সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

প্রচলিত যে ভুলগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য!

নিজেকে একটু সুন্দর করে উপস্থাপন করতে কার না ভালো লাগে। সবাই চান বছরের সবকটি দিনেই তাকে দেখতে ভালো লাগুক। নিজেকে আকর্ষণীয় লাগুক। এর জন্য কমবেশি সবাই কিছু না কিছু করে থাকেন। ছেলে মেয়ে সবাই নিজের সৌন্দর্য সচেতনতাবশত অনেক কিছুই করেন। সব চাইতে বেশী যত্ন নেয়া হয় ত্বকের। ডারমাটোলজিস্টদেরও একই অভিমত যে ত্বক ভালো থাকলে সবাইকেই বেশ ভালো দেখায়। কিন্তু এই ত্বকের যত্ন নিতে গিয়েই আমরা উল্টো এর ক্ষতি করে বসছি অনেকভাবে। না জেনেই কিছু কাজ যা আমরা ত্বকের যত্নে করে যাচ্ছি,অথচ দেখা যায় সেই কাজগুলোই ত্বকের ক্ষতি করছে অনেক বেশী। জেনে নিন ত্বকের যত্নে যে কাজগুলো করা একদমই উচিত নয় সে সেগুলো কী কী।

অতিরিক্ত ময়েসচারাইজার
ময়েসচারাইজার ত্বকের জন্য অনেক ভালো। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে আমরা অনেকেই ময়েসচারাইজার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেককে দেখা যায় অতিরিক্ত ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে।

মুখ ধুয়ে ফেললেই পুনরায় ময়েসচারাইজার লাগিয়ে ফেলেন। কিন্তু ডারমাটোলজিস্টদের মতে দিনে ২/৩ বারের বেশী ময়েসচারাইজার ব্যবহারে ত্বকে সাদা ছোপ পরে। সুতরাং বেশী ময়েসচারাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

স্ক্রাবিং
ময়েসচারাইজারের মতই স্ক্রাবিংএর ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ত্বকের ময়লা, মরা কোষ দূর করার জন্য আমরা স্ক্রাব করে থাকি। এই স্ক্রাবগুলোতে উপাদান গুলো বিভিন্ন আকারের এবং একটু শক্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে ২ বারের বেশী স্ক্রাবিং করার ফলে আমাদের নরম ত্বকের টিস্যু ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বকে র‍্যাশ উঠে থাকে অনেকের। তাই সপ্তাহে ২ বারের বেশী স্ক্রাব করবেন না।

সানস্ক্রিন না লাগানো
অনেকেই শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে কিংবা বেশী রোদ হলে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে থাকেন। এটা একটি ভুল কাজ। সানস্ক্রিন প্রতিদিন লাগাবেন। সানস্ক্রিন শুধুমাত্র সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে না এর পাশাপাশি ত্বকে একটি ধুলো বিরোধী পর্দার মত কাজ করে থাকে। তাই বছরের ৩৬৫ দিনই সানস্ক্রিন লাগান।

ওয়েট টিস্যু কিংবা ফেইস ওয়াইপারের ব্যবহার
বাইরে কোথাও গেলে কিংবা বাসায় ফিরে সময় বাঁচাতে অনেকেই ওয়েট টিস্যু কিংবা ফেস ওয়াইপারের ব্যবহার করে থাকেন। মনে করেন সারাদিনের ধুলোবালি মুখে নিয়ে বেড়ানোর চাইতে ওয়েট টিস্যু কিংবা ফেইস ওয়াইপারের ব্যবহার করলে ত্বক ঠিক থাকবে।

এটা একটি ভুল ধারনা। ওয়েট টিস্যু কিংবা ফেস ওয়াইপারে নানান রাসায়নিক থাকে যা আপনার অজান্তে ত্বকের ক্ষতি করে ফেলে আপনি বুঝে ওঠার আগেই।

সময়ের আগেই অ্যান্টিএইজিং ক্রিম লাগানো
ত্বক সচেতন অনেকেই এই ভুলটি করে থাকেন। নিজের চেহারায় বয়সের ছাপ না দেখতে চাওয়ায় এই ভুলটি হয়। অনেকেই মনে করেন আগে থেকেই প্রতিরোধী এই ক্রিম মাখলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। কিন্তু একটি সম্পূর্ণ ভুল। যদি আপনি সময়ের পূর্বেই ত্বকে অ্যান্টিএইজিং ক্রিম লাগানো শুরু করেন তবে আপনার ত্বকের কুঁচকে যাবার সম্ভাবনা বেশী। কারন সাধারণ ক্রিমের তুলনায় অ্যান্টিএইজিং ক্রিমের উপাদান অন্যরকম হয়ে থাকে।

