শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৪

চুলের ৪টি সমস্যা সমাধানে মেহেদির অসাধারণ ব্যবহার!

হাত রাঙানোর কাজটি ছাড়াও চুলের যত্নে মেহেদী পাতার ব্যবহার অনেক প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি, চুল বড় করার জন্য মেহেদী পাতার জুড়ি নেই। সুন্দর, স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল চুলের পাশাপাশি মেহেদী মাথা ঠাণ্ডা রাখতেও বেশ কার্যকরী। চুলের জন্য মেহেদী পাতা সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। বাজারে এখন পাওয়া যায় মেহেদী পাতা গুঁড়ো। সেগুলোও বেশ ভালো কাজে দেয়। মেহেদী পাতার এই অসাধারণ যত্ন কথা নিয়েই আজকে আমাদের লেখা। আসুন দেখে নিই চুলের যত্নে মেহেদী পাতার বিশেষ কিছু ব্যবহার।

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে মেহেদী
ঘন কালো উজ্জ্বল চুল পেতে কার না মন চায়। কিন্তু আবাহাওয়ার বিরূপ অবস্থা এবং কাজের ব্যস্ততার জন্য চুলের দিকে খেয়াল রাখার সময় হয় না কারোরই। কিন্তু মেহেদী পাতা ব্যবহারে খুব সহজেই পেতে পারেন স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল ঘন কালো চুল।

১ কাপ পরিমাণ মেহেদী পাতা বাটা, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২/৩ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধবেন। মাসে মাত্র ২ বার ব্যবহার করুন চুলে মেহেদী পাতা। দেখবেন চুল অনেক ঘন এবং কালো হয়ে গিয়েছে।

চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধে মেহেদী
মেহেদী চুলের জন্য কন্ডিশনারের কাজ করে চুলের রুক্ষতা এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে। ১ কাপ মেহেদী পাতা বাটার সাথে ২/৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টি ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এই মিশ্রণটি। ১ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। স্পতাহে ১ দিনের ব্যাবহারে চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা একেবারে বন্ধ হবে।

সাদা চুল ঢেকে ফেলুন মেহেদী ব্যবহারে
মেহেদী সাদা চুলের জন্য অসাধারণ হেয়ার কালারের কাজ করে। অনেকের অল্প বয়েসেই মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে চুলের সাদাটে ভাব দূর করতে পারবেন। প্রথমে ২ টেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ো ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে দিয়ে এতে রঙ চা দিন ১ চা চামচ এবং ২ টি লবঙ্গ। এবার এই পানিতে পরিমাণ মত মেহেদী পাতা বাটা ব্যবহার করে থকথকে পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ২ ঘণ্টা পরে চুল সাধারণ ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সাদা চুল ঢেকে যাবে সহজেই।

খুশকি দূর করতে মেহেদী পাতা
খুশকির সমস্যায় কম বেশি সকলেই পরে থাকেন। এই নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ও পরেন অনেকে। এই সমস্যার সমাধান করবে মেহেদী। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেটে নিন। পরিমাণ মত সরিষার তেল গরম করে এতে মেহেদী পাতা ফেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে এই তেলে মেথি বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে লাগান। ২ ঘণ্টা পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি মুক্ত হবে চুল খুব দ্রুত।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪

ত্বকের জন্য মধুর ৩ টি মাস্ক

মধু আমরা সকলেই চিনি। প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে। সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্যচর্চা সব কিছুতেই রয়েছে মধুর ব্যবহার। আসুন দেখে নেয়া যাক সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত মধুর ৩ টি মাস্ক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে মধুর মাস্ক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ১/৪ কাপ মধু, ৩ চা চামচ গোলাপজল। একটি পাত্রে মধু এবং গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আঙুলের মাথায় নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন ভালো করে। প্রায় ১৫ মিনিট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে দ্রুত।

