শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

টিপস

আপনার চুল যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, তার অন্যতম লক্ষণ হলো চুলের ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, চুল পড়া এবং চুলের আগা ফাটা। চুলের এসব অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন। কিন্তু যে কাজটা করলে সবচেয়ে দ্রুত ফল লাভ করবেন তা হলো চুলে ডিমের প্রয়োগ। ডিমের গন্ধের কারণে অনেকেই চুলে ডিম দিতে চান না। জেনে নিন চুলে ডিম দেয়ার একটি গন্ধহীন পদ্ধতি।
ডিমের সাদা অংশটি আলাদা করে নিয়ে খুব ভালো করে ফেটুন। ফেনা না ওঠা পর্যন্ত ফেটতে থাকুন। এরপর এতে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে আবার ফেটুন। এবার এতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এভাবে চুলে ডিম লাগান। এতে আপনার চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

মেঘ

টিপস

বাসায় এটা-সেটা বানাতে বেকিং পাউডার লাগেই। কেক বলুন আর মুচমুচে পিঠা বলুন! প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তাই থাকে এক কৌটা বেকিং পাউডার। কিন্তু অনেক সময় খুব বেশি ব্যবহার না হলে পরিমাণে অনেকখানি থাকতে থাকতেই এর মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে যায়। তখন কী করেন? নিশ্চয়ই বেকিং পাউডারগুলো ফেলে দেন। ফেলে না দিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। আপনার বাড়ির টাইলস পরিষ্কার করতে পারেন। কী করে? জেনে নিন পদ্ধতিটি।
এক কাপ ভিনেগার নিন। ভিনেগারে আধা কাপ বেকিং পাউডার মেশান। এরপর একটি নরম সুতি কাপড় মিশ্রণে ভিজিয়ে টাইলসে প্রলেপ দিন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। টাইলস হয়ে উঠবে নতুনের মতো ঝকঝকে!

মেঘ

টিপস

নাগরিক জীবনে বাগানের শখটা অনেকেই পূরণ করেন বারান্দা অথবা ছাদে টবে গাছ লাগিয়ে। ফুলগাছের উজ্জল রঙিন ফুল অথবা পাতাবাহারের বাহারি রঙ, মনে ভালো করে দেবার জন্য যথেষ্ট! আপনার শখের বাগানের ফুলগাছগুলোর ফুল আরো বড়, আরো উজ্জল করে তুলতে চান? না, কোনো বিশেষ সার ব্যবহার করতে হবে না। ঘরের ফেলনা জিনিসেই হবে? কী সেই জিনিস? জেনে নিন।
অসুখ হলে ওষুধ তো খেতেই হয়, তাই না? প্রায় সব বাড়িতেই কিছু না কিছু ওষুধের মজুদ থাকেই। মেয়াদউত্তীর্ণ ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি ট্যাবলেট থাকলে সেগুলো পানিতে গুলে গাছের গোড়ায় দিন। গাছের ফুল হবে আরো বড়, আরো রঙিন।

মেঘ

টিপস

ব্যবহারে সুবিধা বলে অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখেন। কাচের বোতলের মতো ভঙ্গুর নয় বলে এগুলো নিরাপদও। তবে প্লাস্টিকের বোতলের সমস্যা হলো এতে খুব দ্রুত শেঁওলা পড়ে যায়। পানির আয়রন বা ময়লাও বোতলের নিচে দাগ ফেলে। খাবার পানির বোতল যদি এমন হয়, তাহলে কি আর সে বোতলে খেতে ইচ্ছে করবে? আপনি চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই কিন্তু পরিষ্কার, দাগমুক্ত করে ফেলতে পারবেন। কীভাবে? জেনে নিন।
বোতলের পানি ফেলে দিন। এর ভেতরে এক চা চামচ লবণ ও দুই চা চামচ পানি দিন। বোতলের আকার অনুযায়ী লবণ ও পানির পরিমাণ বাড়বে। এরপর বোতলের মুখ লাগিয়ে জোরে জোরে ঝাঁকাতে থাকুন। পাঁচ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে বোতলটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। বোতল হবে নতুনের মতো পরিষ্কার।

মেঘ

টিপস

অস্বীকার করে লাভ নেই যে বেশি খাওয়ার পর অনেকেরই পেট গুড়গুড় করে। কারো কারো পেটে ব্যথা, কখনো শুরু হয় ডায়রিয়া। কারো কারো হয়তো এসিডিটি হয়, ভারী ভারী ঠেকে পেট। এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আছে একটা সহজ ঘরোয়া উপায়। পেটের যাবতীয় অস্বস্তি তো সারবেই, সাথে সেরে যাবে ডায়রিয়াও। হ্যাঁ, আপনার ঘরে মজুদ সাধারণ উপাদানেই হবে চিকিৎসা!
লেবু ও পুদিনা রস করে নিন। এক চা চামচ পুদিনা রসের সাথে সব পরিমাণ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তৈরি করুন শরবত। এবার এই শরবত ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাই ছোট ছোট চুমুক দিয়ে পান করুন। পানের সাথে সাথে ব্যথা কিছুটা কম হবে। কিছুক্ষণের মাঝেই পেট ব্যথা অস্বস্তি থেকে আরাম মিলবে, ২/৩ বার পানের পর ডায়রিয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।

মেঘ

এই গ্রীষ্মে যেমন হওয়া উচিৎ আপনার সাজসজ্জা

গ্রীষ্মকাল অনেকের কাছে বেশ পছন্দের একটি ঋতু, আবার অনেকের কাছে বেশ বিরক্তিকর। তবে প্রায় সবাই-ই এই ঋতুটিকে অপছন্দ করে থাকেন। কেননা এই ঋতুতে অতিরিক্ত গরমে সব ধরনের কাজ করতেই একরকম বিরক্তি চলে আসে। আবার সময়টা যদি হয় বর্ষার কাছাকাছি তখন তো আর কোনো উপায়ই থাকে না। কখন বুষ্টি কখন গরম আপনি ঠিক বুঝে উঠতেই পারবেন না। এই গ্রীষ্মকালে আমাদের অনেক কাজেই ঘরের বাইরে বের হতে হয়। তাই জেনে নিন গ্রীষ্মকালে ঠিক কেমন হওয়া উচিৎ আপনার মেকআপটি।

১. সানস্ক্রিন :

প্রচন্ড রোদের হাত থেকে আপনার ত্বককে সূর্যের বেগুনী রশ্মি থেকে বাঁচাতে এবং এক ধরনের টানভাব অক্ষুন্ন রাখতে আপনি এই গ্রীষ্মকালে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। আপনি যেখানেই যান না কেন অবশ্যই আপনার ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাবেন। এতে করে রোদে পোড়া ভাব থেকে আপনার ত্বক রক্ষা পাবে। এছাড়া এটি আপনার ত্বকে এক ধরনের উজ্জ্বলতা এনে দেবে।

২. প্রাইমার :

প্রাইমান মূলত এমন একটি জেল জাতীয় দ্রব্য যেটি ফাউন্ডেশনের আগে এবং মশ্চারাইজারের পরে ব্যবহার করতে হয়। এটি মেকআপের কঠিন ভাবকে সহনীয় করে তোলে। তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত রোদে আপনার মেকআপটি গলে পড়ে যেতে পারে। এই প্রাইমার আপনার মেকআপটিকে ত্বকের সাথে সহনযোগ্য মাত্রায় বসিয়ে থাকে বলে এটির আর রোদের আলোয় গলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে এই গ্রীষ্মে আপনি যদি মুখে ফাউন্ডেশন দিতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে হালকা প্রাইমার লাগিয়ে নিন।

৩. ময়েশ্চারাইজার :

এই গ্রীষ্মকালে ত্বকের সুরক্ষায় অবশ্যই প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। গ্রীষ্মকালের শুষ্ক ত্বকের অতিরিক্ত টানটান ভাব কমিয়ে দেয় এই মশ্চারাইজার। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে।

৪. মেকআপে পানি ব্যবহার :

এই গ্রীষ্মকালে আপনি হয়ত মেকআপ করলে সবসময় চিন্তিত থাকেন যে কখন আপনার মেকআপটি নষ্ট হয়ে যায়। এই চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আপনি চাইলে আপনার ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পরে হালকা পানি দিয়ে তা ত্বকের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে মেকআপটি ভালোভাবে ত্বকে বসে যাবে এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

৫. লিপগ্লস :

এই গ্রীষ্মকালে ঠোঁটের যতœ নেয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ঠোঁটের যত্নে আপনি চাইলে লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাট কোনো লিপস্টিকের উপরে হালকা গ্লস দিলে বেশ আকর্ষণীয় মনে হবে।

মেঘ

জেনে নিন নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রসাধনীর লক্ষণগুলো

প্রতিদিন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রসাধনী আমরা ব্যবহার করে থাকি। এসব প্রসাধনীর গায়ে মূলত একটা উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেয়া থাকে যেটার আয়ু শেষ হলে সেই প্রসাধনীটি আর ব্যবহার করা উচিৎ না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও এসব প্রসাধনী ব্যবহারে আমাদের শরীরে এ্যালার্জীসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ যে হয়েছে কিছুটা খেয়াল করলেই বোঝা যায়। কিছু বৈশিষ্ট্য এ ধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনীতে দেখা যায়।

১. প্রসাধনীর বাহ্যিক গঠনে পরিবর্তন :

আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না একটু খেয়াল করলেই তা বুঝতে পারবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এর বাহ্যিক গঠনে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। হয়ত এর রং এর পরিবর্তন হতে পারে। কিছুটা হলদেটে ভাব আসতে পারে। একটু পুরুত্ব বা ঘনত্ব ভাব চলে আসতে পারে।

২. উৎকট গন্ধ :

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া প্রসাধনীগুলোতে এক ধরনের উৎকট গন্ধের তৈরি হয়ে থাকে। আগে যেখানে ভালো কিছু ফ্লেভার যেমন বিভিন্ন ফুল বা সুগন্ধি ব্যবহারে একটা খুব সুন্দর গন্ধ থাকতো সেখানে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এক ধরনের বিদঘুটে গন্ধ বের হয়। এমনটা হলে অবশ্যই বুঝবেন যে আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

৩. ত্বকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া :

মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ত্বকে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন এ্যালার্জী দেখা দিতে পারে, ফোসকা উঠতে পারে, ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, চুলকাতে পারে এমনকি ঘা হয়ে যেতে পারে। এসব লক্ষণে সতর্ক হতে পারেন যে আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে এটি বেশি দেরী হয়ে যায় এর আগেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।

মেঘ

জেনে নিন সুন্দর ছবির জন্য "পারফেক্ট" সাজসজ্জার গোপন টিপস

ছবি ভালো আসে না মোটেই? আয়নায় নিজেকে দেখতে খুব সুন্দর মনে হলেও ছবিটা যেন দেখতে হয় ঠিক বাঁদরের মত? দোষ আপনার ক্যামেরার নয়, আপনার মেকআপের। বাস্তবে যে মেকআপ দেখতে ভালো লাগে তা ক্যামেরায় ভালো নাও লাগতে পারে। তাহলে কেমন সাজসজ্জা ভালো লাগে ক্যামেরায়? আসুন, জেনে নেয়া যাক "ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি" সাজসজ্জার গোপন টিপস।
আমরা সচরাচর বাস্তবে যেমন মেকআপ করে থাকি ছবি তোলার সময়ে কিছু ভারী মেকআপ অবশ্যই নেয়া উচিৎ যদি আপনি চান যে আপনার ছবি ভালো আসুক। বাহিরে যাওয়ার সময়ে বা অফিসে যে ধরনের হালকা মেকআপ নিয়ে থাকি ছবি তোলার ক্ষেত্রে এর ভারী মেকআপ নিন। জেনে নিন ছবি তোলার মেকআপটি ঠিক কেমন হবে।
১. প্রথমত হালকা একটু পাফ নিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনি যেমনটা প্রতিদিন বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ে থাকেন তার চেয়ে একটু গাঢ় হবে।
২. চোখে গাঢ় করে কাজল বা আই লাইনার দিন। চোখের বেশ খানিকটা বাহির দিয়ে লাইনারটি দিন যেন চোখটিকে বেশ বড় দেখায়।
৩. মাশকারা দিন গাঢ় করে। এতে করে চোখটিকে উজ্জ্বল করবে এবং আপনার চোখের পাতাটিকে বেশ বড় দেখাবে।
৪. ছবি তোলার জন্য কখনই ম্যাট জাতীয় মেকআপ ব্যবহার করবেন না। কেননা এই মেকআপ আপনাকে ছবিতে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়তা করবে না।
৫. আইশেড ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে গাঢ় রং ব্যবহার করা ভালো। ড্রেসের রঙের সাথে ম্যাচ করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে স্মোকি আই করতে পারেন।
৬. চোখটিকে আরও বড় করতে ফলস্ আইল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ঠোঁটটিকে গাঢ়ভাবে আঁকুন। এরপরে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে লিপস্টিকের উপরে গ্লস ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ছবিটি অনেক বেশি গ্ল্যামারাস আসবে।
৮. চুল বাঁধুন সুন্দর করে । তবে আপনার চুল বিভিন্ন স্টাইলে কাটা থাকলে আপনি চাইলে চুল ছেড়েও দিতে পারেন। তাহলে আপনার ছবিটি অনেক ভালো আসবে।

মেঘ

এই গ্রীষ্মে পায়ের একটু অন্যরকম যত্ন

প্রতিদিন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে আমাদের পা নানা ধরনের ময়লার সংস্পর্শে আসে। এতে পা অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। পায়ের লাবণ্যতা হারিয়ে যায়। এছাড়া রোদে পা পুড়ে তো যায়ই। ফলে পায়ে কালচে ভাব চলে আসে। গ্রীষ্মকালে এ ধরনের সমস্যা অনেক বেশি হতে ওঠে। অন্যদিকে প্রায় সময়ই পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করা হয়ে ওঠে না। তাহলে কী করবেন? আজ ছুটির দিনে বাড়িতে বসেই সেরে ফেলুন না পায়ের দরকারি যত্ন। হ্যাঁ, খুব চটজলদি।

যেভাবে করবেন :

একটি বড় গামলার মাঝে কুসুম কুসুম গরম পানিতে আপনার পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে ২ টেবিলচামচ ইপসম লবণ এবং প্রয়োজনীয় তেল যেমন লেভেন্ডার, গোলাপের তেলের কয়েক ফোঁটা দিন। এছাড়া কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিতে পারেন। স্ক্রাব করার জন্য এতে কিছু শ্যাম্পুর সাথে ঝামা পাথর ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে পায়ের ময়লা পরিস্কার হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পরিস্কার একটি তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন। এরপরে পা শুকিয়ে গেলে কিছু প্যাক ব্যবহার করুন।

