বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

এই মৌসুমে ঝলমলে ফর্সা ত্বক পাবার দারুণ উপায়




বসন্তের চনমনে আবহাওয়া শীতের রুক্ষতাকে দূর করে দিয়েছে। কিন্তু বসন্তের আবহাওয়া শীতের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন হওয়ায় ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শুরু হয়ে যায় ত্বকের সমস্যা। কড়া রোদ, গরম বাতাস এবং রুক্ষ আবহাওয়ার ধুলোবালির কারণে ত্বকের উপরিভাগ হয়ে যায় কালো, রুক্ষ এবং প্রাণহীন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী যারা তাদের ত্বকে ধুলোবালি খুব সহজে আটকে যায় এতে ত্বকের উপরিভাগ কালো দেখায় এবং ব্রণের প্রকোপ বাড়ে। আবার শুষ্ক এবং স্বাভাবিক ত্বক রোদে পুড়ে এবং আদ্রতা হারিয়ে ফেটে যায় এবং কালো ছোপছোপ দাগ পড়ে। তাই এই সময় সবারই দরকার ত্বকের ভালো যত্ন নেয়া ত্বকের উপরিভাগ থেকে এই ময়লার কালো আস্তরণ সরিয়ে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সময় উপযোগী ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ৩ টি ফেইস মাস্ক।

রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে কাঠবাদামের ফেইসমাস্ক
শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে পপড়ে। ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বকে পপড়ে কালো ছোপ। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করুন কাঠবাদামের ফেইসমাস্ক।

এই ফেইস মাস্কের জন্য লাগবে ৫/৬ টি কাঠবাদাম এবং সামান্য দুধ। সকালে ৫/৬ টি কাঠবাদাম অর্ধেক কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সারাদিন শেষে রাতে এই কাঠবাদাম এবং দুধ ভালো করে ব্লেন্ড করে পাতলা পেস্টের মত তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগান। ২ ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি হবে। যদি পারেন তবে এই পেস্টটি সারারাত মুখে রাখার চেষ্টা করুন। এতে দ্রুত ফল ভালো পাবেন।

তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে শসা এবং লেবুর রসের ফেইস মাস্ক
আবহাওয়া অনেক রুক্ষ হওয়ায় বাতাসে ধুলোবালি বেশি হয় এই সময়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকে ধুলোবালি আটকে গিয়ে ত্বকের উপরিভাগ কালো চিটচিটে করে ফেলে এবং সৃষ্টি করে ব্রণ। তাই উজ্জলতা বৃদ্ধিতে এবং ব্রন থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন শসা এবং লেবুর রসের ফেইস মাস্ক।

এই ফেইস মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টেবিল চামচ শসার রস, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ হলুদ গুড়ো এবং ১ চা চামচ মধু। সব কটি উপাদান একসাথে ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্টের মত তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ভালো করে লাগান। ব্রাশ দিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হয়। এই মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রাখবেন মাত্র ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাস্কটি তুলে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

স্বাভাবিক ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে কলার ফেইস মাস্ক
স্বাভাবিক ত্বক যাদের তারা এই সময় ত্বকের নানা সমস্যায় পড়ে থাকেন। কারন যত্ন না নিলে দ্রুত ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বক রোদের সংস্পর্শে আসলেই পুড়ে কালো হয়ে যায়। তাই উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করুন কলার ফেইস মাস্কটি।

এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে মাঝারি আকৃতির অর্ধেকটা কলা, ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ১ টেবিল চামচ টক দই। একটি বাটিতে চামচের সাহায্যে কলা পিষে নিয়ে এতে ডিমের সাদা অংশ এবং টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। পার্লারের ফেসিয়ালের মত কাজে দেবে।

মেঘ

ঘরেই তৈরি করুন ত্বকের রঙ "ফর্সা" করার ক্রিম

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বকের রঙের উজ্জলতার জন্য আফসোস করেননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু আফসোসই নয়, অনেকে তো রঙ চঙে রঙ ফরসাকারি ক্রিমের বিজ্ঞাপন দেখে সেই ক্রিম কিনে মুখে লাগান দিনের পর দিন। কিন্তু এতে লাভ হয় কতোটুকু, তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? হয়তো কিছুটা পরিবর্তন নজরে পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এইসব রঙচঙে বিজ্ঞাপনের ক্রিম শুধুমাত্র টাকা জলে ফেলার সমান।

অনেক ধরণের ফেস প্যাক রয়েছে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য। কিন্তু অনেকেই ফেস প্যাকের চাইতে ক্রিমের প্রতিই ভরসা রাখেন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল একটি রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম যা সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত এবং বেশ কার্যকরী। বেশ সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারবেন এই ক্রিমটি।

উপাদানঃ

দেড় কাপ ঘরে তৈরি চিনি ছাড়া দই
৩/৪ টি কাঠ বাদাম
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ মধু
১ চিমটি হলুদ গুড়ো

ঘরে চিনি ছাড়া দই তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ফেলুন। এরপর এই দুধটুকু ঠাণ্ডা হতে দিন।
•একটি পাত্রে দুধ ঢেলে নিয়ে ঠাণ্ডা দুধে ৩/৪ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পাত্রের মুখ পরিষ্কার পাতলা কাপড় কিংবা স্বচ্ছ প্ল্যাস্টিক দিয়ে ভালো করে বেঁধে ফেলুন।
•এরপর এই পাত্রটি গরম কিন্তু অন্ধকার স্থানে রাতভর রেখে দিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল দই।

ক্রিম তৈরির পদ্ধতিঃ
•প্রথমে কাঠ বাদামগুলো পিষে নিন । চাইলে পাটায় বেটে নিতে পারেন। কিন্তু পাটা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেবেন। একদম মিহি গুঁড়ো করতে হবে।
•এরপর কাঠবাদাম গুড়ো, মধু, দই, লেবুর রস এবং হলুদ গুড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন।
•ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার রঙ উজ্জ্বলকারী ক্রিম। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
•এই ক্রিম ফ্রিজে একটি ঢাকনাযুক্ত কৌটায় সংরক্ষণ করতে পারবেন ৭ দিন।
•এই ক্রিম শুধু রাতে লাগাবেন। দিনে এই ক্রিম লাগাবেন না। কারণ হলুদ এবং লেবুর রস সূর্যের আলোর প্রভাবে ত্বকে পোড়া দাগের সৃষ্টি করবে।

মেঘ


সোমবার, ৫ মে, ২০১৪

ঘরে বসেই চুল হাইলাইট করার ৩টি পদ্ধতি!


ফ্যাশন সচেতন ছেলে মেয়ে উভয়েই জানেন চুলের হাইলাইটের ব্যাপারে। চুলের মাঝে মাঝে গোছা করে পছন্দের অন্য রঙে রাঙিয়ে নেয়াটাকেই হাইলাইট বলা হয়। কিছুদিন আগেও হাইলাইটের ফ্যাশন চলে গিয়েছিল কিন্তু ইদানীং নতুন করে চুলে কালার হাইলাইট করার চল চলে এসেছে। তাই হাইলাইটের প্রচলনটা আরও বাড়ছে। পার্লারে যেভাবে চুলের হাইলাইট করা হয় তাতে কেমিক্যালের মাত্রা অনেক বেশি থাকে অনেক। ফলে চুলের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। আর তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল হাইলাইট করার পদ্ধতি। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে করা হয় বলে চুলের ক্ষতিও হয় না।

লেবুর মাধ্যমে
সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক হাইলাইটার হিসেবে কাজ করে লেবু। এতে চুলে আসে সুন্দর একটি রঙ। এই পদ্ধতিতে হাইলাইট করতে চাইলে একটি বাটিতে সম পরিমান লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোছা আলাদা করে নিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। পার্লারের মতই চুলগুলো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে নিয়ে রোদের মধ্যে বসে থাকুন। চুল শুকিয়ে উঠলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ বার করলেই দেখবেন চুল কি সুন্দর হাইলাইট হয়ে গিয়েছে।

রঙ চায়ের মাধ্যমে
রঙ চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ট্যানিক অ্যাসিড যা চুলে ব্যবহার করলে চুল হাইলাইট হয়ে যায়। প্রথমে ১ কাপ পানিতে ৬/৭ চা চামচ চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এরপর এই চা চুলের গোছায় লাগিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে পেঁচিয়ে রেখে দিন। চা চুলে ভালো করে শুকোতে দিন , শুকিয়ে গেলে চুল গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন মাথার ত্বকে গরম পানি লাগাবেন না। শুধুমাত্র চুলে গরম পানি লাগাবেন। এভাবে ৫/৬ বার করলে চুলের রঙ পরিবর্তন হয়ে সুন্দর হাইলাইট করা হয়ে যাবে।

অলিভ অয়েলের মাধ্যমে
অলিভ অয়েল চুলের ময়েসচারাইজার হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু চুলের ঘরোয়া হাইলাইটের জন্য অলিভ অয়েলের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চুলের যে যে অংশ হাইলাইট করতে চান সে অংশে ভাল করে অলিভ অয়েল মাখিয়ে রোদে বসে থাকুন। অলিভ অয়েল সুরজের আলোর সাথে রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে চুলের রঙ পরিবর্তন করে ফেলে। এতে করে পছন্দ অনুযায়ী চুল হাইলাইট করা হয়ে যায়।

মেঘ

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

১৫ মিনিটে উজ্জ্বল, ঝলমলে চেহারা


সারাদিন শত কাজের ব্যস্ততায় থাকতে থাকতে ত্বকের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে এই গরমের সময়। সারাদিনের কাজের ক্লান্তি, রোদের তীব্রতা এবং ধুলোবালির ছাপ পড়ে যায় ত্বকে। দিন শেষে একটু কোথাও বেড়ানোর কথা থাকলে ত্বকের এই দুরাবস্থা দেখে অনেকের মেজাজই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিট ব্যয় করে ত্বকের উজ্জলতা আনতে পারবেন খুব সহজে। ত্বকও হবে নরম ও কোমল। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা মাত্র ১৫ মিনিট ব্যয়ে ফিরিয়ে আনার সহজ দুটি পদ্ধতি।

প্রথম পদ্ধতিঃ
- একটি বাটিতে ১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন
- এতে ২ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন
- মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে গরম পানির ভাপ নিন ৩/৪ মিনিট।
- এরপর ডিম ও লেবুর মাস্কটি লাগান ত্বকে।
- ১০-১২ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে মুছে ফেলুন। ফিরিয়ে আনুন ত্বকের শুভ্রতা ও উজ্জলতা।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
- একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন।
- এতে ১ টেবিল চামচ মধু এবং পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন
- খুব ভালো করে মেশাবেন, পেস্টটি যেন একটু পাতলা ধরণের হয়।
- এরপর এই পেস্টটি একটি ব্রাশের সাহায্যে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান। চাইলে হাতে ও পায়েও লাগাতে পারেন।
- ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাস্কটি ধুয়ে ফেলুন।
- সামান্য ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন
- দেখবেন কি সুন্দর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে

মেঘ

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

আদার ৫টি সম্পূর্ণ ভিন্নরকম ব্যবহার


আদা আমাদের অতি পরিচিত একটি মশলার নাম। আদাকে মশলাই বলা চলে। আদা আমরা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই বিশেষভাবে ব্যবহার করে থাকি। আদা কুচি বা আদা বাটা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। আদা পেটের যে কোনও সমস্যা, সর্দি কাশি নিরাময়ে বেশ সহায়তা করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, এতো সব কিছুর পাশাপাশি আদার রয়েছে বেশ কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা? অনেকেই এই ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত নন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক চেনা আদার অচেনা কিছু সৌন্দর্য উপকারিতা।

