মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

ক্ষতের দাগ মুছে ফেলার প্রাকৃতিক উপায় ও টিপস

অনেকেই বিভিন্ন সময়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে অ্যাকসিডেন্ট কিংবা ইনজুরির কবলে পড়তে পারেন। সেই অ্যাকসিডেন্ট বা ইনজুরির ভয়াবহতার চিহ্ন বহন করে শরীরের কোনো স্থানের দাগ। অ্যাকসিডেন্টের ফলে হওয়া জখম হয়তো শুকিয়ে যায়, কিন্তু দাগ রয়ে যায়। এই দাগ বার বার মনে করিয়ে দেয় সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি। এছাড়াও নিত্যদিনের জীবনে ছোটখাট কাটা-ছেঁড়াতেও ত্বকে সৃষ্টি হয় দাগের,

অনেকে অনেক ধরনের ঔষধ ব্যবহার করেও দূর করতে পারেন না সেই দাগ। অনেকে আবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ঔষধ ব্যবহার করেন না। বাধ্য হয়ে সেই অযাচিত দাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। এই ধরনের দাগ গুলো শুধুমাত্র সৌন্দর্য হানিকারক নয়। এর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়ায়। আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য ধরুন। এইসব দাগের চিকিৎসা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

কিন্তু আপনার দৃঢ় মনোবল থাকলে অবশ্যই আপনি প্রাকৃতিক উপায়েই এই দাগগুলো দূর করতে পারবেন। এইসব দাগ দূর করার জন্য আজকে আপনাদের জন্য রইল কিছু প্রাকৃতিক সমাধান। বেশি ওজন বা সন্তান হওয়ার কারণে যাদের ত্বক ফেটে দাগ হয়েছে,তাদেরও কাজে আসবে এই উপায় গুলো।

লেবু ও শসার রস
একটি গোটা লেবু চিপে নিন। এতে একটি মাঝারি আকারের শসার চার ভাগের এক ভাগ অংশের রস বের করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় আলতো ঘষে লাগান। দিনে অন্তত ৩ বার লাগাবেন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করবে আর শসার রস দাগ হালকা করবে।

অ্যালোভেরার রস
অ্যালভেরাকে বলা হয় জাদুকরি গাছ। এর পাতার রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান গভীর দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী। তাজা অ্যালভেরা পাতার রস দিনে ২/৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিয়মিত লাগাবেন। কিছুদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হতে শুরু করবে।

চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপ জল
চন্দনগুঁড়ো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই দাগ দূর করার কাজে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটা সবচাইতে কার্যকরী উপাদান। একটি বাটিতে ২ চা চামচ চন্দনগুঁড়ো নিয়ে এতে ঘন পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজন মত গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন পেস্টটি ব্যাবহার করুন। দাগ দূর হবে।

পেঁয়াজ কিংবা রসুনের রস
অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ অথবা রসুনের রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য বেশ জনপ্রিয়। যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে এদের জুড়ি নেই। তবে নিয়মিত ব্যবহার না করলে কাজ হতে বেশ দেরি হয়। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ বার তাজা পেঁয়াজ বা রসুনের রস লাগাবেন আক্রান্ত স্থানে। দাগ দূর হবে ও নতুন কোষ হতে সাহায্য করবে।

নিমের পাতা
নিমে গাছে ডাল ও পাতা যে কোন বড় ধরনের অসুখ দূর করতে যেমন কার্যকরী তেমনই গভীর দাগ দূর করতেও বেশ কার্যকরী। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আক্রান্ত স্থানের অস্বাভাবিক কোষ দূর করে। দিনে অন্তত ২ বার নিম পাতা বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগান। পাশাপাশি একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে ৩০/৪০ টি নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি গোসলের কাজে ব্যাবহার করুন।

দাগ দূর করার অন্যান্য কিছু টিপস
•দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করুন। এতে নতুন কোষ গঠন হয় দ্রুত।
•একটি তুলোর বল গ্রিন টি তে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। দাগ হালকা হবে।
•আক্রান্ত স্থান মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে ৬/৭ বার করে প্রতিদিন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ দূর করে।
•ভিটামিন ই তেল কিংবা ক্যাপস্যুল ভেঙে আক্রান্ত স্থানে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। চামড়ার উঁচুনিচু ভাব দূর করে মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে
•একটি কলা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর হতে সাহায্য করবে।

মেঘ



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন