সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ফলের ৭টি দারুণ অদ্ভুত ব্যবহার

বিভিন্ন রকম ফল তো এতদিন খাওয়া বা রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, নানা রকম ফল আর ফলের খোসা দিয়ে আপনি দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারেন নিমেষেই? হাতের কাছের লেবুর টুকরোটিই হতে পারে ডিওডোরেন্ট অথবা আনারসের রসেই হয়ে যেতে পারে কফ সিরাপের কাজ! আসুন জেনে নেই বিভিন্ন রকম ফলের দারুণ অদ্ভুত কিছু ব্যবহার।

১। লেবু যখন ডিওডোরেন্টঃ

ডিওডোরেন্ট ফুরিয়ে গেছে? অথচ এই গরমে ঘামের গন্ধ থেকে রেহাই পেতে চাইছেন? কোন সমস্যা নেই। গোসল করে ফেলুন আর তারপর বগলে লাগিয়ে নিন খানিকটা লেবুর রস। হয়ে গেলো কমপক্ষে কয়েক ঘন্টার ডিওডোরেন্টের সতেজতার কাজ।

২। আনারসের রস যখন কাশির সিরাপঃ

খুশখুশে কাশিতে ভুগছেন। অথচ কাশির সিরাপ নেই ঘরে। আবার সেই সাথে সিরাপেরও কিন্তু আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই আনারস জুস বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন কাশি গায়েব!

৩। কলার খোসায় সাদা দাঁতঃ

হলদে দাঁতের হাসি আর যাই হোক কারো মন জয় করতে পারে না। ডাক্তারের পেছনে পয়সা নষ্ট না করে। কলার খোসা দীয়ে নিয়মিত কিছুদিন দাঁত ঘষুন। প্রাকৃতিক ভাবেই পেয়ে যাবেন ঝকঝকে সাদা দাঁত।

৪। পায়ের যত্নে পেঁপের খোসাঃ

পেঁপে খাবার পর খোসাটা তো আমরা ফেলেই দেই। কিন্তু ফেলে দেবার আগে সেটি দিয়ে আপনার পায়ের পাতা ও গোড়ালী একটু ঘষে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার পা রাখবে কোমল আর মুক্তি দেবে গোড়ালী ফাটার সমস্যা থেকেও!

৫। আলুর খোসায় চুলের রংঃ

আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দেবেন না। এরও আছে দারুণ গুণ। আলুর খোসাগুলো ৩০ মিনিট পানিতে সেদ্ধ করে নিন। শ্যাম্পু করার পর এ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলের জন্যে যারা কেমিকেল রঙ ব্যবহার করতে ভয় পান তাদের চুলে এটি প্রাকৃতিক ভাবেই এটি ধীরে ধীরে কালো করার কাজটি করবে।

৬। ধাতব আসবাব পরিস্কারে লেবুর খোসাঃ

ধাতব আসবাব পরিস্কারে একটু লেবুর রসের সাথে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে মুছে নিন। ব্যস! আপনার আসবাব হয়ে যাবে নতুনের মতই চকচকে।

৭। দুঃস্বপ্ন এড়াতে আপেলের রসঃ

প্রচন্ড মানসিক চাপে ভুগছেন আর সেই সাথে প্রতি রাতে দুঃস্বপ্নের কারনে ঘুমুতে পারছেন না? এক কাজ করুন। ঘুমুবার আগে এক গ্লাস আপেলের জুস খেয়ে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমাবার আগে আপেলের রস আপনার ঘুম ভালো করে।
ব্যস, এবারে হাতের কাছের ফলগুলো দিয়েই সহজ সমাধান হোক আপনার সমস্যার। ভালো থাকুন!

মেঘ

মেকআপের ১০ টি গোপন টিপস, যা আগে আপনাকে কেউ বলেনি

সাজতে কি ভালোবাসেন আপনি? তাহলে জেনে রাখুন, সাজ মানেই একগাদা মেকআপ ব্যবহার নয়। বরং পরিমত সাজেই আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। ভাবছেন দারুণ সুন্দর লুকের জন্য পার্লারে সাজের বিকল্প নেই? আর যেতে হবে না পার্লারে। আজ আমরা নিয়ে এলাম এমন ১০টি টিপস, যেগুলোর ব্যবহারে আপনি নিজেই হয়ে উঠতে পারবেন সুন্দরীতমা। জানতে চান সেই গোপন টিপসগুলো?
১. মেকআপ করার আগে আপনি আপনার মুখের ত্বককে পরিস্কার এবং মশ্চারাইজ করে নিন। এতে করে আপনার মেকআপটি ত্বকে ভালোভাবে বসে যাবে এবং মেকআপটি বেশ কমনীয় ও নমনীয় দেখাবে।
২. ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাাউন্ডেশনটি ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর দেয়া আছে। এই নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার মেকআপটি আপনার ত্বকের রংয়ের সাথে মিশে যাবে।
৩. স্কিনের টোন অনুযায়ী আপনার মুখের মেকআপনি গাঢ় করুন। এতে করে মেকআপটি বেশ উজ্জ্বল হবে।
৪. আপনার ত্বক যদি বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার দরকার নেই। এর জন্য শুধুমাত্র চোখের নিচে কনসিলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চোখের শ্যাডোর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক করে নিন।
৫. আপনার ঠোঁটের মেকআপটি ন্যাচারাল করলে ভালো দেখাবে। যেমন ধরুন ত্বকের রংয়ের সাথে যায় এমন রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ফর্সাদের উজ্জ্বল রঙে বেশ ভালো মানিয়ে যায়। পার্টি মেকআপে অবশ্যই উজ্জ্বল লিপস্টিক ব্যবহার করুন কিন্তু গায়ের রংতাকেও মাথায় রাখুন।
৬. ফ্রেশ এবং তারুণ্যতা ফুটিয়ে তুলতে আপনি চোখে জেল লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার চোখের মেকআপটিকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। এছাড়া এর ফলে শ্যাডোর প্রয়োজনীয়তাও কিছুটা ফুরিয়ে যাবে।
৭. মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আইব্রো এর উপরে। মেকআপে আইব্রো আঁকার সময় শেষটা কখনোই হঠাৎ করেই করা যাবে না তাহলে আপনাকে অনেক বেশি বয়স্ক দেখাতে পারে। এজন্য আইব্রো এর শেষ পর্যন্ত এঁকে সাথে সাথে আরও একটু বাড়িয়ে নিন হালকা করে। তাহলে চেহারায় বেশ একটা শার্পনেস চলে আসবে।
৮. ফটোগ্রাফিক লুক আনার জন্য আপনার মেকআপটিতে হাইলাইটস ব্যবহার করুন। আইব্রো এর নিচে এবং নাকের মাঝখানে হাইলাইটস ব্যবহার করলে মুখের সমস্ত আকৃতি শার্প হবে। ফলে ছবি ভালো আসবে।
৯. চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে বেগুনি এবং সবুজ লাইনার ব্যবহার করতে পারেন।
১০. ব্রোনজার মুখের মেকআপে এক ধরনের গ্ল্যামার নিয়ে আসে। এটি কপালে এবং গালে ব্যবহার করলে একটি গ্লামারাস লুক তৈরি করে।