১. লাচ্ছি প্যাক :

কিছু পরিমাণে দধি একটি বাটিতে গোলাপ তেল বা মোগরা তেলে মিশিয়ে নিন। মিশ্রিত উপকরণটি পায়ে লাগিয়ে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা রাখুন। এরপরে এটি ধুয়ে ফেলুন এবং ঠান্ডা কোনো মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. লেবুর প্যাক :

লেবু দিয়েও আপনি একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য একটি বাটিতে একটি লেবুর অর্ধেক অংশ থেকে রস বের করে নিন এবং এটি গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে নিন। আপনি পুরু একটি মিশ্রণ পেতে চাইলে এতে বেসনও মিশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩. টমেটোর মিশ্রণ :

আপনি আপনার পায়ে একটি টমেটোর মিশ্রণও লাগাতে পারেন। আপনি পুরু মিশ্রণটি লাগাতে না চাইলে টমেটো কেটে সেটি সরাসরি পায়ে ঘষতে পারেন। এটি ব্লিচের কাজ করে এবং রোদে পোড়া দাগ সারাতে সহায়তা করে।


মেঘ

প্রতিদিন যে ৭টি ভুলে দ্রুত পড়ে যাচ্ছে আপনার চুল!

ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায় বলুন? উজ্জ্বল ও সুস্থ চুল যেন সকল নারী- পুরুষেরই স্বপ্ন থাকে। সুন্দর চুল সবারই সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। কিন্তু সুন্দর চুল কি আর চাইলেই পাওয়া যায়? চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে হলে প্রয়োজন বিশেষ যত্ন ও সতর্কতার। প্রতিদিন নিজেদের নানা অসতর্কতার কারণে নষ্ট হয় আমাদের সাধের চুল। আজকাল খুব ঝরছে আপনার চুল, মাথা টেকো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন তাহলে এটার জন্য আপনার নিজেরই কিছু ভুল দায়ী!

চুল ধোয়ার আগে না আঁচড়ানো

সারাদিন এখানে ওখানে ঘোরাঘুরির কারণে চুলে ধুলাবালি লেগে যায়। সেই সঙ্গে চুলে লেগে থাকে জট। দিন শেষে চুল শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়ে নেয়া উচিত। তাহলে চুলের জট ছেড়ে যায়। চুল শ্যাম্পু করার সময়ে চুল ভিজে নরম হয়ে যায়। আগেই জট ছাড়িয়ে না নিলে চুল ধোয়ার সময় চুল ছিঁড়ে যেতে পারে এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে।

শুধু চুলের গোঁড়া আঁচড়ানো

অনেকেই শুধু চুলের আগা আচড়ে নেন। চুলের গোড়া আচড়ানোর বেলায় রাজ্যের আলসেমি ভর করে অনেকের। কিন্তু চুলের আগা তো বটেই চুলের গোড়া আচড়ানোও জরুরী। কারণ চুলের গোড়া আচড়ালে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাথার তালুর থেকে তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে চুল উজ্জ্বল থাকে এবং এর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু

প্রতিদিনই কি শ্যাম্পু করার অভ্যাস আছে আপনার? যদি আপনার প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি নিজেই ক্ষতি করছেন আপনার চুলের। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়ার প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে গিয়ে চুলকে রুক্ষ করে ফেলে। সেই সঙ্গে শ্যাম্পুর অতিরিক্ত কেমিক্যাল চুলকে ভঙ্গুর করে ফেলে।

হেয়ার স্ট্রেইটনার ও হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার

চুলকে পরিপাটি রাখার জন্য অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং মেশিন ও স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলোর অতিরিক্ত তাপমাত্রা খুব সহজেই চুলকে নিষ্প্রাণ করে ফেলে। এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুলের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে যায় চুলের বৃদ্ধি।

দীর্ঘক্ষন টাওয়েল পেচিয়ে রাখা

অনেকেই গোসল করে এসে দীর্ঘ সময়ে ধরে টাওয়েল পেচিয়ে রাখে চুলে। চুলের পানি শুকিয়ে নেয়ার জন্য দীর্ঘ সময় টাওয়েল পেচিয়ে রাখলে চুলের ক্ষতি হয়। অনেকক্ষণ ভেজা টাওয়েল পেচিয়ে রাখার কারণে চুল দূর্বল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া বেশিক্ষন ভেজা থাকার কারণে চুল ঝরে পড়া বৃদ্ধি পায়।

ধূমপান

চুল পড়ার হার দ্বিগুণ তিনগুন হয়ে যায় যদি আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন। যদি মনে হয় আজকাল মাথাটা খালি হয়ে যাচ্ছে, অবিলম্বে ছেড়ে দিন সিগারেট।

স্ট্রেস

অতিরিক্ত স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা যারা করেন, থাকেন খুব টেনশনে এবং পর্যাপ্ত ঘুমান না বলে স্ট্রেসে ভোগেন, তাঁদের মাথার চুল পড়ে যায় সবার আগে!


মেঘ

যে ৭ টি বাজে অভ্যাস সর্বনাশ করে দেয় আপনার ত্বকের

আমরা বিশেষ করে নারীরা প্রতিদিন এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেছি যেগুলো আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে চলেছে। নারীদের ত্বক এমনিতেই অনেকটা কোমল। এ কারণে ত্বকের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ। এমন কতগুলো নিত্যদিনের অভ্যাস জেনে নিন যেগুলো আপনার ত্বককে প্রতিনিয়ত করে তুলছে অসুন্দর, অমসৃণসহ নানা সমস্যা। বাড়াচ্ছে বলিরেখা আর সর্বনাশ করে দিচ্ছে আপনার চেহারার।

১. ধূমপান :

ধূমপান খুব ধীরে হলেও ত্বকের মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে। বর্তমানে অনেক নারীদের ধূমপান করতে দেখা যায়। মানসিক চাপ কমাতে বা সখের বশে তারা ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাঁধা পায়। এছাড়া হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে প্রচুর। কিন্তু কেউ হয়ত খেয়ালও করবেন যে এই ধূমপানের ফলে সূক্ষ্ম কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন : ত্বকে কালচে ভাব তৈরি হওয়া। এটি মূলত নিকোটিনযুক্ত ধোঁয়া ত্বকে লাগার কারণে হয়ে থাকে। ফোঁসকা পড়া, ঠোঁটে কালো দাগ হওয়া ইত্যাদি। ধূমপানের ফলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জীও হতে পারে।

২. গরম পানি দিয়ে গোসল :

অনেকক্ষণ ধরে গোসল করতে সবারই বেশ ভালো লাগে। আর তা যদি হয় গরমের দিনে। কিন্তু শীতের দিনে আমরা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য গরম পানে দিয়ে গোসল করে থাকি। গরম পানি মুখের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মুখের ত্বক অনেক নরম থাকে। গরম পানিতে তা ঝলসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরম পানির তাপে মুখের ত্বক লাল হয়ে যায়, অনেক সময় পুড়েও যায়। অনেকে গরম পানির বাথটাবে অনেকক্ষণ শরীর ভিজিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। এতে করে শরীরের উজ্জ্বলতা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. অ্যালকোহল খাওয়া :

শখের বশে বা নেশায় আসক্ত হয়ে অনেক নারীই অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন। অ্যালকোহল খাওয়ার কারণে অনেক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নানান ক্যান্সারে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে হাজার হাজার নারী। এই অ্যালকোহল গ্রহণে অনেক নারীর ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল শুষে ফেলে এবং ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকের স্ব্ভাবিকতা নষ্ট হয়ে পড়ে।

৪. নোংরা মেকআপের ব্রাশ :

নারীরা ঘরের বাহিরে গেলেই মেকআপ নিয়ে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন ব্যবহার করা বেশিরভাগ ব্রাশই অনেক অপরিষ্কার হয়ে থাকে। ফলে মুখের ত্বকে ফোঁসকা, ব্রণ, ফুঁসকুঁড়ি, মেছতাসহ বিভিন্ন দাগ হয়ে থাকে। এছাড়া এসব নোংরা ব্রাশ ব্যবহার করে এ্যালার্জীও হয়ে থাকে। নোংরা ব্রাশ ব্যবহারের অভ্যাসটি পারলে আজই বাদ দিয়ে দিন।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া :

একজন মানুষের দিনে ৮ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে। চর্মরোগবিশেষজ্ঞদের মতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে ত্বকে ব্রণ, এ্যালার্জীসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

৬. ব্রণ খোঁচানো :

ত্বকে ধূলাবালি বা বিভিন্ন কারণে ব্রণ উঠবে এটা স্বাভাবিক। কয়েকদিন পরে এটি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কারও কারও একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে যে মুখে কিছু উঠলে তা নখ দিয়ে টিপে ভেতরের নির্যাস বের করে দেয়া। কিন্তু এতে করে ব্রণটি হয়ত গায়েব হয়ে যাবে, ব্রণের একটা কালচে দাগ ত্বকে পড়ে যাবে যা চাইলেও অপসারণ করতে পারবেন না। এ কারণে ব্রণ খুটানো অভ্যাসটি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন।

৭. রাতভর চ্যাটিং :

এটা বিশ্বাস হোক বা না হোক সারারাত চ্যাটিং করলে বা অযথা আইফোন বা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আপনার আইফোন বা ল্যাপটপটি ব্যাকটেরিয়া মুক্ত নাও হতে পারে। এ কারণে এটি থেকে মুখের ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে। ব্রণ ওঠা এবং উজ্জ্বলতা হ্রাস পাওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মেঘ

বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

তৈলাক্ত ত্বকের সমাধান রান্নাঘরেই

শরীরে ভিটামিন বি-২ এবং বি-৫-এর ঘাটতি থাকলে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যেতে পারে। আর এই গরমের দিনে ভাজা-পোড়া বা হাবিজাবি ফাস্টফুড বেশি খেলে তার প্রভাব ত্বকের ওপর পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এই মৌসুমে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম বেশি হয়। এ জন্য ত্বকের তেলগ্রন্থি থেকে নিঃসরণও বেশি হয়। এত সব সামলে তৈলাক্ত ত্বক ঠিকঠাক রাখা কী চাট্টিখানি কথা! বিষয়টা কিন্তু আসলে অতটা কঠিন নয়। আপনার রান্নাঘরের তাকে, রেফ্রিজারেটরে থাকা দৈনন্দিন খাবারদাবার আর ব্যবহার্য এটা-সেটা দিয়েই এই গরমের মৌসুমে ত্বক তেলমুক্ত, স্বাভাবিক ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন আপনি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।

দুধ-লেবুর রস
ঠান্ডা করে রাখা কাঁচা দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে মুখ-হাত-পায়ে ভালো করে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এবং ত্বক কম তৈলাক্ত থাকবে।

মধু ও মুলতানি মাটি
মধু ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ বানিয়ে নিন। পুরো মুখে তা ভালো করে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এটা মুখের ত্বকে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এবং ত্বক সজীব ও কোমল দেখাবে।
ঘৃতকুমারী
এই গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে ভালো উপাদান হলো ঘৃতকুমারী। এটা ত্বকের তেল শুষে নেওয়ার পাশাপাশি মুখে-হাতে-পায়ে ফুসকুড়ি থাকলে তাও পরিষ্কার করে। ঘৃতকুমারীর আঠাল রসের সঙ্গে স্ট্রবেরির মণ্ড এবং জইদানার গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই ফেসপ্যাক কয়েক দিন রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিমের সাদা অংশ
ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়া এবং ত্বককে টানটান রাখার জন্য খুবই উপকারী ডিমের সাদা অংশ। একটি বা দুটি ডিম ভেঙে কুসুমটা সরিয়ে নিয়ে সারা মুখে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মাখুন। সাত থেকে ১০ মিনিট রাখার পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

টমেটো
টমেটোও ত্বক পরিষ্কারে দারুণ উপকারী। মাঝারি আকারের একটি বা দুটি টমেটোর মণ্ড বানিয়ে সারা মুখে ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চন্দনের গুঁড়ো, লেবুর রস ও গোলাপজল
চন্দন-কাঠের ভেষজ গুণের কথা কে না জানে। চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে একটি লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। আলতো করে হাত বুলিয়ে সারা গায়ে ভালো করে মাখুন। কিছুক্ষণ রেখে ভালোমতো গোসল করে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি শরীরজুড়ে ত্বকের নিচে রক্তপ্রবাহও বাড়বে। ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং কোমল ভাব

মেঘ


















































ব্রণের সমস্যা

নারী পুরুষ উভয়েই ব্রণের সমসায় আক্রান্ত হন। এই সমস্যা খুব বড় একটি সমস্যা, কারণ একবার ব্রণ ওঠা শুরু হলে তা থামানো এবং একেবারে নির্মূল করা খুব কষ্টকর। ব্রণ উঠলে ত্বক দেখতে খুব বিশ্রী দেখায়, তার ওপর ব্রণের হালকা ব্যথা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ব্রণ আসলেই একটি যন্ত্রণার নাম।
তবে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ এই যন্ত্রণাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নির্মূল করার পদ্ধতিও রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক উপায়ে রেহাই পেতে পারেন এই ব্রণের সমস্যা থেকে।

ব্রণ নির্মূলে বেকিং সোডা

ব্রণ নির্মূলের সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেকিং সোডার ব্যবহার। এর পাশাপাশি এটি ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইটহেডসও দূর করে।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ গরম পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ত্বক ভালো করে ধুয়ে মুছে নিয়ে ত্বকে লাগান তেল ছাড়া ময়েসচারাইজার। ব্রণের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতার ব্যবহার

ধনিয়া পাতা এবং পুদিনা পাতার রয়েছে ব্রণ দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। এগুলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সেকারণে ধনিয়া ও পুদিনা পাতার রস ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতা খুব ভালো করে চিপে রস বের করেন নিন। ১ টেবিল চামচ রসে ২ চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালে উঠে খুব ভালো করে ত্বক ধুয়ে নেবেন। নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত ফলাফল পাবেন।

মধু ও দারুচিনির ব্যবহার

মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে অনেক আগে থেকেই পরিচিত এবং দারুচিনিও ব্রণের ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে বেশ সহায়তা করে।
দারুচিনি গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে একটি পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি শুধুমাত্র ব্রণের ওপরে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালের উঠে দেখবেন ব্রণের আকার ও লালচে ভাব অনেক কমে গিয়েছে এবং সাধারনের তুলনায় দ্রুত নির্মূল হবে। সব চাইতে ভালো কথা হচ্ছে এতে করে পুনরায় ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

