শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রান্নাবান্নার ভুল গুলোকে "শুধরে" নেয়ার কিছু টিপস!


রাঁধতে গিয়ে ছোটখাট ভুল অতি বড় রাঁধুনিও করেন। আপনিও করেন নিশ্চয়ই? কী করবেন তরকারিতে তেল বা লবণ বেশি হয়ে গেলে? কিংবা কী করবেন ফ্রিজে পড়া থাকা বাসি লাড্ডুগুলো দিয়ে? সরষে বাটা থেকে তিতকুটে দূর করবেন কী করে? নেতিয়ে পড়া লেটুস গুলো তাজা করার কোনো উপায় আছে কী? আর পোলাওতে তেল বেশি হয়ে গেলেই বা কমাবেন কীভাবে? এমন বিচ্ছিরি সমস্যা দূর করার টিপস নিয়েই আমাদের আজকের এই ফিচার!

আসুন জেনে নিই এইসব ভুলকে ঠিক করার উপায় :

(১)অনেক সময় তরকারিতে তেল বেশি হয়ে যায়। কী করবেন তখন? প্রথমে তরকারিটি ঠান্ডা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নামতে দিন। তারপর পরিমাণ বুঝে নিয়ে ছেড়ে দিন কয়েক টুকরো বরফ। কয়েক সেকেন্ড পর দেখবেন বরফের শরীরে বসে গেছে বাড়তি তেল। তাড়াতাড়ি বরফ তুলে ফেলে দিন। আবার গরম করে নিন তরকারি।

(২)দুধ যদি ফেটে যায় অথবা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুরোপুরি ছানা তৈরি করে চিনি মিশিয়ে জ্বাল করে নিন। চমত্কার নাশতা তৈরি হবে, মিষ্টিও তৈরি হবে।

(৩)সরষে ইলিশ! নাম শুনলেই জল আসে মুখে কিন্তু অনেক সময় বাটা সরিষায় থাকে তিতকুটে স্বাদ।এটা রোধ করতে বাটার সময় সামান্য লবণ ও কাচামরিচ দিলে তিতা ভাব চলে যায়।

(৪)তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে ফেললে এক দলা ময়দার খামির তরকারিতে ছেড়ে ফুটতে দিন। পরে ময়দার দলাটি তরকারি থেকে তুলে ফেলে দিন। তরকারির অতিরিক্ত লবণ কমে যাবে।

(৫)ডিম সিদ্ধ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে ফেটে সাদা অংশ বের হয় পড়ে। সেক্ষেত্রে এক চিমটি লবণ পানিতে দিয়ে সেই পানিতে ডিম সিদ্ধ করুন। ডিম ফাটবেনা।

(৬) মাংস সিদ্ধ না হলে কাঁচা পেঁপের টুকরো ফেলে দিতে পারেন মাংসের হাঁড়িতে অথবা সুপারির বড় টুকরা ফেলে দিন। আবার রান্না শেষে সুপারির টুকরোটি তুলে ফেলুন।

(৭) কেক বানাতে গিয়ে যদি ডিমের পরিমান কম থাকে তাহলে একটু র্কণফ্লাওয়ার ব্যবহার করে দেখবেন ডিমের ঘাটতি কেটে গেছে।

(৮) লাড্ডু জাতীয় মিষ্টি বেশি দিন ঘরে রাখলে বাসি হয়ে যায়। খেতেও ভালো লাগেনা। তাই এই লাড্ডুগুলো হাত দিয়ে ভেঙে অল্প দুধে ফুটিয়ে নিন। চমত্কার পায়েস তৈরি হবে।

(৯) নেতিয়ে পড়া লেটুস পাতা তরতাজা করতে হলে একটি আলুর খোসা ছাড়িয়ে কুচিকুচি করে লেটুসপাতাসহ ঠান্ডা পানিতে ছেড়ে দিন।

(১০) অসাবধানতা বশত পোলাও রান্না শেষে দেখলেন খুব বেশি নরম বা জ্যাবজ্যাবে হয়ে গেছে, তখন একটুও মন খারাপ না করে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে বিছিয়ে তার ওপর পোলাও ঢেলে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন পোলাওয়ের জ্যাবজ্যাবে ভাবটি তোয়ালেতে টেনে কেমন ঝরঝরে করে তুলেছে।

আজ থেকে এইসব ছোট খাটো সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই আর ভাবাবে না আপনাকে, তাই না?

মেঘ

ঘরে বসে হেয়ার স্পা


ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায়। চুলের আকর্ষণই অন্য রকম। সুন্দর একটু চেষ্টা করলে পার্লারে না গিয়ে ঘরে বসেই নেওয়া যেতে পারে চুলের যত। এতে চুল হবে সুন্দর, মজবুত, ঝলমলে আর আকর্ষণীয়।

হেয়ার স্পা চুল সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার এক বিশেষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রথমে আপনার চুল কি ধরনের, মানে চুল তৈলাক্ত না শুষ্ক, স্ক্যাল্পে কোনো সমস্যা আছে কিনা এগুলো টেস্ট করা হয়। তারপর অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, কন্ডিশনার ব্যবহার করে স্ক্যাল্প চুল নরম ও মসৃণ করে তোলা হয়। শ্যাম্পু করার পর ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট ম্যাসাজ করা হয়।
হেয়ার স্পাতে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করে পুরো চুলের স্পা করতে পারেন।
সাধারণত বিউটি পালারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরা হেয়ার স্পা করে থাকেন। তবে বাড়িতেও হেয়ার স্পা করতে পারেন।

কখন হেয়ার স্পা করা জরুরি:

নিচের কয়েকটি প্রশ্নের চটপট উত্তর দিয়ে ফেলুন। ২-৩টি প্রশ্নের উত্তর মিলে গেলে বুঝবেন আপনার জন্য হেয়ার স্পা জরুরি।

আপনার স্ক্যাল্প কি প্রায়শই চুলকায়, এমনকি শ্যাম্পু করার পরও?

চুল একেবারে নিস্তেজ ও নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে, কোনো চকচকে ভাব নেই? চুলের ডগা ফেটে গেছে ও খুব রুক্ষ হয়ে পড়ছে কি?

প্রায়শ চুলে জট পাকিয়ে যায়, চুল এলোমেলো হয়ে পড়ে? আপনি কি খুব স্ট্রেসড?

হঠাৎ চুলে খুব খুশকি হচ্ছে? কয়েক মাসে চুলে কালার বা কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেছেন কি?

বাড়িতে বসে কিভাবে হেয়ার স্পা করবেন:

বাড়িতে হেয়ার স্পা করতে লাগবে-
১ মাইল্ড হার্বাল শ্যাম্পু
২ প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ,
৩ তোয়ালে,
৪ বড় দাঁড়ার চিরুনি,
৫ হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের কতকগুলো উপকরণ।

চুল ময়লা হলে প্রথমে চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। চুল পরিষ্কার থাকলে হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের উপকরণগুলো সহজে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করবে।

শ্যাম্পু করার পর ভালো করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। চুলের ভিজে ভাব কমে গেলে চুল আঁচড়ান। চুলের আগা থেকে জট ছড়াতে শুরু করুন। প্রথমে চুলের উপরের অংশ থেকে জোরে জোরে চুল আঁচড়াবেন না।
হেয়ার মাস্ক বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন।

হেয়ার মাস্ক তৈরির উপকরণ:
ডিম ১টি, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ১ চা-চামচ গি্লসারিন বা মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এগ বিটার দিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন।

স্ক্যাল্পে ও চুলে এই মিশ্রণ ভালো করে লাগান। পরে প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। ১ ঘণ্টা পর আবারও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

৪ কাপ পানিতে ব্যবহার করা চা-পাতা দিয়ে ভালো করে ফোটান। এই মিশ্রণের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। ঠাণ্ডা করুন। শ্যাম্পুর পর হেয়ার রিন্স হিসেবে এটি ব্যবহার করুন। এতে চুল চকচকে ও পরিষ্কার হবে।

হেয়ার স্পার পর কিভাবে চুল মেনটেইন করবেন:

শুষ্ক চুলে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন অয়েল ম্যাসাজ করুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশি কেমিক্যালসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। চুলের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শ্যাম্পুর পর নারিশিং-ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। মাসে একবার ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ইলেকট্রিক কার্লার বা ড্রায়ার ঘনঘন ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।



মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ত্বকের জন্য মধুর ৩ টি মাস্ক

মধু আমরা সকলেই চিনি। প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে। সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্যচর্চা সব কিছুতেই রয়েছে মধুর ব্যবহার। আসুন দেখে নেয়া যাক সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত মধুর ৩ টি মাস্ক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে মধুর মাস্ক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ১/৪ কাপ মধু, ৩ চা চামচ গোলাপজল। একটি পাত্রে মধু এবং গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আঙুলের মাথায় নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন ভালো করে। প্রায় ১৫ মিনিট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে দ্রুত।

ত্বকের দাগ দূর করতে মধু
একটি মাঝারি আকারের পাকা টমেটো ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাত্রে ব্লেন্ড করা টমেটো ঢেলে নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি পুরো মুখে লাগান ভালো করে। ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে এই মাস্কটির জুড়ি নেই। এছাড়াও এই পেস্টটি কাটা দাগ হালকা করতে বেশ কার্যকর।

ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে মধুর মাস্ক
ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত দাগ এবং রিঙ্কেল দূর করতে এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন সকলেই। এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২।৩ টেবিল চামচ মধু এবং সমপরিমাণ দুধ। মধু এবং দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। "ফাইন লাইন" এবং রিঙ্কেল দূর হবে।

মেঘ

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সুন্দর ত্বকের জন্য ৫টি দারুণ খাবার


দেহের সুস্থতার জন্যে আমরা কত কিছুই তো করে থাকি। আর এর প্রভাব অবশ্যই পড়ে ত্বকে। আর ত্বকের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটু বেশিই যত্ন বরাদ্দ করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, যেসব নামী দামী প্রসাধনী আপনার ত্বকের উপকার করছে বলে ভাবছেন, সেগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়াটাই বেশি? সুন্দর ত্বকের জন্য এত কিছু প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন কেবল সঠিক খাবারের। এমন কিছু খাবার, যেগুলো খাওয়া এবং ত্বকে মাখা উভয়ই বেশ উপকারী। এগুলো আপনার ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও সুস্থ।

জেনে নিন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

অলিভ অয়েলঃ
সেই প্রাচীণকাল থেকেই কিন্তু রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার হত। প্রাচীণ রোমানরা ত্বকচর্চায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতো।রাতে ঘুমাবার আগে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন অলিভ ওয়েল। এটা আপনার ত্বককে করবে কোমল ও উজ্জ্বল। আরো ভাল ফল পেতে সালাদের সাথে মিশিয়ে নিন খানিকটা অলিভ তেল। ত্বক, স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভালো।

স্ট্রবেরীঃ
আপনি কি জানেন, স্ট্রবেরীতে আছে কমলা বা আঙ্গুরের চেয়ে বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্যে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে ত্বককে করে তোলে কোমল আর লাবণ্যময়।এছাড়া দই ও মধুর সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকেও! পেয়ে যান সহজেই কোমল প্রাকৃতিক ত্বক।

গ্রীন টিঃ
গ্রীন টি এখন যথেষ্ট সহজলভ্য। এটি শুধু আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এমনকি এটা স্কিন ক্যান্সারকেও রাখে ১০০ হাত দূরে। গ্রীন টির ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটা আপনার চোখের কালি ও ফোলাভাব দূর করবে খুব সহজে!

বেদানাঃ
আপনি কি জানেন, বেদানার রস গ্রীন টির চেয়ে দ্রুত কাজ করে আপনার ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দিতে। রোজ খানিকটা বেদানা আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। খাবার পাশাপাশি খানিকটা ওটমিলের সাথে বেদানার রস মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট। ব্যস! নিমেষেই পেয়ে যান সুন্দর ত্বক।

মিষ্টি কুমড়াঃ
আপনি কি জানেন এই অতি পরিচিত সবজিটি আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। কুমড়ায় আছে ভিটামিন এ ও সি এবং প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই খাবারটি। খাবার পাশাপাশি, কুমড়োর পেস্ট বানিয়ে খানিকটা টকদই ও মধু মেশান ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। দেখবেন ত্বক হয়ে উঠেছে নরম ও কোমল।

এবার এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, সহজেই!

মেঘ

চুলের ৪টি সমস্যা সমাধানে মেহেদির অসাধারণ ব্যবহার!


হাত রাঙানোর কাজটি ছাড়াও চুলের যত্নে মেহেদী পাতার ব্যবহার অনেক প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি, চুল বড় করার জন্য মেহেদী পাতার জুড়ি নেই। সুন্দর, স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল চুলের পাশাপাশি মেহেদী মাথা ঠাণ্ডা রাখতেও বেশ কার্যকরী। চুলের জন্য মেহেদী পাতা সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। বাজারে এখন পাওয়া যায় মেহেদী পাতা গুঁড়ো। সেগুলোও বেশ ভালো কাজে দেয়। মেহেদী পাতার এই অসাধারণ যত্ন কথা নিয়েই আজকে আমাদের লেখা। আসুন দেখে নিই চুলের যত্নে মেহেদী পাতার বিশেষ কিছু ব্যবহার।

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদী
ঘন কালো উজ্জ্বল চুল পেতে কার না মন চায়। কিন্তু আবাহাওয়ার বিরূপ অবস্থা এবং কাজের ব্যস্ততার জন্য চুলের দিকে খেয়াল রাখার সময় হয় না কারোরই। কিন্তু মেহেদী পাতা ব্যবহারে খুব সহজেই পেতে পারেন স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল ঘন কালো চুল।

১ কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা বাটা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২/৩ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধবেন। মাসে মাত্র ২ বার ব্যবহার করুন চুলে মেহেদী পাতা। দেখবেন চুল অনেক ঘন এবং কালো হয়ে গিয়েছে।

চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে মেহেদী
মেহেদী চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করে চুলের রুক্ষতা এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে। ১ কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি। ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। স্পতাহে ১ দিনের ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে।

সাদা চুল ঢেকে ফেলুন মেহেদী ব্যবহারে
মেহেদী সাদা চুলের জন্য অসাধারণ হেয়ার কালারের কাজ করে। অনেকের অল্প বয়েসেই মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুলের সাদাটে ভাব দূর করতে পারবেন। প্রথমে ২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ। এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।

খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতা
খুশকির সমস্যায় কম বেশি সকলেই পরে থাকেন। এই নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ও পরেন অনেকে। এই সমস্যার সমাধান করবে মেহেদী। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন। পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবে চুল খুব দ্রুত।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

লালের ছোঁয়ায় মেতে উঠুন ভালোবাসা দিবসে

বিশ্বের সকল মানুষের জন্য ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম একটি দিন ভ্যালেন্টাইনস ডে। এই দিনটিতে শত ঝামেলার মাঝেও প্রিয় মানুষটির সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন সবাই। প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন। শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য নয় এই ভালোবাসা প্রকাশ সকলের জন্য ।

সে রকমই শুধু প্রেমিকের সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য বিশেষ সাজগোজ করতে করতে হবে এমন কোন কথাই নেই। যে কেউই নিজেকে মনের মত করে সাজতে পারেন এই দিনে। আর মনের মত সাজতে ভ্যালেন্টাইনস ডেটাকে একটু বিশেষ করে তুলতে সাজগোজে আনতে পারেন লালের ছোঁয়া।

পোশাকে লাল রঙ
ভ্যালেন্টাইনস ডেতে যে কেউ একটি রক্তলাল রঙের পোশাকে নিজেকে সাজাতে পারেন অসাধারণ করে। পোশাকটি হতে পারে লাল শাড়ি অথবা লাল সালোয়ার কামিজ কিংবা একটি লাল ফতুয়া। এছাড়াও বর্তমানের ফ্যাশান ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে পড়তে পারেন একটি লাল প্যান্ট, সুন্দর একটি টপসের সাথে। দেখতে বেশ ভালো লাগবে। আর লাল পোশাকে মেয়েদের যে আকর্ষণীয় লাগে তা তো সর্বজন স্বীকৃত।

সাজগোজে লাল
লাল রঙের লিপস্টিকের ট্রেন্ড আর কিছুদিন পর থেকেই দখল করে নেবে কমলা রঙ। তাই এই ভ্যালেন্টাইনস ডেতে ঠোঁট রাঙ্গিয়ে নিন লাল রঙে। লাল রঙের লিপস্টিকের একটি বড় গুণ হলো পুরো মুখটি বেশ ফ্রেশ লাগে দেখতে। নখ রাঙাতে পারেন লাল নেইলপলিশে

গহনায় লালের ছোঁয়া
শাড়ি কিংবা একটু গর্জিয়াস পোশাকের সাথে লাল রঙের পাথরের গহনা বেশ ভালো লাগে দেখতে। আপনি যদি ওয়েস্টার্ন ধাঁচের পোশাক পড়েন তবে কানে ছোট লাল পাথরের কানের টব বেশ ভালো মানাবে। কিংবা হাতে লাল চুড়ি অথবা লাল ব্রেসলেট পরে দেখুন। একটু চেষ্টা করেই দেখুন না। নিজেকে নতুন করে সাজাতে পারবেন লাল রঙ দিয়ে।

লাল রঙের ব্যাগ ও বেল্ট
যদি নিজেকে পুরোপুরি লাল রঙে রাঙাতে বেশি ভালো না লাগে তবে পোশাক-আসাকের সাথে মিলিয়ে হাতে নিতে পারেন লাল রঙের ক্লাচ ব্যাগ অথবা লাল বড় সাইড ব্যাগ। কিংবা ওয়েস্টার্ন ধাঁচের পোশাকে যোগ করতে পারেন একটি বেল্ট। দেখবেন নিজেকে উপস্থাপন করতেই বেশ লাগছে।

মেঘ



মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার


শীতকালীন সবজি টমেটো এখন সারাবছরের সবজি হিসেবে সব সময়ই দেখতে পাওয়া যায়। পাকা টমেটো অনেকেই বেশ পছন্দ করে খেয়ে থাকেন। টমেটোর সবচাইতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় যদি টমেটো কাঁচা খাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ১ টি কাঁচা টমেটো আপনাকে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। টমেটোর রয়েছে আরও একটি গুণ। আর তা হলো টমেটো রূপচর্চার জন্য বেশ কার্যকরী একটি সবজি। রূপচর্চায় নানান ভাবে টমেটো ব্যবহার করা যায়। আসুন তবে দেখে নিই টমেটোর এমনই কিছু ব্যবহার।

রোদে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে টমেটো
রোদে পোড়া দাগ ও রোদের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য সবচাইতে বেশি কার্যকরী এই টমেটো। একটি গোটা টমেটো দুভাগ করে কেটে নিয়ে বিচির দিকের অংশ মুখে গলায় ও হাতে ঘষে নিন ভালো করে। রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনের বাবহারে দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে আরও উজ্জ্বল করবে।

ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল দূর করতে টমেটো
ডার্ক সার্কেল ও বয়সের ছাপ জনিত রিঙ্কেল দূর করতে টমেটোর জুড়ি নেই। একটি টমেটো চিপে এর রস বের করে রাখুন একটি পাত্রে। এরপর এতে দিন সমপরিমাণ লেবুর রস। ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে ও রিঙ্কেলের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর সাধারণভাবেই ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দূর হবে ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল।

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটো
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটোর ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন যাবত। ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস, ১ টেবিল চামচ কমলালেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ শসার রস দিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ। মুখের ত্বক ভালো করে পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

মেঘ

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ঘরেই তৈরি করুন ত্বকের রঙ "ফর্সা" করার ক্রিম



আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বকের রঙের উজ্জলতার জন্য আফসোস করেননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু আফসোসই নয়, অনেকে তো রঙ চঙে রঙ ফরসাকারি ক্রিমের বিজ্ঞাপন দেখে সেই ক্রিম কিনে মুখে লাগান দিনের পর দিন। কিন্তু এতে লাভ হয় কতোটুকু, তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? হয়তো কিছুটা পরিবর্তন নজরে পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এইসব রঙচঙে বিজ্ঞাপনের ক্রিম শুধুমাত্র টাকা জলে ফেলার সমান।

অনেক ধরণের ফেস প্যাক রয়েছে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য। কিন্তু অনেকেই ফেস প্যাকের চাইতে ক্রিমের প্রতিই ভরসা রাখেন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল একটি রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম যা সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত এবং বেশ কার্যকরী। বেশ সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারবেন এই ক্রিমটি।

উপাদানঃ

দেড় কাপ ঘরে তৈরি চিনি ছাড়া দই
৩/৪ টি কাঠ বাদাম
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ মধু
১ চিমটি হলুদ গুড়ো

ঘরে চিনি ছাড়া দই তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ফেলুন। এরপর এই দুধটুকু ঠাণ্ডা হতে দিন।
•একটি পাত্রে দুধ ঢেলে নিয়ে ঠাণ্ডা দুধে ৩/৪ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পাত্রের মুখ পরিষ্কার পাতলা কাপড় কিংবা স্বচ্ছ প্ল্যাস্টিক দিয়ে ভালো করে বেঁধে ফেলুন।
•এরপর এই পাত্রটি গরম কিন্তু অন্ধকার স্থানে রাতভর রেখে দিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল দই।

ক্রিম তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে কাঠ বাদামগুলো পিষে নিন । চাইলে পাটায় বেটে নিতে পারেন। কিন্তু পাটা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেবেন। একদম মিহি গুঁড়ো করতে হবে।
•এরপর কাঠবাদাম গুড়ো, মধু, দই, লেবুর রস এবং হলুদ গুড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন।
•ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
•এই ক্রিম ফ্রিজে একটি ঢাকনাযুক্ত কৌটায় সংরক্ষণ করতে পারবেন ৭ দিন।
•এই ক্রিম শুধু রাতে লাগাবেন। দিনে এই ক্রিম লাগাবেন না। কারণ হলুদ এবং লেবুর রস সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি করবে।

মেঘ

মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জেনে নিন ব্ল্যাকহেডস দূর করার "ব্যথামুক্ত" পদ্ধতি




