সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার প্যাকে

দই, কলা, ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকার। তবে প্রচন্ড গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও বেশ কাজ করে এগুলো। এ তিনটির মিশ্রনে তৈরি প্যাক আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কেরামতি দেখাবে। এমনকি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন পার্লারের ফেসিয়ালের মতো উপকারিতা।


অর্ধেকটা কলা, ১টি ডিমের সাদা অংশ ও ১ টেবিল চামচ দই একসাথে মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন।


প্রথমে কলা ভালো করে চটকে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ ও দইয়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পুরো মুখে ভালো করে সমান ভাবে লাগান।

১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। দেখবেন কতটা সতেজ হয়ে উঠে আপনার ত্বক।

মেঘ

শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

টিপস

আপনার চুল যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, তার অন্যতম লক্ষণ হলো চুলের ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, চুল পড়া এবং চুলের আগা ফাটা। চুলের এসব অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকে অনেক কিছুই করে থাকেন। কিন্তু যে কাজটা করলে সবচেয়ে দ্রুত ফল লাভ করবেন তা হলো চুলে ডিমের প্রয়োগ। ডিমের গন্ধের কারণে অনেকেই চুলে ডিম দিতে চান না। জেনে নিন চুলে ডিম দেয়ার একটি গন্ধহীন পদ্ধতি।
ডিমের সাদা অংশটি আলাদা করে নিয়ে খুব ভালো করে ফেটুন। ফেনা না ওঠা পর্যন্ত ফেটতে থাকুন। এরপর এতে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে আবার ফেটুন। এবার এতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এভাবে চুলে ডিম লাগান। এতে আপনার চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

মেঘ

টিপস

বাসায় এটা-সেটা বানাতে বেকিং পাউডার লাগেই। কেক বলুন আর মুচমুচে পিঠা বলুন! প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তাই থাকে এক কৌটা বেকিং পাউডার। কিন্তু অনেক সময় খুব বেশি ব্যবহার না হলে পরিমাণে অনেকখানি থাকতে থাকতেই এর মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে যায়। তখন কী করেন? নিশ্চয়ই বেকিং পাউডারগুলো ফেলে দেন। ফেলে না দিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। আপনার বাড়ির টাইলস পরিষ্কার করতে পারেন। কী করে? জেনে নিন পদ্ধতিটি।
এক কাপ ভিনেগার নিন। ভিনেগারে আধা কাপ বেকিং পাউডার মেশান। এরপর একটি নরম সুতি কাপড় মিশ্রণে ভিজিয়ে টাইলসে প্রলেপ দিন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। টাইলস হয়ে উঠবে নতুনের মতো ঝকঝকে!

মেঘ

টিপস

নাগরিক জীবনে বাগানের শখটা অনেকেই পূরণ করেন বারান্দা অথবা ছাদে টবে গাছ লাগিয়ে। ফুলগাছের উজ্জল রঙিন ফুল অথবা পাতাবাহারের বাহারি রঙ, মনে ভালো করে দেবার জন্য যথেষ্ট! আপনার শখের বাগানের ফুলগাছগুলোর ফুল আরো বড়, আরো উজ্জল করে তুলতে চান? না, কোনো বিশেষ সার ব্যবহার করতে হবে না। ঘরের ফেলনা জিনিসেই হবে? কী সেই জিনিস? জেনে নিন।
অসুখ হলে ওষুধ তো খেতেই হয়, তাই না? প্রায় সব বাড়িতেই কিছু না কিছু ওষুধের মজুদ থাকেই। মেয়াদউত্তীর্ণ ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি ট্যাবলেট থাকলে সেগুলো পানিতে গুলে গাছের গোড়ায় দিন। গাছের ফুল হবে আরো বড়, আরো রঙিন।

মেঘ

টিপস

ব্যবহারে সুবিধা বলে অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখেন। কাচের বোতলের মতো ভঙ্গুর নয় বলে এগুলো নিরাপদও। তবে প্লাস্টিকের বোতলের সমস্যা হলো এতে খুব দ্রুত শেঁওলা পড়ে যায়। পানির আয়রন বা ময়লাও বোতলের নিচে দাগ ফেলে। খাবার পানির বোতল যদি এমন হয়, তাহলে কি আর সে বোতলে খেতে ইচ্ছে করবে? আপনি চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই কিন্তু পরিষ্কার, দাগমুক্ত করে ফেলতে পারবেন। কীভাবে? জেনে নিন।
বোতলের পানি ফেলে দিন। এর ভেতরে এক চা চামচ লবণ ও দুই চা চামচ পানি দিন। বোতলের আকার অনুযায়ী লবণ ও পানির পরিমাণ বাড়বে। এরপর বোতলের মুখ লাগিয়ে জোরে জোরে ঝাঁকাতে থাকুন। পাঁচ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে বোতলটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। বোতল হবে নতুনের মতো পরিষ্কার।

মেঘ

টিপস

অস্বীকার করে লাভ নেই যে বেশি খাওয়ার পর অনেকেরই পেট গুড়গুড় করে। কারো কারো পেটে ব্যথা, কখনো শুরু হয় ডায়রিয়া। কারো কারো হয়তো এসিডিটি হয়, ভারী ভারী ঠেকে পেট। এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আছে একটা সহজ ঘরোয়া উপায়। পেটের যাবতীয় অস্বস্তি তো সারবেই, সাথে সেরে যাবে ডায়রিয়াও। হ্যাঁ, আপনার ঘরে মজুদ সাধারণ উপাদানেই হবে চিকিৎসা!
লেবু ও পুদিনা রস করে নিন। এক চা চামচ পুদিনা রসের সাথে সব পরিমাণ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তৈরি করুন শরবত। এবার এই শরবত ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাই ছোট ছোট চুমুক দিয়ে পান করুন। পানের সাথে সাথে ব্যথা কিছুটা কম হবে। কিছুক্ষণের মাঝেই পেট ব্যথা অস্বস্তি থেকে আরাম মিলবে, ২/৩ বার পানের পর ডায়রিয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।

মেঘ

এই গ্রীষ্মে যেমন হওয়া উচিৎ আপনার সাজসজ্জা

গ্রীষ্মকাল অনেকের কাছে বেশ পছন্দের একটি ঋতু, আবার অনেকের কাছে বেশ বিরক্তিকর। তবে প্রায় সবাই-ই এই ঋতুটিকে অপছন্দ করে থাকেন। কেননা এই ঋতুতে অতিরিক্ত গরমে সব ধরনের কাজ করতেই একরকম বিরক্তি চলে আসে। আবার সময়টা যদি হয় বর্ষার কাছাকাছি তখন তো আর কোনো উপায়ই থাকে না। কখন বুষ্টি কখন গরম আপনি ঠিক বুঝে উঠতেই পারবেন না। এই গ্রীষ্মকালে আমাদের অনেক কাজেই ঘরের বাইরে বের হতে হয়। তাই জেনে নিন গ্রীষ্মকালে ঠিক কেমন হওয়া উচিৎ আপনার মেকআপটি।

১. সানস্ক্রিন :

প্রচন্ড রোদের হাত থেকে আপনার ত্বককে সূর্যের বেগুনী রশ্মি থেকে বাঁচাতে এবং এক ধরনের টানভাব অক্ষুন্ন রাখতে আপনি এই গ্রীষ্মকালে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। আপনি যেখানেই যান না কেন অবশ্যই আপনার ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাবেন। এতে করে রোদে পোড়া ভাব থেকে আপনার ত্বক রক্ষা পাবে। এছাড়া এটি আপনার ত্বকে এক ধরনের উজ্জ্বলতা এনে দেবে।

২. প্রাইমার :

প্রাইমান মূলত এমন একটি জেল জাতীয় দ্রব্য যেটি ফাউন্ডেশনের আগে এবং মশ্চারাইজারের পরে ব্যবহার করতে হয়। এটি মেকআপের কঠিন ভাবকে সহনীয় করে তোলে। তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত রোদে আপনার মেকআপটি গলে পড়ে যেতে পারে। এই প্রাইমার আপনার মেকআপটিকে ত্বকের সাথে সহনযোগ্য মাত্রায় বসিয়ে থাকে বলে এটির আর রোদের আলোয় গলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে এই গ্রীষ্মে আপনি যদি মুখে ফাউন্ডেশন দিতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে হালকা প্রাইমার লাগিয়ে নিন।

৩. ময়েশ্চারাইজার :

এই গ্রীষ্মকালে ত্বকের সুরক্ষায় অবশ্যই প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। গ্রীষ্মকালের শুষ্ক ত্বকের অতিরিক্ত টানটান ভাব কমিয়ে দেয় এই মশ্চারাইজার। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে।

৪. মেকআপে পানি ব্যবহার :

এই গ্রীষ্মকালে আপনি হয়ত মেকআপ করলে সবসময় চিন্তিত থাকেন যে কখন আপনার মেকআপটি নষ্ট হয়ে যায়। এই চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আপনি চাইলে আপনার ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পরে হালকা পানি দিয়ে তা ত্বকের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে মেকআপটি ভালোভাবে ত্বকে বসে যাবে এবং তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

৫. লিপগ্লস :

এই গ্রীষ্মকালে ঠোঁটের যতœ নেয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ঠোঁটের যত্নে আপনি চাইলে লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাট কোনো লিপস্টিকের উপরে হালকা গ্লস দিলে বেশ আকর্ষণীয় মনে হবে।

মেঘ