মেঘ

রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

টিপস

আজকাল রেডিমেড পোশাকগুলোর সেলাই তেমন একটা মজবুত হয় না। বিশেষ করে জোড়ার অংশগুলো। প্রায়ই দেখা যায় সেলাই খুলে আসে। তখন আবর সেটাকে সেলাই করে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু যদি সেলাই খুলে যায় বাইরে যাবার ঠিক আগ মুহূর্তে, যখন সেলাই করার সময় আর নেই, কী করবেন তখন? রইলো একটি সহজ সমাধান।
এমন বিপদে আপনাকে সাহায্য করবে সেফটিপিন। সেলাই খোলা অংশটুকু একসাথে করে নিন। সেলাই যেদিকে সেদিকে সেলাই খোলা জায়গায় সেফটিপিন দিয়ে সূচ ঢোকানোর মতো কয়েকবার ওপর-নিচ করুন। তারপর সেফটিপিন আটকে দিন। ব্যস, হয়ে গেল কাজ চালানোর মতো অবস্থা! এরপর বাড়ি ফিরে খুলে যাওয়া অংশটুকু সেলাই করে নিতে ভুলবেন না যেন!
মেঘ

টিপস

আসল চামড়ায় তৈরি যেকোনো জিনিস বেশ দামী হয়। চামড়ার তৈরি জিনিসের চাহিদা মেটাতে তৈরি হয় কৃত্রিম চামড়ার জিনিসপত্র। কৃত্রিম চামড়ার ব্যাগ আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। এসব ব্যাগের উজ্জ্বলতা ঠিক নতুনের মতো রাখার জন্য রয়েছে একটি খুব সহজ উপায়। কী সেটা? জেনে নিন।
হালকা গরম পানির সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপর এই পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে ব্যাগ মুছে নিন। মাঝে মাঝে এভাবে মুছলে দীর্ঘ দিন ব্যাগ থাকবে উজ্জ্বল।

মেঘ

চেনা লবণের ৮টি সম্পূর্ণ অচেনা ব্যবহার

লবণ ছাড়া যেকোনো তরকারি বিস্বাদ মনে হয়। লবণ হলো রান্নার অন্যতম একটি উপকরণ। লবণ শরীরের জন্য দরকারি হলেও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিন্তু আবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। রান্না ছাড়াও কিন্তু আরো অনেক কাজে লবণ ব্যবহার করা যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে ব্যথার নিদান - সবকিছুতেই রয়েছে লবণের ব্যবহার। আসুন জেনে নিই লবণের কিছু অজানা ব্যবহার।

মাছ পরিষ্কারে

কিছু মাছ থাকে বেশ পিচ্ছিল। যেমন বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাইম মাছ ইত্যাদি। পিচ্ছিল বলে এগুলো কাটতে এবং পরিষ্কার করতে বেশ কষ্ট হয়। মাছে সামান্য পানি দিয়ে বেশ কিছু লবণ ছিটিয়ে দিন। এরপর নাড়াচাড়া করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেললেই মাছের পিচ্ছিল ভাব অনেকটাই কমে যাবে এবং কাটতে সুবিধা হবে।

দাঁত ও গলা ব্যথায়

দাঁত ও গলা ব্যথায় লবণ-পানির চিকিত্‍সা সর্বজনবিদিত। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে, রক্তপাত হলে উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশেয়ে কুলি করুন। দিনে অন্তত তিনবার করুন। খুব দ্রুত আরাম পাবেন।
গলাব্যথাতেও গরম পানি ও লবণের ব্যবহার আরামদায়ক। তবে এখানে কুলির পরিবর্তে গার্গল করতে হবে।

দাঁত সাদা করতে

বিভিন্ন কারণে দাঁতে হলদেটে দাগ পড়ে যেতে পারে। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর দাঁতকে সাদা করে তুলতে লবণ সাহায্য করবে। লবণ ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে দাঁত মাজুন নিয়মিত। হলদে ভাব দূর হয়ে দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা।