নাকের উপরে, নাকের আশেপাশে ও ঠোঁটের নিচে বেশিরভাগ মানুষেরই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডস হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বক নোংরা, অনুজ্জ্বল ও কালো দেখায়। এছাড়াও ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকলে ত্বক অমসৃণ থাকে এবং সহজে মেকআপ বসতে চায় না। যাদের ব্ল্যাকহেডস হয় তারা পরিষ্কার করতে রীতিমত হিমসিম খান তা বলাই বাহুল্য। একবার হলে সহজে যেতে চায়না ব্ল্যাকহেডস, পার্লারে গিয়ে পরিষ্কার করালেও কিছুদিন পরেই আবারো ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব শুরু হয়। তাছাড়া বারবার পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করানোও বেশ খরচের ব্যাপার। আরও খারাপ বিষয়টি হচ্ছে, এই ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক।

বেশ সহজেই ঘরেই পরিষ্কার করে ফেলা যায় ব্ল্যাকহেডস। ঘরোয়া ফেস প্যাক ব্যবহার করেই বিচ্ছিরি ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যথা বিহীন ঘরোয়া পদ্ধতি।

উপকরণঃ
১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

পদ্ধতিঃ

প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন।
শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি।
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।
শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে।
সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।

মেঘ

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সমস্যা অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের? পার্লারে নয়, সমাধান হোক ঘরেই!

সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, ঝলমলে চুল সবারই কাম্য। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত কেমিকেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুর ব্যবহার, নিত্যনতুন চুলের স্টাইল পরিবর্তন, চুলে কালার করা এইসব মিলিয়ে দিন দিন চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও খসখসে। চুলের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা শেষ হয়ে যায় একেবারেই। অনেকেই এই ধরণের অতিরিক্ত রুক্ষ চুল থেকে রেহাই পেতে শরণাপন্ন হন ডাক্তারের কেউ যান পার্লারে। আবার অনেকেই রঙ-চঙে বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে ব্যবহার করেন নামি দামী ব্র্যান্ডের হেয়ার প্রোডাক্ট। কিন্তু এত ঝামেলায় না গিয়ে বাসায় বসে একটু সময় বের করেই আপনি চুলের রুক্ষতা দূর করতে পারেন। তাও আবার সামান্য ঘরোয়া জিনিষপত্র দিয়েই। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে চলুন দেখে নেই চুলকে রেশমের মত মোলায়েম করে তোলার সহজ একটি হেয়ার মাস্ক।

অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক
অ্যালোভেরা খুব ভালো একটি ময়েসচারাইজার। যা শুধুমাত্র ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতাই নয়, দূর করে চুলের রুক্ষতাও। অ্যালোভেরার ব্যবহার চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ৩/৪ টেবিল চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, দেড় টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৩ টেবিল চামচ টক দই। চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
একটি পাত্রে সকল উপাদান একসাথে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন ভালো করে। ২০-৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং একটি মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন! সপ্তাহে ৩ বার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পেতে।

মেঘ

সমস্যা যখন চুল পড়া


টাক হওয়ার চিন্তায় নাকি টাক হয়। টাক হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, অতিরিক্ত চুলপড়া কিন্তু আসলেই একটি বড় সমস্যা। মাথার চুল পড়া নিয়ে সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। চুল পড়া নিয়ে আপনাদের জ্ঞানের পরিধিকে আরো একটু বাড়ানোর প্রয়াস চালানো হয়েছে আজকের লেখায়।

চুলপড়ার স্বাভাবিক ধরন
আপনার আয়ুষ্কাল কত বিধাতা তা নির্দিষ্ট করে না দিলেও মাথার চুলের আয়ুষ্কাল কিন্তু নির্দিষ্ট। স্বাভাবিক পরিবেশে মাথার চুল তিন বছর পর্যন্ত বাচে। তিন বছর আয়ুষ্কাল পূর্ণ হওয়ার পর আস্তে সে চুল ঝরে পড়ে। মাথার চুল ঝরে পড়া কিন্তু পাতা ঝরা বৃক্ষের মতো নয়। মাথার চুল প্রতিদিনই ঝরে পড়ে এবং প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক। বুঝতেই পারছেন বালিশে কিংবা চিরুনির মধ্যে দু-চারটা চুল লেগে থাকলে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই বরং এটাই স্বাভাবিক। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা প্রায় দশ ভাগ চুল প্রতিদিন ঝরে পড়ার জন্য রেডি থাকে। যদি কোনো কারণে এ ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায় তবেই সেটাকে চুল পড়া রোগ বলা যায়। উল্লেখ্য, প্রতিদিন যে পরিমাণ চুল ঝরে পড়ে সেটা আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে।

চুলপড়ার কারণ
নানা কারণে মাথার চুল পড়তে পারে। কিছু কারণে মাথার সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়। আবার কিছু কারণে শুধু মাথার নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে।
. বংশগত কারণে অনেকের মাথার চুল পড়ে যায়। সোজা কথায় বংশে কারো টাক থাকলে আপনারও টাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে চুল পড়া শুরু হয়। মহিলাদেরও বংশগত কারণে চুল পড়তে পারে। তবে তাদের তো আর টাক হয় না। পুরো মাথার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ চুল পড়ে যায়। আশার কথা হলো মহিলাদের ক্ষেত্রে এ চুল পড়া ৪০-৪৫ বছর বয়সে পিরিয়ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয়।
. তীব্র জ্বরের আক্রমণের পর মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। অনেকের মধ্যে অবশ্য একটা ধারণা বদ্ধমূল আছে যে, টাইফয়েড জ্বরের পর চুল পড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং খুব অল্প দিনের মধ্যে চুলের পরিমাণ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
. গর্ভাবস্থায় অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। স্বল্প সময়ে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে। আশার কথা হলো প্রথম প্রেগনেন্সিতে এমন সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে সাধারণত এমন হয় না।
. হঠাৎ করে অনেক ওজন কমে যাওয়া চুলপড়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে যারা একদম ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে ডায়েটিং করেন এবং দ্রুত ওজন কমান, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও পরে আবার নতুন করে চুল গজিয়ে ওঠে।
. ক্যানসারের চিকিৎসা বিশেষ করে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির পর মাথাসহ সারা দেহের চুল পড়তে পারে। চিকিৎসা শেষে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে।
. থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও মাথার চুল পড়তে পারে।
. কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলোতে পুরো মাথার চুল না পড়ে নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে যায়। যেমন- অটোইমিউন রোগ, অতিরিক্ত টেনশন, ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে মাথার চুল পড়তে পারে।

চুল পড়া রোগে কার কাছে যাবেন
রাস্তাঘাটের সাইনবোর্ড কিংবা পত্রিকার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট না হয়ে চুলপড়ার সমাধান পেতে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি রোগের ইতিহাস, রক্ত, চুল ইত্যাদির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ঠিক করবেন আপনার চিকিৎসার সর্বোত্তম পন্থা কি? প্রয়োজনে তিনি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীকে রেফার্ড করবেন।

চিকিৎসা
চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই কারণ নির্ণয় করতে হবে। অনেক সময় কোনো কারণ খুজে পাওয়া যায় না। তবে নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। যদি ফাংগাসের কারণে হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিফাংগাল দিতে হবে। যদি অটো ইমিউন রোগে হয়ে থাকে তবে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২% মিনোক্সিডিল (MINOXIDIL) Bswjk]
ব্যবহার করেও আপনি আপনার টাক সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এ ওষুধটি শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না বরং কিছু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ওষুধ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। তবে এর প্রধান সমস্যা হলো মাথার সামনের অংশে এটা তুলনামূলক কম কাজ করে। যদিও এ স্থানের টাক পুরুষদের বেশি বিব্রত করে। বর্তমানে এ ওষুধটি বেশি শক্তিসম্পন্ন ৫% হিসেবেও বাজারজাত হচ্ছে। বাজারে ফিনেসটেরাইড (FINASTERIDE) নামে আরো একটি ওষুধ পাওয়া যায়, যেটা মূলত চুল পড়া প্রতিরোধ করে। তাই যার মাথায় এখনো যথেষ্ট চুল আছে তার জন্য এটা ভালো ওষুধ হতে পারে। বয়স্ক মহিলারা এ ওষুধটি ব্যবহার করতে পারলেও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা নিরাপদ নয়।
বর্তমানে অত্যন্ত সফলভাবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মাথার পেছন থেকে চুল নিয়ে সামনে বসিয়ে দেয়া হয়। অপারেশনের মাধ্যমে টাক অংশের চামড়া ফেলে দিয়ে চুলযুক্ত অংশ জোড়া লাগানোর ঘটনাও এখন বিরল নয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পর রোগীকে ফিনেসটেরাইড খেতে দেয়া হয় যাতে নতুন লাগানো চুল ঝরে না পড়ে। কৃত্রিম চুল কিংবা অন্য লোকের চুল টাক মাথায় বপন করেও বর্তমানে টাক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

চুল পড়া বন্ধে বিউটি পার্লারে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার বেশি কার্যকর। কেননা পার্লারে নেয়া চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা চুল পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নিচে দেয়া সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া রোধ করা যায়।

১. হালকা গরম তেল ব্যবহার। যে কোন প্রাকৃতিক তেল যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) হালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে মেসেজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২. প্রাকৃতিক রস ব্যবহার। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন। রাত্রে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

৩. মাথা মেসেজ করা। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালু মেসেজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে।

৪. এন্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার। মাথার তালুতে হালকা সবুজ চা প্রয়োগ করে একঘণ্টা পর্যন্ত রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল কিছুক্ষণ কচলান। সবুজ চাতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

মেঘ

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মাত্র দুই সপ্তাহে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের ত্বকের সমস্যা সমাধানে রইল অ্যালোভেরা জেলের তৈরি কিছু ফেস প্যাক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেইসপ্যাক
একটু উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। নিজের ত্বকের বর্ণকে একটু উজ্জ্বলতা দিতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন। মাত্র দুই সপ্তাহের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ছড়িয়ে যাবে অন্যরকম জেল্লা। রোদে পোড়া দাগ মুছে যাবে, আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক রঙটি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে অ্যালোভেরা জেল, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চমচ মধু, ১ চা চামচ দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল। প্রথমে মধু, হলুদ গুঁড়ো, দুধ ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেল পিষে কিংবা ব্লেন্ড করে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ত্বক শুষ্ক করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই হলদেটে রসটি ফেলে দিন।
-হলদেটে রস পড়া বন্ধ হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ কেটে ফেলে দিন।
-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই অ্যালোভেরা জেল, যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

মেঘ

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

পার্লারে নয়, কম খরচে ঘরেই সেরে নিন হারবাল ফেসিয়াল

ত্বকের উজ্জলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে ফেসিয়াল অনেক বেশি উপকারী। ফেসিয়াল করলে ত্বক অনেক সুন্দর থাকে, তারুণ্য ধরে রাখা যায় অনেকদিন। এছাড়া ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকেই পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন। ইদানিং ছেলেরাও ফেসিয়াল করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন অনেক ছেলেদের সেলুনেও করানো হয় ফেসিয়াল।

কিন্তু যদি ঘরেই বসে করে নিতে পারেন ফেসিয়াল ত

বে কেমন হয়? আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ফেসিয়াল করার পদ্ধতি। সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য ঘরেই সেরে ফেলুন ফেসিয়াল। অবশ্যই পার্লারের তুলনায় মাত্র চার ভাগের একভাগ খরচে।

১ম ধাপ- ত্বক পরিস্কার করুন
প্রথমেই ত্বক পরিষ্কার করে নিন ভালো করে। কোনো সাবান বা ফেস ওয়াস দিয়ে নয়। পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর এক টুকরো টমেটো ত্বকে ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উপরভাগের ময়লা দূর হবে।

২য় ধাপ- ত্বক স্ক্রাব করুন
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্ক্রাবার তৈরি করে স্ক্রাব করে নিন। একটি বাটিতে আধ কাপ নারিকেল তেল নিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ চিনি ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আঙ্গুলে ডগা দিয়ে হালকা করে ম্যাসাজ করে নিন ১০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।

৩য় ধাপ- ত্বকে লাগান ফেইস প্যাক
ত্বকে ঘরে তৈরি একটি ফেইস প্যাক লাগিয়ে ফেলুন। একটি বাটিতে একটি পাকা কলা নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে পিষে নিন। এতে একটি গোটা টমেটোর রস চিপে দিন। এরপর এতে যোগ করুন ১ চা চামচ অলিভ অয়েল। ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এই সময়ে চোখে শসার কুচি দিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ও মুখ ভালো করে ধুয়ে মুছে ফেলুন।

৪র্থ ধাপ- ত্বকে লাগান টোনার
মুখ মুছে ফেলে ত্বকে টোনার লাগান। এটাও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই করে ফেলুন। কাঁচা দুধে একটি তুলোর বল ডুবিয়ে নিয়ে ত্বকে ঘষুন। ত্বক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবং ত্বক মুছে ফেলুন।

৫ম ধাপ- ত্বকে ময়েসচারাইজার ম্যাসাজ করুন
এই ধাপে একটি ভালো ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক সবচেয়ে ভালো ময়েসচারাইজার হচ্ছে অলিভ অয়েল এবং বাটার। ১ চা চামচ অলিভ অয়েল কিংবা বাটার হাতে নিয়ে ১০ মিনিট মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ব্যস হয়ে গেল আপনার ফেসিয়াল করা। মাসে বেশ কয়েক বার করতে পারেন এই ফেসিয়াল। কারন এতে ত্বকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। বরং ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।

মেঘ