স্কিন প্রোডাক্ট বারবার বদলানো
যতবারই নতুন ত্বকের প্রোডাক্ট আসে, তখন অনেকেই ত্বকের উন্নতি ও সৌন্দর্যের আশায় তা কিনে ত্বকে লাগিয়ে দেখেন। এই কাজটি ভুলেও করতে যাবেন না। এতে ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে থাকে। বারবার স্কিন প্রোডাক্ট বদলালে ত্বক নতুন প্রোডাক্টের জন্য নিজে থেকে তৈরি হতে পারে না। ফলে উল্টো ব্রণের বা র‍্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্তত ৬ মাস একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত।

মেঘ




রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

চিনে নিন আপনার ত্বকের ধরন

কথায় বলে- সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র! কেবল প্রবাদে নয়, বাস্তবিকই কিন্তু তাই।
তবে সৌন্দর্য মানে কেবল গায়ের রঙ ফর্শা হওয়া নয়, কিংবা নিখুঁত শরীর আর ঝলমলে সাজসজ্জা নয়। বরং সৌন্দর্য মানে হচ্ছে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল এবং সুখী একটি চেহারা। আপনি কালো- ফর্শা, মোটা- চিকন যেমনি হয়ে থাকুন না কেন; যদি আপনার ত্বক হয় সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন – তবেই আপনাকে দেখতে লাগবে সুন্দর। এবং তা নারী পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য।

পরিচ্ছন্ন ত্বক মানেই সুন্দর ত্বক, এবং তা আপনার ব্যক্তিত্বে অবশ্যই যোগ করে নতুন মাত্রা। নিয়মিত চেহারার চর্চা করলে অচিরেই আপনার ত্বকের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সংশোধন হতে শুরু করবে, এবং আপনাই পাবেন আগের চাইতে অনেক বেশী সুন্দর একটি চেহারা ও ব্যক্তিত্ব। তবে এই চর্চাটা হতে চাই নিয়ম মাফিক। এবং অতি অবশ্যই সঠিক উপায়ে।

মানুষ হিশাবে আমাদের চেহারার যেমন আলাদা, ভিন্ন যেমন শরীরের রঙ। ঠিক একই ভাবে মানুষ মাত্রই ত্বকের ধরনও ভিন্ন। সকলের ত্বকের ধরন এক হয় না, আবার বয়স ও লিঙ্গ ভেদেও ত্বকের ধরনে আসে পরিবর্তন। তাই চর্চার আগে জেনে নিতে হবে মূলত আপনার ত্বক কি ধরনের। এবং সেটার সাপেক্ষেই ত্বক চর্চার ধরন ও প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।

আমাদের মুখের ত্বক মূলত ৪ রকমের হয়ে থাকে-
১. স্বাভাবিক ত্বক
২. তৈলাক্ত ত্বক
৩. শুকনো ত্বক
৪. মিশ্র ত্বক
আসুন জেনে নেয়া যাক নিজের ত্বকের ধরন নির্ণয় করার সঠিক পদ্ধতি।

আপনার ত্বক কী ধরনের তা বোঝার জন্যে রাতে ভালো ভাবে মুখ ধুয়ে মুছে ঘুমাতে যাবেন, এবং নিয়মিত ত্বক চর্চার কোনও ক্রিম মা ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না। তাতে আপনার ত্বক অনেক দীর্ঘ সময় নিজের স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। ফলে প্রকৃতি নির্ধারণ সঠিক হবে। এভাবে রাত যাবার পর সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেই বুঝে নিতে পারবেন সহজে আপনার ত্বকের ধরন।

যদি দেখেন মুখটা ভীষণ তেলতেলে হয়ে আছে তবে বুঝবেন আপনার মুখ তৈলাক্ত। একটি টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দেখবেন টিস্যু পেপারটি তেলতেলে হয়ে যায় কিনা। টিস্যুতে তেল উঠে আসলে নিশ্চিত ভাবেই তৈলাক্ত ত্বক।

আর যদি দেখতে পান যে মুখমন্ডলে হালকা তৈলাক্ত ভাব, কিংবা শুধু নাক ও কপাল একটু চকচক করছে। আবার চোখের কোণ খানিকটা শুকনো মনে হয়, বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ মুছলেও খুব একটা তেল ভাব হয় না- তবে বুঝবেন আপনার ত্বক স্বাভাবিক ধরনের।

আর শুকনো ত্বক দেখা মাত্রই বুঝে যাবেন। এ ত্বকে তেলতেলে ভাব দূরের কথা, লম্বা একটা ঘুম দেবার পরেও নির্জীব আর শুষ্ক দেখাবে। ভয়ের কথা হচ্ছে, এ ধরনের ত্বকে অল্পতেই বলিরেখা পড়ে যাওয়ার আশংকা বেশি।

মিশ্র ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশের ত্বকের প্রকৃতি বিভিন্ন রকম। নাক ও কপাল দেখা গেল তেলতেলে ভাব আবার গাল হতে পারে শুকনো। এ জাতীয় ত্বক হচ্ছে মিশ্র ত্বক। এ ত্বকের যত্নে শুকনো অংশের জন্যে শুকনো ত্বকের বিশেষ পরিচর্যা ও তৈলাক্ত অংশের জন্যে তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী বিশেষ পরিচর্যা গ্রহণ করতে হয়। এ ধরনের ত্বকের পরিচর্যা করা একটু ঝামেলার তো বটেই, তবে ধৈর্য ধরে করলে সুফল পাওয়া যায়।

জেনে নিন আপনার ত্বকের ধরন, এবং চর্চা করুন বুঝে।

মেঘ




শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

সহজ কার্যকরী উপায়ে দূর করুন উকুনের সমস্যা

চুলের ও মাথার ত্বকের সবচাইতে বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা হচ্ছে উকুনের সমস্যা। উকুন যাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে কেবল সে-ই জানে এর যন্ত্রণা কতোখানি। উকুনের সমস্যা একবার শুরু হলে মাথা থেকে দূর করা ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায়। নানান ধরনের ক্যেমিকেল ব্যবহার করে উকুন দূর করতে পারলেও চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ্ম। এমনকি চুল পড়া শুরু করে ভয়াবহ ভাবে। কিন্তু যদি ঘরোয়া ভাবেই উকুনের বংশকে নির্বংশ করা যায় তবে? এতে করে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে। সাথে উকুনের সমস্যাও দূর হবে। আসুন তবে দেখে নিন কিভাবে উকুনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন তার কিছু কার্যকরী উপায়।

জলপাই তেলের(অলিভ অয়েল) মাধ্যমে
উকুনের সমস্যা একরাতে শেষ হবার নয়। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। অলিভ অয়েল উকুন তাড়াতে বেশ কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাথার ত্বককে উকুনের হাত থেকে রক্ষা করে। এইজন্য আপনাকে সারারাত চুলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে হবে। একটি কাপড় দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এতে মাথার ত্বকে একটি ভাপ সৃষ্টি হবে। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেকাংশে উকুন চলে যাবে।

হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনারের ব্যবহার
উকুন মাথায় গরম ভাপ সহ্য করতে পারে না। আপনি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোলে চুল গোড়া থেকে গরম হবে। এতে করে চুলে উকুন থাকতে পারবে না। তখন অনায়েসে চুল আঁচড়ে উকুন দূর করতে পারবেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারও চুল গরম করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু মনে রাখবেন হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনার বেশি ব্যবহার করবেন না। এবং করলেও প্রথমে চুলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তবে করবেন।

হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি চুলকে উকুন মুক্ত রাখতে বেশ কার্যকরী একটি জিনিষ। চুলের গোড়ায় ভালো মতো হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উকুন দূর হবে দ্রুত।

উকুন মারতে মেয়োনেজ
মেয়োনেজে অ্যান্টিফাঙ্গাল এলিমেন্ট থাকে যা মাথার ত্বকে পৌঁছে উকুন মরতে সহায়তা করে। পুরো চুলে ভালো করে মেয়োনেজ মেখে ঘুমোতে যান। মাথায় সাওয়ার ক্যাপ পড়তে ভুলবেন না। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলের উকুন সমস্যা দূর করতে পারবেন।

উকুনের ডিম দূর করবে ভিনেগার
উকুন মেরে ফেলা সহজ হলেও উকুনের ডিম চুলে রয়ে যায় যা পরবর্তীতে আবার উকুন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই এই উকুনের ডিম দূর করতে আপনার রান্না ঘরের ভিনেগারকে কাজে লাগান। এক্সপার্টরা বলেন ভিনেগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলের সাথে উকুনের ডিমের লেগে থাকার আঠা নষ্ট করে দেয়। এতে ডিমগুলো চুল থেকে ঝরে পড়ে। সারারাত ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন চুলে। সকালে শ্যাম্পু করুন চুল আঁচড়িয়ে। চুলে উকুনের ডিম দেখতে পাবেন না

