মানসিক চাপ, বড় অসুখের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথার ত্বকে চর্মরোগ, বংশগতির কারণেও চুল পড়ে। তবে চুল পড়া কমাতে প্রধানত চুলে পুষ্টি জোগাতে হবে। সে জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এ ছাড়া সময়মতো খাওয়া-ঘুমানো ও পানি পরিমাণমতো পান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় যেন নখের আঁচড় মাথার ত্বকে না লাগে।
আরেকটি বিষয় হলো, চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গজিয়ে যায়। সে কারণে এটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খুশকি দূর না হলেও চুল পড়ে। খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুই দিন খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্যান্য দিন প্রোটিন, অ্যামাইনো প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জেল ও চুলের স্প্রে কম ব্যবহার করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। আসল কথা হলো, চুলকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে।
মেঘ
বাড়িতে পানি রাখার জন্য কী ব্যবহার করেন? নিশ্চয়ই জগ বা বোতল! হালকা এবং সহজে ভাঙ্গে না বলে পানি রাখার কাজে প্লাস্টিকের বোতল এবং জেরিক্যানের ব্যবহার এখন প্রায় সবাই করে থাকেন। তবে কাচের বোতলের মতো গরম পানি ঢেলে দেয়া যায় না বলে এর ভেতরে দাগ-ময়লা-শ্যাওলা পড়ে গেলে পরিষ্কার করাটা খুব মুশকিল হয়ে যায়। তাই বলে কি ওরকমই থাকবে ওগুলো? নাকি বাতিল করবেন ভাবছেন? তারচেয়ে বরং খুব সহজেই পরিচ্ছন্ন করে নিতে পারেন ওগুলোকে। এর জন্য প্রয়োজন হবে আরেকটা ফেলনা জিনিসের, আর সেটা হলো ভাতের মাড়! কী করে পরিষ্কার করবেন, জেনে নিন সেই সহজ পদ্ধতিটি।
প্লাস্টিকের বোতল বা জেরিক্যানের ভেতর ভাতের ঠান্ডা মাড় ভর্তি করে রেখে দিন দু-তিন দিন। দু-তিন দিন পর মাড়সহ ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন বোতল বা জেরিক্যানগুলোকে তারপর মাড় ফেলে দিন। এরপর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। বোতল বা জেরিক্যানের এই ঝকঝকে রূপ দেখে ওগুলো ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আপনার মুহূর্তেই বদলে যাবে! প্লাস্টিকের জগ, মগ ইত্যাদিও ধুতে পারেন এভাবে।
মেঘ
গায়ের দুর্গন্ধ খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার, তাই না? আরো বিব্রতকর হলো পায়ের দুর্গন্ধ! মনে করুন, খুব ভালো পোশাক-আশাক পরে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে পা থেকে জুতোটা খুললেন আর ভকভক করে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলো। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি ভেবে দেখুন তো! এমন পরিস্থিতিতে কেউ পড়তেই চাইবে না, তাই না? অনেকেরই পা বেশি ঘামে। ফলে জুতোর ভেতর আবদ্ধ থেকে ঘামে ভিজে পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় আর তৈরি হয় বিব্রতকর সব পরিস্থিতি। বিশেষ করে শীতের দিনে। শীতের দিনে প্রায় সবার পায়েই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, কারোটা কম আর কারোটা বেশি। অথচ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার উপায়টা কিন্তু খুবই সহজ। কী সেটা? জেনে নিন।
প্রতিদিন জুতা পরার আগে পায়ে মেখে নিন শরীরে ব্যবহার করার ট্যালকম পাউডার। এরপর মুজা পরে জুতা পরুন। এতে সারাদিন জুতা পরে থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ কম হবে। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন এবং পায়ে খানিকটা আফটার শেভ লোশন মাখুন। পায়ের দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও মারা পড়বে।
মেঘ
মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী এবং অনেক পুরুষও। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।
তাদেরকে বলছি, মন খারাপ করার কোন প্রয়োজনই আর নেই। মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।
ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।
চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।
কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
মেঘ

অলিভ অয়েল চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের সংক্রামক রোগ রোধে কাজ করে। এতে করে চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি যোগায় ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও চুলের ভঙ্গুরতা কমায়।পদ্ধতিঃচুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ৪/৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে পুরোরাত এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে চুলের আগা ফাটা ৭০-৮০% কমে যাবে।
মেঘ
দৈনন্দিন জীবনযাপন অনেকখানি সহজ করে দেয় যে জিনিসটি, তা হলো ফ্রিজ! কাঁচা এবং রান্না করা- দু ধরনের খাবারই সংরক্ষণ করা ফ্রিজের কারণে হয়ে গেছে অত্যন্ত সুবিধাজনক। রান্না করা খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি খাবারও থাকে ভালো। ফ্রিজের এত ভালো দিক থাকলেও রয়েছে একটি সমস্যা! এতে হরেক রকম খাবার রাখা হয় বলে ফ্রিজের ভেতর প্রায়ই কটু গন্ধের সৃষ্টি হয়। এই দুর্গন্ধ মিশে যায় খাবারের সাথে। ফলে খাবারের ভালো গন্ধও হয়ে যায় নষ্ট। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধের এই সমস্যাটা যত ভয়াবহই হোক না কেন, এর সমাধানটা কিন্তু খুবই সহজ! এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটুখানি খাবার সোডা।
একটা ছোট্ট বাটিতে অল্প কিছু খাবার/বেকিং সোডা নিন। এরপর এই বাটিটা ফ্রিজের এক কোণায় রেখে দিন। বাটি যেন ঢেকে রাখবেন না, এটা খোলাই থাকুক। দেখবেন, ফ্রিজে আর মোটেও গন্ধ হচ্ছে না! সপ্তাহখানেক পর পর বাটিতে রাখা খাবার সোডা পাল্টে দিন।
মেঘ