বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

বিশ্বের ৯টি সেরা রঙ ফর্সাকারী ক্রীমের "ভালো-মন্দ"

ত্বকের যত্নে প্রতিনিয়ত আমরা কত কিছুই করে থাকি। ব্যস্ত জীবনে হয়তো ঘরোয়া উপায়ে সব সময় ত্বকের যত্ন করা হয়ে ওঠে না। তাই আমাদের নির্ভর করতেই হয় ফেয়ারনেস ক্রীমের ওপর। কিন্তু যেন তেন ক্রীমের ব্যবহার কিন্তু আপনার ত্বকের জন্যে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া, কালো হয়ে যাওয়া, মসৃণতা নষ্ট সব ত্বকে নানা স্থায়ী দাগও পড়ে যেতে পারে। তাই জেনে নিন বিশ্বের সেরা ৯ ক্রীমের ভালো মন্দ যা বাংলাদেশেও সহজলভ্য।
১। ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট ক্রীমঃ
• এতে আছে ট্রিপল নিউট্রিয়েন্ট সিস্টেম, ভিটামিন বি-৩, প্রো বি-৫ ও ই
• নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে একটা উজ্জ্বল আভা দেখা দেয়
• এসপিএফের মাত্রা-২৪ এবং ত্বকের সাথে খুব সহজে মিশে যায়।
সমস্যাজনক দিকঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক চকচকে মনে হতে পারে
• বলিরেখা প্রতিরোধে এর কোন ভূমিকা নেই
২। টাচ এন্ড গ্লো এডভান্সড ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• এতে আছে উদ্ভিদের নির্যাস ও মাল্টিভিটামিন
• এসপিএফ-১৫, তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট লুক আনে
• ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল করে
সমস্যাজনক দিকঃ
• এসপিএফের মাত্রা যথেষ্ট নয়। রোদে সূর্য থেকে সুরক্ষা দেয় না।
৩। লোটাস হারবারল হোয়াইট গ্লো স্কিন ইমালশনঃ
• এটি অনেকটা লোশনের মত। সহজেই ত্বক এটাকে শুষে নেয়
• এসপিএফ ভালো এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে পারফেক্ট
সমস্যাজনক দিকঃ
• দামের তুলনায় পরিমাণে থাকে খুবই কম ।
৪। ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে দারুণ কার্যকর
• ইউ ভি ফিল্টার সূর্যের অতি বেগুনী রশ্নি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
• ত্বকের রোমকূপকে বন্ধ করে না ফলে ত্বক ব্রন থেকে সুরক্ষিত থাকে
• খুব সামান্য পরিমাণ ব্যবহারেই দারুণ কাজ দেয়
সমস্যাজনক দিকঃ
• শুষ্ক ত্বকের জন্যে ভালো নয়। ত্বকে সাদাটে পাউডারের মত ছোপ রেখে যায়
• এলকোহল ও আরো কিছু উপাদান এতে থাকে। যাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে
৫। লরিয়েল প্যারিস পার্ল পারফেক্ট ট্রান্সপারেন্ট রোজি ফেয়ারনেস ডে ক্রীমঃ
• সব ধরনের ত্বকের উপযোগী
• সূর্যের অতি বেগুনী রশ্নি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
• ত্বকের উজ্জ্বল আভা আনে নিয়মিত ব্যবহারে।
সমস্যাজনক দিকঃ
• অন্যান্য ক্রীমের তুলনার দাম বেশি
৬। ল্যাকমে পারফেক্ট রেডিয়েন্স ইন্সটেন্স হোয়াইটেনিং ডে ক্রীমঃ
• ভিটামিন বি-৩ যুক্ত
• ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়
• সাধারনত ব্যবহারের পর ত্বকের উপর বাড়তি কিছু দেয়া আছে বলে মনে হয় না
সমস্যাজনক দিকঃ
• এতে কিছু ক্ষতিকর উপাদান আছে যা ত্বকের জন্যে ভালো নয়
৭। পন্ডস হোয়াইট বিউটিঃ
• তৈলাক্ত ত্বকে খুব ভালো মানিইয়ে যায়
• আর্দ্র আবহাওয়ায় খুব ভালো কাজ করে।
• এসপিএফের মাত্রা ২০ এবং খুব দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে গিয়ে দ্রুত এক ধরনের গোলাপী আভা দেখা দেয়
সমস্যাজনক দিকঃ
• শুষ্ক ত্বকের জন্যে যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজার সম্পন্ন নয়।
৮। নিভিয়া ভিসেজ স্পার্কলিং গ্লো ক্রীমঃ
• সব ধরনের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ও ত্বকের মেলানিনের মাত্রা কমিয়ে আনে
• ত্বকে আর্দ্রতা যুগিয়ে মসৃণ করে তোলে
• আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
• এতে হোয়াইন ক্রিস্টালিন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে
সমস্যাজনক দিকঃ
• পরিমাণের তুলনায় কিছুটা দামী
৯। গার্নিয়ার লাইট ওভারনাইট পিলিং ফেয়ারনেস ক্রীমঃ
• এতে আছে মাইক্রোপিলিং ফলের নির্যাস
• সব ধরনের ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ও ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্য দূর করে
• ভিটামিন সি ত্বককে সজীব করে তোলে
• ত্বকের দাগ দূর করে
সমস্যাজনক দিকঃ
• তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে কিছুটা চকচকে ও ভারী মনে হতে পারে।
তাহলে এবার বেছে নিন এপ্নার ত্বকের জন্যে এই বিশ্বসেরা ক্রীমগুলোর মধ্যে কোনটি পারফেক্ট! কেননা, ত্বকের যত্নে “নো কম্প্রোমাই

মেঘ
বিউটিশিয়ান



মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

৫ টি সৌন্দর্য সমস্যার ঝটপট ঘরোয়া সমাধান

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় আমরা নানা ধরণের কাজ করে থাকি। কিন্তু সব সময় সব ধরণের সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না। ত্বকের কিছু সমস্যা, চুলের সমস্যা, কুনুই ও হাটুতে কালো ছোপ সহ নানা সমস্যার কারণে আমরা কেউই একেবারে সঠিক সৌন্দর্য পাই না।
এই ধরণের সৌন্দর্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা নানা উপায় খুঁজে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ঘরের টুকিটাকিতেই এই ধরণের সৌন্দর্য সমস্যার খুব ভালো সমাধান পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এমনই ৫ টি সমস্যা ও তার ঘরোয়া সমাধান।

ত্বকের কালচে ভাব ও রুক্ষতা দূর করতে
নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। কিন্তু ত্বকের কালচে ভাব এবং রুক্ষতা দূর না করতে পারলে তো আর তা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে ব্যবহার প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন এবং ১ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। খুব সহজেই নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন।

কুনুই এবং হাঁটুর কালচে ছোপ দূর করতে
কুনুই ও হাতুড়ে খুব সহজেই কালচে ছোপ পরে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চাইলে একটুকরো লেবুর ওপর খানিকা চিনি ছড়িয়ে নিয়ে কালচে অংশগুলোতে ঘষুন। এরপর ২০ মিনিট পরে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে তা দিয়ে কালচে অংশ আবার ঘষে নিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস সমস্যার সমাধান।

নখের পাশের মোটা চামড়া
হাত ও পায়ের নখের পাশে অনেক সময় মোটা চামড়া নজরে পরে। এতে নখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে একটুকরো আলু নিয়ে মোটা চামড়ার ওপর ঘষুন। এরপর একটি তুলোর বলে আলুর রস নিয়ে তা দিয়ে আলতো করে ১০ মিনিট ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মোটা চামড়া দূর হয়ে যাবে।

চোখের নিচের ফোলা ভাব
চোখের নিচেতা ফোলা ভাব থাকলে দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দুটি তুলোর বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে চোখের ওপর রেখে দিন ২০ মিনিট। চাইলে ব্যবহৃত টী বাসগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করেও চোখের ওপর রাখতে পারেন। ফোলা ভাব দূর হবে নিমেষেই।

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুলের কন্ডিশনার
কন্ডিশনার চুলের জন্য বেশ জরুরী। কিন্তু কন্ডিশনারের কেমিক্যাল চুলের অনেক ক্ষতি করে। তাই ঘরোয়াভাবেই চুলকে কন্ডিশন্ড করে নিতে পারেন খুব সহজে। ঠাণ্ডা কাঁচা দুধ নিন। গোসলের পূর্বে এই ঠাণ্ডা কাঁচা দুধ চুলে লাগান এবং একটি চিরুনি দিয়ে ভালো করে আঁচড়ে নিন। চাইলে একটি স্প্রে বোতলে ভোরে চুলে স্প্রে করে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট চুলে রেখে সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল ও চকচকে।




মেঘ

বিউটিশিয়ান




কালচে ঠোঁটকে নজরকাড়া গোলাপী করে তুলুন ৭ টি সহজ উপায়ে

সুন্দর হাসির জন্যে সুন্দর ঠোঁটের প্রয়োজনীয়তা কে না বোঝে। লিপস্টিক হোক বা গ্লস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার কারণ কিন্তু এই একটাই। কিন্তু নানা কারণে আপনার ঠোঁট হয়ে যেতে পারে কালচে আর রুক্ষ। অতিরিক্ত রোদ, বেশী মাত্রায় চা কফি পান, নিম্নমানের লিপস্টিক, ধূমপান এসব নানা কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। কিন্তু একবার কালচে হয়ে গেলে আবার আগের রঙ ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন ও খরচসাপেক্ষ। ঘরে বসেই যদি হাতের কাছের উপাদান দিয়ে ঠোঁটে ফিরিয়ে আনা যেত সেই গোলাপী আভা!মোটেই অসম্ভব নয়। জেনে নিন সহজ ৭ টি উপায়।

১। লেবু ও মধুর মিশ্রণঃ
সমপরিমাণ লেবু ও মধু মিশিয়ে মিশীয়ে ঠোঁটে লাগান। ১ ঘন্টা রেখে দিন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন বা মুছে ফেলুন। এভাবে যতবার ইচ্ছে লাগাতে পারেন। আর এই মিশ্রণটি ফ্রিজে প্রায় ১ সপ্তাহের মত রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। দেখবেন কিছুদিনের মাঝেই আপনার ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

২। গ্লিসারিনঃ
শুষ্ক ঠোঁট দ্রুত রোদের সংস্পর্শে এসে কালো হয়। তুলোতে খানিকটা গ্লিসারিন নিয়ে ঘুমুতে যাবার আগে ঠোঁটে লাগান। সকাল পর্যন্ত ধোয়ার দরকার নেই। এভাবে ঠোঁটের শুষ্কতা ও কালচে ভাব
দুটোই কমে আসবে।

৩। পানিঃ
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ঠোঁটের রঙের ওপর পানিশুন্যতার ভূমিকা রয়েছে।

৪। ঠোঁটের প্রসাধনীঃ
ঠোঁটের জন্যে কি প্রসাধনী ব্যবহার করছেন তাতে নজর বুলিয়ে নিন। সস্তা বা খারাপ মানের প্রসাধনী ঠোঁটের জন্যে ব্যবহার করবেন না। এতে ব্যবহৃত কেমিকেল ও রঙ আপনার ঠোঁটকে কালো করে ফেলে।

৫। আমন্ড অয়েলঃ
আমন্ড অয়েল বেশ সহজলভ্য আর যেকণ প্রসাধনীর দোকানেই পাওয়া যায়। দামেও সস্তা। চুল, ত্বকের পাশাপাশি এটি ঠোঁটের জন্যেও ভালো। রাতে ঘুমুবার আগে ঠোঁটে আমন্ড অয়েল লাগিয়ে ঘুমান। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের গোলাপী রঙ ফিরে আসতে বাধ্য।

৬। শশার রসঃ
দৈনিক একটুখানি শসার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহার করে সপ্তাহখানেক পর ফলাফলটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

৭। সেই সাথে এক টুকরো লেবুতে খানিকটা চিনি মেখে ঠোঁটে ঘষতে পারেন। আর ধূমপান থেকে থাকুন দূরে। ঘন ঘন চা কফি একদম নয়। আর একটু নিয়ম করে ঠোঁটের যত্ন। ব্যস, লিপস্টিকের আর কি প্রয়োজন!




মেঘ

বিউটিশিয়ান




শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

গরমের হালকা মেকআপ

প্রচন্ড গরম পড়েছে। আর এই গরমে প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে সকালে সাজতে সবারই খুব বিরক্ত লাগে। কারণ অনেক কষ্ট করে সাজগোজ করার পর রোদে গেলেই ঘামিয়ে সব নষ্ট হয়ে যায়। ঘামিয়ে চোখের কাজল লেগে যায় মুখে আর ঠোটের লিপস্টিক লেগে যায় কপালে। বিশেষ কিছু উপায়ে গরমের সময়েও মেকআপ রাখতে পারবেন একদম ফ্রেশ। তাও আবার সকালের তাড়াহুড়ায় মাত্র ৫ মিনিটেই করতে পারবেন মেকআপ। আসুন জেনে নেয়া যাক গরমের হালকা মেকআপ করার উপায়।

বরফ ঘষুন
গরমে বাইরে বের হলেই মুখ ঘামিয়ে তেলতেলে হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মেকআপের আগেই মুখে বরফ ঘষে নিতে হবে। পানির সাথে সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপর সেটা ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। প্রতিদিন মেকআপ শুরু করার আগে পুরো মুখে বরফটা ঘষে নিন। তাহলে ত্বক তেলতেলে হবে না এবং ঘামে মেকআপ নষ্ট হবে না।

সানস্ক্রিন
এই গরমে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে একেবারেই ভুলে যাওয়া উচিত না। কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। মুখে বরফ ঘষে নেয়ার পরে মুখটাকে মুচে বা শুকিয়ে নিয়ে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন মুখে, হাতে ও পায়ের খোলা অংশে।

পাউডার
সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেয়ার পর মুখে পাউডার লাগিয়ে নিন। গরমে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ত্বকের জন্য ভালো। তাই মুখে দাগ থাকলে সেটা কনসিলার দিয়ে ঢেকে উপরে ফেসপাউডার লাগিয়ে নিন। সবচাইতে ভালো হয়ে যদি সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ ফেসপাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়াটারপ্রুফ আই লাইনার ও মাসকারা
গরমে কাজল ব্যবহার করা উচিত না। কারণ কাজল গলে চোখের নিচে ছড়িয়ে যায়। ফলে দেখতে ক্লান্ত দেখায়। তাই এই গরমে ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে চোখের পাপড়িকে আরো ঘন দেখানোর জন্য ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা ব্যবহার করুন। এতে গরমে অতিষ্ট হয়ে মুখ ধুলেও মেকআপ নষ্ট হবে না।

ম্যাট লিপস্টিক
গরমে কখনই গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। গরমে গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করলে সেটা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গরমে ব্যবহার করুন ম্যাট লিপস্টিক। লিপস্টিক দেয়ার পর একটু পাউডার প্রেস করে নিন। এর উপর আবার লিপস্টিক দিন। তাহলে দীর্ঘ সময় ঠিক থাকবে লিপস্টিক।

পনিটেল/ সাইড বেণী
গরমে চুল খোলা রাখা উচিত নয়। এতে চুল ঘামিয়ে যায় এবং ধুলাবালিতে চুলের ক্ষতি হয়। মেকআপ করা শেষে চুলটাকে ঢিলে করে পনিটেল অথবা বেনি করে ফেলুন। চুল বাঁধার সময় সবসময় মোটা ও নরম ব্যান্ড ব্যবহার করবেন। চিকন ও শক্ত ব্যান্ড ব্যবহার করলে চুল ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মেঘ

শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

টিপস 100



যারা মধু খেতে পছন্দ করেন তারা বেশীরভাগ সময় একটি সমস্যায় পরে থাকেন, তা হলো অনেকদিন ধরে মধু রেখে দিলে মধুর নিচের দিকের অংশ বা তলানিতে মধু জমাট বেঁধে চিনির মতো শক্ত হয়ে যায়। অনেকে বাধ্য হয়ে এই ধরণের জমাট বাঁধা মধু দিয়েই কাজ চালান। কিন্তু এই সমস্যারও রয়েছে বেশ সহজ সমাধান। জানতে চান কিভাবে?

মধু জমাট বেঁধে চিনির আকার ধারন করলে, মধুর বয়্যামটি যদি কাঁচের হয় তবে একটি বড় পাত্রে কাঁচের জন্য সহনশীল গরম পানি নিন। এরপর মধুর বয়্যামটি এই গরম পানির মাঝে রেখে দিন। দেখবেন কিছুখনের মধ্যেই মধুর জমাট বাঁধা অংশ গলতে শুরু করেছে। এভাবে জমাট বাঁধা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত গরম পানিতে রাখতে পারেন। এছাড়া আরও একটি কাজ করতে পারেন। জমাট বাঁধা মধু ওভেন প্রুফ কোনো পাত্রে ঢেলে ওভেনে দিয়ে গলিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। ব্যস সমস্যার সমাধান।

মেঘ

কীভাবে বাছাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন?

আমাদের ত্বক সুন্দর রাখার জন্য আমরা কতো কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। নানান ধরণের ক্রিম, ফেসিয়াল ইত্যাদি। কিন্তু বছরের সারাটা সময়েই যে জিনিসটি ব্যবহার করা আমাদের সকলের উচিৎ তা হচ্ছে সানস্ক্রিন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো সময়েই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে গ্রীষ্ম এবং শীতকালে। কড়া রোদ এবং আবহাওয়ার বিরূপ ভাব ত্বকের ওপর ছাপ ফেলে যায় খুব খারাপ ভাবে। শুরু হয় ত্বকের নানা সমস্যা। এই সকল সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিৎ সানস্ক্রিন। আরও একটি বিষয়ে সকলের খেয়াল রাখতে হবে তা হলো সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার। কোন ধরণের ত্বকে কেমন সানস্ক্রিন লাগাতে হবে তা আমাদের জানতে হবে। বেছে নিতে হবে সঠিক সানস্ক্রিন। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কীভাবে বাচাই করবেন ত্বকের উপযোগী সঠিক সানস্ক্রিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই পানির মাত্রা বেশি অর্থাৎ ওয়াটার বেইজড সানস্ক্রিন বাছাই করা উচিৎ। এতে করে রোদ এবং ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন।

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্য
শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যও আলাদা ধরণের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সানস্ক্রিন এমনিতেই ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। রুক্ষ ত্বকে সাধারণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পরে। তাই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। একই সাথে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য
সাধারণ ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাছা বাছি করার প্রয়োজন নেই। কারণ সাধারণ ত্বকের ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালো ভাবেই কাজ করে। সাধারণ ত্বকের জন্য শুধুমাত্র ভালো ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে ত্বক ঘেমে গেলেও সানস্ক্রিন ত্বকে থাকবে।

মনে রাখবেনঃ
- সানস্ক্রিন কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন।
- অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে এর উপকরণগুলো ভালো করে পরে নেবেন।
- যে সকল সান্সক্রিনে অক্সিবেঞ্জোন, রেটিনাইল পালমিটেট এবং প্যারাবেন্স জাতীয় উপাদান রয়েছে সে সকল সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ধরণের উপাদান ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪

টিপস 99



গরমে রোদে ত্বক পুরে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন সকলেই। চামড়া কালো হয়ে উজ্জ্বলতা হারায়। চেহারার তরতাজা ভাবও চলে যায়। এ দিকে পার্লারে গিয়ে পরিচর্যা করার সময়ও পাওয়া যায় না সবসময়। রইল ত্বকের পোড়া ভাব তোলার তিনটি ঘরোয়া উপায়।

দই-হলুদের প্যাক- একটা বাটি ঠান্ডা দইয়ের মধ্যে এক চিমটে গুঁড়ো হলুদ দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঘন পেস্ট মুখ, গলা, হাত ও অন্যান্য কালো হয়ে যাওয়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।

দুধ-শশার প্যাক- একটা শশা নিয়ে দুটো টুকরো করে নিন। অর্ধেক শশা গ্রেট একটা বাটিতে রেখে দিন। শশার মধ্যে ২ টেবিল চামচ দুধ বা গুঁড়ো দুধ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভাল করে মিশিয়ে সারা মুখে, গলায়, হাতে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন।

টমেটো- একটা টমেটো দুটো টুকরোয় কেটে নিন। টমেটোর টুকরো ভাল করে মুখে, গলায়, হাতে ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না বিচি আর টমেটোর রস ভাল করে ত্বকের ভিতরে ঢোকে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে আলতো করে মুছে নিন।

মেঘ