চুল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
চুল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

চুলের যত্নে বাড়িতে বসেই তৈরি করুন ৪ প্যাক

গরমে চুল নিয়ে দুশ্চিন্তা করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কারণ এ সময় প্রচন্ড গরমে চুল হয়ে যায় রুক্ষ। চুলের আগা ফেটে যাওয়াসহ চুল পড়ার হারও বেড়ে যায়।এছাড়াও দেখা দেয় নানা সমস্যা। কর্মব্যস্ত জীবনে চুলের যত্নে তাই নিয়মিত পার্লারে যাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ নিয়ম জানা থাকলে বাড়িতে বসেও চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এতে করে সময়ের পাশাপাশি টাকাও বাঁচবে।

ময়েশ্চারাইজিং: চুলের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং বেশ উপকারি। আর এটা করার জন্য তিন টেবিল চামচ নারিকেলের দুধের সাথে রেড়ীর তেল মেশান। তারপর এটি মাথায় ভালভাবে লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল হবে ঝরঝরে ও সুন্দর।
ডি-ফিজিং: সামান্য কয়েকটি গোলাপ পাতা ও ফুল একসাথে গুঁড়া করে নিয়ে এর সাথে অলিভ অয়েল বা নারিকেলের তেল মিশিয়ে নিন।  এরপর চুলে তা সুন্দরভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে চুল একদিকে যেমন সুন্দর হয়ে উঠবে, তেমনি অন্যদিকে চুল পড়াও কমবে। কারণ গোলাপ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
হেয়ার লস: দুই টেবিল চামচ রেড়ীর তেল, নারিকেলের দুধ, বাদামের দুধ ও মেথির বীজ একসাথে পেস্ট করে নিন। তারপর এ পেস্টটি মাথায় ম্যাসেজ করে লাগান। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুল পড়ার হার অনেকটাই কমে যাবে। সেই সাথে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর।
সফটনেস: গরমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুল হয়ে উঠে রুক্ষ। তাই এ সময় চুলের কোমলতা ফিরিয়ে আনার জন্য কলা ও বাদামের পেস্ট বানিয়ে নিন। এক্ষত্রে আপনি কেবল একটি কলা পেস্ট করে এর সাথে বাদামের তেল মিশিয়ে নিন। আর মিশ্রিত পেষ্টটি চুলে ম্যাসেজ করে লাগান। প্রায় ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুলের রুক্ষ ভাবটা এখন আর নেই।
মেঘ

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

প্রিয় চুলগুলো খুব দ্রুত ঘন ও কালো করার ৪টি ঘরোয়া উপায়!

 ঘন কালো সুন্দর চুল সকলেরই বেশ পছন্দের। সেই প্রাচীনকাল থেকে মেয়েদের সৌন্দর্যের বর্ণনায় চুলের উপমা দেয়া হয়ে থাকে। ঘন কালো লম্বা চুলের উপমা ছাড়া নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পরিপূর্ণতা পায় না। মাঝে বেশ কিছুদিন ছোট চুলের ফ্যাশন ছিল। কিন্তু আবার নতুন করে ফিরে এসেছে লম্বা চুলের ফ্যাশন।

কিন্তু সমস্যা হলো আবহাওয়া এবং আমাদের যত্নআত্তির ত্রুটির কারণে চুলের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে কমে আসছে। সকলেরই এখন চুল ঝরে পড়া কিংবা টাকের সমস্যা। এর পাশাপাশি কমে গিয়েছে চুল বাড়ার প্রক্রিয়াটিও। সহজে চুল লম্বাই হতে চায় না। এই সমস্যা সমাধান করবে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায়। খুব সহজে আপনিও এই উপায়গুলো খাটিয়ে চুলের বেড়ে ওঠাকে নিশ্চিত করতে পারেন। নতুন চুল গজিয়ে চুল হবে ঘন, কালো, লম্বা।


পেঁয়াজের ব্যবহার
সেই প্রাচীন কাল থেকে চুল বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার যা চুলের কোলাজেন টিস্যুর বৃদ্ধি উন্নত করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে দ্রুত।

লাল পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে রেখে চিপে রস বের করে নিন। এই পেঁয়াজের রস পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মৃদু কোনো সাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন এই পেঁয়াজের রস।

ডিমের হেয়ার মাস্ক
ডিমের উচ্চ মাত্রার প্রোটিন চুলের ফলিকলে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই মাস্কের সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিন চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে।

১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

আলুর রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির কাজে আলুর রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আলুর ভিটামিন এ, বই এবং সি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

আলু একেবারে ঝুড়ি করে নিয়ে খুব দ্রুত এর রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।


মেহেদীর হেয়ার মাস্ক
মেহেদী চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি উপাদান। চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে মেহেদীপাতার তুলনা নেই।

১ কাপ পরিমান শুকনো গুড়ো মেহেদী অর্ধেক কাপ টকদই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মেহেদীর মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোঁড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করবেন।


মেঘ

সোমবার, ৫ মে, ২০১৪

ঘরে বসেই চুল হাইলাইট করার ৩টি পদ্ধতি!


ফ্যাশন সচেতন ছেলে মেয়ে উভয়েই জানেন চুলের হাইলাইটের ব্যাপারে। চুলের মাঝে মাঝে গোছা করে পছন্দের অন্য রঙে রাঙিয়ে নেয়াটাকেই হাইলাইট বলা হয়। কিছুদিন আগেও হাইলাইটের ফ্যাশন চলে গিয়েছিল কিন্তু ইদানীং নতুন করে চুলে কালার হাইলাইট করার চল চলে এসেছে। তাই হাইলাইটের প্রচলনটা আরও বাড়ছে। পার্লারে যেভাবে চুলের হাইলাইট করা হয় তাতে কেমিক্যালের মাত্রা অনেক বেশি থাকে অনেক। ফলে চুলের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। আর তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল হাইলাইট করার পদ্ধতি। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে করা হয় বলে চুলের ক্ষতিও হয় না।

লেবুর মাধ্যমে
সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক হাইলাইটার হিসেবে কাজ করে লেবু। এতে চুলে আসে সুন্দর একটি রঙ। এই পদ্ধতিতে হাইলাইট করতে চাইলে একটি বাটিতে সম পরিমান লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোছা আলাদা করে নিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। পার্লারের মতই চুলগুলো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে নিয়ে রোদের মধ্যে বসে থাকুন। চুল শুকিয়ে উঠলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ বার করলেই দেখবেন চুল কি সুন্দর হাইলাইট হয়ে গিয়েছে।

রঙ চায়ের মাধ্যমে
রঙ চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ট্যানিক অ্যাসিড যা চুলে ব্যবহার করলে চুল হাইলাইট হয়ে যায়। প্রথমে ১ কাপ পানিতে ৬/৭ চা চামচ চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এরপর এই চা চুলের গোছায় লাগিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে পেঁচিয়ে রেখে দিন। চা চুলে ভালো করে শুকোতে দিন , শুকিয়ে গেলে চুল গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন মাথার ত্বকে গরম পানি লাগাবেন না। শুধুমাত্র চুলে গরম পানি লাগাবেন। এভাবে ৫/৬ বার করলে চুলের রঙ পরিবর্তন হয়ে সুন্দর হাইলাইট করা হয়ে যাবে।

অলিভ অয়েলের মাধ্যমে
অলিভ অয়েল চুলের ময়েসচারাইজার হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু চুলের ঘরোয়া হাইলাইটের জন্য অলিভ অয়েলের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চুলের যে যে অংশ হাইলাইট করতে চান সে অংশে ভাল করে অলিভ অয়েল মাখিয়ে রোদে বসে থাকুন। অলিভ অয়েল সুরজের আলোর সাথে রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে চুলের রঙ পরিবর্তন করে ফেলে। এতে করে পছন্দ অনুযায়ী চুল হাইলাইট করা হয়ে যায়।

মেঘ