ত্বকের দাগ দূর করতে মধু
একটি মাঝারি আকারের পাকা টমেটো ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাত্রে ব্লেন্ড করা টমেটো ঢেলে নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্টের মত তৈরি করুন। এই পেস্টটি পুরো মুখে লাগান ভালো করে। ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে এই মাস্কটির জুড়ি নেই। এছাড়াও এই পেস্টটি কাটা দাগ হালকা করতে বেশ কার্যকর।

ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে মধুর মাস্ক
ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত দাগ এবং রিঙ্কেল দূর করতে এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন সকলেই। এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২।৩ টেবিল চামচ মধু এবং সমপরিমাণ দুধ। মধু এবং দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। "ফাইন লাইন" এবং রিঙ্কেল দূর হবে।

মেঘ

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪

ঘরে বসে হেয়ার স্পা

ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায়। চুলের আকর্ষণই অন্য রকম। সুন্দর একটু চেষ্টা করলে পার্লারে না গিয়ে ঘরে বসেই নেওয়া যেতে পারে চুলের যত। এতে চুল হবে সুন্দর, মজবুত, ঝলমলে আর আকর্ষণীয়।

হেয়ার স্পা চুল সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার এক বিশেষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রথমে আপনার চুল কি ধরনের, মানে চুল তৈলাক্ত না শুষ্ক, স্ক্যাল্পে কোনো সমস্যা আছে কিনা এগুলো টেস্ট করা হয়। তারপর অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, কন্ডিশনার ব্যবহার করে স্ক্যাল্প চুল নরম ও মসৃণ করে তোলা হয়। শ্যাম্পু করার পর ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট ম্যাসাজ করা হয়।
হেয়ার স্পাতে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করে পুরো চুলের স্পা করতে পারেন।
সাধারণত বিউটি পালারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরা হেয়ার স্পা করে থাকেন। তবে বাড়িতেও হেয়ার স্পা করতে পারেন।

কখন হেয়ার স্পা করা জরুরি:

নিচের কয়েকটি প্রশ্নের চটপট উত্তর দিয়ে ফেলুন। ২-৩টি প্রশ্নের উত্তর মিলে গেলে বুঝবেন আপনার জন্য হেয়ার স্পা জরুরি।

আপনার স্ক্যাল্প কি প্রায়শই চুলকায়, এমনকি শ্যাম্পু করার পরও?

চুল একেবারে নিস্তেজ ও নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে, কোনো চকচকে ভাব নেই? চুলের ডগা ফেটে গেছে ও খুব রুক্ষ হয়ে পড়ছে কি?

প্রায়শ চুলে জট পাকিয়ে যায়, চুল এলোমেলো হয়ে পড়ে? আপনি কি খুব স্ট্রেসড?

হঠাৎ চুলে খুব খুশকি হচ্ছে? কয়েক মাসে চুলে কালার বা কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেছেন কি?

বাড়িতে বসে কিভাবে হেয়ার স্পা করবেন:

বাড়িতে হেয়ার স্পা করতে লাগবে-
১ মাইল্ড হার্বাল শ্যাম্পু
২ প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ,
৩ তোয়ালে,
৪ বড় দাঁড়ার চিরুনি,
৫ হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের কতকগুলো উপকরণ।

চুল ময়লা হলে প্রথমে চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। চুল পরিষ্কার থাকলে হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের উপকরণগুলো সহজে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করবে।

শ্যাম্পু করার পর ভালো করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। চুলের ভিজে ভাব কমে গেলে চুল আঁচড়ান। চুলের আগা থেকে জট ছড়াতে শুরু করুন। প্রথমে চুলের উপরের অংশ থেকে জোরে জোরে চুল আঁচড়াবেন না।
হেয়ার মাস্ক বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন।

হেয়ার মাস্ক তৈরির উপকরণ:
ডিম ১টি, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ১ চা-চামচ গি্লসারিন বা মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এগ বিটার দিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন।

স্ক্যাল্পে ও চুলে এই মিশ্রণ ভালো করে লাগান। পরে প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। ১ ঘণ্টা পর আবারও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

৪ কাপ পানিতে ব্যবহার করা চা-পাতা দিয়ে ভালো করে ফোটান। এই মিশ্রণের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। ঠাণ্ডা করুন। শ্যাম্পুর পর হেয়ার রিন্স হিসেবে এটি ব্যবহার করুন। এতে চুল চকচকে ও পরিষ্কার হবে।

হেয়ার স্পার পর কিভাবে চুল মেনটেইন করবেন:

শুষ্ক চুলে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন অয়েল ম্যাসাজ করুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশি কেমিক্যালসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। চুলের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শ্যাম্পুর পর নারিশিং-ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। মাসে একবার ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ইলেকট্রিক কার্লার বা ড্রায়ার ঘনঘন ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

শুভ রাত্রি

মেঘ

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

স্বল্প খরচে ঘরেই তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক বডি স্ক্রাব

ত্বকের সৌন্দর্যে স্ক্রাবের ব্যবহার কতটা জরুরী তা সবাই জানি। কিন্তু সময়ের অভাবে ও আলসেমির জন্য আমরা শুধুমাত্র মুখ হাত ও পায়ের নিচের দিকের কিছু অংশকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু পুরো দেহের ত্বকের যত্নও তো নিতে হবে। তা না হলে দেখতে যেমন বিশ্রি লাগবে আবার ভালো মত পরিষ্কার না হলে ত্বকে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।

দেহের জন্যও লাগবে স্ক্রাব। যাতে দেহের ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা ময়লা দূর হয় সহজে। এবং ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। চিন্তা করবেন না। দেহে ব্যবহারের জন্য স্ক্রাব কিনতে দোকানে ছুটতে হবে না এখনই। ঘরে বসেই রান্নাঘরের কিছু টুকিটাকিতেই তৈরি করে নিতে পারবেন বডি স্ক্রাব। যা হবে সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত। ত্বকও থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

কফি স্ক্রাব
কফি একটি খুব ভালো রিফ্রেশমেন্ট পানীয় হিসেবে বেশি জনপ্রিয় হলেও এর রয়েছে অন্যান্য অনেক গুনাগুন। ক্যাফেইনের রয়েছে ত্বকের উপরিভাগের ময়লা গভীর থেকে দূর করার একটি অতুলনীয় গুণ। দেহের ত্বক একটু মোটা হয় বলে স্ক্রাবটাও একটু ভারি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে কফি বেশ কার্যকরী।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ কাপ কফি (হালকা গুঁড়ো করে নেয়া)
১ কাপ বড় দানার চিনি
১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল
১ টেবিল চামচ লবন
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
সব কটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন একটি পাত্রে। ভালো করে মেশাবেন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আপনার কফি স্ক্রাব। গোসলের সময় ব্যবহার করুন এই স্ক্রাবটি পুরো দেহে। চাইলে বোতলে ভরে সংরক্ষন করে রাখতে পারেন এই স্ক্রাব।

চকলেটের স্ক্রাব
চকলেট সবাই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি চকলেট ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি নারিশমেন্ট উপাদান? বলতে গেলে ত্বকের খাদ্যের মত কাজ করে চকোলেট।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ কাপ চিনি
১/২ কাপ কোকো পাউডার
১/২ কাপ কেনোলা অয়েল/ অলিভ অয়েল
কোকো পাউডার ও চিনি মিশিয়ে নিন প্রথমে। একদম শেষে অয়েল মেশাবেন। এই স্ক্রাব ব্যবহার করুন ত্বকে ভালো করে ঘুরিয়ে মেখে। ২০ মিনিটের মত স্ক্রাব করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কাঠ বাদাম ও কমলালেবুর খোসার স্ক্রাব
কাঠবাদাম ও কমলালেবুর খোসার স্ক্রাবটি ত্বকের মরা কোষ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
১ মুঠি কাঠবাদাম
১ টি কমলালেবুর খোসা
১ কাপ অলিভ ওয়েল
সব কটি উপাদান ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বেটেও নিতে পারেন। খুব ভালো করে বাটুন ও ব্লেন্ড করুন। এই স্ক্রাবটি দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন ৮-১০ মিনিট। ত্বকের সৌন্দর্য নিজেই দেখতে পাবেন।

মেঘ

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

সকালে ঝলমলে চেহারা পেতে রাতে করুন ছোট্ট কিছু কাজ

অনেকেই রাতে কোনোধরনের সৌন্দর্যচর্চা না করে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে করে সকালে উঠে পড়তে হয় অনেক ধরণের ঝামেলায়। দেখা যায় চুলের অবস্থা খারাপ হয়ে আছে অথবা ঠোঁট ফেটে গেছে কিংবা হাত পায়ের চামড়া হয়ে আছে রুক্ষ। সকালের তাড়াহুড়োয় তখন কোন কিছুরই আর ভালো করে যত্ন নেয়া হয় না। সুতরাং রাতের কিছু রূপচর্চা অবশ্যই দরকার। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সকালের এইসকল ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু টিপস।

- সকালে উঠে সুন্দর কোমল একজোড়া ঠোঁট দেখতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগান লিপবাম অথবা অলিভ অয়েল। এতে করে ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার সকালের সময়ও বাঁচবে।
- যারা প্রতিদিন সকালে উষ্কখুষ্ক চুল নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, যার একমাত্র সমাধান সকালে শ্যাম্পু করে গোসল করা তারা রাতে ঘুমানোর আগে চুলে লাগান হেয়ার সিরাম। এতে সকালে চুল থাকবে ঝলমলে।
- সকালে উঠে হাত পা রুক্ষ দেখলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায় এবং ফলে দিন খারাপ হয়। এই ঝামেলায় না পরে রাতে শুতে যাওয়ার আগে হাত পায়ের ত্বকে লাগান ময়েসচারাইজার। সকালে উঠে পাবেন কোমল নরম ত্বক।
- যারা একটু কম ঘুমান তাদের চোখের নিচের ত্বক কুচকে যায়। এতে দেখতে বিশ্রী লাগে, বয়স্ক মনে হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে এবং চারপাশে লাগান আন্ডার-আই সেরাম। এতে ত্বক কুচকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

মেঘ

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

সাধারণ দুটি মেকআপ সমস্যার ঝটপট সমাধান


নারীরা প্রায় সবাই মেকআপ করার সুযোগ পেলে তা সহজে ছাড়তে চান না। কারণ ঠিকমতো এবং বুঝে শুনে মেকআপ করলে সবাইকেই দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝেই মেকআপের সময় অনেকে অনেক সমস্যায় পড়েন। যেমন মেকআপের কোনো জিনিস খুঁজে না পাওয়া কিংবা কাপড়ে মেকআপ লেগে যাওয়া ইত্যাদি। তখন সেই সমস্যাগুলো সমাধানের পেছনেই সময় চলে যায়। কিন্তু খুব সহজে মেকআপের কিছু সমস্যার সমাধান করা যায় খুব দ্রুত। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক মেকআপ জনিত এইসকল সমস্যার ঝটপট সমাধান।

ব্রোঞ্জার না পেলে যা করবেন
মেকআপের জন্য ব্রোঞ্জারের গুরুত্ব সবাই জানেন। কিন্তু কি করবেন যদি মেকআপ করতে যেয়ে দেখেন ব্রোঞ্জার শেষ হয়ে গিয়েছে? বাজারে ছুটবেন? না। চটজলদি বানিয়ে নিন ব্রোঞ্জার। ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো, ১ চা চামচ কোকোয়া, ১ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো এবং ২ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ব্রোঞ্জার!

