শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

অলিভ অয়েল চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সংক্রামক রোগ রোধে কাজ করে। এতে করে চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও চুলের ভঙ্গুরতা কমায়।

পদ্ধতিঃ
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ৪/৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে পুরোরাত এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে চুলের আগা ফাটা ৭০-৮০% কমে যাবে।

মেঘ

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন সহজ ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।


তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।

ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।

চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।


কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

গায়ের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার, তাই না? আরো বিব্রতকর হলো পায়ের দুর্গন্ধ! মনে করুন, খুব ভালো পোশাক-আশাক পরে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে পা থেকে জুতোটা খুললেন আর ভকভক করে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলো। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন তো! এমন পরিস্থিতিতে কেউ পড়তেই চাইবে না, তাই না? অনেকেরই পা বেশি ঘামে। ফলে জুতোর ভেতর আবদ্ধ থেকে ঘামে ভিজে পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় আর তৈরি হয় বিব্রতকর সব পরিস্থিতি। বিশেষ করে শীতের দিনে। শীতের দিনে প্রায় সবার পায়েই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, কারোটা কম আর কারোটা বেশি। অথচ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার উপায়টা কিন্তু খুবই সহজ। কী সেটা? জেনে নিন।


প্রতিদিন জুতা পরার আগে পায়ে মেখে নিন শরীরে ব্যবহার করার ট্যালকম পাউডার। এরপর মুজা পরে জুতা পরুন। এতে সারাদিন জুতা পরে থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ কম হবে। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পায়ে খানিকটা আফটার শেভ লোশন মাখুন। পায়ের দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও মারা পড়বে।


মেঘ

শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৪

বিচ্ছিরি জেদি দাগ তোলার সহজতম টিপস

বিয়ে বাড়ি বা অন্য দাওয়াতে আপনার সবচাইতে প্রিয় পোশাকটি পরে গেলেন, কিন্তু সেই পোশাকেই মাংসের ঝোল পড়ে সাধের জামার একদম বারোটা বেজে গেল। অথবা চায়ের কাপটা উল্টে গিয়ে বেড শিটে বিশ্রী দাগ পড়ে গেল আচমকা। এরকম বিভিন্ন দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই নাজেহাল হই। যেমন, তেল-ঝোলের দাগ, চায়ের দাগ, লিপস্টিক কিংবা পানের পিকের বিচ্ছিরি দাগ। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই। লন্ড্রিতে দৌড়াতে হবে না, বাড়িতেই খুব সহজে এইসব জেদি দাগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো ।

তেলের-ঝোলের যন্ত্রণা-
কাপড়ে খাবার পড়ে তেলের দাগ হয়ে গেলে দাগের জায়গাটিতে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। ওই অংশটির ঠিক নিচের দিকে একটি ব্লটিং পেপার রাখুন। এবার আরও কিছুটা পাউডার নিয়ে দাগের জায়গাটিতে ভালো করে ঘষে লাগান। এতে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে। বাকি হলুদ ভাব তোলার জন্য ডিটারজেন্ট পানিতে ঘন করে গুলে নিয়ে দাগের উপর মাখিয়ে কাপড়টা রোদে শুকাতে দিন। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে ।

কার্পেটে খাবার পড়ে গেলে-
কার্পেটে খাবার পড়ে দাগ হলে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার ২ কাপ হালকা গরম পানিতে গুলে নিয়ে দাগের জায়গাটায় স্প্রে করুন, তারপর পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাবে ।

চা কফির বিচ্ছিরি দাগ-
বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথে চা বা কফি পড়ে গেলে চট জলদি কিছুটা ট্যালকম পাউডার দাগের জায়গাটায় ছিটিয়ে দিন। ২-৩ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন, এতে পাউডার চায়ের দাগ টেনে নেবে । তারপর সাবান পানি দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন ।

লিপস্টিকের জেদি দাগ গুলো-
কাপড়ে অনেক সময় লিপস্টিকের দাগ লেগে যায়, যা সহজে উঠতে চায় না । লিপস্টিকের দাগ তোলার জন্য গ্লিসারিন দিয়ে দাগের উপর কিছু সময় ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে যাবে।

পানের পিক-
জামা কাপড় থেকে পানের পিকের দাগ তুলতে দাগের তলায় এক টুকরা পুরানো কাপড় রেখে আলু দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন, দাগ সহজে উঠে যাবে ।

যে কোনো দাগে মুলতানি মাটি-
ভিনিগার আর মুলতানি মাটির মিশ্রণ কাপড়ের যে কোনো দাগ তোলার জন্য দারুন উপকারী। মিশ্রণটি দাগের উপর লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন ।

মেঘ



শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৪

টিপস

মুখের দুর্গন্ধ কার পছন্দ বলুন? তবে যাঁরা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা বুঝি এই মুখের গন্ধকেও তোয়াক্কা করেন না! অনেকেই আছেন সালাদে তো বটেই, সালাদের পরিবর্তেও কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। হতে পারে সেটা ভাত বা চপ, কাবাব বা ভাজাভুজির সাথে। এছাড়া অনেক খাবারের সাথেই কাঁচা পেঁয়াজ খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের দিনে নতুন কচি পেঁয়াজের স্বাদ তো অতুলনীয়! কিন্তু মুশকিল হয় খাবার পরে মুখের গন্ধ নিয়ে। এমনকি দাঁতব্রাশ করলেও এ গন্ধ দূর হয় না। তবে এ সমস্যার সমাধানও কিন্তু রয়েছে আপনার হাতের কাছেই! কী সেই সমাধান? জেনে নিন অতি সহজ সেই উপায়টি।

একটা পরিষ্কার স্টিলের চা চামচ কিছুক্ষণ মুখে পুরে মুখ বন্ধ করে রাখুন। একটু পর চামচটা বের করে মুছে নিয়ে আবার মুখে পুরুন। এভাবে কয়েকবার করলেই মুখ থেকে পেঁয়াজের গন্ধ প্রায় পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। আর হ্যা, চামচটা ধুয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন!


মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৪

সাজগোজের যে "সাধারণ" ভুলে আপনাকে দেখায় অসুন্দর!

মেকআপ করতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ভারী মেকআপ না করলেও হালকা মেকআপ করা হয় প্রতিদিনই। ফেইস পাউডার, কাজল ও একটু লিপস্টিক না লাগিয়ে বাসা থেকে বের হন না অনেক সৌন্দর্য সচেতন নারী। অনেকেই আবার ত্বকের সুরক্ষায় মুখে ফাউন্ডেশন লাগান। কারণ ফাউন্ডেশন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা পর্দা তৈরি করে যা সারাদিনের ধুলোবালি ত্বকের গভীরে যেতে বাধা দেয়। এই সবই ঠিক আছে। কিন্তু আপনার মেকআপের পদ্ধতি কি সম্পূর্ণ ঠিক? মেকআপের ক্ষেত্রে আপনি কিছু ভুল করছেন না তো? হয়তো না বুঝেই কিছু কাজ করে ফেলছেন যা আপনার পুরো কষ্টে পানি ফেলে দিচ্ছে। আসুন দেখে সেই ভুলগুলো।

ভুল শেডের ফাউন্ডেশন লাগাবেন না
অনেকেই নিজের ত্বকের শেডের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান না। ফলে মুখ সাদা দেখা যায় অথবা বেশী লাল লাগে। মেকআপের জন্য সঠিক শেডের ফাউন্ডেশন অত্যন্ত জরুরী। প্রথমে জেনে নিন আপনার ত্বকের শেড কোনটি। যে কোন বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বললেই তিনি বলে দিতে পারবেন আপনার ত্বকের জন্য কত নাম্বারের ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। এছাড়া আপনি নিজেও আয়নায় মুখের ত্বক দেখে নিয়ে এক শেড হালকা কিংবা গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন কিনুন।

গলায় ফাউন্ডেশন লাগান
মেকআপ করার সময় অনেকেই যে ভুলটি করে থাকেন তা হল গলায় ফাউন্ডেশন না লাগানো। শুধুমাত্র মুখে ফাউন্ডেশন লাগালে মুখের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে কিন্তু গলা কিংবা ঘাড়ের ত্বকের রঙ আগের মতই থাকবে। এতে মেকআপ ভালো দেখায় না। যত হালকা মেকআপই করুন না কেন গলায় ও ঘাড়ে মুখের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান।

অতিরিক্ত আইশাডো থেকে দূরে থাকুন
অনেকেই আইশাডো লাগাতে বেশ পছন্দ করেন। প্রতিদিনের হালকা মেকআপের সাথে হালকা আইশাডো যোগ করলে সৌন্দর্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। কিন্তু আইশাডো লাগানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত গাঢ় রঙের আইশাডো লাগাবেন না। এতে করে পুরো মেকআপ নষ্ট হবে। হালকা করে আইশাডো লাগালে দেখতেও বেশ ভালো লাগে।

আইশাডো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন
অনেকে তাড়াহুড়ো করে মেকআপ করতে যেয়ে আইশাডো ভালোভাবে মেশান না। এতে করে কিছুক্ষণের মধ্যেই আইশাডো চোখের পাতায় ভেসে উঠে। যত তাড়াহুড়োই হোক না কেন এই ভুলটি করতে যাবেন না। আইশাডো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

অতিরিক্ত মাশকারা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
অনেকে মাশকারা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভুলে বেশী মাশকারা লাগান। এতে চোখের পাপড়ি একটি অপরটির সাথে লেগে শক্ত হয়ে যায়। দেখতেও বিশ্রি লাগে। কখনোই বেশী মাশকারা লাগাবেন না।

মাশকারা লাগানোর আগে মাশকারার ব্রাশটি একটি কাগজ বা কাপড়ে হালকা করে ঘষে অতিরিক্ত মাশকারা দূর করে তবেই পাপড়িতে লাগান। এতে করে চোখের পাপড়িতে ভালো করে মাশকারা লাগাতে পারবেন।

লিপগ্লস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
চোখের সাজ গাঢ় হলে অনেকেই ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকের সাথে লিপগ্লস লাগান। কিন্তু লিপগ্লস লাগানোতেও অনেকে ভুল করে থাকেন। খুব দ্রুত কমে যাবে ভেবে অনেকেই বেশী করে লিপগ্লস লাগিয়ে রাখেন ঠোঁটে। কিন্তু এতে করে আপনার পুরো মেকআপের সৌন্দর্যই নষ্ট হবে শুধু। পাশাপাশি ঠোঁটের চারপাশে ছড়িয়ে যাবার ভয় থাকে। সুতরাং হালকা করেই লিপগ্লস লাগান। সাথে রেখে দিতে পারেন লিপগ্লসটি যাতে করে কমে আসলে পুনরায় লাগিয়ে নিতে পারেন।

মেঘ



বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

শীতে প্রয়োজন পুরো দেহের যত্ন!

শুধু শীত কেন, সারা বছরই মুখের যত্ন করে থাকি আমরা। কিন্তু শুধু মুখের যত্ন করলে কি হবে? বিশেষ করে এই শীতে তো সেটা একদমই চলবে না। তাকিয়ে দেখুন তো নিজের পা গুলোর দিকে, মলিন আর কালচে দেখাচ্ছে না? গোড়ালি ফেটেছে না? নিজের কনুইর দিকে দেখুন,হাত বুলিয়ে দেখুন নিজের দেহে, চুলগুলোকে একটু নাড়া দিন। খসখসে আর প্রাণহীন লাগছে দেহের ত্বক,চুলে জমেছে খুশকি। না,চিন্তার কিছু নেই। কীভাবে স্বল্প সময়ে এই শীতেও দেহকে সুন্দর রাখতে পারবেন, আমাদের আজকের লেখা সেই বিষয়েই।

ত্বকের যত্নে চিনির স্ক্রাব ও মুলতানি মাটির মাস্ক
শীতে ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে যায়। এর কারন হলো ত্বকের মরা কোষ। এই মরা কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন স্ক্রাব করা উচিত।

একটি সহজ ও ঘরে তৈরি কিন্তু বেশ কার্যকরী স্ক্রাব হচ্ছে চিনি ও লেবুর রস। এক চা চামচ চিনিতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে আধগলা চিনি মুখে হাতে গলায় ও পায়ে ঘষে নিন। মুখে আলতো করে ঘষবেন। এতে ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর হবে।

মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান। এটা ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে মসৃণ করে তোলে। একটি বাটিতে ২/৩ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে ৪/৫ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে উঠলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ত্বকে ময়সচারাইজার লাগাবেন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বক ভালো থাকবে।

চুলের যত্নে লেবুর রস
শীতকালে মাথার ত্বকে ছোটছোট ফুসকুড়ি ওঠে ও খুশকির সমস্যা দেখা যায়। লেবুর রস এই সমস্যার সমাধান করবে। লেবুর রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান খুশকি থেকে মাথার ত্বককে দূরে রাখে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেক হারবাল উপাদানেই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি ঘরে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে লেবুর রসের মাধ্যমে মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে পারেন। স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলের জন্য।

একটি গোটা লেবুর রস, ১/২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল। সবকটি উপাদান একসাথে একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে বিশেষ করে ফুসকুড়ি ও খুশকি আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগান এই মিশ্রণ। ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বকের সব সমস্যা দূর করে ও খুশকি মুক্ত করে।

শরীরের যত্নে বাথ সল্ট ও মধু
মুখ, হাত, পা, মাথা, চুল সব কিছুরই যত্ন নেয়ার পাশাপাশি দেহের ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক জরুরী। বাথ সল্ট শরীরের ত্বকের জন্য বেশ ভালো। বাথ সল্ট দেহের ত্বকের জন্য স্ক্রাবের কাজ করে। এতে শরীরের মরা কোষ দূর হয়। ও দেহের ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার হয়। গোসলের সময় বাথ সল্ট ব্যবহার করুন।

স্ক্রাবিং এর পরে দেহের ত্বকের কোমলতা রক্ষায় গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন মধু। ১ বালতি পানিতে ৩/৪ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে সে পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলুন। এতে দেহের ত্বকও থাকবে কোমল ও মসৃণ। গোসল শেষে ত্বকে লোশন লাগাতে ভুলবেন না।

হাত ও পায়ের যত্নে লেবু ও লবন গরম পানি
সারাদিন রোদ ও ধুলো ময়লায় হাত ও পায়ের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু খুব সহজেই দিন শেষে রাতের বেলা মাত্র ২০ মিনিট ব্যয় করে হাত ও পায়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা ও কোমলতা।

একটি তাজা লেবু কেটে হাত ও পায়ে ঘষে নিন। এরপর কুসুম গরম পানিতে লিটারে ১ চা চামচ লবন দিয়ে এতে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। চাইলে পানিতে সামান্য শ্যাম্পুও দিতে পারেন। এরপর একটি মাজুনি দিয়ে আলতো করে হাত ও পা ঘষে নিন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানিতে হাত পা ধুয়ে ও মুছে নিন। এরপর হাতে ও পায়ে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। এটা করুন সপ্তাহে ২ দিন।

মেঘ