রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

রূপচর্চায় উপকারী পানি- জেনে নিন ৮টি অজানা টিপস

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে পানির ভুমিকা অপরিহার্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়, শরীরকে সুস্থ ও প্রানবন্ত রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি খেলে শরীর ভালো থাকে আবার সেই পানি দিয়েই করা যায় ত্বক ও চুলের যত্ন। আসুন আজকে জেনে নেয়া যাক, পানি দিয়ে কীভাবে করবেন ত্বক ও চুলের পরিচর্যা।
১। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই অন্ততপক্ষে ১ গ্লাস পানি পান করুন। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া কে তরান্বিত করে ও রক্তের দূষিত পদার্থগুলি রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং নিয়মিত এ অভ্যাসে ত্বক এর লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায় ও উজ্জ্বল হয়।
২। প্রতিদিন পরিপূর্ণ গোসল আপনাকে এনে দিতে পারে একটি প্রাণবন্ত দিন। চেষ্টা করুন কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে। এতে করে শরীরের ক্লান্তিভাব দুর হয় উপরন্তু মনেও প্রশান্তি আসে। শাওয়ারের নিচে গোসল করলে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে করে আপনার ঘাড়ে ও ঠিক পিঠ বরাবর পানি পড়ে। আর যাদের বাথটাব আছে, তারা চাইলে পানিতে গোলাপের পাপড়ি, লেবুর টুকরো , পুদিনা পাতা বা এক বা দু ফোঁটা ল্যাভেন্ডার/সুগন্ধি অয়েল দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে বিশ্রাম নিতে পারেন। শাওয়ারের পানি বা বাথটাব-এর এ পদ্ধতিকে বলা হয় হাইড্রোথেরাপি।
৩। ত্বকের টোনার হিসেবে পানি খুব ই উপকারি। ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে, আধা চামচ মধু ও ১ চা চামচ পানি ও ৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির সাহায্যে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বকের একটি সতেজ পরিবর্তন দেখুন।
৪। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা আধা চা চামচ গ্লিসারিন ,আধা চা চামচ গোলাপজল ও ১ চা চামচ পানি মিশিয়ে মুখে লাগাবেন এবং শুকালে হাল্কা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে তৈলাক্ত ভাব কমে আসবে।
৫। ভেজা চুলে শ্যাম্পু করার পর চেষ্টা করুন স্বাভাবিক বা ঠাণ্ডা পানিতে চুল পরিস্কার করে ধুতে। এতে করে চুল শুকানোর পর চুল থাকে নরম ও মসৃণ। কিন্তু, হাল্কা গরম পানি ব্যাবহারে চুল পরে যায় এবং রুক্ষ ও ম্যাড়মেড়ে হয়ে যায়।
৬। ত্বককে মসৃণ করতেও পানি কার্যকর ভুমিকা রাখে। গোসলের সময় ভেজা ত্বকে স্ক্র্যাব করুন, মরা কোষ ঝরে পরবে।
৭। যারা অতিরিক্ত ঘামান তাঁরা মুখে মেইকআপ করার আগে এক টুকরো ঠাণ্ডা বরফ ঘষে তারপর ফাউনডেশন দিন, সারাদিন সতেজ থাকবে মুখ ও ঘাম থেকে রক্ষা পাবেন।
৮। খুব ক্লান্ত লাগলে কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে পানিতে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে ক্লান্তিভাব ও দুর হবে এবং পা ও গোড়ালির ত্বক ও নরম ও মসৃণ হবে।
মেঘ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন