং লেবুর রস সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি করবে।

মেঘ