কাপড় থেকে মেকআপের দাগ তুলতে যা করবেন
মেকআপ করার সময় অসাবধানতা বশত কাপড়ে দাগ লেগে যেতেই পারে। ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক কিংবা কাজল অথবা মাশকারা বা আইশেডের দাগ। এই দাগ গুলো সাধারণ ভাবে ধুলে উঠতে চায় না। এরজন্য প্রথমে কাপড়ের দাগের ওপর শেভিং ক্রিম লাগিয়ে একটি ফেলনা কাপড় দিয়ে সামান্য ঘষে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাচ্ছে।

মেঘ

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

রোদে পোড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে ঘরোয়া ফেস প্যাক


গরমকাল এবং চড়া রৌদ্রের দিন এসে গেছে। এ সময়ে সৌন্দর্যের সবচাইতে বড় শত্রু হলো আপনার মাথার ওপরে জ্বলতে থাকা সূর্য। রৌদ্রের ছোঁয়ায় মুহূর্তের মাঝে আপনার ত্বকে পড়ে যেতে পারে ট্যান। এ সময়ে অনেকের ত্বকে এই ট্যান বা রোদে পোড়া ভাবটা দেখা যায়। অনেকের ত্বকে পড়ে ছোপ ছোপ কালচে দাগ। এই ট্যানের কারণে গরমকালে সাজগোজ করলেও দেখতে খারাপ লাগে। কিন্তু ফেয়ারনেস ক্রিমে থাকতে পারে ব্লিচ, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সহজে ট্যান দূর করার জন্য রইলো একটি-দুটি নয়, রইলো একেবারে এক ডজন ঘরোয়া উপাদান! নিজের ত্বক এবং সুবিধা ভেবে দরকারের সময়ে ব্যবহার করে ফেলুন যে কোনো একটি।

১) লেবুর রস, গোলাপ জল এবং শসার রসের একটি খুব সাধারণ মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন ফেস প্যাক হিসেবে। শশার রস এবং গোলাপ জল ত্বককে ঠাণ্ডা করে, লেবুর রস প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে।

২) কাঁচা দুধ, হলুদ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে নিন। একে ত্বক লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩) ওট এবং বাটারমিল্ক দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকের রোদে পোড়া অংশে ব্যবহার করুন। বাটারমিল্ক ত্বককে আরাম দেয়, আর ওট এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।

৪) বেসন, লেবুর রস, আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন এবং তা রোদে পোড়া ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

৫) তাজা লেবু চিপে রস বের করে নিন। এরপর রোদে পোড়া কনুই, হাঁটু বা ছোপ ছোপ দাগের ওপর দিয়ে রাখুন কমপক্ষে ১৫ মিনিট। দাগ চলে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

৬) নিয়মিত মুখ এবং হাতের ত্বক ডাবের পানি দিয়ে ধুলে রোদে পোড়া দাগ চলে যায়, সেই সাথে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও সজীব।

৭) পাকা পেঁপে ভর্তা করে এই পেস্ট দিয়ে রোদে পোড়া ত্বক ম্যাসাজ করুন। এতে ট্যান তো যাবেই, সাথে সাথে অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করবে পেঁপে।

৮) সমপরিমান গুঁড়ো দুধ, লেবুর রস, মধু এবং আমন্ড তেল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দিন তিন বার ব্যবহারে সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আর তৈরি করার পর এক সপ্তাহের মতো রেখে দিতে পারবেন এই পেস্ট।

৯) হলুদের গুঁড়ো এবং লেবুর রসের পেস্ট সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। এতে ট্যান কমে যাবে।

১০) কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে ফেলুন। এর সাথে সমপরিমান সর যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। রোদে পোড়া ত্বকে ব্যবহারে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।

১১) ওটমিল, টক দই, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা ত্বকে দিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। হাতেনাতেই উপকার পেয়ে যাবেন।

১২) চালকুমড়ার রস এবং মুলতানি মাটি দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করেও ট্যান কমাতে কাজে লাগাতে পারেন।

মেঘ