বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০১৪

এই গরমে স্বস্তি পেতে যা করবেন


এবারে গরমটা যেন একটু বেশিই পড়েছে! কড়া রোদ, চিটচিটে ঘাম আর সেই সঙ্গে ঘামের দুর্গন্ধ - জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তুলতে আর কি চাই? গরমের চোটে ফ্রেশ থাকাটাই দায় হয়ে পড়ে। আর যখন ফ্রেশ থাকা যায় না তখন অস্বস্তি তো লাগবেই! এই গরমে স্বস্তি পেতে চাইলে কিছু বিষয়ে একটু বেশি খেয়াল রাখুন।

স্বস্তি পেতে গোসল :
দিনে দু বার গোসল করার চেষ্টা করুন। গোসলের সময় বডি স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে শরীরের ধুলোময়লা সহজে পরিষ্কার হবে। গোসলের সময় ঘাড়, পায়ের অংশ ও আন্ডারআর্ম ভালো করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। কারণ শরীরের এই অংশগুলো থেকেই সাধারণত দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। চন্দন, গোলাপ বা অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ সাবান বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ন্যাচারাল কুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে এবং গরমের সময় ত্বকের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করে।

ডিওডোরেন্ট :
বেশির ভাগ ডিওডোরেন্টই অ্যান্টি পারস্পিরেন্টের কাজ করে। গরমের সময় রোল অন ডিওডোরেন্টের চেয়ে স্প্রে ডিওডোরেন্টই ভালো। তবে খেয়াল রাখুন, আপনি যে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করছেন তা মাইল্ড কিনা। শরীর ঘাম নিঃসরণ করে স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে ঠাণ্ডা রাখে। তাই খুব কড়া অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট ব্যবহার করে ঘাম নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়।

পাউডার ও পারফিউম :
গরমের সময় ফ্রেশ থাকার জন্য অনেকে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে সাময়িকভাবে শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা কিছুটা কমে যায়। কিছুক্ষণের জন্য ঘাম শুকিয়ে ফ্রেশ থাকতে সাহায্য করে ট্যালকম পাউডার। গরমের সময় হালকা সুগন্ধের পাউডার উপযুক্ত। উগ্র গন্ধের পারফিউম মাথাব্যথার মতো সমস্যা তৈরি করে।

মাস্ক :
গরমের সময় ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। রোদ থেকে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং র্যাশ বেরোয়। এজন্য দরকার সামার মাস্ক। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ ময়দা ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ত্বকে লাগান টক দই ও ময়দার মিশ্রণ। এটাও ত্বকের সমস্যা কমায়।

মেঘ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন