শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

ত্বকের যত্নে গোলাপের পাপড়ির


যুগ যুগ ধরেই রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান হলো গোলাপের পাপড়ি। প্রাচীন কাল থেকে রূপসচেতন নারীরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে আসছেন তাদের রূপচর্চার উপাদান হিসেবে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় গোলাপের পাপড়ির ব্যবহার সম্পর্কে।

টোনার

গোলাপের পাপড়ি টোনার হিসেবে বেশ উপকারি। গোলাপের পাপড়ি সেদ্ধ করে পানিটা একটি বতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বাইরে থেকে এসে একটি তুলাতে সেই পানিটা ভিজিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। ত্বক থাকবে সুন্দর ও উজ্জ্বল।

ব্রণ দূর করে

যাদের অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা আছে তাঁরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি ব্রণ দূর করতে সহায়ক। যাদের ব্রণের উপদ্রব হয় তারা ব্রণের উপরে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। গোলাপের পাপড়ির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণকে ছোট করে দেয় এবং এর লালচে ভাব কমিয়ে আনে।

সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে

গোলাপের পাপড়ি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে উপকারী। বাইরের কড়া রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের রস, গ্লিসারিন ও শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। রোদে পোড়ার থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবেন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে।

চোখের কালি দূর করে

গোলাপের পাপড়ি চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করে দেয়। গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে রেখে দিন। এরপর সেটা ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি তুলা গোলাপের পানিতে ভিজিয়ে চোখে দিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে।

ত্বককে মসৃণ করে

গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত গোলাপের পাপড়ির রস অথবা গোলাপের পাপড়ির তেল ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও উজ্জ্বল।

মেঘ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন