সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

টিপস

পেঁয়াজ এবং রসুন - রান্নাঘরের দুটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেকোনো ঝাল খাবার রান্নাতেই পেঁয়াজ-রসুনের উপস্থিতি থাকে। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। কিন্তু কাঁচা পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ বেশ কটু, তীব্র ও অস্বস্তিকর। এগুলো কাটার পর হাতে থেকে গন্ধ তো সহজে যায়-ই না, বরং অন্য কোনো কিছু ছুঁলে তাতেও গন্ধ লেগে যায়। তাড়াহুড়োর সময়গুলোতে এই গন্ধ দূর করতে বেশ ঝামেলাই হয়ে যায়। কী করবেন তখন? রইল দ্রুত এই গন্ধ দূর করার খুব সহজ উপায়।
রান্নাঘরের আরেকটি জিনিস দিয়েই দূর করতে পারবেন হাতের পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ। আর তা হলো লবণ। হাতে লবণ নিয়ে তাতে সামান্য পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে দু হাতে মাখুন। দুই মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

মেঘ 

টিপস

সহজে ভেঙ্গে যায় না বলে অনেকেই বাড়িতে মেলামাইনের বাসনকোসন ব্যবহার করে থাকেন। বিজ্ঞাপনে যাই বলুক না কেন, অনবরত ব্যবহারের ফলে মেলামাইনের পাত্রে বিশেষ করে থালা-বাটিতে হলুদের দাগ বসে যায়। খুবই বিশ্রী লাগে দেখতে। নিয়মিত মেজে রাখলেও এই দাগ পড়ে। তবে এই দাগ দূর করারও রয়েছে খুব সহজ একটি উপায়। কী সেটা? জেনে নিন।
মেলামাইনের এই হলদে দাগ উঠাতে যে জিনিসটি আপনার প্রয়োজন হবে তা হলো কাপড় কাচা সাবান! এই দাগ দূর করতে প্রথমে কাপড় কাচা সাবান মেলামাইনের পাত্রে মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। পরে স্পঞ্জ বা নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

মেঘ

টিপস

গরমকাল মানেই অনবরত ঘাম, আর ঘাম মানেই কাপড়ে ঘামের দাগ! এই ভয়াবহ গরমে কাপড়ে ঘামের দাগ অনিবার্যভাবে পড়বেই। বিশেষ করে সুতি কাপড়ে। যাঁদের কাজের কারণে প্রায় সারাদিনই বাইরে থাকতে হয়, তাঁদের এই ঘামের কারণে কাপড়ের দাগের মুখোমুখি বেশি হতে হয়। তবে এই দাগ থেকেও নিস্তার পাবার উপায় কিন্তু আছে! কী সেটা? জেনে নিন।
উপায়টা একটু অদ্ভুত। দাগ দূর করতে আপনাকে সাহায্য করবে ওষুধ! পানির মধ্যে দু-তিনটা ব্যথানাশক ট্যাবলেট গুলে নিন। ডিসপ্রিন হলে ভালো হয়। এরপর ওষুধ গোলানো পানিতে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না মোটেও।

মেঘ

টিপস

জানেন কি, সবজি ও ফলের রং দেখেই বলে দেয়া যায় ওতে কোন কোন খাদ্যগুণ রয়েছে? যেমন, হলুদ ও কমলা রঙের সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। আবার সবুজ রঙের ফলে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে। খাবারের রং খাদ্যগ্রহণ করার আগ্রহও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় রান্না করতে গেলে সবজির আসল রং থাকে না। এটা মশলার কারণে হতে পারে, আবার অতিরিক্ত তাপের কারণেও হতে পারে। তবে খুব সহজেই আপনি খাবারের রং ধরে রাখতে পারবেন। কী করে? জেনে নিন।


সবজি কাটার আগেই ধুয়ে নিন। চেষ্টা করুন মাঝারি তাপে রান্না করতে। আর রান্নার সময় সবজিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার দিন, এতে খাবারের রং বজায় থাকবে।


মেঘ

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

চুলের যত্নে বাড়িতে বসেই তৈরি করুন ৪ প্যাক

গরমে চুল নিয়ে দুশ্চিন্তা করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কারণ এ সময় প্রচন্ড গরমে চুল হয়ে যায় রুক্ষ। চুলের আগা ফেটে যাওয়াসহ চুল পড়ার হারও বেড়ে যায়।এছাড়াও দেখা দেয় নানা সমস্যা। কর্মব্যস্ত জীবনে চুলের যত্নে তাই নিয়মিত পার্লারে যাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ নিয়ম জানা থাকলে বাড়িতে বসেও চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে সময়ের পাশাপাশি টাকাও বাঁচবে।

