বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

সকালে ঝলমলে চেহারা পেতে রাতে করুন ছোট্ট কিছু কাজ

অনেকেই রাতে কোনোধরনের সৌন্দর্যচর্চা না করে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে করে সকালে উঠে পড়তে হয় অনেক ধরণের ঝামেলায়। দেখা যায় চুলের অবস্থা খারাপ হয়ে আছে অথবা ঠোঁট ফেটে গেছে কিংবা হাত পায়ের চামড়া হয়ে আছে রুক্ষ। সকালের তাড়াহুড়োয় তখন কোন কিছুরই আর ভালো করে যত্ন নেয়া হয় না। সুতরাং রাতের কিছু রূপচর্চা অবশ্যই দরকার। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সকালের এইসকল ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু টিপস।

- সকালে উঠে সুন্দর কোমল একজোড়া ঠোঁট দেখতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগান লিপবাম অথবা অলিভ অয়েল। এতে করে ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার সকালের সময়ও বাঁচবে।
- যারা প্রতিদিন সকালে উষ্কখুষ্ক চুল নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, যার একমাত্র সমাধান সকালে শ্যাম্পু করে গোসল করা তারা রাতে ঘুমানোর আগে চুলে লাগান হেয়ার সিরাম। এতে সকালে চুল থাকবে ঝলমলে।
- সকালে উঠে হাত পা রুক্ষ দেখলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায় এবং ফলে দিন খারাপ হয়। এই ঝামেলায় না পরে রাতে শুতে যাওয়ার আগে হাত পায়ের ত্বকে লাগান ময়েসচারাইজার। সকালে উঠে পাবেন কোমল নরম ত্বক।
- যারা একটু কম ঘুমান তাদের চোখের নিচের ত্বক কুচকে যায়। এতে দেখতে বিশ্রী লাগে, বয়স্ক মনে হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে এবং চারপাশে লাগান আন্ডার-আই সেরাম। এতে ত্বক কুচকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

মেঘ

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

সাধারণ দুটি মেকআপ সমস্যার ঝটপট সমাধান


নারীরা প্রায় সবাই মেকআপ করার সুযোগ পেলে তা সহজে ছাড়তে চান না। কারণ ঠিকমতো এবং বুঝে শুনে মেকআপ করলে সবাইকেই দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝেই মেকআপের সময় অনেকে অনেক সমস্যায় পড়েন। যেমন মেকআপের কোনো জিনিস খুঁজে না পাওয়া কিংবা কাপড়ে মেকআপ লেগে যাওয়া ইত্যাদি। তখন সেই সমস্যাগুলো সমাধানের পেছনেই সময় চলে যায়। কিন্তু খুব সহজে মেকআপের কিছু সমস্যার সমাধান করা যায় খুব দ্রুত। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক মেকআপ জনিত এইসকল সমস্যার ঝটপট সমাধান।

ব্রোঞ্জার না পেলে যা করবেন
মেকআপের জন্য ব্রোঞ্জারের গুরুত্ব সবাই জানেন। কিন্তু কি করবেন যদি মেকআপ করতে যেয়ে দেখেন ব্রোঞ্জার শেষ হয়ে গিয়েছে? বাজারে ছুটবেন? না। চটজলদি বানিয়ে নিন ব্রোঞ্জার। ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো, ১ চা চামচ কোকোয়া, ১ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো এবং ২ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ব্রোঞ্জার!

কাপড় থেকে মেকআপের দাগ তুলতে যা করবেন
মেকআপ করার সময় অসাবধানতা বশত কাপড়ে দাগ লেগে যেতেই পারে। ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক কিংবা কাজল অথবা মাশকারা বা আইশেডের দাগ। এই দাগ গুলো সাধারণ ভাবে ধুলে উঠতে চায় না। এরজন্য প্রথমে কাপড়ের দাগের ওপর শেভিং ক্রিম লাগিয়ে একটি ফেলনা কাপড় দিয়ে সামান্য ঘষে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাচ্ছে।

মেঘ

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

রোদে পোড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে ঘরোয়া ফেস প্যাক


গরমকাল এবং চড়া রৌদ্রের দিন এসে গেছে। এ সময়ে সৌন্দর্যের সবচাইতে বড় শত্রু হলো আপনার মাথার ওপরে জ্বলতে থাকা সূর্য। রৌদ্রের ছোঁয়ায় মুহূর্তের মাঝে আপনার ত্বকে পড়ে যেতে পারে ট্যান। এ সময়ে অনেকের ত্বকে এই ট্যান বা রোদে পোড়া ভাবটা দেখা যায়। অনেকের ত্বকে পড়ে ছোপ ছোপ কালচে দাগ। এই ট্যানের কারণে গরমকালে সাজগোজ করলেও দেখতে খারাপ লাগে। কিন্তু ফেয়ারনেস ক্রিমে থাকতে পারে ব্লিচ, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সহজে ট্যান দূর করার জন্য রইলো একটি-দুটি নয়, রইলো একেবারে এক ডজন ঘরোয়া উপাদান! নিজের ত্বক এবং সুবিধা ভেবে দরকারের সময়ে ব্যবহার করে ফেলুন যে কোনো একটি।

১) লেবুর রস, গোলাপ জল এবং শসার রসের একটি খুব সাধারণ মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন ফেস প্যাক হিসেবে। শশার রস এবং গোলাপ জল ত্বককে ঠাণ্ডা করে, লেবুর রস প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে।

২) কাঁচা দুধ, হলুদ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে নিন। একে ত্বক লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩) ওট এবং বাটারমিল্ক দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকের রোদে পোড়া অংশে ব্যবহার করুন। বাটারমিল্ক ত্বককে আরাম দেয়, আর ওট এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।

৪) বেসন, লেবুর রস, আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন এবং তা রোদে পোড়া ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৫) তাজা লেবু চিপে রস বের করে নিন। এরপর রোদে পোড়া কনুই, হাঁটু বা ছোপ ছোপ দাগের ওপর দিয়ে রাখুন কমপক্ষে ১৫ মিনিট। দাগ চলে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

৬) নিয়মিত মুখ এবং হাতের ত্বক ডাবের পানি দিয়ে ধুলে রোদে পোড়া দাগ চলে যায়, সেই সাথে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও সজীব।

৭) পাকা পেঁপে ভর্তা করে এই পেস্ট দিয়ে রোদে পোড়া ত্বক ম্যাসাজ করুন। এতে ট্যান তো যাবেই, সাথে সাথে অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করবে পেঁপে।

৮) সমপরিমান গুঁড়ো দুধ, লেবুর রস, মধু এবং আমন্ড তেল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দিন তিন বার ব্যবহারে সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আর তৈরি করার পর এক সপ্তাহের মতো রেখে দিতে পারবেন এই পেস্ট।

৯) হলুদের গুঁড়ো এবং লেবুর রসের পেস্ট সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। এতে ট্যান কমে যাবে।

১০) কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে ফেলুন। এর সাথে সমপরিমান সর যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। রোদে পোড়া ত্বকে ব্যবহারে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।

১১) ওটমিল, টক দই, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা ত্বকে দিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। হাতেনাতেই উপকার পেয়ে যাবেন।

১২) চালকুমড়ার রস এবং মুলতানি মাটি দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করেও ট্যান কমাতে কাজে লাগাতে পারেন।

মেঘ

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

টিপস


সাজগোজের সময় একটু কাজল না লাগালে কি ভালো দেখায়? কিন্তু এই মৌসুমে কাজল লাগালে তা গরমের কারণে ছড়িয়ে পরে চোখের চারপাশে। দেখতে বিশ্রী লাগে। কিন্তু তাই বলে তো কাজল লাগানো বন্ধ করা যায় না। উপায় খুঁজতে হয় কাজল ছড়ানো বন্ধের। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কাজল ছড়ানো বন্ধ করার দারুণ সহজ উপায়।

• প্রথমে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে ত্বক শুকিয়ে নিয়ে কাজল লাগাবেন। এতে করে কাজল লাগানোর সময় ছড়বে না।
• একটুকরো বরফ ঘষে নিয়ে ত্বক শুকিয়ে কাজল লাগাতে পারেন। এতে অনেকটা সময় কাজল ঠিক থাকবে।
• কাজল লাগানো হলে চোখের আশেপাশের ত্বকে পাউডার বা ফেইস পাউডার লাগান। পাউডার ত্বকের আদ্রতা শুষে নেবে এবং কাজল ছড়বে না।
• চোখের নিচের দিকে লাগানো কাজল সব চাইতে বেশি ছড়িয়ে যায়। তাই চোখের নিচে কাজল না লাগিয়ে কালো অথবা গাঢ় রঙের আইশেড দিয়ে চোখ আঁকুন।
• যাদের ত্বক বেশ তৈলাক্ত তারা সাথে কিছু কটন বাড রাখুন এবং মাঝে মাঝে চোখের আশেপাশের ত্বকের ওপর বুলিয়ে নিন। এতে তৈলাক্ত ত্বকেও কাজল ছড়বে না।

মেঘ

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪

ব্রণ দূর করার ১০টি ভেষজ উপায


ত্বকের মরা কোষ, ময়লা,দূষণ এবং শারীরিক নানা সমস্যার কারণে আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধুলা ময়লা ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে। ফলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। বিশেষ করে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেশি থাকলে তা সহজেই ময়লা আকর্ষণ করে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। অনেকেই নোংরা হাতে ব্রণ খুঁটে থাকেন। এটা একেবারেই উচিত নয়, এতে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং দাগ পড়ে যায়। ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রইল ব্রণের হাত থেকে নিস্তার পাবার কিছু ভেষজ উপায় -

১) ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।

২)পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট এরপর ধুয়ে ফেলুন।

৩)পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সাথে ত্বকের জ্বালাপোড়াও দূর করবে।

৪) লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে তা খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৫) টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৬) নিমপাতা খুব ভালো জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সাথে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ পর ধুয়ে ফেলুন।

৭) যাঁদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দুই তিনবার ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৮)ধনিয়াপাতাও ব্রণ সারাতে কার্যকর। ধনিয়াপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ পর ধুয়ে ফেলুন।

৯) ১ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। পানির পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

১০)গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৪

ক্লিনজিং লোশন তৈরী করুন ঘরে বসেই


ত্বক পরিষ্কার থাকলে ব্রণসহ অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায় অনেকাংশেই। ক্লিনজিং লোশন ত্বক পরিষ্কার রাখতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার মুখ ও ত্বক পরিস্কার রেখে আপনাকে করবে উজ্জ্বল। বাজারে নানা রকম ক্লিনজিং লোশন পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া কিছু জিনিস দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্লিনজিং লোশন।

এর জন্য আপনার লাগবে:
• দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়া
• চার টেবিল চামচ চায়ের লিকার
• এক টেবিল চামচ মধু
এই উপাদানগুলো একটি পরিষ্কার ছোট বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পুরো মিশ্রণটি একটা ঘন লোশনে পরিণত হবে।
এবার উক্ত লেশন আপনার শরীরের খোলা অংশগুলোতে যেখানে আপনার প্রয়োজন সেখানে লাগান।
লোশন লাগিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে পরিষ্কার নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

বাজরে যেসব ক্লিনজিং লোশন পাওয়া যায় এই প্যাকটি এদের সমান উপকারী হিসাবে কাজ করে। সপ্তাহে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আপনার ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আপনি চাইলে বেশি করে বানিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষন করতে পারবেন।

মেঘ

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

ফর্সা, মসৃণ ও দ্যুতিময় ত্বকের জন্যে ১০টি টিপস

১/ বেসন, লেবুর রস ও কাঠবাদাম একসাথে পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ, কালোদাগ দুর করতে সহায়তা করে। কাজু বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

২/ কলা ও দুধ একত্রে পেস্ট করে মুখে ও ঘাড়ে ১৫ মিনিট রেখেদিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃন করতে কলার কোন জুড়ি নেই।

৩/ মধুর ঔষধি গুনের কথা কে না জানে। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন করতেও মধু খুব কার্যকর। দই, মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। এতকিছু হাতের কাছে না থাকলে শুধু মধুই ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

৪/ আলু বা টমেটো শুধু ভাল সবজীই নয় বরং এক একটা রং ফর্সাকারী এজেন্ট। আলু এবং টমেটো পেস্ট প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনি পাবেন দ্যুতিময় ত্বক।

৫/ মসুরের ডাল, দুধ লেবুর রস এবং চালের গুড়া একসাথে পেস্ট করলেই হয়ে যাবে সুন্দর ও কার্যকরী স্ক্রাব। সপ্তাহে তিন দিন ব্যাবহার করুন। আপনার ত্বক হবে আরো পরিষ্কার।

৬/ ডিমের সাদা অংশ ও মধু একসাথে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখুন। তার পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান ভাব আনতে সাহায্য করবে এই ফরমুলা।

৭/ এক চামচ চিনির সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে আলতো ভাবে মুখে ডলতে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত চিনি পুরোপুরি গলে না যায়। এমনকি পুরো শরীরেও লাগাতে পারেন।

৮/ শিশুদের মত কোমল ও মসৃন ত্বক পেতে দুই চামচ চিনির মধ্যে তিন চামচ বেবী ওয়েল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৯/ মুখে ব্রনের দাগ থাকলে কর্ণফ্লাওয়ার এবং শসার মিশ্রন তৈরী করে প্রতিদিন মাখতে থাকুন। দ্রুত ভাল ফল পাবেন।

১০/পানি, সবুজ সবজী, ফলের রস, মাছ, ডিম রক্ত পরিষ্কার করে থাকে তাই এইগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে খেতে হবে।

**** দিনের বেলায় বাইরে যাবার আগে সানস্ক্রীন (SPF-30) না লাগালে উপরে বর্নিত সবগুলো উপায়ই ব্যর্থ হতে পারে। এমনকি বাসায় ও সানস্ক্রীন (SPF-15) ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে যারা রান্নবান্না করে থাকেন।

মেঘ

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪

টিপস

অনেক সময় নেইল পলিশ লাগাতে গিয়ে এর কিছুটা মেঝেতে পড়ে যায়। আবার কখনো কখনো পুরো বোতলটাই ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে মেঝেতে নেইল পলিশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। মেঝেতে নেইল পলিশ পড়ে গেলে সেটা ওঠানো খুবই ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। আজ জেনে রাখুন, খুব সহজেই মেঝে থেকে নেইল পলিশ ওঠানোর আছে একটি ভীষণ সহজ উপায়। আর তার জন্য লাগবে অল্প একটু চিনি!

মেঝেতে নেই পলিশ পড়ে গেলে যেই স্থানে নেইলপলিশ পড়েছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে চিনি ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। নেইলপলিশ উঠে আসবে খুব সহজেই।

মেঘ

এই সময়ে ত্বকের যত্নে ৩ টি ফেইসপ্যাক



বসন্তের আগমনে সাজছে প্রকৃতি। শীতের রুক্ষতা কাটেনি এখনও, আবার বসন্তের হাওয়াও ঠিকমত দোলা দিচ্ছে না। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে দেখা দেয় ত্বকের নানা সমস্যা। কড়া রোদ এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বকে পড়ে দাগ এবং শুরু হয় ব্রনের সমস্যা। এই সময় ত্বকের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ত্বকের সুরক্ষায় সময় উপযোগী ৩ টি ফেইস প্যাক।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে টমেটো ফেইসপ্যাক

এই সময় আবহাওয়া অনেক রুক্ষ হওয়ায় ধুলোবালি বেশি হয়। এতে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। ধুলোবালি ত্বকে আটকে গিয়ে সৃষ্টি করে ব্রণের। এই সমস্যা সমাধানে তৈরি করুন টমেটো ফেইস প্যাক।

১ টি টমেটো টুকরো করে কেটে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন। এরপর এতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ১৫ মিনিট। এরপর ৫ মিনিট ত্বকে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বকের সমস্যার সমাধান হবে।

শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বকের যত্নে কাঠবাদাম এবং মধুর ফেইসপ্যাক
শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক কালো হয়। এই সমস্যার জন্য ব্যবহার করুন কাঠবাদাম এবং মধুর এই ফেইসপ্যাকটি।

৭/৮ টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বক ফাটা এবং ত্বকের কালো দাগ দূর হবে।

সাধারণ ত্বকের জন্য হলুদের ফেইসপ্যাক
যাদের ত্বক সাধারণ তারা এই সময় একটু বেশি সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে যায়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

একটি বাটিতে ৩ চা চামচ চালের গুড়ো, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চামচ মধু এবং পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় শসার রস দিন। এরপর এটি খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে উঠলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন এই ফেইসপ্যাকটি।

মেঘ

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

আজীবনের জন্য নিখুঁত ত্বক ৬ রকমের তেলে!

শীত এবং শীত শেষের শুষ্ক রুক্ষ আবহাওয়া ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া দূষিত পরিবেশ ত্বকের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ, কালো ছোপ, শুষ্কতা এই সবই ত্বকের সমস্যা। এছাড়াও ত্বকে বয়স জনিত দাগ, রিঙ্কেলও অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। শুধুমাত্র মুখেই নয়, এই ধরণের ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় পুরো দেহে। কিন্তু খুব সহজেই এইসব ধরণের সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। কীভাবে, জানতে চান? কিছু তেলের ব্যবহারে।

অবাক হলেন? অবাক হলেও সত্যি তেল আমাদের ত্বকের যতটা উপকার করতে পারে তা কোন নামি দামী ক্রিম বা লোশন পারে না। তবে দেখে নিন ত্বকের যত্ন-আত্তির জন্য কার্যকরী ৬ ধরণের তেল। এই তেল গুলোই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনাকে দিতে পারবে নিখুঁত ত্বক। আজীবনের জন্য!

নারকেল তেল
নারকেল তেল আমরা ব্যবহার করে থাকি চুলের যত্নে। কিন্তু এই নারকেল তেলের ব্যবহার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও হাত পায়ের ত্বককে মসৃণ ও কোমল করতে ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল। ছেলেদের শেভিং ক্রিমের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল।

সূর্যমুখী তেল
সূর্যমুখী বীজ অনেকেই খেয়ে থাকেন এর অসাধারণ স্বাদের জন্য। কিন্তু এই বীজ থেকে যে তেল হয় তা আমাদের ত্বকের কতোটা কার্যকরী সেটা অনেকেই জানেন না। সূর্যমুখী তেল খুব ভালো একটি প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। তা ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে করে মসৃণ ও সুন্দর।

কাঠ বাদাম তেল (আলমন্ড অয়েল)
কাঠ বাদাম তেল শুধুমাত্র চুলকে ঝলমলে উজ্জ্বল করতেই নয় ব্যবহার হয় ত্বকের সমস্যা সমাধানে। ত্বকের বয়স জনিত চাপ দূর করতে কাঠ বাদামের তেল অনেক বেশি কার্যকরী। কাঠ বাদামের তেলের সাথে খানিকটা মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা ফেইস প্যাক মুখের বয়সের ছাপ এবং রিঙ্কেল দূর করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বককে কোমল উজ্জ্বল এবং নরম করে কাঠ বাদামের তেল।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল রান্নায় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। এর পাশাপাশি অলিভ অয়েল ত্বকের মহাঔষধ হিসেবেও কাজ করে। অলিভ অয়েল সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। এছাড়াও অলিভ অয়েলের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকে যে কোন ধরণের ইনফেকশন দ্রুত ঠিক করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে ত্বকে আসে দীপ্তি।

তিলের তেল
হাড় মজবুত করার জন্য তিলের তেলের মালিশের গুণ প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু তিলের তেল ত্বকের জন্যও অসাধারণ একটি উপাদান। তিলের তেলের রয়েছে ত্বক ফাটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে নিজের ইলাস্টিসিটি ফেরত পায়। এতে করে ত্বক ফাটার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় রুক্ষ আবহাওয়াতেও।

গোলাপের তেল
শুনতে নতুন শোনালেও ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। তৈলাক্ত ত্বকে অন্যান্য সকল ধরণের তেল ব্যবহার করা না গেলেও গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় অনায়েসে। গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। গোলাপের তেল ত্বক ঝুলে পরার হাত থেকে রক্ষা করে। এবং এই তেল ব্রণের বিরুদ্ধেও কাজ করে।

মেঘ



শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

স্বল্প খরচে ঘরেই তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক বডি স্ক্রাব



ত্বকের সৌন্দর্যে স্ক্রাবের ব্যবহার কতটা জরুরী তা সবাই জানি। কিন্তু সময়ের অভাবে ও আলসেমির জন্য আমরা শুধুমাত্র মুখ হাত ও পায়ের নিচের দিকের কিছু অংশকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু পুরো দেহের ত্বকের যত্নও তো নিতে হবে। তা না হলে দেখতে যেমন বিশ্রি লাগবে আবার ভালো মত পরিষ্কার না হলে ত্বকে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।

দেহের জন্যও লাগবে স্ক্রাব। যাতে দেহের ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা ময়লা দূর হয় সহজে। এবং ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। চিন্তা করবেন না। দেহে ব্যবহারের জন্য স্ক্রাব কিনতে দোকানে ছুটতে হবে না এখনই। ঘরে বসেই রান্নাঘরের কিছু টুকিটাকিতেই তৈরি করে নিতে পারবেন বডি স্ক্রাব। যা হবে সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত। ত্বকও থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

কফি স্ক্রাব
কফি একটি খুব ভালো রিফ্রেশমেন্ট পানীয় হিসেবে বেশি জনপ্রিয় হলেও এর রয়েছে অন্যান্য অনেক গুনাগুন। ক্যাফেইনের রয়েছে ত্বকের উপরিভাগের ময়লা গভীর থেকে দূর করার একটি অতুলনীয় গুণ। দেহের ত্বক একটু মোটা হয় বলে স্ক্রাবটাও একটু ভারি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে কফি বেশ কার্যকরী।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ কাপ কফি (হালকা গুঁড়ো করে নেয়া)
১ কাপ বড় দানার চিনি
১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল
১ টেবিল চামচ লবন
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
সব কটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন একটি পাত্রে। ভালো করে মেশাবেন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার কফি স্ক্রাব। গোসলের সময় ব্যবহার করুন এই স্ক্রাবটি পুরো দেহে। চাইলে বোতলে ভরে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন এই স্ক্রাব।

চকলেটের স্ক্রাব
চকলেট সবাই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি চকলেট ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি নারিশমেন্ট উপাদান? বলতে গেলে ত্বকের খাদ্যের মত কাজ করে চকোলেট।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ কাপ চিনি
১/২ কাপ কোকো পাউডার
১/২ কাপ কেনোলা অয়েল/ অলিভ অয়েল
কোকো পাউডার ও চিনি মিশিয়ে নিন প্রথমে। একদম শেষে অয়েল মেশাবেন। এই স্ক্রাব ব্যবহার করুন ত্বকে ভালো করে ঘুরিয়ে মেখে। ২০ মিনিটের মত স্ক্রাব করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কাঠ বাদাম ও কমলালেবুর খোসার স্ক্রাব
কাঠবাদাম ও কমলালেবুর খোসার স্ক্রাবটি ত্বকের মরা কোষ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ মুঠি কাঠবাদাম
১ টি কমলালেবুর খোসা
১ কাপ অলিভ ওয়েল
সব কটি উপাদান ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বেটেও নিতে পারেন। খুব ভালো করে বাটুন ও ব্লেন্ড করুন। এই স্ক্রাবটি দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন ৮-১০ মিনিট। ত্বকের সৌন্দর্য নিজেই দেখতে পাবেন।

মেঘ