বোতল পরিষ্কারে

প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি সংরক্ষণ করা হয়। কাচের বোতলের মতো প্লাস্টিকের বোতল গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। বোতলে দুই-তিন টেবিল চামচ পরিমাণে পানি নিন। এরপর এতে এক টেবিল চামচ লবণ দিয়ে জোরে জোরে ঝাঁকাতে থাকুন। পাঁচ-ছয় মিনিট ঝাঁকানোর পর বোতল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পা ব্যথায়

অতিরিক্ত হাঁটলে বা ক্লান্তির কারণে পায়ের পাতা ব্যথা করতে পারে। একটি গামলায় সহ্য করতে পারবেন এমন গরম পানি নিন। এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। ব্যথা কমে যাবে অনেকটুকু।

পোকামাকড়ের কামড়ে

বোলতা বা মৌমাছির কাপড়েও লবণ উপকারী। আক্রান্ত জায়গায় লবণ ঘষে দিন বা লবণ-পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে। হাতে মাছের কাঁটা বিঁধলেও একই কাজ করতে পারেন।

ফলের টক কমাতে

বিভিন্ন টক ফলের আমরা আচার তৈরি করে থাকি। যেমন আম, জলপাই, করমচা, আমলকী ইত্যাদি। এসব ফলের টক কমাতেও লবণ ব্যবহার করা যায়। লবণ মেশানো পানিতে সেদ্ধ করে নিলেই ফলের টক অনেকাংশে কমে যায়।

দুর্গন্ধ দূর করতে

মাছ বা পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে বিশ্রী গন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় সাবান দিয়ে ধুলেও সে গন্ধ যায় না। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে লবণ। হাত ভিজিয়ে পুরো হাতে লবণ মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর হাত ধুয়ে ফেলুন।
মেঘ

টিপস

দেখতে দেখতে এসে গেল বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে দিন! এখন সহজে কোনো কিছু শুকাবে না, হবে সবকিছুতে দুর্গন্ধ। আপনার রান্নাঘরটিও এর বাইরে নয়। বৃষ্টির দিনগুলোতে রান্নাঘরে কেমন ভ্যাঁপসা গন্ধ হয়ে যায়। দূর করতে চান এই গন্ধ? তাহলে জেনে নিন উপায়টি।
একটি পাতিলে পানি নিয়ে তাতে ব্যবহৃত লেবুর খোসা দিন। এরপর চুলোয় বসিয়ে রান্নাঘরের দরজা-জানালা আটকে দিন। পানি ফুটের ওঠার সাথে সাথে লেবুর সুগন্ধ রান্নাঘরের ভ্যাঁপসা গন্ধকে দূর করে দেবে।

মেঘ

নখের যত্নে কিছু কাজ, যা বাড়াবে হাতের সৌন্দর্য

অনেকেই সুন্দর নখের জন্য অনেক কাজ করে থাকেন। পার্লারে যেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেনিকিউর করানো, নানান ধরণের ট্রিটমেন্ট করা ইত্যাদি। কিন্তু নখের যত্নে এতোসব না করে নিজেই কিছুটা সময় বের করে যত্ন নিতে পারেন খুব ভালো করেই। এছাড়া কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করেও নখকে দিতে পারেন পরিপূর্ণ অন্য এক রূপ।
জানতে চান কী কী করা উচিৎ সুন্দর নখ পেতে এবং হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আমাদের আজকের ফিচারটি।

নিজের নখের ধরণ সম্পর্কে জানুন

নখের ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিক মতো নখের যত্ন নেয়া সম্ভব হয় এবং এতে করে নখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণ নখ খুব সহজেই যে কোনো ভাবে যত্ন নেয়া যায়। শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজের প্রয়োজন রয়েছে। ভঙ্গুর নখের জন্য দরকার বিশেষ যত্নের। ভঙ্গুর নখের ভঙ্গুরতার কারণ হলো ময়সচারাইজারের অভাব। তাই নখের যত্নে ময়সচারাইজার লোশন ব্যবহার করুন। নরম নখের জন্য অনেকে নখ রাখতে পারেন না। এর কারণ নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়সচারাইজার বেশি। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরেই থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

নখ ফাইল করার সময় সতর্ক থাকুন

নখ কাতার পর নখ ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এতে করে নখের অনেক ক্ষতি হয়। নখ ফাইল করার সময় একই দিকে নখ ফাইল কউন। এক একবার একেক দিকে ফাইল করা এবং উল্টো করার ফলে নখ ফেটে যায়।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খান

নখ এবং হাড়ের সুগঠনের জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজনীয়তা সব চাইতে বেশি। নখ শক্ত এবং সুন্দর করতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস দুধ অবশ্যই খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে নখের গঠন মজবুত হবে। চাইলে নখে ভিটামিন ই তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নখ কামড়ানো বন্ধ করুন

অনেকেরই নখ কামড়ানোর বাজে অভ্যাসটি রয়েছে যা নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে নখের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া নখ কামড়ালে নখের শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায় এতে হাত দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

মেঘ

ছেলেদের চুলের যত্নে মনে রাখুন ৫টি টিপস

বর্ষা চলে এসেছে। বৃষ্টির পানিতে যখন তখন ভিজে যেতে পারে মাথার চুল। চুল ভেজার পর সহজে না শুকোলে মাথার ত্বক ও চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছেলেদের চুলেরও প্রয়োজন একটুখানি বাড়তি যত্নের। স্বাস্থ্যকর চুল সৌন্দর্যের বাহক। আর পুরুষের ক্ষেত্রে যেন এটা আরও অনেক বেশি সত্য টেকো হয়ে যাওয়ার ভয়ে। একটু যত্ন নিলেই আপনার চুল থাকতে পারে স্বাস্থ্যকর। ফুটিয়ে তুলতে পারে আপনার যথাযথ সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব। আসুন তবে জেনে নিই ছেলেদের চুলের যত্নে ৫ টি টিপস:
১। ভেজা চুল সাবধানে মুছে নিন। চুলের মূল উপাদান ক্যারাটিন নামক প্রোটিন। পানিতে ভিজলে ক্যারাটিনগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ভেজাচুল ভঙ্গুর হয়। তাই চুল ভেজা থাকা উচিত নয়। ভেজা চুল যত্নসহকারে হালকাভাবে মুছে নিন।
২। বেশি গরম পানি চুল ধোয়ার কাজে কখনো ব্যবহার করবেন না। চুল সব সময় ঠাণ্ডা বা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিবেন।
৩। চুল পরিষ্কার করতে ভালো মানসম্পন্ন এবং আপনার চুলের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্যাম্পু বেছে নিন। মানহীন শ্যাম্পু পরিহার করুন। ওগুলো আপনার চুলের বারোটা বাজাবে।
৪। চুল শুষ্ক হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আর অতি অবশ্যই কন্ডিশনারের মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইচ্ছে করলে বাড়িতে বসেই কন্ডিশনার বানিয়ে নিতে পারেন।
৫। চুলের ধরন ও মুখের গড়ন অনুযায়ী নিয়ে নিন সুবিধাজনক হেয়ারকাট। দীর্ঘদিন পর পর বা অনিয়মিত চুল না কেটে চুল কাটার একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন।


মেঘ

রূপচর্চায় উপকারী পানি- জেনে নিন ৮টি অজানা টিপস

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে পানির ভুমিকা অপরিহার্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়, শরীরকে সুস্থ ও প্রানবন্ত রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি খেলে শরীর ভালো থাকে আবার সেই পানি দিয়েই করা যায় ত্বক ও চুলের যত্ন। আসুন আজকে জেনে নেয়া যাক, পানি দিয়ে কীভাবে করবেন ত্বক ও চুলের পরিচর্যা।
১। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই অন্ততপক্ষে ১ গ্লাস পানি পান করুন। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া কে তরান্বিত করে ও রক্তের দূষিত পদার্থগুলি রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং নিয়মিত এ অভ্যাসে ত্বক এর লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায় ও উজ্জ্বল হয়।
২। প্রতিদিন পরিপূর্ণ গোসল আপনাকে এনে দিতে পারে একটি প্রাণবন্ত দিন। চেষ্টা করুন কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে। এতে করে শরীরের ক্লান্তিভাব দুর হয় উপরন্তু মনেও প্রশান্তি আসে। শাওয়ারের নিচে গোসল করলে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে করে আপনার ঘাড়ে ও ঠিক পিঠ বরাবর পানি পড়ে। আর যাদের বাথটাব আছে, তারা চাইলে পানিতে গোলাপের পাপড়ি, লেবুর টুকরো , পুদিনা পাতা বা এক বা দু ফোঁটা ল্যাভেন্ডার/সুগন্ধি অয়েল দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে বিশ্রাম নিতে পারেন। শাওয়ারের পানি বা বাথটাব-এর এ পদ্ধতিকে বলা হয় হাইড্রোথেরাপি।
৩। ত্বকের টোনার হিসেবে পানি খুব ই উপকারি। ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে, আধা চামচ মধু ও ১ চা চামচ পানি ও ৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির সাহায্যে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বকের একটি সতেজ পরিবর্তন দেখুন।
৪। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা আধা চা চামচ গ্লিসারিন ,আধা চা চামচ গোলাপজল ও ১ চা চামচ পানি মিশিয়ে মুখে লাগাবেন এবং শুকালে হাল্কা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে তৈলাক্ত ভাব কমে আসবে।
৫। ভেজা চুলে শ্যাম্পু করার পর চেষ্টা করুন স্বাভাবিক বা ঠাণ্ডা পানিতে চুল পরিস্কার করে ধুতে। এতে করে চুল শুকানোর পর চুল থাকে নরম ও মসৃণ। কিন্তু, হাল্কা গরম পানি ব্যাবহারে চুল পরে যায় এবং রুক্ষ ও ম্যাড়মেড়ে হয়ে যায়।
৬। ত্বককে মসৃণ করতেও পানি কার্যকর ভুমিকা রাখে। গোসলের সময় ভেজা ত্বকে স্ক্র্যাব করুন, মরা কোষ ঝরে পরবে।
৭। যারা অতিরিক্ত ঘামান তাঁরা মুখে মেইকআপ করার আগে এক টুকরো ঠাণ্ডা বরফ ঘষে তারপর ফাউনডেশন দিন, সারাদিন সতেজ থাকবে মুখ ও ঘাম থেকে রক্ষা পাবেন।
৮। খুব ক্লান্ত লাগলে কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে পানিতে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে ক্লান্তিভাব ও দুর হবে এবং পা ও গোড়ালির ত্বক ও নরম ও মসৃণ হবে।
মেঘ

শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর দারুণ সব ব্যবহার

সৌন্দর্যচর্চার খাতিরে না জানি কত অর্থই ব্যয় করছেন আপনি, তাই না? আজ পার্লারে তো কাল কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে। কিন্তু জানেন কি, সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি নিজেই সমাধান করে ফেলতে পারবেন সকল সৌন্দর্য সমস্যা? যেমন লেবুর কথাই ধরুন। এই এক লেবু দিয়ে শরীরের কালো দাগ দূর থেকে থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো কিংবা বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করা, সবই সম্ভব। কীভাবে ব্যবহার করবেন? আসুন জেনে নেই।
১) লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।
২) লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ বা অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
৩) অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত কমে।
৪) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু কার্যকর। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুড়ো মিশিয়ে হাত পায়ে লাগান।
৫) ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৬) ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সঙ্গে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।
৭) একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৮) একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরো ফর্সা করবে

মেঘ

সৌন্দর্যচর্চায় মধুর ৯টি অসাধারণ ব্যবহার

সৌন্দর্যচর্চার খাতিরে না জানি কত অর্থই ব্যয় করছেন আপনি, তাই না? আজ পার্লারে তো কাল কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে। কিন্তু জানেন কি, সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি নিজেই সমাধান করে ফেলতে পারবেন সকল সৌন্দর্য সমস্যা? যেমন মধুর কথাই ধরুন। প্রকৃতির এই অনন্য উপাদানটি কখনও নষ্ট হয় না। এই এক মধু আপনার চুল ও ত্বক সুন্দর করে তোলা থেকে শুরু করে আপনার ওজন কমানো পর্যন্ত অনেক কাজেই লাগবে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? আসুন জেনে নেই।
১) মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ত্বককে ভেতর থেকে ময়লা বের করে ও মরা কোষ দূর করে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। মধু দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক হবে দাগহীন ও সুন্দর। এক চামচ মধু ও এক চামচ উপটান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
২) ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মধু কার্যকর। শুষ্ক ত্বকে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।
৩) মধুতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে, ত্বক টানটান রাখে। তাই প্রতিদিন এক চামচ মধু খাওয়া ভালো।
৪) চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করতেও সিল্কি রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে চুলের নিচের অংশে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে কন্ডিশনারের বোতলে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন।
৫) মুখের দাগ দূর করতে মধু, আমন্ড অয়েল, গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস পরিমাণমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ বা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে কার্যকর।
৫) দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে।
৬) লিপবাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। এক চামচ আমন্ড অয়েল এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে রেখে দিন। ঠোঁট ফাটা রোধ করবে এবং সতেজতা ঠিক থাকবে।
৭) দুই চামচ মধু, আধা চামচ চিনি এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাব বানিয়ে নিতে পারেন। এই স্ক্র্যাব ২ থেকে ৩ মিনিট হালকাভাবে মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং মধু ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
৮) চুল প্রাকৃতিকভাবে হাইলাইটস বা কালার করতে চুল কতটা লম্বা সে অনুযায়ী মধু নিন এবং এতে টক দই দিন, যাতে মধুর আঠালো ভাবটা দূর হয়। এবার চুলের যে জায়গা হাইলাইট করতে চান, সেখানে মিশ্রণটি ভালোমতো লাগান এবং ২ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। পর পর চার দিন লাগান।
৯) ২ চামচ মধু, ৩ চামচ অলিভ অয়েল এবং টক দই একসঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে ময়েশ্চার এবং হেয়ার ফলিকল উজ্জীবিত করে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মেঘ

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

দারুণ সুন্দর ত্বকের জন্য খেতে হবে যে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো

প্রতিদিনের ধূলোবালি আর আর্দ্র আবহাওয়ায় আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রসাধনী আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করছি ঠিকই কিন্তু পাশাপাশি অবশ্যই কিছু পুষ্টিকর খাবারও খাওয়া উচিৎ যেগুলো দেহের পুষ্টির সাথে ত্বকের ক্ষেত্রেও রাখতে পারে বিশেষ প্রভাব। আপনি যদি মসৃণ, নরম এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের খাবারগুলো খাবেন।

১. গোলমরিচ ঘন্ট :

গোলমরিচে নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি এবং অন্যান্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন পুষ্টি যুগিয়ে থাকে। আপনি চাইলে গোলমরিচগুলোকে ভেজে নিয়ে খেতে পারেন বা একেবারে কোনো প্রসেসিং না করেই কাঁচাই খেতে পারেন। এই উপকরণটিকে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে আপনি যদি ভালো ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই গোলমরিচগুলো সরাসরি খাবেন।

২. ডার্ক চকোলেট :

চকোলেট বেশিরভাগ মানুষেরই অনেক প্রিয় একটি খাবার। প্রিয় এই খাবারটি দিয়েও আপনি আপনার ত্বকটি ঠিক রাখতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন কিছুটা হলেও এই ডার্ক চকোলেট খান তাহলে এটি আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন সহজ করে আপনার ত্বককে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। এছাড়া এটি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

৩. গ্রীন টি :

গ্রীন টি অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি আপনার প্রতিদিনের পানীয়ের পরিবর্তে এই ভেষজ গুণসম্পন্ন গ্রীন টি খেতে পারেন। এতে করে এটি আপনার দেহের ভেতরে কাজ করবে ঠিকই কিন্তু ফলাফল দেখা দেবে দেহের বাহিরে অর্থাৎ আপনার ত্বকে প্রাণ এনে দেবে।

৪. বিভিন্ন বীজ উপাদান :

বিভিন্ন বীজের উপাদান খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। বিশেষ করে সূর্যমুখী, চিয়া, শণ, কুমড়া এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বীজ থেকে বের হওয়া তেল জাতীয় পদার্থ ত্বকের মশ্চারাইজার ধরে রাখতে সহায়তা করে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামন ই এবং প্রোটিন পেতে সাহায্য করে।

৫. পেঁপে :

পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ যদিও কম থাকে তারপরও এটি ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর। এটি খুব ভালো একটি ফেসপ্যাক হিসেবে কাজ করে। বেশিরভাগ মহিলাদের ওভারিন জাতীয় নানা সমস্যা থাকে। এই সমস্যাও সমাধান করে। পেঁপেতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং বিটাক্যারোটিন ত্বকের পুষ্টি যোগাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মেঘ

খুব সহজে ঘরেই করুন ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর

হাল ফ্যাশনে সবচাইতে জনপ্রিয় নখের ডিজাইন হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর। দেখতে সুন্দর তো বটেই, একই সাথে খুব মার্জিত ও স্টাইলিশও বটে। ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরটা কী? নখের স্বাভাবিকতা ধরে রেখে প্রাকৃতিক রংকে উজ্জ্বল করাই হলো ফেঞ্চ ম্যানিকিউর। তবে পার্লারে এই ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করার খরচ আছে বৈকি। এত খরচ করে তো আর সব সময় করানো যায় না। তবে উপায়? উপায় হচ্ছে ঘরেই করে ফেলুন খুব সহজে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর। আসুন, জেনে নেই উপায়।
  • -প্রথমে রিমুভার দিয়ে নখের পুরনো নেইলপলিশ তুলে ফেলুন। এবার কিউটিক্যাল অয়েল নখের চামড়া বা কিউটিক্যালের ওপর লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন, যাতে চামড়া অল্প নরম হয়। নখে ধীরে ধীরে অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে সাবধানে কিউটিক্যাল পেছনের দিকে পুশ করে নখের আকার ঠিক ও মরা চামড়া পরিষ্কার করুন। কিউটিক্যাল পুশারের অপর প্রান্ত দিয়ে নখে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • -এবার নেইল কাটার এবং ফাইলার দিয়ে নখ পছন্দ অনুযায়ী আকার দিন।
  • -হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ব্রাশের সাহায্যে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে মুছে নিন। লাগিয়ে নিন ময়েসচারাইজার। এবার হাত তৈরি নেইল পলিশের জন্য।
  • -ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করতে তিন রঙের ওয়াটার কালার, লাইট পিঙ্ক এবং ঝকঝকে উজ্জ্বল সাদা রঙের নেইলপলিশ দরকার।
  • -প্রথমে নখে হালকা গোলাপি বা বেইজ রঙের নেইলপলিশ লাগান। আপনার নখের নিচে এমনিতেই গোলাপি হলে এই স্টেপটা বাদ দিতে পারেন।
  • -লাগানো নেইলপলিশ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখের সামনের দিকে যে অংশটুকু সাদা রাখতে চান সেখানে সাদা রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। ভালো করে শুকালে এবার পুরো নখে স্বচ্ছ কালারের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। হয়ে গেল ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।
মেঘ

শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

চুলের নানা সমস্যা সমাধানে ঝটপট হেয়ার সল্যুশন

রোদ বৃষ্টির খেলায় ও ভ্যাঁপসা গরমে ত্বকের পাশাপাশি অনেক ক্ষতি হয় চুলের। অল্পতেই চুল ও মাথার ত্বক ঘেমে যাওয়া, চুল ভেজালে সহজে শুকোতে না চাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় মাথার ত্বকের ও চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। শুরু হয় চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, চুল ভেঙে যাওয়া সহ নানা সমস্যা।সমস্যার সমাধানে অনেকেই অনেক ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সব চাইতে ভালো হয় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে। তাই আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক এই যন্ত্রণাদায়ক আবহাওয়ায় চুলের নানা সমস্যা দূর করতে কিছু হেয়ার সল্যুশন।

সাধারণ চুলের জন্য

মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি এবং চুল পড়ার সমস্যায় পড়েন সাধারণ চুলের অধিকারীরা। এই সমস্যা দূর করতে হেয়ার সল্যুশন।
উপকরণঃ ১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ টক দই ও ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল/অলিভ অয়েল/বাদাম তেল। চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
পদ্ধতিঃ সব কটি উপকরণ একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর সাধারনভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ২ সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

অনুজ্জ্বল নিস্তেজ চুলের জন্য

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে চুল হয়ে পরে নিস্তেজ। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের।
উপকরণঃ ১ কাপ টক দই, ১ টেবিল চামচ তেল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ টক দই ফেটিয়ে নিয়ে এতে তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের আগা গোঁড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে। সপ্তাহে অন্তত ১ বার ব্যবহার করবেন।

খুশকিযুক্ত চুলের জন্য

এই সময়ে মাথায় খুশকি হলে অনেক জন্ত্রনায় পড়া হয়। মাথার টক একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। চুলের ক্ষতি রোধ করতে করণীয়।
উপকরণঃ ২ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানি।
পদ্ধতিঃ সব কটি উপকরন নিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল সাধারনভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য

রুক্ষ চুলের ওপর স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার অনেক বড় প্রভাব পরে থাকে। চুল পড়া এবং চুল ফাটা ও ভেঙে পড়ার সমস্যা শুরু হয়। এই সমস্যা সমাধানে
উপকরণঃ অর্ধেক কাপ মধু, ১ টি ডিমের কুসুম, ১/২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল।
পদ্ধতিঃ ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিয়ে এতে মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন খুব ভালো করে। চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিট। এরপর সাধারণভাবেই শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ১ বার ব্যবহার করবেন এটি।

তৈলাক্ত চুলের জন্য

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় তৈলাক্ত চুলের সব চাইতে বেশি ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত চুল পরে এবং চুলের বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। এই সমস্যা সমাধানে
উপকরণঃ ডিমের সাদা অংশ, ১ টি পুরো লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ লবণ
পদ্ধতিঃ ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে ফেটাতে থাকুন। এরপর এতে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে আরও ৫ মিনিট ফেটিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে, চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ দিনে ১ বার ব্যবহার করবেন।

মেঘ

বুধবার, ১১ জুন, ২০১৪

রান্নাঘরেই মিলবে দারুণ সুন্দর ত্বক

শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন? ভাবছেন, সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে তো বিউটি পার্লার যেতে হবে, রান্নাঘরে কী করে সম্ভব? একটু অদ্ভুত শোনালেও রান্নাঘরে সুন্দর ত্বক পাওয়াও কিন্তু সম্ভব! আপনি হয়তো ভীষণ ব্যস্ত, নিজের ত্বকের যত্নের জন্য একটুখানি সময়ও বের করতে পারছেন না। তাহলে রান্নাঘরেই সেরে ফেলুন না রূপচর্চার কাজটি! তাও আবার রান্নাঘরের জিনিস দিয়েই!

ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণের কথা কে না জানে! খাবার হিসেবে তো বটেই, ত্বকের যত্নেও ডিমের তুলনা নেই। ডিম দিয়ে কিছু করছেন? ডিম ভাজি বা পোচ? তাহলে ডিম ভাঙ্গার পর খোসার ভেতরে লেগে থাকা সাদা অংশ আঙুল দিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ফেলুন। আপনার ডিম ভাজতে যতটুকু সময় লাগবে অপেক্ষা করুন ঠিক ততটুকু সময়। ডিম ভাজা শেষ? এবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখুন, রান্নাঘরেই কেমন পেয়ে গেলেন কোমল, মসৃণ ত্বক!

শসা

শসার সালাদ তৈরি করছেন? তাহলে নিশ্চয়ই শসার মাথা কেটে ঘষে ঘষে তেতো সাদা কষগুলো ফেলে দিচ্ছেন? ওগুলো ফেলে না দিয়ে মুখে মাখুন। ত্বকের বাড়তি তেল দূর করতে শসার কষ খুবই উপকারী। ৭-৮ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটা শসার রসের মতো টোনার হিসেবেও চমত্‍কার।

টমেটো

সালাদের আরেকটি উপকরণ টমেটো। টমেটোর একটা স্লাইস সারা মুখ ও গলায় ঘষুন পাঁচ মিনিট। এবার সালাদ তৈরির কাজটি সেরে ফেলুন। আরো চার পাঁচ মিনিট পেরিয়ে গেছে? তাহলে মুখ ও গলা ধুয়ে ফেলুন। নিজের উজ্জ্বল, পরিষ্কার ত্বক দেখে নিজেই চমকে যাবেন।

বেসন

মজার মজার ভাজাভুজি তৈরিতে বেসনের ব্যবহার অপরিহার্য। সামান্য একটু বেসন নিয়ে স্রেফ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার পুরু করে মুখে লাগান। ভাজাভুজি তৈরি শেষে পরিবেশনের ঠিক আগে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মসৃণতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

বেকিং পাউডার

হোয়াইট হেডস খুব জ্বালাচ্ছে? কাজে লাগান বেকিং পাউডার। এক চা চামচ বেকিং পাউডার, এক চা চামচ মধু ও সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর আরো পাঁচ মিনিট আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।

ময়দা

প্রতিদিনের পরোটা, লুচি তৈরিতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ময়দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি ময়দা খুব ভালো ত্বক পরিষ্কারক? এক চা চামচ ময়দার সাথে পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এরপর পরোটা বেলতে থাকুন। চার পাঁচটা পরোটা বানানোর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই তো হয়ে গেল রান্নাঘরের কাজের ফাঁকে রূপচর্চা

মেঘ

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

পিঠের ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া ৪ টি মাস্ক

মুখের ত্বকের ব্রণের সমস্যার মতোই মারাত্মক আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পিঠে ব্রণের সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অনেকের তো এমন হয় যে মুখের ত্বকে ব্রণ না উঠলেও পিঠের ত্বকে অনেক ব্রণ উঠে থাকেন। এই নিয়ে অনেকে নিজের অনেক পছন্দের পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকেন। অনেকে বেশ অস্বস্তি বোধ করেন।
এই পিঠের ব্রণের সমস্যাও রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রেহাই পাবেন এই সমস্যা থেকে।

টমেটোর মাস্ক

টমেটোর ভিটামিন এ এবং সি শুধুমাত্র আমাদের দেহের অভ্যন্তরেই কাজ করে তা নয়। এটি পিঠের ব্রণও দূর করে খুব সহজেই।
প্রথমে টমেটো নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি ব্লেন্ড করবেন না। এই ব্লেন্ড করা টমেটো পিঠের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন ভালো করে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই টমেটো মাস্ক।

হলুদ ও পুদিনার মাস্ক

হলুদ ও পুদিনা দুটোরই রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণ নির্মূলের সাথে ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।
পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে রস বের করে নিন। হলুদ বেটে নিন। অথবা চাইলে হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা ও হলুদ একসাথে মশিয়ে নিয়ে পিঠের ত্বকে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফল পাবেন।

গোলাপজল ও লেবুর মাস্ক

এই মাস্কটি ব্রণের সমস্যা সমাধানের সাথে পিঠের ত্বকের কালো দাগ দূর করে পিঠের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
ভালো কোন গোলাপজলের সাথে তাজা লেবুর রস চিপে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সমান সমান গোলাপজল এবং লেবুর রস নেবেন। এরপর এটি পিঠের ত্বকে লাগাবেন। শুকিয়ে এলে এই আমস্কতি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন। সারাএয়াত রেখে সকালে উঠে পিথ ধুয়ে নেবেন। একদিন পরপর ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

দারুচিনি ও মধুর মাস্ক

মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পিঠের ত্বকের ওপর থেকে ইষ্টের আক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে। পিঠের ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়।
১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে ২ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটিতে তাজা লেবুর রস দিন ১ টেবিল চামচ। ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সমস্যার সমাধান হবে।

মেঘ

সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করছেন তো প্রিয় ফেসক্রিমটি?

আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্রিম আমাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকি। একেজনের ত্বক একেক রকম। এ কারণে একেক ত্বকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে আপনার স্পর্শকাতর ত্বকে সেই ক্রিমটি সঠিক উপায়ে ব্যবহার করছেন কি না। আমরা প্রায় সময়ই ক্রিমটি ভুল পদ্ধতিতে ব্যবহার করে থাকি। জেনে নিন ত্বকে ক্রিম ব্যবহারের সঠিক নিয়মগুলো।

১. মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন :

মুখে ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার মুখটি ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কেননা মুখে বিভিন্ন ধরনের ঘাম, ময়লা লেগে থাকতে পারে। এ কারণে ত্বকে কোনো কিছু লাগানোর আগে অবশ্যই তা পরিস্কার করে নিন।

২. হালকা ভেজা ত্বকে ব্যবহার করুন :

ভালোভাবে মুখ ধোয়ার পরে হালকা ভেজা ত্বকে ক্রিমটি ব্যবহার করুন। কেননা একেবারে শুষ্ক ত্বকের চেয়ে হালকা ভেজা ত্বকে ক্রিমটি বেশি কাজ করে। এ কারণে খানিকটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাবাপন্ন ত্বকেই ক্রিমটি ব্যবহার করুন।

৩. অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন :

আপনার ত্বকে ক্রিম সবসময় অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। অনেকে ত্বকে বেশি পরিমাণে ক্রিম ব্যহার করে থাকেন। তারা ভাবেন যে হয়ত বেশি পরিমাণে দিলে তা দ্রুত এবং ভালো কাজে দেবে। এই ধরনের চিন্তা একেবারেই ভুল। যে ক্রিম আপনার ত্বকের মসৃণতা আনে সেটি অল্পতেই আনতে পারে। এর জন্য বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হয় না। এ কারণে অল্প পরিমাণে ক্রিম ব্যবহার করুন।

৪. হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন :

ত্বক অনেক নরম একটি চামড়া দিয়ে গঠিত। তাই এতে সাবধানতার সাথে প্রসাধনী ব্যবহার করা দরকার। না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি ত্বকে ক্রিমটি খুব হালকাভাবে ম্যাসেজ করে ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না বরং মসৃণতা ও লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

মেঘ

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাব থেকে ত্বক বাঁচাতে ধরণ বুঝে ফেইস মাস্ক

এই বৃষ্টি এই গরম, ভ্যাঁপসা একটা ভাব, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। এই সময়টাতে ত্বকের খুব বেশি অসুবিধা শুরু হয়। সব ধরণের ত্বকেরই নানা সমস্যা শুরু হয়। কী করা উচিৎ তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। তার ওপর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে বর্ষাকাল। তখন তো আরও বেশি সমস্যা শুরু হবে।
সে কারণে আগে থেকেই ত্বককে তৈরি করে ফেলুন এই আবহাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে ব্যবহার শুরু করুন ঘরে তৈরি একেবারে প্রাকৃতিক কিছু ফেইস মাস্ক। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই ফেইস মাস্কগুলো আপনার ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করবে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হলুদ ও বেসনের মাস্ক

এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সময়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর সাথে তেলতেলে ভাবের জন্য ত্বক কালোও হওয়া শুরু করে দেয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এই ফেইস মাস্কটি।
উপকরণঃ ৪ টেবিল চামচ বেসন, অর্ধেক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো/ বাটা, সামান্য দুধ ও দুধের সর।
পদ্ধতিঃ প্রথমে বেসন ও হলুদ গুঁড়ো বা বাটা নিয়ে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে অল্প অল্প করে দুধ ঢালুন। পেস্টের মতো তৈরি হয়ে গেলে দুধ ঢালা বন্ধ করে এতে সামান্য দুধের সর বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকে মাস্কটি একেবারে শুকিয়ে যেতে দেবেন না। মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন এই মাস্কটি লাগাবেন।

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য মধু ও লেবুর মাস্ক

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যা হলো ত্বকের উপরিভাগ খুব অল্পতেই ফেটে যায়। এবং উপরের চামড়া ভালো করে স্ক্রাব না করলে কালচে ভাব দেখা যায়। চিন্তা নেই, সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।
উপকরণঃ ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ
পদ্ধতিঃ প্রথমে গুঁড়ো দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নেবেন। এরপর এতে তাজা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি চোখের আশেপাশে ছাড়া পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০-২৫ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এর জুড়ি নেই।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেসন, লেবু ও হলুদের মাস্ক

স্বাভাবিক ত্বকে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাব খুব খারাপ ভাবে পরে থাকে। হয় ত্বক খুব তৈলাক্ত হওয়া শুরু করে অথবা একেবারে রুক্ষ হয়ে যেতে থাকে। ত্বকটাকে ঠিক রাখার জন্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।
উপকরণঃ ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য গোলাপ জল।
পদ্ধতিঃ বেসন ও হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে এতে অল্প করে গোলাপজল দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর এতে দিন তাজা লেবুর রস। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান মাস্কটি। ১৫ মিনিট রেখে মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

মেঘ

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

দাগ ঢাকতে কনসিলার



লিপস্টিক, আইশ্যাডো সব ঠিকঠাক ব্যবহার করলেন। এমনকি এর আগে ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস মেকআপটাও করে নিয়েছেন। তবু মনে হচ্ছে কোথায় কিসের যেন কমতি। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কনসিলার। চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা বড় লোমকূপ ঢেকে দিতে ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। এটি ফাউন্ডেশনের মতোই, কিন্তু একটু ঘন এবং ভারী কভারেজের।