লেবুর রস ও লবনের ব্যবহার

লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড যা ব্রণ উৎপন্নকারী ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সহায়তা করে। এতে করে ব্রণ ওঠার ঝামেলা দূর হয় চিরতরে।
২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে অর্ধেক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে ব্রণ এবং ব্রণের আশেপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলতো ঘষে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রাতে ব্যবহার করা ভালো। কারণ লেবুর রস সূর্যের আলোর সাথে বিক্রিয়া করে ব্লিচ করে।

মেঘ

সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

টিপস

ইদানীং কাপড়চোপড় খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়। একটি কাপড় বড়জোর ১ মাস টেকে। কোনো কোনো কাপড় এর চাইতেও কমস্থায়ী হয়। এটি হতে পারে কাপড়ের মানের কারণে অথবা আমাদের ব্যবহারের কিছু ভুলে। কিছু কিছু সময় কাপড়ের মানই অনেক খারাপ পরে যায়। যার কারণে ২/৩ বার ধুলেই কাপড় আর পরার যোগ্য থাকে না।
আবার আমরা মাঝে মাঝে ভুল নিয়মে কাপড় ধুয়ে থাকি এবং মাঝে মাঝেই কাপড় ভেদে আলাদা যত্ন নিতে ভুলে যাই। কাপড় নষ্ট হওয়ার পেছনে এই কারণটিও থাকতে পারে। সে যাই হোক, কিন্তু কাপড় এতো সহজে নষ্ট হয়ে গেলে তো চলে না। তাই আমাদের জানতে হবে কিভাবে কাপড়কে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমনই কিছু টিপস এবং ট্রিক্স।

টিপস-১

কাপড় সব সময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোবেন। ভুলেও গরম
কিংবা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন না, বিশেষ করে গাঢ় রঙের কাপড়। গরম পানি কাপড়ের বুনোট নরম করে ফেলে এবং কাপড় খুব দ্রুত নরম হয়ে যায়।

টিপস-২

কাপড়ের রঙ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে কাপড় আর পড়া যায় না। এর কারণ আমাদেরই ভুল। কাপড় ধোয়ার আগে এবং ডিটারজেন্টে ডোবানোর পূর্বে কাপড় উল্টো করে নেবেন। এরপর কাপড় ধোবেন। এতে কাপড়ের রঙের তেমন ক্ষতি হবে না।

টিপস-৩

গাঢ় রঙের কাপড়ের সাথে হালকা রঙের কাপড় একসাথে মিলিয়ে ধোবেন না। এতে হালকা রঙের কাপড়ে রঙ্গ লেগে কাপড় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ভারী ও নরম কাপড় একসাথে ধোবেন না। যেমন জিনস জাতীয় কাপড় এবং সুতি কাপড় আলাদা ভাবে ভিজিয়ে ধোবেন।

টিপস-৪

গাঢ় রঙের কাপড় সরাসরি কখনোই সূর্যের আলোতে শুকোতে দেবেন না। এতে কাপড়ে রঙ পরিবর্তন হয়ে যায় সামান্যতেই। রোদ নেই, বাতাস আছে এমন স্থানে উল্টো করে শুকোতে দিন। হালকা রঙে কাপড় বিশেষ করে সাদা সরাসরি রোদে শুকোতে পারবেন।

টিপস-৫

অনেকেই আছেন কাপড় একবার পরে না ধুয়ে পড়তে পারেন না। এর ফলে কাপড় বেশ কয়েকবার ধুয়ে ফেলেন। কিন্তু বারবার কাপড় ধোয়া কাপড়ের জন্য ভালো নয়। কাপড় একবার পরেই ধুয়ে ফেলবেন না। আর নিতান্তই যদি না পারেন কাপড় না ধুয়ে পড়তে তাহলে একবার ধোয়ার পর অন্তত ১৫-২০ দিন পর কাপড়টি আবার ধোবেন

মেঘ

টিপস

গ্রীষ্মকাল মানেই মশা-মাছির উত্‍পাত! বিশেষ করে মাছির যন্ত্রণায় কোথাও খাবার রাখাই দায় হয়ে পড়ে। মাছির কারণে অসুখ-বিসুখও দ্রুত ছড়ায়। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা, রান্না ঘরে ময়লা জমিয়ে না রাখা ইত্যাদি করলেই মাছি একটু কম আসবে বাড়িতে। এছাড়া অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড দিয়ে ঘর মুছলেও মাছির উত্‍পাত কমে। কিন্তু আরেকটা উপায় আছে মাছিকে আপনার ঘর থেকে দূরে রাখার এবং উপায়টি একেবারেই প্রাকৃতিক! উপায়টি কী? জেনে নিন।
উপায়টি হলো নিমের পাতা! ভাবছেন, নিমপাতা কীভাবে কাজে লাগবে? নিমপাতার ছোট ছোট আঁটি বানিয়ে বাড়ির দরজাগুলোতে ঝুলিয়ে দিন। দেখবেন, মাছি বলতে গেলে আসছেই না! নিমপাতা শুকিয়ে গেলে আবার নতুন করে ঝুলিয়ে দিন।

