মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

খুব সহজে ঘরেই করুন ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর

হাল ফ্যাশনে সবচাইতে জনপ্রিয় নখের ডিজাইন হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর। দেখতে সুন্দর তো বটেই, একই সাথে খুব মার্জিত ও স্টাইলিশও বটে। ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরটা কী? নখের স্বাভাবিকতা ধরে রেখে প্রাকৃতিক রংকে উজ্জ্বল করাই হলো ফেঞ্চ ম্যানিকিউর। তবে পার্লারে এই ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করার খরচ আছে বৈকি। এত খরচ করে তো আর সব সময় করানো যায় না। তবে উপায়? উপায় হচ্ছে ঘরেই করে ফেলুন খুব সহজে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর। আসুন, জেনে নেই উপায়।
  • -প্রথমে রিমুভার দিয়ে নখের পুরনো নেইলপলিশ তুলে ফেলুন। এবার কিউটিক্যাল অয়েল নখের চামড়া বা কিউটিক্যালের ওপর লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন, যাতে চামড়া অল্প নরম হয়। নখে ধীরে ধীরে অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে সাবধানে কিউটিক্যাল পেছনের দিকে পুশ করে নখের আকার ঠিক ও মরা চামড়া পরিষ্কার করুন। কিউটিক্যাল পুশারের অপর প্রান্ত দিয়ে নখে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • -এবার নেইল কাটার এবং ফাইলার দিয়ে নখ পছন্দ অনুযায়ী আকার দিন।
  • -হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ব্রাশের সাহায্যে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে মুছে নিন। লাগিয়ে নিন ময়েসচারাইজার। এবার হাত তৈরি নেইল পলিশের জন্য।
  • -ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর করতে তিন রঙের ওয়াটার কালার, লাইট পিঙ্ক এবং ঝকঝকে উজ্জ্বল সাদা রঙের নেইলপলিশ দরকার।
  • -প্রথমে নখে হালকা গোলাপি বা বেইজ রঙের নেইলপলিশ লাগান। আপনার নখের নিচে এমনিতেই গোলাপি হলে এই স্টেপটা বাদ দিতে পারেন।
  • -লাগানো নেইলপলিশ শুকিয়ে যাওয়ার পর নখের সামনের দিকে যে অংশটুকু সাদা রাখতে চান সেখানে সাদা রঙের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। ভালো করে শুকালে এবার পুরো নখে স্বচ্ছ কালারের নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। হয়ে গেল ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর।
মেঘ

শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

চুলের নানা সমস্যা সমাধানে ঝটপট হেয়ার সল্যুশন

রোদ বৃষ্টির খেলায় ও ভ্যাঁপসা গরমে ত্বকের পাশাপাশি অনেক ক্ষতি হয় চুলের। অল্পতেই চুল ও মাথার ত্বক ঘেমে যাওয়া, চুল ভেজালে সহজে শুকোতে না চাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় মাথার ত্বকের ও চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। শুরু হয় চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, চুল ভেঙে যাওয়া সহ নানা সমস্যা।সমস্যার সমাধানে অনেকেই অনেক ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সব চাইতে ভালো হয় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে। তাই আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক এই যন্ত্রণাদায়ক আবহাওয়ায় চুলের নানা সমস্যা দূর করতে কিছু হেয়ার সল্যুশন।

সাধারণ চুলের জন্য

মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি এবং চুল পড়ার সমস্যায় পড়েন সাধারণ চুলের অধিকারীরা। এই সমস্যা দূর করতে হেয়ার সল্যুশন।
উপকরণঃ ১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ টক দই ও ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল/অলিভ অয়েল/বাদাম তেল। চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
পদ্ধতিঃ সব কটি উপকরণ একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর সাধারনভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ২ সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

অনুজ্জ্বল নিস্তেজ চুলের জন্য

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে চুল হয়ে পরে নিস্তেজ। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের।
উপকরণঃ ১ কাপ টক দই, ১ টেবিল চামচ তেল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ টক দই ফেটিয়ে নিয়ে এতে তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের আগা গোঁড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে। সপ্তাহে অন্তত ১ বার ব্যবহার করবেন।

খুশকিযুক্ত চুলের জন্য

এই সময়ে মাথায় খুশকি হলে অনেক জন্ত্রনায় পড়া হয়। মাথার টক একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। চুলের ক্ষতি রোধ করতে করণীয়।
উপকরণঃ ২ টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানি।
পদ্ধতিঃ সব কটি উপকরন নিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল সাধারনভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য

রুক্ষ চুলের ওপর স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার অনেক বড় প্রভাব পরে থাকে। চুল পড়া এবং চুল ফাটা ও ভেঙে পড়ার সমস্যা শুরু হয়। এই সমস্যা সমাধানে
উপকরণঃ অর্ধেক কাপ মধু, ১ টি ডিমের কুসুম, ১/২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল।
পদ্ধতিঃ ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিয়ে এতে মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন খুব ভালো করে। চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিট। এরপর সাধারণভাবেই শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ১ বার ব্যবহার করবেন এটি।

তৈলাক্ত চুলের জন্য

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় তৈলাক্ত চুলের সব চাইতে বেশি ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত চুল পরে এবং চুলের বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। এই সমস্যা সমাধানে
উপকরণঃ ডিমের সাদা অংশ, ১ টি পুরো লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ লবণ
পদ্ধতিঃ ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে ফেটাতে থাকুন। এরপর এতে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে আরও ৫ মিনিট ফেটিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে, চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ দিনে ১ বার ব্যবহার করবেন।

মেঘ

বুধবার, ১১ জুন, ২০১৪

রান্নাঘরেই মিলবে দারুণ সুন্দর ত্বক

শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন? ভাবছেন, সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে তো বিউটি পার্লার যেতে হবে, রান্নাঘরে কী করে সম্ভব? একটু অদ্ভুত শোনালেও রান্নাঘরে সুন্দর ত্বক পাওয়াও কিন্তু সম্ভব! আপনি হয়তো ভীষণ ব্যস্ত, নিজের ত্বকের যত্নের জন্য একটুখানি সময়ও বের করতে পারছেন না। তাহলে রান্নাঘরেই সেরে ফেলুন না রূপচর্চার কাজটি! তাও আবার রান্নাঘরের জিনিস দিয়েই!

ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণের কথা কে না জানে! খাবার হিসেবে তো বটেই, ত্বকের যত্নেও ডিমের তুলনা নেই। ডিম দিয়ে কিছু করছেন? ডিম ভাজি বা পোচ? তাহলে ডিম ভাঙ্গার পর খোসার ভেতরে লেগে থাকা সাদা অংশ আঙুল দিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ফেলুন। আপনার ডিম ভাজতে যতটুকু সময় লাগবে অপেক্ষা করুন ঠিক ততটুকু সময়। ডিম ভাজা শেষ? এবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখুন, রান্নাঘরেই কেমন পেয়ে গেলেন কোমল, মসৃণ ত্বক!

শসা

শসার সালাদ তৈরি করছেন? তাহলে নিশ্চয়ই শসার মাথা কেটে ঘষে ঘষে তেতো সাদা কষগুলো ফেলে দিচ্ছেন? ওগুলো ফেলে না দিয়ে মুখে মাখুন। ত্বকের বাড়তি তেল দূর করতে শসার কষ খুবই উপকারী। ৭-৮ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটা শসার রসের মতো টোনার হিসেবেও চমত্‍কার।

টমেটো

সালাদের আরেকটি উপকরণ টমেটো। টমেটোর একটা স্লাইস সারা মুখ ও গলায় ঘষুন পাঁচ মিনিট। এবার সালাদ তৈরির কাজটি সেরে ফেলুন। আরো চার পাঁচ মিনিট পেরিয়ে গেছে? তাহলে মুখ ও গলা ধুয়ে ফেলুন। নিজের উজ্জ্বল, পরিষ্কার ত্বক দেখে নিজেই চমকে যাবেন।

বেসন

মজার মজার ভাজাভুজি তৈরিতে বেসনের ব্যবহার অপরিহার্য। সামান্য একটু বেসন নিয়ে স্রেফ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার পুরু করে মুখে লাগান। ভাজাভুজি তৈরি শেষে পরিবেশনের ঠিক আগে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মসৃণতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

বেকিং পাউডার

হোয়াইট হেডস খুব জ্বালাচ্ছে? কাজে লাগান বেকিং পাউডার। এক চা চামচ বেকিং পাউডার, এক চা চামচ মধু ও সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর আরো পাঁচ মিনিট আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।

ময়দা

প্রতিদিনের পরোটা, লুচি তৈরিতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ময়দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি ময়দা খুব ভালো ত্বক পরিষ্কারক? এক চা চামচ ময়দার সাথে পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এরপর পরোটা বেলতে থাকুন। চার পাঁচটা পরোটা বানানোর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই তো হয়ে গেল রান্নাঘরের কাজের ফাঁকে রূপচর্চা

মেঘ

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

পিঠের ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া ৪ টি মাস্ক

মুখের ত্বকের ব্রণের সমস্যার মতোই মারাত্মক আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পিঠে ব্রণের সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অনেকের তো এমন হয় যে মুখের ত্বকে ব্রণ না উঠলেও পিঠের ত্বকে অনেক ব্রণ উঠে থাকেন। এই নিয়ে অনেকে নিজের অনেক পছন্দের পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকেন। অনেকে বেশ অস্বস্তি বোধ করেন।
এই পিঠের ব্রণের সমস্যাও রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রেহাই পাবেন এই সমস্যা থেকে।

টমেটোর মাস্ক

টমেটোর ভিটামিন এ এবং সি শুধুমাত্র আমাদের দেহের অভ্যন্তরেই কাজ করে তা নয়। এটি পিঠের ব্রণও দূর করে খুব সহজেই।
প্রথমে টমেটো নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি ব্লেন্ড করবেন না। এই ব্লেন্ড করা টমেটো পিঠের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন ভালো করে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই টমেটো মাস্ক।

হলুদ ও পুদিনার মাস্ক

হলুদ ও পুদিনা দুটোরই রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণ নির্মূলের সাথে ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।
পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে রস বের করে নিন। হলুদ বেটে নিন। অথবা চাইলে হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা ও হলুদ একসাথে মশিয়ে নিয়ে পিঠের ত্বকে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারেই ভালো ফল পাবেন।

গোলাপজল ও লেবুর মাস্ক

এই মাস্কটি ব্রণের সমস্যা সমাধানের সাথে পিঠের ত্বকের কালো দাগ দূর করে পিঠের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
ভালো কোন গোলাপজলের সাথে তাজা লেবুর রস চিপে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সমান সমান গোলাপজল এবং লেবুর রস নেবেন। এরপর এটি পিঠের ত্বকে লাগাবেন। শুকিয়ে এলে এই আমস্কতি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন। সারাএয়াত রেখে সকালে উঠে পিথ ধুয়ে নেবেন। একদিন পরপর ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

দারুচিনি ও মধুর মাস্ক

মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পিঠের ত্বকের ওপর থেকে ইষ্টের আক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে। পিঠের ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়।
১ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সাথে ২ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটিতে তাজা লেবুর রস দিন ১ টেবিল চামচ। ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সমস্যার সমাধান হবে।

মেঘ

সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করছেন তো প্রিয় ফেসক্রিমটি?

আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্রিম আমাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকি। একেজনের ত্বক একেক রকম। এ কারণে একেক ত্বকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে আপনার স্পর্শকাতর ত্বকে সেই ক্রিমটি সঠিক উপায়ে ব্যবহার করছেন কি না। আমরা প্রায় সময়ই ক্রিমটি ভুল পদ্ধতিতে ব্যবহার করে থাকি। জেনে নিন ত্বকে ক্রিম ব্যবহারের সঠিক নিয়মগুলো।

১. মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন :

মুখে ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার মুখটি ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কেননা মুখে বিভিন্ন ধরনের ঘাম, ময়লা লেগে থাকতে পারে। এ কারণে ত্বকে কোনো কিছু লাগানোর আগে অবশ্যই তা পরিস্কার করে নিন।

২. হালকা ভেজা ত্বকে ব্যবহার করুন :

ভালোভাবে মুখ ধোয়ার পরে হালকা ভেজা ত্বকে ক্রিমটি ব্যবহার করুন। কেননা একেবারে শুষ্ক ত্বকের চেয়ে হালকা ভেজা ত্বকে ক্রিমটি বেশি কাজ করে। এ কারণে খানিকটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাবাপন্ন ত্বকেই ক্রিমটি ব্যবহার করুন।

৩. অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন :

আপনার ত্বকে ক্রিম সবসময় অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। অনেকে ত্বকে বেশি পরিমাণে ক্রিম ব্যহার করে থাকেন। তারা ভাবেন যে হয়ত বেশি পরিমাণে দিলে তা দ্রুত এবং ভালো কাজে দেবে। এই ধরনের চিন্তা একেবারেই ভুল। যে ক্রিম আপনার ত্বকের মসৃণতা আনে সেটি অল্পতেই আনতে পারে। এর জন্য বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হয় না। এ কারণে অল্প পরিমাণে ক্রিম ব্যবহার করুন।

৪. হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন :

ত্বক অনেক নরম একটি চামড়া দিয়ে গঠিত। তাই এতে সাবধানতার সাথে প্রসাধনী ব্যবহার করা দরকার। না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি ত্বকে ক্রিমটি খুব হালকাভাবে ম্যাসেজ করে ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না বরং মসৃণতা ও লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

মেঘ

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাব থেকে ত্বক বাঁচাতে ধরণ বুঝে ফেইস মাস্ক

এই বৃষ্টি এই গরম, ভ্যাঁপসা একটা ভাব, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। এই সময়টাতে ত্বকের খুব বেশি অসুবিধা শুরু হয়। সব ধরণের ত্বকেরই নানা সমস্যা শুরু হয়। কী করা উচিৎ তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। তার ওপর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে বর্ষাকাল। তখন তো আরও বেশি সমস্যা শুরু হবে।
সে কারণে আগে থেকেই ত্বককে তৈরি করে ফেলুন এই আবহাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে ব্যবহার শুরু করুন ঘরে তৈরি একেবারে প্রাকৃতিক কিছু ফেইস মাস্ক। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই ফেইস মাস্কগুলো আপনার ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করবে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হলুদ ও বেসনের মাস্ক

এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সময়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর সাথে তেলতেলে ভাবের জন্য ত্বক কালোও হওয়া শুরু করে দেয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এই ফেইস মাস্কটি।
উপকরণঃ ৪ টেবিল চামচ বেসন, অর্ধেক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো/ বাটা, সামান্য দুধ ও দুধের সর।
পদ্ধতিঃ প্রথমে বেসন ও হলুদ গুঁড়ো বা বাটা নিয়ে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এতে অল্প অল্প করে দুধ ঢালুন। পেস্টের মতো তৈরি হয়ে গেলে দুধ ঢালা বন্ধ করে এতে সামান্য দুধের সর বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকে মাস্কটি একেবারে শুকিয়ে যেতে দেবেন না। মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন এই মাস্কটি লাগাবেন।

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য মধু ও লেবুর মাস্ক

শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের সমস্যা হলো ত্বকের উপরিভাগ খুব অল্পতেই ফেটে যায়। এবং উপরের চামড়া ভালো করে স্ক্রাব না করলে কালচে ভাব দেখা যায়। চিন্তা নেই, সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।
উপকরণঃ ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ
পদ্ধতিঃ প্রথমে গুঁড়ো দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নেবেন। এরপর এতে তাজা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি চোখের আশেপাশে ছাড়া পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০-২৫ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এর জুড়ি নেই।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেসন, লেবু ও হলুদের মাস্ক

স্বাভাবিক ত্বকে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার প্রভাব খুব খারাপ ভাবে পরে থাকে। হয় ত্বক খুব তৈলাক্ত হওয়া শুরু করে অথবা একেবারে রুক্ষ হয়ে যেতে থাকে। ত্বকটাকে ঠিক রাখার জন্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করুন এই মাস্কটি।
উপকরণঃ ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও সামান্য গোলাপ জল।
পদ্ধতিঃ বেসন ও হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে এতে অল্প করে গোলাপজল দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর এতে দিন তাজা লেবুর রস। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান মাস্কটি। ১৫ মিনিট রেখে মুখ খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

মেঘ

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

দাগ ঢাকতে কনসিলার



লিপস্টিক, আইশ্যাডো সব ঠিকঠাক ব্যবহার করলেন। এমনকি এর আগে ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস মেকআপটাও করে নিয়েছেন। তবু মনে হচ্ছে কোথায় কিসের যেন কমতি। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কনসিলার। চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা বড় লোমকূপ ঢেকে দিতে ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। এটি ফাউন্ডেশনের মতোই, কিন্তু একটু ঘন এবং ভারী কভারেজের।