বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

রূপচর্চায় পেঁপের ৭টি চমৎকার ব্যবহার

বাংলাদেশের অতি সহজলভ্য একটি ফল হলো পেঁপে। প্রাচীন কাল থেকেই পেঁপে খাদ্য ও রূপ চর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন মিশরের সুন্দরী সম্রাজ্ঞীরা কাচা পেঁপে ব্যবহার করতেন ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল তুলতে। যুগে যুগে রূপ সচেতন নারীদের রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান ছিলো পেঁপে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপ চর্চায় পেঁপের দারুণ কিছু ব্যবহার প্রসঙ্গে।

পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ এবং এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সহায়তা করে।

কাঁচা পেপে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পুরো মুখে নিয়মিত লাগালে ব্রণের উপদ্রব কমে এবং ব্রণের দাগ মিলিয়ে যায়।

পেঁপে বাটা পায়ের ফাটা দূর করে পাকে মসৃণ করতে সহায়তা করে।

পেঁপের খোসা মুখের ত্বকে, হাতে কিংবা পায়ে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

মুখের ত্বকে নিয়মিত পেঁপের রস লাগালে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে।

পেঁপে বাটা ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে ও ত্বক কোমল হবে।

চুল শ্যাম্পু করার আগে চুলে পেঁপে বাটা বা পেপের রস লাগালে খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে ।

মেঘ

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

অনেকে এসএমএস পাঠিয়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্টের কথা জানতে চেয়েছেন। আমি মেঘ সব সময় চেষ্টা করি রূপচর্চাকে সহজভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে। কতটুকু পারি জানি না তবে যখন আপনাদের ধন্যবাদ পাই তখন খুব ভালো লাগে। অনেক বক বক করেছি এবার কাজের কথায় আসি।

আমাদের চুল তৈরি হয়েছে ক্যারোটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে। এই ক্যারোটিনের কারণেই চুল সুস্থ ও সবল থাকে। চুলের ইলাস্টিসিটিও ধরে রাখে এই প্রোটিন। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট যা চুলের গভীরে পৌঁছে চুলে পুষ্টি জোগায়।
এছাড়াও এই ট্রিটমেন্ট দুর্বল বা ভঙ্গুর
চুলে পুষ্টি জুগিয়ে কয়েক গুন ঝরঝরে ও সতেজ করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ।

পদ্ধতি :
প্রোটিন ট্রিটমেন্টের বেশ কয়েকটি ধাপ
রয়েছে। প্রথমে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এবার চুলের
গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে তেল লাগান। খেয়াল রাখুন প্রতিটি চুলের গোড়ায যেন তেল পৌঁছায়। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন
১০ মিনিট। এতে তেল মাথার ত্বকের
গভীরে প্রবেশ করবে। এরপর চুলে প্রোটিন প্যাক লাগান। ১টি ডিম, আধা কাপ টক দই, ২ টেবিল চামচ মধু আর ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে আর চুলে ভালো করে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার লাগান। হয়ে গেল আপনার চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

এ ট্রিটমেন্ট মাসে দুবার করুন। চুলের স্বাস্থ্য
দেখে নিজেই অবাক হবেন।





মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য স্বল্প খরচে ঘরেই করুন বডি স্পা

আজকাল বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদের
দেশেও বডি স্পার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। ফেসিয়ালের মাধ্যমে আমাদের মুখের
ত্বক যেমন সুন্দর হয়,
তেমনি বডি স্পা করলে পুরো শরীরের ত্বকের
নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারনত
পার্লারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরাই
বডি স্পা করে থাকেন।

বডি স্পা-তে আপনার ত্বকের ধরন ও
সমস্যা বুঝে ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে। নিয়মিত
বডি স্পা করলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে ও
র্যাশের মতো সমস্যাগুলো সহজেই দূর হয়।
বডি স্পাতে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল
দিয়ে সারা শরীরে ভালো করে ম্যাসাজ
করা হয়ে থাকে। এতে শরীরের সমস্ত
ক্লান্তি কেটে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিম
দিয়েও ম্যাসাজ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার
বাথ সল্ট দিয়ে স্ক্রাবিং করা হয়, এতে ত্বকের
মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

বডি স্পা করার সময় ত্বকের ধরন
বুঝে নানা ধরনের প্যাক লাগানো হয়ে থাকে।
এক একটি প্যাকের গুণাবলী একেক রকম।
যেমন, পেঁপের প্যাক ত্বক ময়েশ্চারাইজ
করে আর চকলেটের প্যাক বডি ট্যান দূর
করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেয়া যাক বডি স্পা এর
উপকারিতা গুলো-

- বডি স্পাতে ডিপ টিস্যু মাসাজের
মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় ও
রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়

- বডি স্পা সানট্যান দূর করে ত্বকের
উজ্জলতা বাড়ায়।

- অনেক সময় বডি স্পাতে ওয়াটার
থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। এতে শুধু
ত্বক পরিষ্কারই হয় না, শরীর
থেকে টক্সিক উপাদানও দূর হয়ে যায়।

- বডি স্পা করলে মনের নানা টেনশন দূর
হয়ে মন প্রফুল্ল হয় ।

- ব্ল্যাক হেডস ও অ্যাকনের
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বডি স্পা দারুণ কাজ
দেয়।

বাড়িতেই করুন বডি স্পা–
যাদের পার্লারে গিয়ে বডি স্পা করানোর সময়
নেই তারা বাড়িতে বসে খুব সহজেই
বডি স্পা করতে পারেন । বাড়িতে ওটমিল, যবের
ভুসি ,টক দই ও মধু
একসাথে মিশিয়ে সারা শরীরে ঘষে ঘষে লাগান।
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক
উজ্জ্বল হবে। তারপর মুলতানি মাটি ও চন্দন
গুঁড়ো কাঁচা দুধ দিয়ে গুলিয়ে বডি প্যাক
তৈরি করুন ও সারা শরীরে মেখে নিন।
শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড়
বা তুলো দিয়ে হালকা কুসুম
পানিতে ভিজিয়ে প্যাক তুলে ফেলুন।
সবশেষে অলিভ অয়েল দিয়ে সারা শরীর ম্যাসাজ
করে নিন । অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য দারুন
উপকারী, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল
করতে সাহায্য করে। তারপর সম্পূর্ণ শরীর কুসুম
গরম পানিতে ধুয়ে ভালো বডি ক্রিম
লাগিয়ে নিন।

এবার দেখুন তো, নিজের কাছেই অন্যরকম
লাগছে না?





মেঘ

বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৪

সহজে ব্রণ দূর করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের
সমস্যা সমাধানের অন্যতম
কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা।
অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায়
পাকাপোক্তভাবে স্থান
করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার
জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের
সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের
ত্বকে ব্রণের
সমস্যা সমাধানে রইলো অ্যালোভেরা জেলের
তৈরি কিছু ফেসপ্যাক। ব্রণের চিকিৎসায়
অ্যালোভেরা অন্যতম সেরা উপাদান।

যে কোনো পার্লারেও ব্রণের সমস্যায়
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করতেই বলা হয়। এখন
আর কষ্ট করে পার্লার যেতে হবে না,
অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক দিয়ে নিজেই করে নিন
পার্লারের ফেসিয়াল।
ব্রণ যে কোনো ধরণের ত্বকেই হতে পারে।
তবে সবচাইতে বেশি যন্ত্রণা করে তৈলাক্ত
ত্বকে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কত
কিছুই না করেছেন আপনি। কত ক্রিম মেখেছেন,
পার্লারে গিয়েছন। কিন্তু তাতেও কি ব্রণ দূর
হয়েছে? হয়নি। বরং এত
গুলো টাকা বেরিয়ে গেছে পকেট থেকে। আজ তাই
আমরা নিয়ে এলাম ব্রণ দূর করার দারুণ এক
পদ্ধতি। এতে টাকা আপনার মোটেও খরচ
হবে না। কিন্তু খুব সহজেই দূর হবে ব্রণের
উপদ্রব,ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার
নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই
জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার
তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল
বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু
প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন
পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার
দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর
কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।

-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের
হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত
এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই
হলদেটে রসটি ফেলে দিন।

-হলদেটে রস পড়া বন্ধ
হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর
পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ
কেটে ফেলে দিন।

-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ
চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত
অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই
অ্যালোভেরা জেল,
যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
ব্রণ দূর করার জন্য আপনার নিত্যদিনের সাধারণ
ফেসপ্যাকেই অ্যালোভেরা জেল
মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি ব্রণের পরিমাণ খুব
বেশি না হয় তাহলে মুলতানি মাটি, চন্দন,
গোলাপ জল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেস
প্যাক তৈরি করুন ও মুখে মাখুন।
শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রনে খুব
জ্বালাপোড়া ও
ব্যথা থাকলে অ্যালোভেরা জেল
ফ্রিজে জমিয়ে বরফ তৈরি করে নিন ও সেই বরফ
আক্রান্ত জায়গায় ঘষুন। আরাম মিলবে। ব্রণও?
সারবে।

ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা-মধু
ফেস প্যাক
যে কোনো ধরণের ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
দেখা যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এই
উপদ্রব হয় অনেক বেশি। যাদের মুখে ব্রণের
ভীষণ উপদ্রব, তারা ব্যবহার করতে পারেন এই
ফেসপ্যাকটি।

পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটির জন্য আপনার লাগবে শুধু
মাত্র অ্যালোভেরা পাতা ও মধু।
প্রথমে একটি বড়
অ্যালোভেরা পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তা পানিতে সেদ্ধ
করে নিন। এরপর সেদ্ধ
পাতাটি বেটে বা পিষে পেস্টের মত তৈরি করুন।
পেস্টটিতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু খুব
ভালো করে মেশান। এরপর এই
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২
বার ব্যাবহারে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
থেকে মুক্তি পাবেন।




মেঘ

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৪

হেয়ার আয়রন নয়, প্রাকৃতিক উপায়েই চুল "স্ট্রেইট" করুন ঘরে বসে!

ফ্যাশন সচেতন অনেককেই চুল
রিবন্ডিং বা স্ট্রেইট
করতে দেখা যায়। কারন
ইদানিং উঠেছে স্ট্রেইট চুলের চল।
ঢেউ খেলানো ও কোঁকড়া চুলের
মেয়েরা চুল স্ট্রেইট করে ফেলছেন।
ছেলেরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই।
কারন লম্বা স্ট্রেইট চুলের
সাথে যে কোন ধরণের পোশাকের
স্টাইল মানিয়ে যায়। দেখতেও অনেক
স্মার্ট লাগে। এখন ১ বছরের জন্য চুল
স্ট্রেইট করা যায় পার্লারে।

অথবা বাসায় বসে স্ট্রেইটনার
দিয়ে অনেকে চুল স্ট্রেইট করে নেন।
ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট
করার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের
অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের
আগা ফাটে ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ।
যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। তখন
ঝামেলায় পড়ে যান অনেকে। কিন্তু
যদি স্ট্রেইটনার ছাড়াই প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করা যায়
তবে কেমন হয়? বাসায় বসে চুলের যত্ন
নেয়ার পাশাপাশি কিছু
পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করতে পারবেন
বেশ সহজে। এবং পাশাপাশি চুল
হবে স্বাস্থ্যোজ্জল।

দুধের ব্যবহার:
এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য
আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ,
১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল।
চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয়
তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু
দিয়ে নিন।

প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও
পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান।
চুলের জট একটি বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই
মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব
দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন।
মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা রাখুন। তারপর
চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল
শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে।
এভাবে স্ট্রেইট
করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর
আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে।

মুলতানি মাটির হেয়ার মাস্ক:
এই পদ্ধতি ব্যাবহারের জন্য লাগবে ১
কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫
চা চামচ চালের গুঁড়ো।

প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব
ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর
এতে মুলতানি মাটি ও চালের
গুড়ো দিয়ে ভালো মত
মিশিয়ে একটি পেস্টের মত
তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড়
দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন।
এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই
পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন।
যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার
চেষ্টা করুন।

পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত
চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন।
এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই
পেস্টটি চুলে লাগান। চুল
প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।

অলিভ ওয়েল ও ডিমের মিশ্রণ:
মিশ্রণটি তৈরি করতে লাগবে ২
টি ডিম ও ২ চা চামচ অলিভ ওয়েল।
একটি বাটিতে ভালো করে ২ টি ডিম
ফেটে নিন। এতে অলিভ ওয়েল
ভালো করে মিশিয়ে রাখুন। চুলের জট
ছাড়িয়ে নিন। একটি হেয়ার ব্রাশের
সাহায্যে মিশ্রণটি চুলের সব
দিকে ভালো মত লাগান।

পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল
ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল স্ট্রেইট
হবে এবং পাশাপাশি চুলের উজ্জলতাও
বাড়বে।



মেঘ

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৪

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন মাত্র ৭ দিনে!

উজ্জ্বল ও কমনীয় ত্বক সকলেরই কাম্য।
বিশেষ করে একটু উজ্জ্বল ত্বক পাবার জন্য
আমরা অনেকেই অনেক কিছু করে থাকি।
মনে মনে সবারই নিজের ত্বকের রঙ
নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থেকেই যায়। তারই
প্রেক্ষিতে আমাদের এত প্রচেষ্টা। কিন্তু মন
অনেক খারাপ হয়ে যায় তখনই যখন আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে একটুও ফলাফল
দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে শেষ মেশ বাধ্য
হয়ে লেজার ট্রিটমেন্ট এর শরণাপন্ন হন একটু
উজ্জলতা পাবার আশায়।

আচ্ছা, যদি প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বকের রঙ
উজ্জ্বল করা যায় তাহলে কেমন হবে? আর
তা যদি হয় মাত্র ৭ দিনে অর্থাৎ মাত্র ১
সপ্তাহে, তাহলে? হ্যাঁ, এই অসম্ভবকে সম্ভব
করার উপায় ও উপকরণ সবই রয়েছে প্রকৃতিতে।

দরকার শুধু একটু নিয়মিত কিছু জিনিষ
মেনে চলা ও উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার
করা ধাপে ধাপে। আসুন তবে দেখে নেই সে ধাপ
গুলো যাতে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল ত্বক,
মাত্র ৭ দিনে!

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য প্রচুর
পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। দিনে ৬-৮
গ্লাস পানি পান করা অবশ্যই দরকার। যদি ১
সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখতে চান
তবে নিয়ম করে প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান
করুন।

রোদ পরিহার করুন
ত্বকের
উজ্জলতা বাড়াতে সবচাইতে বেশী জরুরী ত্বককে সূর্যের
ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচানো। যতটা সম্ভব
রোদ এড়িয়ে চলবেন। বাইরে বের হলে ছাতা ও
স্কার্ফ ব্যবহার করবেন অবশ্যই। বাজারে নানান
রকমের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়,
তবে সেগুলো অনেকের ত্বকেই মানানসই হয় না।
বাইরে থেকে ফিরে প্রতিদিন একটি টমেটোর রস
বা থেঁতো করা টমেটো মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট
রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়ার ছাপ
পড়বে না।

ঘরে বসেই ব্লিচ করুন
ব্লিচ করলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু
এর জন্য পার্লারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন
নেই। বাসায় বসেই ব্লিচ করুন। সপ্তাহের ২/৩
বার করতে পারেন।
-ব্লিচের জন্য সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক
উপাদান লেবু। একটি লেবু
নিয়ে মাঝামাঝি কেটে নিন। এরপর এক খণ্ড
নিয়ে মুখে হালকা ভাবে ঘষে ত্বকে শুকতে দিন।
শুকিয়ে যাবার পর হালকা গরম
পানি দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন।
তবে যদি অ্যালার্জির
সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এটা ব্যবহার
না করাই ভালো।

-যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ১ টেবিল
চামচ দুধ ও ১ টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম
পানি দিয়ে সামান্য ঘষে তুলে ফেলুন। এটা রোজ
করতে পারবেন।

ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করুন প্রতিদিন
আমরা প্রতিদিনই প্রায় বাসা থেকে বের হই।
বাইরে বের হলে যে কোনো ঋতুতেই ত্বকের
ওপরে ধুলোর আস্তরণ পড়ে। বাসায় ফিরে শুধু
ফেসওয়াস ব্যবহারে এই ধুলো যেতে চায় না।
আর এই সব ধুলো দূর করতে আপনাকে প্রতিদিন
ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু
প্রতিদিন স্ক্রাব করাও সম্ভব নয়।
সুতরাং আপনাকে ত্বকের উপরিভাগ
হালকা করে অন্য কোনোভাবে পরিষ্কার
করে নিতে হবে। এই জন্য প্রথমে ফেস ওয়াশ
দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে আলগা ময়লা পরিষ্কার
হবে। তারপর কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে সেই
তুলো দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
কালো হয়ে ওঠা তুলোই প্রমাণ
করবে কী পরিমাণ ময়লা আপনার
ত্বকে জমে ছিল।

ত্বকে লাগান ঘরে তৈরি ত্বক উজ্জ্বল
করার মাস্ক
৭ দিনে ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য অবশ্যই
ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য মাস্ক ব্যবহার
করতে হবে। আর তা ঘরে বসেই তৈরি করে নিন।
ব্লিচ করার মত এই মাস্কও প্রতিদিনই ব্যবহার
করুন। ১ সপ্তাহে রঙ উজ্জ্বল হবেই।
-১ চা চামচ হলুদ বাটা নিন। হলুদ
বাটা মিহি হতে হবে। হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার
করতে পারেন। এর সাথে ৩ টেবিল চামচ লেবুর
রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট
পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালার্জির
সমস্যা থেকে থাকে তবে এটা ব্যবহার না করাই
ভালো।

-যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ২ টেবিল
চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই
ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর
ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভালো স্কিন প্রোডাক্ট
সব কিছুর শেষে অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার
লাগাতে হবে। এর জন্য ভালো কোন ব্র্যান্ডের
ময়েসচারাইজার ব্যবহার করুতে পারেন। যে সব
স্কিন প্রোডাক্টে হাইড্রেটের
মাত্রা বেশী সেসব কিনুন ও ব্যবহার করুন।
ব্লিচের পর বা মাস্ক লাগিয়ে মুখ ধোয়ার
পরে অবশ্যই ত্বকে ময়েসচারাইজার লাগাবেন।
রাসায়নিক প্রসাধন ব্যবহার
করতে না চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

রাতে অবশ্যই নাইট ক্রিম কিংবা অলিভওয়েল
মেখে ঘুমোতে যাবেন। ১ সপ্তাহে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়বেই।



মেঘ

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

দৈনন্দিন জীবনযাপন অনেকখানি সহজ করে দেয় যে জিনিসটি, তা হলো ফ্রিজ! কাঁচা এবং রান্না করা- দু ধরনের খাবারই সংরক্ষণ করা ফ্রিজের কারণে হয়ে গেছে অত্যন্ত সুবিধাজনক। রান্না করা খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি খাবারও থাকে ভালো। ফ্রিজের এত ভালো দিক থাকলেও রয়েছে একটি সমস্যা! এতে হরেক রকম খাবার রাখা হয় বলে ফ্রিজের ভেতর প্রায়ই কটু গন্ধের সৃষ্টি হয়। এই দুর্গন্ধ মিশে যায় খাবারের সাথে। ফলে খাবারের ভালো গন্ধও হয়ে যায় নষ্ট। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধের এই সমস্যাটা যত ভয়াবহই হোক না কেন, এর সমাধানটা কিন্তু খুবই সহজ! এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটুখানি খাবার সোডা।

একটা ছোট্ট বাটিতে অল্প কিছু খাবার/বেকিং সোডা নিন। এরপর এই বাটিটা ফ্রিজের এক কোণায় রেখে দিন। বাটি যেন ঢেকে রাখবেন না, এটা খোলাই থাকুক। দেখবেন, ফ্রিজে আর মোটেও গন্ধ হচ্ছে না! সপ্তাহখানেক পর পর বাটিতে রাখা খাবার সোডা পাল্টে দিন।



মেঘ

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।

তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।

ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।

চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।

কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

মেঘ


টিপস

অলিভ অয়েল চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সংক্রামক রোগ রোধে কাজ করে। এতে করে চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও চুলের ভঙ্গুরতা কমায়।

পদ্ধতিঃ
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ৪/৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে পুরোরাত এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে চুলের আগা ফাটা ৭০-৮০% কমে যাবে।

মেঘ

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।


তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।

ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।

চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।


কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

গায়ের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার, তাই না? আরো বিব্রতকর হলো পায়ের দুর্গন্ধ! মনে করুন, খুব ভালো পোশাক-আশাক পরে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে পা থেকে জুতোটা খুললেন আর ভকভক করে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলো। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন তো! এমন পরিস্থিতিতে কেউ পড়তেই চাইবে না, তাই না? অনেকেরই পা বেশি ঘামে। ফলে জুতোর ভেতর আবদ্ধ থেকে ঘামে ভিজে পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় আর তৈরি হয় বিব্রতকর সব পরিস্থিতি। বিশেষ করে শীতের দিনে। শীতের দিনে প্রায় সবার পায়েই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, কারোটা কম আর কারোটা বেশি। অথচ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার উপায়টা কিন্তু খুবই সহজ। কী সেটা? জেনে নিন।


প্রতিদিন জুতা পরার আগে পায়ে মেখে নিন শরীরে ব্যবহার করার ট্যালকম পাউডার। এরপর মুজা পরে জুতা পরুন। এতে সারাদিন জুতা পরে থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ কম হবে। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পায়ে খানিকটা আফটার শেভ লোশন মাখুন। পায়ের দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও মারা পড়বে।


মেঘ

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

বিচ্ছিরি জেদি দাগ তোলার সহজতম টিপস

বিয়ে বাড়ি বা অন্য দাওয়াতে আপনার সবচাইতে প্রিয় পোশাকটি পরে গেলেন, কিন্তু সেই পোশাকেই মাংসের ঝোল পড়ে সাধের জামার একদম বারোটা বেজে গেল। অথবা চায়ের কাপটা উল্টে গিয়ে বেড শিটে বিশ্রী দাগ পড়ে গেল আচমকা। এরকম বিভিন্ন দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই নাজেহাল হই। যেমন, তেল-ঝোলের দাগ, চায়ের দাগ, লিপস্টিক কিংবা পানের পিকের বিচ্ছিরি দাগ। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই। লন্ড্রিতে দৌড়াতে হবে না, বাড়িতেই খুব সহজে এইসব জেদি দাগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো ।

তেলের-ঝোলের যন্ত্রণা-
কাপড়ে খাবার পড়ে তেলের দাগ হয়ে গেলে দাগের জায়গাটিতে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। ওই অংশটির ঠিক নিচের দিকে একটি ব্লটিং পেপার রাখুন। এবার আরও কিছুটা পাউডার নিয়ে দাগের জায়গাটিতে ভালো করে ঘষে লাগান। এতে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে। বাকি হলুদ ভাব তোলার জন্য ডিটারজেন্ট পানিতে ঘন করে গুলে নিয়ে দাগের উপর মাখিয়ে কাপড়টা রোদে শুকাতে দিন। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে ।

কার্পেটে খাবার পড়ে গেলে-
কার্পেটে খাবার পড়ে দাগ হলে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার ২ কাপ হালকা গরম পানিতে গুলে নিয়ে দাগের জায়গাটায় স্প্রে করুন, তারপর পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাবে ।

চা কফির বিচ্ছিরি দাগ-
বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথে চা বা কফি পড়ে গেলে চট জলদি কিছুটা ট্যালকম পাউডার দাগের জায়গাটায় ছিটিয়ে দিন। ২-৩ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন, এতে পাউডার চায়ের দাগ টেনে নেবে । তারপর সাবান পানি দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন ।

লিপস্টিকের জেদি দাগ গুলো-
কাপড়ে অনেক সময় লিপস্টিকের দাগ লেগে যায়, যা সহজে উঠতে চায় না । লিপস্টিকের দাগ তোলার জন্য গ্লিসারিন দিয়ে দাগের উপর কিছু সময় ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে যাবে।

পানের পিক-
জামা কাপড় থেকে পানের পিকের দাগ তুলতে দাগের তলায় এক টুকরা পুরানো কাপড় রেখে আলু দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন, দাগ সহজে উঠে যাবে ।

যে কোনো দাগে মুলতানি মাটি-
ভিনিগার আর মুলতানি মাটির মিশ্রণ কাপড়ের যে কোনো দাগ তোলার জন্য দারুন উপকারী। মিশ্রণটি দাগের উপর লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন ।

মেঘ



শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

মুখের দুর্গন্ধ কার পছন্দ বলুন? তবে যাঁরা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা বুঝি এই মুখের গন্ধকেও তোয়াক্কা করেন না! অনেকেই আছেন সালাদে তো বটেই, সালাদের পরিবর্তেও কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। হতে পারে সেটা ভাত বা চপ, কাবাব বা ভাজাভুজির সাথে। এছাড়া অনেক খাবারের সাথেই কাঁচা পেঁয়াজ খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের দিনে নতুন কচি পেঁয়াজের স্বাদ তো অতুলনীয়! কিন্তু মুশকিল হয় খাবার পরে মুখের গন্ধ নিয়ে। এমনকি দাঁতব্রাশ করলেও এ গন্ধ দূর হয় না। তবে এ সমস্যার সমাধানও কিন্তু রয়েছে আপনার হাতের কাছেই! কী সেই সমাধান? জেনে নিন অতি সহজ সেই উপায়টি।

একটা পরিষ্কার স্টিলের চা চামচ কিছুক্ষণ মুখে পুরে মুখ বন্ধ করে রাখুন। একটু পর চামচটা বের করে মুছে নিয়ে আবার মুখে পুরুন। এভাবে কয়েকবার করলেই মুখ থেকে পেঁয়াজের গন্ধ প্রায় পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। আর হ্যা, চামচটা ধুয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন!


মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

সাজগোজের যে "সাধারণ" ভুলে আপনাকে দেখায় অসুন্দর!

মেকআপ করতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ভারী মেকআপ না করলেও হালকা মেকআপ করা হয় প্রতিদিনই। ফেইস পাউডার, কাজল ও একটু লিপস্টিক না লাগিয়ে বাসা থেকে বের হন না অনেক সৌন্দর্য সচেতন নারী। অনেকেই আবার ত্বকের সুরক্ষায় মুখে ফাউন্ডেশন লাগান। কারণ ফাউন্ডেশন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা পর্দা তৈরি করে যা সারাদিনের ধুলোবালি ত্বকের গভীরে যেতে বাধা দেয়। এই সবই ঠিক আছে। কিন্তু আপনার মেকআপের পদ্ধতি কি সম্পূর্ণ ঠিক? মেকআপের ক্ষেত্রে আপনি কিছু ভুল করছেন না তো? হয়তো না বুঝেই কিছু কাজ করে ফেলছেন যা আপনার পুরো কষ্টে পানি ফেলে দিচ্ছে। আসুন দেখে সেই ভুলগুলো।

ভুল শেডের ফাউন্ডেশন লাগাবেন না
অনেকেই নিজের ত্বকের শেডের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান না। ফলে মুখ সাদা দেখা যায় অথবা বেশী লাল লাগে। মেকআপের জন্য সঠিক শেডের ফাউন্ডেশন অত্যন্ত জরুরী। প্রথমে জেনে নিন আপনার ত্বকের শেড কোনটি। যে কোন বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বললেই তিনি বলে দিতে পারবেন আপনার ত্বকের জন্য কত নাম্বারের ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। এছাড়া আপনি নিজেও আয়নায় মুখের ত্বক দেখে নিয়ে এক শেড হালকা কিংবা গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন কিনুন।

গলায় ফাউন্ডেশন লাগান
মেকআপ করার সময় অনেকেই যে ভুলটি করে থাকেন তা হল গলায় ফাউন্ডেশন না লাগানো। শুধুমাত্র মুখে ফাউন্ডেশন লাগালে মুখের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে কিন্তু গলা কিংবা ঘাড়ের ত্বকের রঙ আগের মতই থাকবে। এতে মেকআপ ভালো দেখায় না। যত হালকা মেকআপই করুন না কেন গলায় ও ঘাড়ে মুখের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান।

অতিরিক্ত আইশাডো থেকে দূরে থাকুন
অনেকেই আইশাডো লাগাতে বেশ পছন্দ করেন। প্রতিদিনের হালকা মেকআপের সাথে হালকা আইশাডো যোগ করলে সৌন্দর্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। কিন্তু আইশাডো লাগানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত গাঢ় রঙের আইশাডো লাগাবেন না। এতে করে পুরো মেকআপ নষ্ট হবে। হালকা করে আইশাডো লাগালে দেখতেও বেশ ভালো লাগে।

আইশাডো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন
অনেকে তাড়াহুড়ো করে মেকআপ করতে যেয়ে আইশাডো ভালোভাবে মেশান না। এতে করে কিছুক্ষণের মধ্যেই আইশাডো চোখের পাতায় ভেসে উঠে। যত তাড়াহুড়োই হোক না কেন এই ভুলটি করতে যাবেন না। আইশাডো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

অতিরিক্ত মাশকারা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
অনেকে মাশকারা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভুলে বেশী মাশকারা লাগান। এতে চোখের পাপড়ি একটি অপরটির সাথে লেগে শক্ত হয়ে যায়। দেখতেও বিশ্রি লাগে। কখনোই বেশী মাশকারা লাগাবেন না।

মাশকারা লাগানোর আগে মাশকারার ব্রাশটি একটি কাগজ বা কাপড়ে হালকা করে ঘষে অতিরিক্ত মাশকারা দূর করে তবেই পাপড়িতে লাগান। এতে করে চোখের পাপড়িতে ভালো করে মাশকারা লাগাতে পারবেন।

লিপগ্লস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
চোখের সাজ গাঢ় হলে অনেকেই ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের সাথে লিপগ্লস লাগান। কিন্তু লিপগ্লস লাগানোতেও অনেকে ভুল করে থাকেন। খুব দ্রুত কমে যাবে ভেবে অনেকেই বেশী করে লিপগ্লস লাগিয়ে রাখেন ঠোঁটে। কিন্তু এতে করে আপনার পুরো মেকআপের সৌন্দর্যই নষ্ট হবে শুধু। পাশাপাশি ঠোঁটের চারপাশে ছড়িয়ে যাবার ভয় থাকে। সুতরাং হালকা করেই লিপগ্লস লাগান। সাথে রেখে দিতে পারেন লিপগ্লসটি যাতে করে কমে আসলে পুনরায় লাগিয়ে নিতে পারেন।

মেঘ



বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

শীতে প্রয়োজন পুরো দেহের যত্ন!

শুধু শীত কেন, সারা বছরই মুখের যত্ন করে থাকি আমরা। কিন্তু শুধু মুখের যত্ন করলে কি হবে? বিশেষ করে এই শীতে তো সেটা একদমই চলবে না। তাকিয়ে দেখুন তো নিজের পা গুলোর দিকে, মলিন আর কালচে দেখাচ্ছে না? গোড়ালি ফেটেছে না? নিজের কনুইর দিকে দেখুন,হাত বুলিয়ে দেখুন নিজের দেহে, চুলগুলোকে একটু নাড়া দিন। খসখসে আর প্রাণহীন লাগছে দেহের ত্বক,চুলে জমেছে খুশকি। না,চিন্তার কিছু নেই। কীভাবে স্বল্প সময়ে এই শীতেও দেহকে সুন্দর রাখতে পারবেন, আমাদের আজকের লেখা সেই বিষয়েই।

ত্বকের যত্নে চিনির স্ক্রাব ও মুলতানি মাটির মাস্ক
শীতে ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে যায়। এর কারন হলো ত্বকের মরা কোষ। এই মরা কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন স্ক্রাব করা উচিত।

একটি সহজ ও ঘরে তৈরি কিন্তু বেশ কার্যকরী স্ক্রাব হচ্ছে চিনি ও লেবুর রস। এক চা চামচ চিনিতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে আধগলা চিনি মুখে হাতে গলায় ও পায়ে ঘষে নিন। মুখে আলতো করে ঘষবেন। এতে ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর হবে।

মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান। এটা ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে মসৃণ করে তোলে। একটি বাটিতে ২/৩ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে ৪/৫ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে উঠলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ত্বকে ময়সচারাইজার লাগাবেন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বক ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে লেবুর রস
শীতকালে মাথার ত্বকে ছোটছোট ফুসকুড়ি ওঠে ও খুশকির সমস্যা দেখা যায়। লেবুর রস এই সমস্যার সমাধান করবে। লেবুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুশকি থেকে মাথার ত্বককে দূরে রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেক হারবাল উপাদানেই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি ঘরে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে লেবুর রসের মাধ্যমে মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে পারেন। স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলের জন্য।

একটি গোটা লেবুর রস, ১/২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল। সবকটি উপাদান একসাথে একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে বিশেষ করে ফুসকুড়ি ও খুশকি আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগান এই মিশ্রণ। ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের সব সমস্যা দূর করে ও খুশকি মুক্ত করে।

শরীরের যত্নে বাথ সল্ট ও মধু
মুখ, হাত, পা, মাথা, চুল সব কিছুরই যত্ন নেয়ার পাশাপাশি দেহের ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক জরুরী। বাথ সল্ট শরীরের ত্বকের জন্য বেশ ভালো। বাথ সল্ট দেহের ত্বকের জন্য স্ক্রাবের কাজ করে। এতে শরীরের মরা কোষ দূর হয়। ও দেহের ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার হয়। গোসলের সময় বাথ সল্ট ব্যবহার করুন।

স্ক্রাবিং এর পরে দেহের ত্বকের কোমলতা রক্ষায় গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন মধু। ১ বালতি পানিতে ৩/৪ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে সে পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলুন। এতে দেহের ত্বকও থাকবে কোমল ও মসৃণ। গোসল শেষে ত্বকে লোশন লাগাতে ভুলবেন না।

হাত ও পায়ের যত্নে লেবু ও লবন গরম পানি
সারাদিন রোদ ও ধুলো ময়লায় হাত ও পায়ের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই দিন শেষে রাতের বেলা মাত্র ২০ মিনিট ব্যয় করে হাত ও পায়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা ও কোমলতা।

একটি তাজা লেবু কেটে হাত ও পায়ে ঘষে নিন। এরপর কুসুম গরম পানিতে লিটারে ১ চা চামচ লবন দিয়ে এতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। চাইলে পানিতে সামান্য শ্যাম্পুও দিতে পারেন। এরপর একটি মাজুনি দিয়ে আলতো করে হাত ও পা ঘষে নিন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানিতে হাত পা ধুয়ে ও মুছে নিন। এরপর হাতে ও পায়ে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। এটা করুন সপ্তাহে ২ দিন।

মেঘ