ময়েশ্চারাইজিং: চুলের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং বেশ উপকারি। আর এটা করার জন্য তিন টেবিল চামচ নারিকেলের দুধের সাথে রেড়ীর তেল মেশান। তারপর এটি মাথায় ভালভাবে লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল হবে ঝরঝরে ও সুন্দর।
ডি-ফিজিং: সামান্য কয়েকটি গোলাপ পাতা ও ফুল একসাথে গুঁড়া করে নিয়ে এর সাথে অলিভ অয়েল বা নারিকেলের তেল মিশিয়ে নিন।  এরপর চুলে তা সুন্দরভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে চুল একদিকে যেমন সুন্দর হয়ে উঠবে, তেমনি অন্যদিকে চুল পড়াও কমবে। কারণ গোলাপ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
হেয়ার লস: দুই টেবিল চামচ রেড়ীর তেল, নারিকেলের দুধ, বাদামের দুধ ও মেথির বীজ একসাথে পেস্ট করে নিন। তারপর এ পেস্টটি মাথায় ম্যাসেজ করে লাগান। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুল পড়ার হার অনেকটাই কমে যাবে। সেই সাথে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর।
সফটনেস: গরমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুল হয়ে উঠে রুক্ষ। তাই এ সময় চুলের কোমলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কলা ও বাদামের পেস্ট বানিয়ে নিন। এক্ষত্রে আপনি কেবল একটি কলা পেস্ট করে এর সাথে বাদামের তেল মিশিয়ে নিন। আর মিশ্রিত পেষ্টটি চুলে ম্যাসেজ করে লাগান। প্রায় ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুলের রুক্ষ ভাবটা এখন আর নেই।
মেঘ

সৌন্দর্য চর্চায় রূপে-গুণে অনন্যা গোলাপের পাপড়ি


ফুলের রাজ্যে গোলাপের কদরটা সবসময়েই বেশি। প্রেম নিবেদন কিংবা ভালোবাসা প্রকাশে গোলাপ না থাকলেই নয়। নারীর সাজেও গোলাপের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। চুলের এক পাশে একটি গোলাপ গুঁজে দিলে পুরো সাজেই যেন আসে পরিপূর্নতা। ঘরের কোনে কয়েকটি গোলাপ রেখে দিলেও এর মিষ্টি সুবাসে মন ভালো থাকে সারাদিন। আপনি কি জানেন যে রূপচর্চাতেও গোলাপের পাপড়ির আছে অসাধারণ কিছু ব্যবহার? জেনে নিন সৌন্দর্য চর্চায় গোলাপের পাপড়ির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে।

টোনার

টোনার হিসেবে গোলাপের পাপড়ির জুড়ি নেই। কিছু গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। এবার পানিটাকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে রাখুন। এরপর ঠান্ডা সেই পানির মধ্যে তুলা ভিজিয়ে সেটা দিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। গোলাপের পাপড়ির এই টোনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ত্বক মসৃণ করে

নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ। গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ফলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও সুন্দর।

ব্রণের উপদ্রব কমায়

অনেকেরই ত্বকে ব্রণের উপদ্রব আছে। গোলাপের পাপড়িতে আছে অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও গোলাপের পাপড়ির রস ব্রণের লালচে ভাব কমাতে সহায়তা করে এবং ব্রণের আকৃতি ছোট করে দেয় বেশ দ্রুত।

রোদে পোড়া ভাব কমায়

প্রচন্ড রোদে বাইরে বের হলে ত্বকের রং অনেকটাই কালচে হয়ে যায়। নিয়মিত গোলাপের পানি ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটাই কমে যায়। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ। এছাড়াও গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

চোখের নিচের কালচে ভাব কমায়

গোলাপের পাপড়ির রস চোখের নিচের কালো ভাব কমিয়ে দেয়। কিছু গোলাপের পাপড়ি বেঁটে চোখের নিচের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। অথবা গোলাপের পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের উপর দিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে পুরোপুরি। সেই সঙ্গে চোখের ক্লান্তিও দূর হবে।

মেঘ

ত্বকের কোমলতা ধরে রাখুন শশা ও তরমুজের মাস্কে



বাড়িতে বসে একসঙ্গে ত্বকে পরিষ্কার করতে, পোড়া ভাব দূর করতে, ক্লান্তি কাটাতে ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ব্যবহার করুন এই মাস্ক।

কী কী লাগবে-

শশার রস-২ টেবিল চামচ
তরমুজের রস-২ টেবিল চামচ
গুঁড়ো দুধ-১ চা চামচ
দই-১ চা চামচ

কীভাবে লাগাবেন-

সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে ভাল করে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। তরমুজ ত্বক পরিষ্কার করে। পোড়া ভাব তুলে টোনারের কাজও করে। ত্বকের কাল ভাব কাটায় শশাও। ত্বকরে নরম ও টানটান রাখে দই। ফর্সাভাব ধরে রেখে ত্বককে উজ্জ্বল করে গুঁড়ো দুধ।
মেঘ