বয়সের ছাপ প্রতিরোধে আদা
আদার মধ্যে অ্যান্টিএইজিং উপাদান রয়েছে যা ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা প্রদান করে। এছারা আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে ও ত্বকের সতেজ ভাব ধরে রাখে। তাই প্রতিদিন সামান্য আদা কাচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চেহারায় বহুকাল বলিরেখা পড়বে না।

ত্বকের পোড়া অংশ নিরাময়ে আদা
মাঝে মধ্যেই কাজ করতে গিয়ে যে কেউ পুড়িয়ে ফেলতে পারেন হাত বা পায়ের বা দেহের যে কোনো অংশের ত্বক। ত্বকের এই পুড়ে যাওয়া নিরাময় করতে আদা বেশ সহায়ক। তাজা আদার রস পোড়া অংশে দিয়ে রাখুন। দেখবেন দ্রুত সেরে উঠবে। এছাড়া ত্বকের পোড়া অংশের দাগও দ্রুত চলে যাবে।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আদা
প্রতিদিন খানিকটা আদা কেটে নিয়ে ত্বকে ভালো করে ঘষুন। সারাদিন শেসে বাসায় ফিরে খানিকটা আদা কেটে হাত, গলা ও মুখে ঘষুন। দেখবেন ত্বকের উপরিভাগের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ত্বকের দাগও চলে যাবে।

চুল পড়া প্রতিরোধ ও নতুন চুল জন্মাতে আদা
আদার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত করে তোলে। গোসলের ২৫-৩০ মিনিট আগে তাজা আদার রস পুরো চুলে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে চুলের গোড়ার দিকে লাগাবেন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে চুল পড়া ৭৫% পর্যন্ত কমে যাবে। আদার রস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, এতে নতুন করে চুল জন্মায় ও চুল হয় স্বাস্থ্যউজ্জ্বল।

চুলের আগা ফাটা ও রুক্ষতা দূর করতে আদা
আদার তেল শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে চুল ধুলে চুলের আগা ফাটা এবং রুক্ষতা একেবারে দূর হয়ে যায়। এটি চুলের প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজারের মতো কাজ করে। আদার তেল মার্কেটে না পেলে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজে। ১ কাপ অলিভ অয়েলে বড় একটি আদার খণ্ড কুঁচি করে দিয়ে তেল গরম করুন। ফুটতে দেবেন না তেল। গরম হলে নামিয়ে নিন। এভাবে ৪/৫ বার করে তেল ঠাণ্ডা করে আদা তেল থেকে ছেঁকে নিয়ে তৈরি করে ফেলুন আদার তেল।

মেঘ

শুক্রবার, ২ মে, ২০১৪

পাঁচটি ফল দিয়ে বাড়িতেই সেরে নিন পার্লারের ফ্রুট ফেশিয়াল!





পার্লারে যারা ফেসিয়াল করান, তারা সকলেই জানেন যে ফ্রুত ফেসিয়াল কি বহুমূল্য একটা বস্তু। তবে এখন আর পার্লার যেতে হবে না, ঘরে বসেই আপনি সেরে নিতে পারবেন চমৎকার ফ্রুট ফেসিয়াল। ত্বক তো সুন্দর থাকবেই থাকবে, সাথে অনেকগুলো টাকাও সাশ্রয় হবে।

১. কলা-
কলার মধ্যে ভিটামিন এ, বি ও ই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। ফেশিয়ালের জন্য প্রথমে ভাল করে পাকা কলা চটকে নিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর জলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

২. লেবু-
ভিটামিন সি-এর উৎস লেবু। এটি ব্লিচের কাজ করে। মুখের দাগ, অ্যাকনে, স্কিন টোনিং ও মুখকে পরিষ্কার করতে সক্ষম। এছাড়াও এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে হাফ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নিজের দিনের শুরুটা করুন। এতে উপকারটা আপনারই। এটি সেলুলয়েড গঠনে সাহায্য করে এবং ভিতর থেকে আপনার ত্বককে পরিষ্কার করে। লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে লাগালেও মুখকে দাগমুক্ত করতে সাহায্য করে ও উজ্জ্বল করে তোলে।

৩. কমলালেবু-
কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বককে উন্নত করতে সাহায্য করে। মুখের দাগ হ্রাস করতে ও বয়সের ছাপ দূর করতে খুব উপকারী। শুকনো কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে নিয়ে তা দিয়ে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন মুখে মাসাজ করতে হবে। এটি স্ক্রাবারের কাজ করে।

৪. আপেল-
আপেলের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এটি এক ভাল হাইড্রেটিং ফেস প্যাক। যা আপনার মুখকে বলি রেখার হাত থেকে রক্ষা করবে।

৫. পেঁপে-
মুখের মরা কোষ হ্রাস করতে পেঁপে ভীষণ কার্যকরী। মুখে পেঁপের ভিতরের অংশটা মুখে ১ মিনিট ধরে ঘষতে পারেন। এতে মুখ নরম ও পরিষ্কার হয়। পেঁপে ও তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্কের মত লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার মুখে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। পার্থক্যটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০১৪

এই গরমে স্বস্তি পেতে যা করবেন


এবারে গরমটা যেন একটু বেশিই পড়েছে! কড়া রোদ, চিটচিটে ঘাম আর সেই সঙ্গে ঘামের দুর্গন্ধ - জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তুলতে আর কি চাই? গরমের চোটে ফ্রেশ থাকাটাই দায় হয়ে পড়ে। আর যখন ফ্রেশ থাকা যায় না তখন অস্বস্তি তো লাগবেই! এই গরমে স্বস্তি পেতে চাইলে কিছু বিষয়ে একটু বেশি খেয়াল রাখুন।

স্বস্তি পেতে গোসল :
দিনে দু বার গোসল করার চেষ্টা করুন। গোসলের সময় বডি স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে শরীরের ধুলোময়লা সহজে পরিষ্কার হবে। গোসলের সময় ঘাড়, পায়ের অংশ ও আন্ডারআর্ম ভালো করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। কারণ শরীরের এই অংশগুলো থেকেই সাধারণত দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। চন্দন, গোলাপ বা অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ সাবান বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ন্যাচারাল কুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে এবং গরমের সময় ত্বকের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করে।

ডিওডোরেন্ট :
বেশির ভাগ ডিওডোরেন্টই অ্যান্টি পারস্পিরেন্টের কাজ করে। গরমের সময় রোল অন ডিওডোরেন্টের চেয়ে স্প্রে ডিওডোরেন্টই ভালো। তবে খেয়াল রাখুন, আপনি যে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করছেন তা মাইল্ড কিনা। শরীর ঘাম নিঃসরণ করে স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে ঠাণ্ডা রাখে। তাই খুব কড়া অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট ব্যবহার করে ঘাম নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়।

পাউডার ও পারফিউম :
গরমের সময় ফ্রেশ থাকার জন্য অনেকে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে সাময়িকভাবে শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা কিছুটা কমে যায়। কিছুক্ষণের জন্য ঘাম শুকিয়ে ফ্রেশ থাকতে সাহায্য করে ট্যালকম পাউডার। গরমের সময় হালকা সুগন্ধের পাউডার উপযুক্ত। উগ্র গন্ধের পারফিউম মাথাব্যথার মতো সমস্যা তৈরি করে।

মাস্ক :
গরমের সময় ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। রোদ থেকে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং র্যাশ বেরোয়। এজন্য দরকার সামার মাস্ক। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ ময়দা ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ত্বকে লাগান টক দই ও ময়দার মিশ্রণ। এটাও ত্বকের সমস্যা কমায়।

মেঘ