মেঘ

টিপস

কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি! সব মাছ আর আগের মতো সহজলভ্য না হলেও বাঙালির মাছ খাওয়া কিন্তু কমেনি। আর যেখানে মাছ আছে, সেখানে কাঁটা তো থাকবেই! তাই গলায় মাছের কাঁটা বিঁধে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা কারো না কারো সঙ্গে হরহামেশাই ঘটে থাকে। কাঁটা বড় আকারের হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। কিন্তু যদি কাঁটা হয় ছোটখাট তাহলে তা আপনি বাড়িতেই দূর করতে পারবেন। কী করে? জেনে নিন খুব সহজ সেই উপায়টি।
কাঁটা অপসারণে আপনাকে সাহায্য করবে সামান্য একটু ভাত! এক মুঠো গরম ভাত ছোট ছোট দলা আকারে নিন। তারপর সেই ভাতের দলা না চিবিয়েই গিলে ফেলুন। এতে গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা নেমে যাবে। একবারে কাজ না হলে আবার একই কাজ করুন।

মেঘ

টিপস

যেকোনো মৌসুমি ফল বছরের অল্প কিছু সময় থাকে বলে এদের কদরই থাকে আলাদা। কলা একটি বারোমাসি ফল হলেও এর পুষ্টিগুণের কারণে এটির কদর থাকে বছর জুড়েই। অনেকেই একবারে অনেকগুলো কলা কিনে রেখে দেন ধীরে ধীরে পাকিয়ে খাওয়ার জন্য। অনেক সময় একবারে অনেকগুলো কলা একসাথে পেকে যেতে পারে। ঘরে পাকা কলা একসঙ্গে অনেক বেশি জমে গেলে পচে নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। আপনি কিন্তু চাইলেই এই পাকা কলাগুলোকে পচে যাবার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। কী করে? জেনে নিন উপায়টি।
এজন্য আপনার দরকার হবে পুরনো খবরের কাগজ। পেকে যাওয়া কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম নরম দেখে কিছু কলা খবরের কাগজে সুন্দর করে মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে খোসা বাদামি হলেও কলার ভেতরটা ভালো থাকবে কয়েকদিন পর্যন্ত।

মেঘ

টিপস

গ্রীষ্মকাল মানেই ত্বকের নানা সমস্যা। বিশেষ করে যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের সমস্যা হয় বেশি। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ধুলোময়লা আটকে যায়। ফলাফল ব্রণ, ফুসকুড়িসহ ত্বকের নানা সমস্যা। ত্বকের এসব সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে খুবই সাধারণ একটা ঘরোয়া জিনিস। কী সেটা? জেনে নিন।
সেই অতি সাধারণ জিনিসটা হলো ময়দা! একটু অবাক হলেন নিশ্চয়ই? ময়দা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা বের করে এনে ত্বককে করে তোলে পরিষ্কার। তাই বাইরে থেকে ফেরার পর ময়দার প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ফলাফলে নিজেই চমকে যাবেন!

মেঘ

টিপস

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনার চিকিত্‍সাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। যেমন, মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে তাত্‍ক্ষণিকভাবে মুক্তি দিতে পারে লবণ। কী করে? জেনে নিন।
যেখানে কাঁটা বিঁধে গিয়েছে সেই জায়গায় খানিকটা লবণ নিয়ে ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।

মেঘ

টিপস

সুস্বাস্থ্যের জন্য সালাদের মতো খাবার হয় না। ডায়েটের খাদ্যতালিকায় বলুন আর ভাত-বিরিয়ানির পাতে বলুন, সালাদ থাকা চাই-ই। তবে যে কারণেই সালাদ খাওয়া হোক না কেন, সালাদের ফল বা সবজিগুলোর কচকচে বা ক্রাঞ্চিভাব না থাকলে সালাদ খেতে একেবারেই ভালো লাগে না। কিন্তু সমস্যা হলো সালাদ কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই সালাদের কচকচে ভাবটা নষ্ট হয়ে কেমন যেন মিইয়ে যায়। তাহলে উপায়? উপায় তো একটা আছেই! কী সেটা? জেনে নিন।
সালাদ দীর্ঘক্ষণ ঠিক রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে একটি টিস্যু পেপার! সালাদ কাটার পর তা একটি বক্সে রাখুন। এরপর এর ওপরে আলতো করে একটা টিস্যু পেপার রেখে দিন। এরপর বক্সের ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন। খাবার সময় দেখবেন, সালাদ কী চমত্‍কার রয়েছে!

মেঘ