রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

নিখুঁত ত্বকের জন্য রাতের ২টি ফেসিয়াল মাস্ক


কাঠ ফাটা রোদ আর একটু পরই বৃষ্টি। দুয়ে মিলে আবহাওয়া হয়ে উঠেছে অস্বস্তিকর। না ভালো করে গরম যাচ্ছে না একটু ঠাণ্ডা হচ্ছে পরিবেশ। এই সময়টায় ত্বক আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে চলতে যেয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। ব্রণ, ত্বকের রুক্ষতা, কালো ছোপ দাগ ইত্যাদির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সকলেই সমাধান খুঁজছেন।
অনেকে ভরসা করেন বাজারের ত্বকের প্রোডাক্টের ওপর। কিন্তু কেমিক্যালে ভরপুর এই প্রোডাক্টগুলোর চাইতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক জিনিসের ওপর। ঝলমলে উজ্জ্বল এবং সমস্যাবিহীন ত্বক পেতে সারাদিন শেষে রাতে একটু সময় বের করে নিন ত্বকের যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল রাতে ব্যবহারের ২ টি ফেসিয়াল মাস্ক যা দূর করবে ত্বকের সমস্যা।

চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েলের ফেসিয়াল স্ক্রাব

সব ধরনের ফেসিয়াল স্ক্রাবের মধ্যে এই স্ক্রাবটি সবথেকে ভালো। কারন এই স্ক্রাবটির উপাদান অনেক সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক বলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অলিভ অয়েল ত্বককে কোমল করে ও চিনি ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর করে।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। ২ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে নিয়ে মুখের ত্বকে হালকাভাবে ঘষে লাগান। মুখে এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বকের উজ্জলতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

কলা এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক

কলা খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারি। কলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কোমলতার জন্য একটি অসাধারন উপাদান। অন্যদিকে দই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারি।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টি কলা, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দুধ ও ২ চা চামচ টকদই। প্রথমে একটি বাটিতে কলা নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে মধু ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।

মেঘ

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০১৪

সৌন্দর্যচর্চায় ৫ ধরনের ভুল আমরা প্রতিদিন করে থাকি

 রূপ সচেতনতায় প্রতিদিন আমরা ব্যবহারিক অনেক কাজই করে থাকি। সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রূপের সৌন্দর্য রক্ষার্থে অনেক কাজ করে থাকি। মূলত শরীরকে সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখার জন্যই এমন অনেক কাজ করে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো না জেনেই এমন অনেক কাজ করছি যেগুলো আমাদের শরীরের ক্ষতি করছে। নিত্যদিনের ব্যস্ততার ভিড়ে সেদিকে আমাদের একেবারেই খেয়াল নেই। ফলে খুব কম পরিমাণে হলেও ক্ষতি করছে শরীরের।

১. পুরো মাথায় কন্ডিশনারের ব্যবহার :
চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং চুলের বিভিন্ন পুষ্টি যোগাতে আমরা অনেকেই গোসলের সময়ে চুল শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় এই যে অনেকেই আছেন যারা শুধু চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে পুরো মাথাতেই ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখার বিষয়টি হল কন্ডিশনার কোনো মতেই সমস্ত মাথায় ব্যবহার করা ঠিক নয়। এটি শুধুমাত্র চুলে ব্যবহার উপযোগী। এটি মাথার ত্বকে ঘষলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।

২. বডিস্প্রে ব্যবহার করা :
বডিস্প্রে মূলত কাপড়ে স্প্রে করার জন্য। কিন্তু প্রায় অনেকেই এই ভুলটি করে থাকেন যে তারা কাপড়ে স্প্রে না করে শরীরের উপরে স্প্রে করেন। ব্যবহৃত বডি স্প্রে বা পারফিউমের মান কেমন আপনি জানেন না। তাই স্কিন ক্যান্সারসহ ত্বকের নানান রকম রোগ হতে রেহাই পেতে তোকে স্প্রে ব্যবহার করবেন না।

৩. গলার ত্বকের খেয়াল না করা :
আমরা মুখের ত্বকের বেশ খেয়াল করে থাকি। মুখের ত্বককে ভালো রাখতে বিভিন্ন রং ফর্সাকারী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু এগুলো গলায় ব্যবহার করিনা। এতে করে মুখ বেশ উজ্জ্বল দেখালেও গলা তুলনামূলকভাবে অনেক কালো দেখায়। খেয়াল রাখতে হবে যে মুখ এবং গলা আলাদা কিছু না। মুখের পরিচর্যায় যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই একই উপকরণ গলার ত্বকের পরিচর্যায়েও ব্যবহার করা উচিৎ।

৪. চোখের চারপাশে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা :
মশ্চারাইজার মূলত মুখের ত্বকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে নমনীয় এবং শুষ্ক করার জন্য। কিন্তু যদি এই মশ্চারাইজার চোখের উপরে বা চারপাশে ব্যবহার করা হয় তাহলে চোখে ফোলাভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া চোখে ক্লান্তির ছাপ এবং ঘুম ঘুম ভাবের দেখা দিতে পারে। এ কারণে চোখের চারপাশে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

৫. অনেক সময় ধরে গোসল করা :
এই গরমে অনেক সময় ধরে গোসল করলে বেশ ভালো লাগে। মনে হয় যে যতক্ষণ গোসলখানায় থাকা যায় ততক্ষণই আরামে ও শান্তিতে থাকা যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে গোসল করা শরীরের জন্য ভালো না। কেননা অনেকক্ষণ গোসলে শরীরের তৈলাক্ততা একেবারে কমে যায় অর্থ ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহারে এর শুষ্কতা আরও অনেক বেড়ে যায়।


মেঘ

প্রিয় চুলগুলো খুব দ্রুত ঘন ও কালো করার ৪টি ঘরোয়া উপায়!

 ঘন কালো সুন্দর চুল সকলেরই বেশ পছন্দের। সেই প্রাচীনকাল থেকে মেয়েদের সৌন্দর্যের বর্ণনায় চুলের উপমা দেয়া হয়ে থাকে। ঘন কালো লম্বা চুলের উপমা ছাড়া নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা পরিপূর্ণতা পায় না। মাঝে বেশ কিছুদিন ছোট চুলের ফ্যাশন ছিল। কিন্তু আবার নতুন করে ফিরে এসেছে লম্বা চুলের ফ্যাশন।

কিন্তু সমস্যা হলো আবহাওয়া এবং আমাদের যত্নআত্তির ত্রুটির কারণে চুলের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে কমে আসছে। সকলেরই এখন চুল ঝরে পড়া কিংবা টাকের সমস্যা। এর পাশাপাশি কমে গিয়েছে চুল বাড়ার প্রক্রিয়াটিও। সহজে চুল লম্বাই হতে চায় না। এই সমস্যা সমাধান করবে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায়। খুব সহজে আপনিও এই উপায়গুলো খাটিয়ে চুলের বেড়ে ওঠাকে নিশ্চিত করতে পারেন। নতুন চুল গজিয়ে চুল হবে ঘন, কালো, লম্বা।


পেঁয়াজের ব্যবহার
সেই প্রাচীন কাল থেকে চুল বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার যা চুলের কোলাজেন টিস্যুর বৃদ্ধি উন্নত করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে দ্রুত।

লাল পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে রেখে চিপে রস বের করে নিন। এই পেঁয়াজের রস পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মৃদু কোনো সাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন এই পেঁয়াজের রস।

ডিমের হেয়ার মাস্ক
ডিমের উচ্চ মাত্রার প্রোটিন চুলের ফলিকলে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই মাস্কের সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিন চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে।

১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

আলুর রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির কাজে আলুর রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আলুর ভিটামিন এ, বই এবং সি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

আলু একেবারে ঝুড়ি করে নিয়ে খুব দ্রুত এর রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।


মেহেদীর হেয়ার মাস্ক
মেহেদী চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি উপাদান। চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে মেহেদীপাতার তুলনা নেই।

১ কাপ পরিমান শুকনো গুড়ো মেহেদী অর্ধেক কাপ টকদই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মেহেদীর মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোঁড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করবেন।


মেঘ

জেনে নিন রোদে পোড়া দাগ থেকে চটজলদি মুক্তির ৫ টি উপায়


 জৈষ্ঠ্যের তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। কিন্তু তাই বলে তো ঘরে বসে থাকলে চলে না। নানা কারণে প্রতিদিন বাসার বাইরে বেরুতেই হয়। আর সেকারনে মুখে ছোপ ছোপ কালো দাগ পড়ে যায় সহজেই। আর ত্বকের রঙও হয়ে আসে কালচে। এগুলো রোদের তীব্র অতিবেগুনী রশ্মির কারণে হয়ে থাকে। এর যত্ন যদি আপনি এখনই না নিয়ে থাকেন তবে এগুলো আপনার ত্বকে স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে।

তাই খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন রোদে পোড়া কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতেঃ

১। লেবুর রসঃ
পুরো মুখে লেবুর রস ও সমপরিমাণ মধু মেখে ৫-১০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এ কাজটি করার চেষ্টা করুন। লেবুর প্রাক্রিতিক ব্লিচিং উপাদান আপনার ত্বককে আগের উজ্জ্বলতায় ফিরিয়ে আনবে আর মধু করবে ময়েশ্চারাইজারের কাজ। সুতরাং রোদে পোড়া দাগ মিলিয়ে গিয়ে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের মতই উজ্জ্বল বা তার চেয়েও সুন্দর।

২। টকদইঃ
রোদে পোড়া দাগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবার জন্যে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সারা মুখে টকদই লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এর কার্যকরী ব্লিচিং উপাদান প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার রোদে পোড়া দাগ সারিয়ে তুলবে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার ত্বকের লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৩। এলোভেরাঃ
এলোভারা আপনার ত্বককে দেয় ঠান্ডা অনুভূতি আর সেই সাথে সতেজ করে তুলতেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন যদি স্রেফ ১০ মিনিটের জন্যে আপনার ঘাড় গলায় ও মুখে এলোভেরার রস লাগিয়ে রাখতেপারেন এটা কেবল রোদে পোড়া কালো কালো ছোপ থেকেই আপনাকে মুক্তি দেবে না বরং ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে বলিরেখা রোধ করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে বহুদিন।

৪। টমেটোঃ
রোদে পোড়া দাগ থেকে সব চেয়ে ভালো উপায় হল টমেটো। টমেটো ভালোভাবে পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা টমেটোর পেস্ট ১৫-২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ব্যস, খুব জলদিই মুক্তি পাবেন রোদে পোড়া দাগ সহ পুরোনো ব্রনের দাগ থেকেও।

৫। আলুঃ
আলু রূপচর্চায় এবং ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। যদিও অন্যান্য উপাদানের চেয়ে এটি কাহ্নাইকটা বেশী সময় নেয়। আলু ভালোভেবে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পর দাগ কমে আসবে।

৮। কাঁচা পেঁপেঃ
কাচা পেঁপের পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এটি আপনার ত্বকের নানা দাগ দূর করতে ভীষন কার্যকরী।

সেই সাথে এটি প্রতিরোধে গড়ে তুলুন কয়েকটি জরুরী অভ্যাসঃ
প্রতিদিন ঘরের বাইরে বেরুবার আগে কমপক্ষে এসপিএফ-২৪ যুক্ত সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।
২ ঘন্টা পর পর মুখ ধুয়ে নতুন করে সানস্ক্রীন লাগান।
সবসময় রোদে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন
ঘুমাবার আগে ময়েশারাইজার লাগিয়ে ঘুমান

রোদে পোড়া ত্বককে অবহেলা করবেন না বা ভাববেন না নিজে থেকেই সেরে যাবে এটি। সহজেই ত্বকের কালো ছোপ তুলে ফেলুন আর থাকুন সুন্দর, সবসময়ে।


মেঘ

খুব সহজ ১০ টি উপায়ে নির্মূল করুন শরীরের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক

 ফাটা চামড়া বা স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। আমাদের শরীরের ত্বকে বিভিন্ন অংশে এই ফাটা দাগগুলো দেখা যায়। মূলত এই সমস্যা বাড়তি ওজনের জন্য হয়। শরীরের আয়তন যখন বেড়ে যায়, ত্বক তখন স্ট্রেচ করে বাড়তি আয়তনকে ঢাকতে। ফলে তৈরি হয় এই দাগ। আবার গর্ভ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে চামড়ার টানজনিত কারণে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে। এটি ত্বকের উপরে দৃশ্যমানলাইনের মত দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন- পেটের প্রাচীর, কোমর, হাত, ঘাড়, হাটুর পেছনে, উরু এমনকি বুকেও দেখা যায়। স্থুলতা তো অবশ্যই, সাথে গর্ভ ধারণের মত শারীরিক ধকল এবং শরীরে পানি ঘাটতির কারণেও হতে পারে এ ধরনের সমস্যা।

ত্বকের এই ফাটা দাগ দূরীকরণ যেন এক অসম্ভব কাজ। কিন্তু না, এখন আর অসম্ভব নয়। বরং খুব সম্ভব। কীভাবে জানতে চান?

১. গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

২. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে।

৩. প্রতিদিন ৩ বার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। যতদিন দাগটি নির্মূল না হয় ততদিন এই পদ্ধতিটি শরীরে এ্যাপ্লাই করে যাবেন।

৪. শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

৫. ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে।

৬. চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।

৭. এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপওে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি।

৮. ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯. এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার।

১০. প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে।



মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

চোখের ফোলা ভাব দূর করার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়



সুন্দর এক জোড়া চোখ খুব সহজেই নজর কেড়ে নিতে পারে সবার। টানা টানা চোখের চাহনি যে কাউকে কাবু করে ফেলতে পারে নিমিষেই। আর তাই চোখ জোড়াকে সুন্দর করে তোলার জন্য নানান প্রসাধনীর ব্যবহার করেন নারীরা। কিন্তু সেই চোখ জোড়াই যদি হয়ে ওঠে ক্লান্ত ও ফোলা ফোলা? তাহলে পুরো চেহারাতেই ক্লান্তির ছাপ পরবে। রাতে ঘুম কম হওয়ার কারণে, কান্নাকাটি করার কারণে অথবা দূর্বলতার কারণে চোখে ফোলা ভাব চলে আসে। ফলে চেহারার উজ্জ্বলতা কম দেখায় এবং চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়ে।
চোখের ফোলা ভাব দূর করার আছে খুব সহজ উপায়। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেই চোখের ফোলা ভাব দূর করা সম্ভব। জেনে নিন চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি দূর করার সহজ কিছু উপায়।

১) চোখের ফোলা ভাব দূর করার জন্য চামচ ব্যবহার করতে পারেন। দুটি টেবিল চামচ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ফেলুন। এবার চামচের নিচের অংশ চোখের নিচের ফোলা স্থানে রেখে চোখ বন্ধ করে রাখুন। চামচ গুলো গরম হয়ে গেলে সরিয়ে ফেলে আবার ঠান্ডা চামচ দিন। এভাবে ১৫ মিনিট ঠান্ডা চামচ রাখলে চোখের ক্লান্তি কমে যাবে এবং ফোলা ভাব কমবে।

২) ব্যবহৃত টি ব্যাগও চোখের ফোলা ভাব কমাতে সহায়তা করে। টি ব্যাগ ব্যবহারের পর সেটা কিছুক্ষন ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা হলে সেটা চোখের উপর রেখে চোখ বন্ধ করে রাখুন ১৫ মিনিট। চোখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নিচের কালিও কমে যাবে ধীরে ধীরে।

৩) চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করতে ডিমের সাদা অংশও বেশ কার্যকরী। একটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিন। এরপর সেটাকে খুব ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা তুলে ফেলুন। এরপর একটি তুলা অথবা ব্রাশের সাহায্যে সেটাকে চোখের নিচের ত্বকে ধীরে ধীরে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এরপর চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলে চোখের ফোলা ভাব ও ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে অনেকটাই।

৪) প্রচুর পানি পান করুন। চোখের ফোলা ভাব দূর করতে পানি পানের বিকল্প নেই। চোখের নিচের অংশ বেশি ফুলে থাকলে কিছুক্ষন পরপর পানি খান। এভাবে সারাদিন পানি পান করলে চোখের ক্লান্তি কেটে যাবে এবং চোখের নিচের ফোলা ভাব কমে যাবে।

৫) চোখের উপর ঠাণ্ডা শশার টুকরা দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। চোখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

মেঘ

ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার এবং মুখের কালো দাগ দূর করার কিছু টিপস…

“ত্বক ফর্সা করতে ফেয়ার নেস cream কতই তো ইউস করলাম। কই কোনো তো কাজ হলো না।” এমন আফসোস শোনা যাই অনেকের মুখে। কিন্তু আমরা যদি ঘরে একটু সময় দিয়ে হারবাল উপায়ে ত্বকের সামান্য একটু যত্ন নি তাহলেই কিন্তু আমাদের ত্বক অনেক খানি সুন্দর হয়ে উঠবে।

আজ আপনাদের জানাব সহজ ও ঘরওয়া পদ্ধতি তে ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার কিছু টিপস:

✏ প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য মসুর ডালের বেসন, মধু ও সামান্য তিলের তেলের মিশ্রণ বেশ উপযোগী। রোদে পোড়া ভাবও দূর হবে।

✏ মধু, কাঁচা হলুদ, দুধ ও তিলের তেল চুলায় অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে ফিরে প্রতিদিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

✏ বেসন-দই, লেবুর প্যাক: ২ চামচ আটা, মসুরির ডাল বাটা অথবা বেসন নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মেশান৷ এবার ওর মধ্যে দই মিশিয়ে প্যাকটাকে গাঢ় করে নিন৷ মুখে, ঘাড়ে ভালো করে ঐ প্যাকটা লাগান৷ ২০ মিনিট রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের চমক বাড়বে৷

✏ ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে বাইরে থেকে ফিরে মুখে, গলায় ও হাতে টমেটোর রস লাগান। শুকিয়ে গেলে আরো একবার লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ থাকবে না।

✏ পাতিলেবুর রস, নিমপাতার রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

✏ কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।

✏ দই এবং ময়দা মিশিয়ে মাখলেও ত্বকের কালো ছোপ তুলতে সাহায্য করে কলা পেস্ট করে মধু মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


মুখের কালো দাগ দূর করার কিছু টিপস:

✏ মুখের কালো দাগ দূর করতে আপনি মধু , লেবু, গোলাপ ফুলের পাতা অনেক কার্যকর। এক সাপ্তাহের মাঝেই আপনি তার ফলাফল পাবেন। এই উপাদান গুলি আপনি পেস্ট করে এক সাপ্তাহ ফেইসে লাগাবেন দেখবেন অনেক ভাল লাগবে।

✏ একটি ডিমের কুসুমের সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ৩ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

✏ প্রথমে শুকনো হলুদের গুড়ার সঙ্গেদেশি ঘি মিশান।তারপরে মিশ্রিত গুড়া আঙ্গুলের ডগা দিয়ে খুঁত বা দাগের ওপর আলতো ভাবে মাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পরিপূর্ণভাবে দাগ দূর করা সম্ভব।

✏ দুভাগ পানি ও এক ভাগ আগুনে পোড়া সোডা মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। মিশ্রিত সোডা খুঁত বা দাগযুক্ত স্থানে এক মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে জোরে জোরে ক্ষত স্থানে কোন ক্রিম বা মালিশ ব্যবহার অনুচিত। এ পদ্ধতি ক্ষত টিস্যুকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলে। আর মনে রাখবেন প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি ও ফল খাবেন।





মেঘ