শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

এ সময়ে ত্বকের যত্ন

রোদ কিংবা বৃষ্টি থেকে চেহারাকে বাঁচানোর জন্য ছাতা এখন অপরিহার্য৷ ভালো মানের সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেল ছাড়া, শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিমযুক্ত সানস্ক্রিন উপযোগী৷ তবে সেটা আপনার ত্বকের জন্য মানানসই কি না, যাচাই করে নিন৷ ত্বক সুস্থ রাখার জন্য পানির ভূমিকা অনেক৷ রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, পানি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে৷ শরীরের চাহিদা পূরণ করতে এই আবহাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে৷ প্রতিদিন মুখে ৮ থেকে ১০ বার করে পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যাবে৷
এই আবহাওয়ায় মুখের ত্বক নিয়ে কী কী ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়? এই প্রশ্নের ভেতর দিয়ে তৈলাক্ত, শুষ্ক, মিশ্র ও সাধারণ ত্বকের অধিকারীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানা যায়৷ গরমে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের অধিকারীরা৷ একটু গরম কিংবা তাপে ত্বকের তেল বের হয়ে যায়৷ এর মধ্যে ধুলাবালু আটকে যাচ্ছে৷ ঘাম হচ্ছে বেশি৷ এ কারণে ব্রণের আগমনবার্তা পাওয়া যাচ্ছে কিছুদিন পরপরই৷ আফরোজা পারভীন এই সমস্যার সমাধান দিয়ে বলেন, যতটা সম্ভব ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে৷ দুই ঘণ্টা পরপর তেলবিহীন টোনার অথবা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন৷ তেল তাহলে মুখের ওপর বেশি আসবে না৷ মুলতানি মাটি ও শসার রস মিশিয়ে ১০ মিনিট মুখে রাখলে এই তেলতেলে ভাব কমবে৷ তিন থেকে চার ঘণ্টা সজীব দেখাবে৷ এ সময়ের আরেকটি সমস্যা, রোদে পোড়ার কারণে ত্বক কিছুটা নির্জীব হয়ে পড়ে৷ তরমুজ অথবা শসার রস মাখলে এর সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই৷ আরেকটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন৷ কলা, পেঁপেসহ বেশ কিছু ধরনের ফল ব্লেন্ড করে নিন৷ এবার অল্প পরিমাণে টকদই ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন৷ মুলতানি মাটির বদলে নিতে পারেন বেসন অথবা চালের গুঁড়া৷
.এ তো গেল গরমের সময়টার কথা৷ এবার আসা যাক বৃষ্টির সময়ে কী করতে হবে৷ বৃষ্টির পানি মাথায় লাগলে যত দ্রুত সম্ভব শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগাতে হবে৷ বৃষ্টির এই সময় চুলের আরও ভালো যত্ন নিতে হবে৷ বৃষ্টির সময় আদ্র৴তা বা ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বকের জন্য অনেক ভালো৷ কিন্তু বৃষ্টির আগে-পরে কখনো কখনো গুমোট গরম ভাব হয়৷ এই গরম-ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বক কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে যায়৷ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিলেই হয়৷ লিপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন৷ শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা ফেসওয়াশ ব্যবহার না করে হালকা কোনো ক্রিম ভালোভাবে মুখে মালিশ করে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে৷ শুষ্ক ভাব চলে যাবে৷ কোমলতা আসবে৷ বৃষ্টির পানিতে যেসব জায়গার ত্বক ভিজবে, সেখানে পরিষ্কার করে ফেলুন৷ ওয়াটার বেসড টোনার ব্যবহার করুন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য৷ এ ছাড়া ডাবের পানি বরফ করে রাখতে পারেন৷ সেটা মুখে ব্যবহার করতে পারেন৷ এ ছাড়া ডাবের পানি দিয়েও মুখ ধুতে পারেন৷ ত্বকের দাগ চলে যাবে, উজ্জ্বলতা বাড়বে৷
গুমোট গরমে ঘামের প্রবণতা দেখা যায়৷ ঘাম থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় বলে জানান আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ সমস্যা ও সমাধান দুটিই তুলে ধরলেন তিনি৷ ঘামের কারণে র্যাশ অথবা ফুসকুড়ি হয়৷ ব্রণ আছে যাঁদের, সেটা আরও বেড়ে যাচ্ছে৷ শসার রসের সঙ্গে মেথির গুঁড়া এখানে চমৎকার কাজ করবে৷ মেথি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করবে এবং শসার রস ত্বককে ঠান্ডা রাখবে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি খুব উপকারী৷ র্যাশের জন্য টকদই খুব ভালো৷ লাগিয়ে দেখতে পারেন৷ শুষ্ক ত্বকের সুস্থতার জন্য শসার রস, মেথির গুঁড়া ও টকদই যথেষ্ট৷ শুধু শসার রস তুলার সাহায্যে লাগালেও ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারবেন৷


মেঘ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন