শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

জেনে নিন নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রসাধনীর লক্ষণগুলো

প্রতিদিন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রসাধনী আমরা ব্যবহার করে থাকি। এসব প্রসাধনীর গায়ে মূলত একটা উৎপাদনের তারিখ বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেয়া থাকে যেটার আয়ু শেষ হলে সেই প্রসাধনীটি আর ব্যবহার করা উচিৎ না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও এসব প্রসাধনী ব্যবহারে আমাদের শরীরে এ্যালার্জীসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ যে হয়েছে কিছুটা খেয়াল করলেই বোঝা যায়। কিছু বৈশিষ্ট্য এ ধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনীতে দেখা যায়।

১. প্রসাধনীর বাহ্যিক গঠনে পরিবর্তন :

আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না একটু খেয়াল করলেই তা বুঝতে পারবেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এর বাহ্যিক গঠনে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। হয়ত এর রং এর পরিবর্তন হতে পারে। কিছুটা হলদেটে ভাব আসতে পারে। একটু পুরুত্ব বা ঘনত্ব ভাব চলে আসতে পারে।

২. উৎকট গন্ধ :

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া প্রসাধনীগুলোতে এক ধরনের উৎকট গন্ধের তৈরি হয়ে থাকে। আগে যেখানে ভালো কিছু ফ্লেভার যেমন বিভিন্ন ফুল বা সুগন্ধি ব্যবহারে একটা খুব সুন্দর গন্ধ থাকতো সেখানে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এক ধরনের বিদঘুটে গন্ধ বের হয়। এমনটা হলে অবশ্যই বুঝবেন যে আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

৩. ত্বকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া :

মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ত্বকে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন এ্যালার্জী দেখা দিতে পারে, ফোসকা উঠতে পারে, ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, চুলকাতে পারে এমনকি ঘা হয়ে যেতে পারে। এসব লক্ষণে সতর্ক হতে পারেন যে আপনার প্রসাধনীটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে এটি বেশি দেরী হয়ে যায় এর আগেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।

মেঘ

জেনে নিন সুন্দর ছবির জন্য "পারফেক্ট" সাজসজ্জার গোপন টিপস

ছবি ভালো আসে না মোটেই? আয়নায় নিজেকে দেখতে খুব সুন্দর মনে হলেও ছবিটা যেন দেখতে হয় ঠিক বাঁদরের মত? দোষ আপনার ক্যামেরার নয়, আপনার মেকআপের। বাস্তবে যে মেকআপ দেখতে ভালো লাগে তা ক্যামেরায় ভালো নাও লাগতে পারে। তাহলে কেমন সাজসজ্জা ভালো লাগে ক্যামেরায়? আসুন, জেনে নেয়া যাক "ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি" সাজসজ্জার গোপন টিপস।
আমরা সচরাচর বাস্তবে যেমন মেকআপ করে থাকি ছবি তোলার সময়ে কিছু ভারী মেকআপ অবশ্যই নেয়া উচিৎ যদি আপনি চান যে আপনার ছবি ভালো আসুক। বাহিরে যাওয়ার সময়ে বা অফিসে যে ধরনের হালকা মেকআপ নিয়ে থাকি ছবি তোলার ক্ষেত্রে এর ভারী মেকআপ নিন। জেনে নিন ছবি তোলার মেকআপটি ঠিক কেমন হবে।
১. প্রথমত হালকা একটু পাফ নিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনি যেমনটা প্রতিদিন বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ে থাকেন তার চেয়ে একটু গাঢ় হবে।
২. চোখে গাঢ় করে কাজল বা আই লাইনার দিন। চোখের বেশ খানিকটা বাহির দিয়ে লাইনারটি দিন যেন চোখটিকে বেশ বড় দেখায়।
৩. মাশকারা দিন গাঢ় করে। এতে করে চোখটিকে উজ্জ্বল করবে এবং আপনার চোখের পাতাটিকে বেশ বড় দেখাবে।
৪. ছবি তোলার জন্য কখনই ম্যাট জাতীয় মেকআপ ব্যবহার করবেন না। কেননা এই মেকআপ আপনাকে ছবিতে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়তা করবে না।
৫. আইশেড ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে গাঢ় রং ব্যবহার করা ভালো। ড্রেসের রঙের সাথে ম্যাচ করে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে স্মোকি আই করতে পারেন।
৬. চোখটিকে আরও বড় করতে ফলস্ আইল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ঠোঁটটিকে গাঢ়ভাবে আঁকুন। এরপরে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে লিপস্টিকের উপরে গ্লস ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ছবিটি অনেক বেশি গ্ল্যামারাস আসবে।
৮. চুল বাঁধুন সুন্দর করে । তবে আপনার চুল বিভিন্ন স্টাইলে কাটা থাকলে আপনি চাইলে চুল ছেড়েও দিতে পারেন। তাহলে আপনার ছবিটি অনেক ভালো আসবে।