মেঘ




শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

টিপস

শীতকাল মানেই ত্বকের নানা সমস্যা। বিশেষ করে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে যায় কালো ছোপ ছোপ দাগ। কনুই এবং হাঁটুতে যে কালচে দাগ পড়ে যায়, তা সহজেই দূর করা যায় ঘরোয়া উপায়ে। কীভাবে? জেনে নিন উপায়টি।

দুই টুকরো লেবু নিন। এতে সামান্য লবণ লাগান। তারপর কনুইয়ে ঘষতে থাকুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। একইভাবে হাঁটুতেও ঘষুন। ঘষার সময় করে উঠতে পারছেন না? কোনো সমস্যা নেই! কনুইয়ের নিচে লেবুর খোসা রেখে কিছুক্ষণ বই পড়ে ফেলুন। তারপর ২-৩ মিনিট ঘষে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ দূর হয়ে যাবে।

মেঘ


বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভুঁড়ি হওয়া ঠেকাতে চান? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই ৫টি নিয়ম

কেউই চান না তার সুন্দর দেহের সাথে একটি ভুঁড়ি যোগ হোক। আগে যদিও ভুঁড়ি হওয়াকে ধরা হতো সুখী মানুষের লক্ষণ হিসেবে, কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটে ভুঁড়িকে বাদ দিলেই দেহে সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। সেজন্য নিজের দেহে যারা একখানা ভুঁড়ি যোগ করতে চান না, তারা অনেকেই অনেক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। বিশেষ ডায়েট, ব্যায়াম, পরিমিত খাওয়া, ইত্যাদি সহ আরও অনেক কিছু করে থাকেন অনেকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে। তার পরও ভুঁড়ি যেন বাঁধা মানে না। তাহলে দেখে নিন কিভাবে নিজের দেহে একটি বিচ্ছিরি ভুঁড়ি যোগ করা থেকে বাঁচতে পারেন তার উপায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন
কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে ভুঁড়ি হওয়ার প্রথম ধাপ। খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়,তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যার ফলাফল পেটে ভুঁড়ি হওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়।

তাই শরীরে ভুঁড়ি দেখতে না চাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন। দিনে মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের জন্য ৩৮গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ৬-৮ গ্লাস তরল জাতীয় খাবার পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এবং অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ব্যায়াম করতে পারলে ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন।

দ্রুত খাবার খাবেন না
খাবার খুব দ্রুত খেলে এবং ভালো মত চিবিয়ে না খেলে খাবারের সাথে বাতাসও পেটে প্রবেশ করে। এতে করে আপনার পেট বাড়ে অর্থাৎ ভুঁড়ি হয়। দ্যা ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েটের লেখক ব্রাউন জ্যাকসন বলেন, খাবার অতি দ্রুত খাবেন না, ভালো মতো চিবিয়ে খান। মনে রাখবেন খাবার হজম হওয়ার প্রকিয়াটি মুখের থেকেই শুরু হয়। আপনি যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে।

কোমল পানীয় বেশি খাবেন না
যারা কোমল পানীয় বেশি খান তারা খুব সহজে নিজের দেহে একটি ভুঁড়ি যোগ করে থাকেন। কোমল পানীয়ের কার্বন-ডাইঅক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হবার ফলে ভুঁড়ি হয়। যতটা সম্ভব কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে লেবুর সরবত খান।

আর যদি ভুঁড়ি কমাতে চান তবে আজকে থেকেই পুদিনা চা পান করা শুরু করুন।

চিনি এড়িয়ে চলুন
চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুতরাং চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। চিনির পরিবর্তে খাবারে অন্য উপায়ে মিষ্টি খাবেন। যেমন মধু কিংবা ডায়েট চিনি। কিংবা সুগার ফ্রি খাবার খাবার চেষ্টা করুন।

একবারে বেশি খাবেন না
ভুঁড়ি হওয়ার জন্য যে কাজটি সবচাইতে বেশি দায়ী তা হল একবারে বেশি খাওয়া। একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে বেশি দেরি হয় এবং এতে করে পেটে বেশি ফ্যাট জমা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ভুঁড়ি হয়। চেষ্টা করুন খেতে বসলে অল্প খেতে। দিনে ৪/৫ বার খান কিন্তু অল্প পরিমাণে। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে ও পেটে ফ্যাট জমবে না।

মেঘ



বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

দৈনন্দিন জীবনে কমলা লেবুর খোসার অসাধারণ ব্যবহার!

কমলালেবু খাওয়ার পর সাধারণত আমরা এর খোসা ফেলে দেই। কারণ আপাত দৃষ্টিতে এর কোনো গুণাগুণ আমরা খুঁজে পাই না। কিন্তু অনেকেই জানি না যে এই কমলার খোসার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুন ও ব্যবহার। অন্যান্য অনেক ফলের খোসার চেয়ে কমলার খোসার গুনাগুন অনেক বেশি। দ্য নিউ হোল ফুডস এনসাইক্লোপিডিয়া অনুযায়ী, একটি মাঝারি আকৃতির কমলায় রয়েছে প্রায় ৬০টি ফ্লেভোনয়েডস ও ১৭০টি বিভিন্ন ধরনের ফাইটোনিউট্রিএন্টস যা মানুষের ত্বক ও দেহের শরীরের যত্নে কাজে লাগে। এমনকি দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজেও কমলার খোসা ব্যবহার করা যায়। অথচ আমরা না জেনেই এত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কমলার খোসা অপচয় করি। আসুন জেনে নেই দৈনন্দিন জীবনে কমলার খোসার দারুন সব ব্যবহার।

ত্বকের যত্নে কমলার খোসা
কমলার খোসা ত্বকের কমনীয়তা রক্ষায় অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা ত্বকের তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে তোলে। তবে কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না। ত্বকের জন্য আপনাকে তাজা কমলার খোসার সাথে যোগ করতে হবে ডাল বাটা। মুসুরের ডাল বেটে নিয়ে এতে কমলার খোসা বাটা ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে প্রয়োগ করলে ত্বক মসৃণ ও নরম হবে। এতে করে মুখের দাগও দূর হবে।

ব্রনের সমস্যা দূর করতে কমলার খোসা
কমলার খোসাতে বিদ্যমান অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করলে সহজেই ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

রান্নার কাজে কমলার খোসা
রান্নায় কমলার খোসা কমলালেবুর খোসা রান্নায় ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ ও গন্ধের পাশাপাশি এতে বিদ্যমান ভিটামিন সি শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে। বাড়তি কোনো রাসায়নিক ফ্লেভার যোগ না করে কেক,বিস্কিট ইত্যাদি তৈরির সময় ব্যবহার করতে পারেন কমলার খোসার মিহি কুচি। সালাদ তৈরিতেও প্রয়োগ করলে যোগ হবে অসাধারণ স্বাদের একটি ভিন্ন মাত্রা। এছাড়া জ্যাম জেলি তৈরি সময় কিংবা মারমালেড তৈরিতেও ব্যবহার করা যায় সহজেই।

স্ক্রাবার হিসেবে কমলার খোসা
শুকনো কমলার খোসা প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। কমলার খোসা ত্বকের উপরিভাগের মৃতকোষ দূর করে চেহারায় উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে। এছাড়া ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস অপসারণের কাজেও কমলার খোসা চমৎকার একটি উপাদান। কমলার খোসা শুকিয়ে গেলে একে গুঁড়ো করে নিয়ে মধু মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর একে সাধারণ স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে করুন। রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা যেসব স্ক্রাব কিনতে পাওয়া যায় তার তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ ও কার্যকরী এই ঘরোয়া স্ক্রাব।

কমলা ও চিনির যুগলবন্দী
চিনিতে কমলার গন্ধ ও স্বাদ আনতে চাইলে কিছু তাজা কমলার খোসা চিনির এয়ার টাইট বয়ামে রেখে দিন। এতে করে চিনিতে কমলার গন্ধ ও স্বাদ আসবে। এই চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাদ্য ও পানীয় ক্ষুধার উদ্রেক করে, রুচি বাড়ায় ও ক্ষুধা মন্দা ভাব দূর করে। এছাড়াও কোনো কারনে চিনি ভিজে গেলে তাতে কিছু শুকনো কমলালেবুর খোসা রেখে দিন। শুকনো কমলার খোসায় রয়েছে আদ্রর্তা শোষণ করার ক্ষমতা। এটি সহজেই চিনির আদ্রর্তা শোষণ করে চিনিকে করে তুলবে ঝরঝরে।

এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে কমলার খোসার ব্যবহার
ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব ও স্যাঁতসেঁতে গন্ধ দূর করার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন কমলালেবুর খোসা। সামান্য পানিতে দারুচিনির সাথে কমলার খোসা দিয়ে ৫/৬ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণের অতুলনীয় সুবাস আপনার ঘরের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ দূর করে মিষ্টি সুবাসে ভরিয়ে দেবে।

দাঁত সাদা করতে কমলার খোসা
সবচাইতে ভালো ও প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে পারেন কমলার খোসা দিয়ে। শুধু কমলার খোসার ভেতরের দিকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়ে দাঁত ঘষে নিন। দাঁতের হলদে ভাব দূর হবে নিমিষেই। আপনি চাইলে কমলার তাজা খোসা বেটে নিয়ে পেস্টের মতো ব্যবহার করতে পারেন।

এর পরে যখনই কমলালেবু খাবেন সাথে সাথে এর খোসা সংরক্ষণ করে রাখুন। যাতে এটি আপনি আপনার পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সৌন্দর্য রক্ষা ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

মেঘ




মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

ত্বকের দাগ দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়

বর্তমানে শুধু টিনএজরাই নয়, সব বয়সের মানুষেরাই সৌন্দর্য্য সচেতন হয়ে পড়েছে। কেউই চাননা তাদের সৌন্দর্যের সামান্যতম হানি ঘটুক। সবাই নিজেকে ঝকঝকে ও আকর্ষনীয় রাখতে বেশি ভালোবাসেন।

আর এজন্য সবচেয়ে বেশি যে অঙ্গের প্রতি নজর দিতে হয় তা হল শরীরের ত্বক। কিন্তু তারপরও যদি কখনো ব্রণ কিংবা দূর্ঘটনাবশত ত্বকে দাগ পড়ে যায়। আবার একবার সে দাগ পড়ে গেলে সহজে যেতে চায় না। অনেক দিন চলে গেলেও পুরোপুরি যেতে চায় না দাগ গুলো। ত্বকে দাগ পড়ে থাকলে দেখতেও খারাপ দেখায়।

অনেক সময়ে মেকআপ করেও ঢাকা যায় না দাগগুলো। তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। তাই ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ছুটে যান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা বিউটি পার্লারে। কেউ কেউ আবার ত্বকের উপর লেজার চিকিৎসাও করিয়ে ফেলেন।

এসব করার পরও কেউ কেউ নিশ্চিত হতে পারেননা পুরোপুরি। কারন কেমিকেল চিকিৎসার পার্শ প্রতিক্রিয়া সব সময় এদের আতঙ্কে রাখে। শেষ পর্যন্ত আবার বড় কোন সমস্যা হবে না তো ত্বকের???

এসকল চিকিৎসা ছাড়াও ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায় আছে। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে এক রাতের মধ্যে দাগ থেকে মুক্তি না পেলেও ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যায় পুরোপুরি। আর এর কোনরকম পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকেনা।

আসুন জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের দাগজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি প্রাকৃতিক উপায়।

লেবুররসঃ
লেবুর রসে আছে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সহায়তা করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। ফলে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যায়। এছাড়াও লেবু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ যা দাগ হালকা করে দেয়।
ব্যবহারঃ প্রথমে দাগ ও তাঁর চারপাশের ত্বক পরিষ্কার করে নিন। ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। তুলায় ১ চা চামচ লেবুর রস নিন। ত্বকের যে স্থানে দাগ আছে সেখানে তুলা দিয়ে চেপে লেবুর রস লাগিয়ে নিন। অতপর ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

মধুঃ
দাগ দূর করতে মধু অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়।
ব্যবহারঃ ২ টেবিল চামুচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামুচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের উপর রাখুন।
টাওয়েল ঠান্ডা হয়ে গেলে মুখ মুছে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভওয়েলঃ
অলিভ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও কে আছে। এছাড়াও অলিভ ওয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দাগকে হালকা করে দেয়।
ব্যবহারঃ এক টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল নিন। প্রায় ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

শসাঃ
রূপচর্চায় শসা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। শসা বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য বলে ব্যবহার করাও বেশ সহজ। এবং শসা ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।
ব্যবহারঃ শসা ছিলে এর বীজ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।শসার মিশ্রনটি দাগে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিনব্যবহার করুন।

মেঘ