মেঘ

এই গ্রীষ্মে পায়ের একটু অন্যরকম যত্ন

প্রতিদিন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে আমাদের পা নানা ধরনের ময়লার সংস্পর্শে আসে। এতে পা অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। পায়ের লাবণ্যতা হারিয়ে যায়। এছাড়া রোদে পা পুড়ে তো যায়ই। ফলে পায়ে কালচে ভাব চলে আসে। গ্রীষ্মকালে এ ধরনের সমস্যা অনেক বেশি হতে ওঠে। অন্যদিকে প্রায় সময়ই পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করা হয়ে ওঠে না। তাহলে কী করবেন? আজ ছুটির দিনে বাড়িতে বসেই সেরে ফেলুন না পায়ের দরকারি যত্ন। হ্যাঁ, খুব চটজলদি।

যেভাবে করবেন :

একটি বড় গামলার মাঝে কুসুম কুসুম গরম পানিতে আপনার পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে ২ টেবিলচামচ ইপসম লবণ এবং প্রয়োজনীয় তেল যেমন লেভেন্ডার, গোলাপের তেলের কয়েক ফোঁটা দিন। এছাড়া কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিতে পারেন। স্ক্রাব করার জন্য এতে কিছু শ্যাম্পুর সাথে ঝামা পাথর ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে পায়ের ময়লা পরিস্কার হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পরিস্কার একটি তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন। এরপরে পা শুকিয়ে গেলে কিছু প্যাক ব্যবহার করুন।

১. লাচ্ছি প্যাক :

কিছু পরিমাণে দধি একটি বাটিতে গোলাপ তেল বা মোগরা তেলে মিশিয়ে নিন। মিশ্রিত উপকরণটি পায়ে লাগিয়ে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা রাখুন। এরপরে এটি ধুয়ে ফেলুন এবং ঠান্ডা কোনো মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. লেবুর প্যাক :

লেবু দিয়েও আপনি একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য একটি বাটিতে একটি লেবুর অর্ধেক অংশ থেকে রস বের করে নিন এবং এটি গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে নিন। আপনি পুরু একটি মিশ্রণ পেতে চাইলে এতে বেসনও মিশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩. টমেটোর মিশ্রণ :

আপনি আপনার পায়ে একটি টমেটোর মিশ্রণও লাগাতে পারেন। আপনি পুরু মিশ্রণটি লাগাতে না চাইলে টমেটো কেটে সেটি সরাসরি পায়ে ঘষতে পারেন। এটি ব্লিচের কাজ করে এবং রোদে পোড়া দাগ সারাতে সহায়তা করে।


মেঘ

প্রতিদিন যে ৭টি ভুলে দ্রুত পড়ে যাচ্ছে আপনার চুল!

ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায় বলুন? উজ্জ্বল ও সুস্থ চুল যেন সকল নারী- পুরুষেরই স্বপ্ন থাকে। সুন্দর চুল সবারই সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। কিন্তু সুন্দর চুল কি আর চাইলেই পাওয়া যায়? চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে হলে প্রয়োজন বিশেষ যত্ন ও সতর্কতার। প্রতিদিন নিজেদের নানা অসতর্কতার কারণে নষ্ট হয় আমাদের সাধের চুল। আজকাল খুব ঝরছে আপনার চুল, মাথা টেকো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন তাহলে এটার জন্য আপনার নিজেরই কিছু ভুল দায়ী!

চুল ধোয়ার আগে না আঁচড়ানো

সারাদিন এখানে ওখানে ঘোরাঘুরির কারণে চুলে ধুলাবালি লেগে যায়। সেই সঙ্গে চুলে লেগে থাকে জট। দিন শেষে চুল শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়ে নেয়া উচিত। তাহলে চুলের জট ছেড়ে যায়। চুল শ্যাম্পু করার সময়ে চুল ভিজে নরম হয়ে যায়। আগেই জট ছাড়িয়ে না নিলে চুল ধোয়ার সময় চুল ছিঁড়ে যেতে পারে এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে।

শুধু চুলের গোঁড়া আঁচড়ানো

অনেকেই শুধু চুলের আগা আচড়ে নেন। চুলের গোড়া আচড়ানোর বেলায় রাজ্যের আলসেমি ভর করে অনেকের। কিন্তু চুলের আগা তো বটেই চুলের গোড়া আচড়ানোও জরুরী। কারণ চুলের গোড়া আচড়ালে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাথার তালুর থেকে তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে চুল উজ্জ্বল থাকে এবং এর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু

প্রতিদিনই কি শ্যাম্পু করার অভ্যাস আছে আপনার? যদি আপনার প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি নিজেই ক্ষতি করছেন আপনার চুলের। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়ার প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে গিয়ে চুলকে রুক্ষ করে ফেলে। সেই সঙ্গে শ্যাম্পুর অতিরিক্ত কেমিক্যাল চুলকে ভঙ্গুর করে ফেলে।

হেয়ার স্ট্রেইটনার ও হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার

চুলকে পরিপাটি রাখার জন্য অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং মেশিন ও স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলোর অতিরিক্ত তাপমাত্রা খুব সহজেই চুলকে নিষ্প্রাণ করে ফেলে। এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুলের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে যায় চুলের বৃদ্ধি।

দীর্ঘক্ষন টাওয়েল পেচিয়ে রাখা

অনেকেই গোসল করে এসে দীর্ঘ সময়ে ধরে টাওয়েল পেচিয়ে রাখে চুলে। চুলের পানি শুকিয়ে নেয়ার জন্য দীর্ঘ সময় টাওয়েল পেচিয়ে রাখলে চুলের ক্ষতি হয়। অনেকক্ষণ ভেজা টাওয়েল পেচিয়ে রাখার কারণে চুল দূর্বল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া বেশিক্ষন ভেজা থাকার কারণে চুল ঝরে পড়া বৃদ্ধি পায়।

ধূমপান

চুল পড়ার হার দ্বিগুণ তিনগুন হয়ে যায় যদি আপনি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন। যদি মনে হয় আজকাল মাথাটা খালি হয়ে যাচ্ছে, অবিলম্বে ছেড়ে দিন সিগারেট।

স্ট্রেস

অতিরিক্ত স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা যারা করেন, থাকেন খুব টেনশনে এবং পর্যাপ্ত ঘুমান না বলে স্ট্রেসে ভোগেন, তাঁদের মাথার চুল পড়ে যায় সবার আগে!


মেঘ

যে ৭ টি বাজে অভ্যাস সর্বনাশ করে দেয় আপনার ত্বকের

আমরা বিশেষ করে নারীরা প্রতিদিন এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেছি যেগুলো আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে চলেছে। নারীদের ত্বক এমনিতেই অনেকটা কোমল। এ কারণে ত্বকের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ। এমন কতগুলো নিত্যদিনের অভ্যাস জেনে নিন যেগুলো আপনার ত্বককে প্রতিনিয়ত করে তুলছে অসুন্দর, অমসৃণসহ নানা সমস্যা। বাড়াচ্ছে বলিরেখা আর সর্বনাশ করে দিচ্ছে আপনার চেহারার।

১. ধূমপান :

ধূমপান খুব ধীরে হলেও ত্বকের মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে। বর্তমানে অনেক নারীদের ধূমপান করতে দেখা যায়। মানসিক চাপ কমাতে বা সখের বশে তারা ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাঁধা পায়। এছাড়া হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে প্রচুর। কিন্তু কেউ হয়ত খেয়ালও করবেন যে এই ধূমপানের ফলে সূক্ষ্ম কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন : ত্বকে কালচে ভাব তৈরি হওয়া। এটি মূলত নিকোটিনযুক্ত ধোঁয়া ত্বকে লাগার কারণে হয়ে থাকে। ফোঁসকা পড়া, ঠোঁটে কালো দাগ হওয়া ইত্যাদি। ধূমপানের ফলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জীও হতে পারে।

২. গরম পানি দিয়ে গোসল :

অনেকক্ষণ ধরে গোসল করতে সবারই বেশ ভালো লাগে। আর তা যদি হয় গরমের দিনে। কিন্তু শীতের দিনে আমরা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য গরম পানে দিয়ে গোসল করে থাকি। গরম পানি মুখের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মুখের ত্বক অনেক নরম থাকে। গরম পানিতে তা ঝলসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরম পানির তাপে মুখের ত্বক লাল হয়ে যায়, অনেক সময় পুড়েও যায়। অনেকে গরম পানির বাথটাবে অনেকক্ষণ শরীর ভিজিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। এতে করে শরীরের উজ্জ্বলতা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. অ্যালকোহল খাওয়া :

শখের বশে বা নেশায় আসক্ত হয়ে অনেক নারীই অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন। অ্যালকোহল খাওয়ার কারণে অনেক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নানান ক্যান্সারে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে হাজার হাজার নারী। এই অ্যালকোহল গ্রহণে অনেক নারীর ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল শুষে ফেলে এবং ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকের স্ব্ভাবিকতা নষ্ট হয়ে পড়ে।

৪. নোংরা মেকআপের ব্রাশ :

নারীরা ঘরের বাহিরে গেলেই মেকআপ নিয়ে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন ব্যবহার করা বেশিরভাগ ব্রাশই অনেক অপরিষ্কার হয়ে থাকে। ফলে মুখের ত্বকে ফোঁসকা, ব্রণ, ফুঁসকুঁড়ি, মেছতাসহ বিভিন্ন দাগ হয়ে থাকে। এছাড়া এসব নোংরা ব্রাশ ব্যবহার করে এ্যালার্জীও হয়ে থাকে। নোংরা ব্রাশ ব্যবহারের অভ্যাসটি পারলে আজই বাদ দিয়ে দিন।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া :

একজন মানুষের দিনে ৮ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে। চর্মরোগবিশেষজ্ঞদের মতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে ত্বকে ব্রণ, এ্যালার্জীসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

৬. ব্রণ খোঁচানো :

ত্বকে ধূলাবালি বা বিভিন্ন কারণে ব্রণ উঠবে এটা স্বাভাবিক। কয়েকদিন পরে এটি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কারও কারও একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে যে মুখে কিছু উঠলে তা নখ দিয়ে টিপে ভেতরের নির্যাস বের করে দেয়া। কিন্তু এতে করে ব্রণটি হয়ত গায়েব হয়ে যাবে, ব্রণের একটা কালচে দাগ ত্বকে পড়ে যাবে যা চাইলেও অপসারণ করতে পারবেন না। এ কারণে ব্রণ খুটানো অভ্যাসটি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন।

৭. রাতভর চ্যাটিং :

এটা বিশ্বাস হোক বা না হোক সারারাত চ্যাটিং করলে বা অযথা আইফোন বা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আপনার আইফোন বা ল্যাপটপটি ব্যাকটেরিয়া মুক্ত নাও হতে পারে। এ কারণে এটি থেকে মুখের ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে। ব্রণ ওঠা এবং উজ্জ্বলতা হ্রাস পাওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মেঘ

বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

তৈলাক্ত ত্বকের সমাধান রান্নাঘরেই

শরীরে ভিটামিন বি-২ এবং বি-৫-এর ঘাটতি থাকলে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যেতে পারে। আর এই গরমের দিনে ভাজা-পোড়া বা হাবিজাবি ফাস্টফুড বেশি খেলে তার প্রভাব ত্বকের ওপর পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এই মৌসুমে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম বেশি হয়। এ জন্য ত্বকের তেলগ্রন্থি থেকে নিঃসরণও বেশি হয়। এত সব সামলে তৈলাক্ত ত্বক ঠিকঠাক রাখা কী চাট্টিখানি কথা! বিষয়টা কিন্তু আসলে অতটা কঠিন নয়। আপনার রান্নাঘরের তাকে, রেফ্রিজারেটরে থাকা দৈনন্দিন খাবারদাবার আর ব্যবহার্য এটা-সেটা দিয়েই এই গরমের মৌসুমে ত্বক তেলমুক্ত, স্বাভাবিক ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন আপনি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।

দুধ-লেবুর রস
ঠান্ডা করে রাখা কাঁচা দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে মুখ-হাত-পায়ে ভালো করে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এবং ত্বক কম তৈলাক্ত থাকবে।

মধু ও মুলতানি মাটি
মধু ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ বানিয়ে নিন। পুরো মুখে তা ভালো করে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এটা মুখের ত্বকে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এবং ত্বক সজীব ও কোমল দেখাবে।
ঘৃতকুমারী
এই গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে ভালো উপাদান হলো ঘৃতকুমারী। এটা ত্বকের তেল শুষে নেওয়ার পাশাপাশি মুখে-হাতে-পায়ে ফুসকুড়ি থাকলে তাও পরিষ্কার করে। ঘৃতকুমারীর আঠাল রসের সঙ্গে স্ট্রবেরির মণ্ড এবং জইদানার গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই ফেসপ্যাক কয়েক দিন রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিমের সাদা অংশ
ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়া এবং ত্বককে টানটান রাখার জন্য খুবই উপকারী ডিমের সাদা অংশ। একটি বা দুটি ডিম ভেঙে কুসুমটা সরিয়ে নিয়ে সারা মুখে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মাখুন। সাত থেকে ১০ মিনিট রাখার পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

টমেটো
টমেটোও ত্বক পরিষ্কারে দারুণ উপকারী। মাঝারি আকারের একটি বা দুটি টমেটোর মণ্ড বানিয়ে সারা মুখে ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চন্দনের গুঁড়ো, লেবুর রস ও গোলাপজল
চন্দন-কাঠের ভেষজ গুণের কথা কে না জানে। চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে একটি লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। আলতো করে হাত বুলিয়ে সারা গায়ে ভালো করে মাখুন। কিছুক্ষণ রেখে ভালোমতো গোসল করে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি শরীরজুড়ে ত্বকের নিচে রক্তপ্রবাহও বাড়বে। ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং কোমল ভাব

মেঘ


















































ব্রণের সমস্যা

নারী পুরুষ উভয়েই ব্রণের সমসায় আক্রান্ত হন। এই সমস্যা খুব বড় একটি সমস্যা, কারণ একবার ব্রণ ওঠা শুরু হলে তা থামানো এবং একেবারে নির্মূল করা খুব কষ্টকর। ব্রণ উঠলে ত্বক দেখতে খুব বিশ্রী দেখায়, তার ওপর ব্রণের হালকা ব্যথা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ব্রণ আসলেই একটি যন্ত্রণার নাম।
তবে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ এই যন্ত্রণাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নির্মূল করার পদ্ধতিও রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক উপায়ে রেহাই পেতে পারেন এই ব্রণের সমস্যা থেকে।

ব্রণ নির্মূলে বেকিং সোডা

ব্রণ নির্মূলের সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেকিং সোডার ব্যবহার। এর পাশাপাশি এটি ব্ল্যাকহেড এবং হোয়াইটহেডসও দূর করে।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ গরম পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ত্বক ভালো করে ধুয়ে মুছে নিয়ে ত্বকে লাগান তেল ছাড়া ময়েসচারাইজার। ব্রণের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।

ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতার ব্যবহার

ধনিয়া পাতা এবং পুদিনা পাতার রয়েছে ব্রণ দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। এগুলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সেকারণে ধনিয়া ও পুদিনা পাতার রস ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
ধনিয়া পাতা বা পুদিনা পাতা খুব ভালো করে চিপে রস বের করেন নিন। ১ টেবিল চামচ রসে ২ চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালে উঠে খুব ভালো করে ত্বক ধুয়ে নেবেন। নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত ফলাফল পাবেন।

মধু ও দারুচিনির ব্যবহার

মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে অনেক আগে থেকেই পরিচিত এবং দারুচিনিও ব্রণের ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে বেশ সহায়তা করে।
দারুচিনি গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে একটি পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি শুধুমাত্র ব্রণের ওপরে লাগিয়ে ঘুমুতে যান। সকালের উঠে দেখবেন ব্রণের আকার ও লালচে ভাব অনেক কমে গিয়েছে এবং সাধারনের তুলনায় দ্রুত নির্মূল হবে। সব চাইতে ভালো কথা হচ্ছে এতে করে পুনরায় ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

লেবুর রস ও লবনের ব্যবহার

লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড যা ব্রণ উৎপন্নকারী ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে সহায়তা করে। এতে করে ব্রণ ওঠার ঝামেলা দূর হয় চিরতরে।
২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে অর্ধেক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে ব্রণ এবং ব্রণের আশেপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলতো ঘষে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রাতে ব্যবহার করা ভালো। কারণ লেবুর রস সূর্যের আলোর সাথে বিক্রিয়া করে ব্লিচ করে।

মেঘ