শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

তৈলাক্ত ত্বকের সমাধান রান্নাঘরেই!

শরীরে ভিটামিন বি-২ এবং বি-৫-এর ঘাটতি থাকলে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যেতে পারে। আর এই গরমের দিনে ভাজা-পোড়া বা হাবিজাবি ফাস্টফুড বেশি খেলে তার প্রভাব ত্বকের ওপর পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া এই মৌসুমে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম বেশি হয়। এ জন্য ত্বকের তেলগ্রন্থি থেকে নিঃসরণও বেশি হয়। এত সব সামলে তৈলাক্ত ত্বক ঠিকঠাক রাখা কী চাট্টিখানি কথা! বিষয়টা কিন্তু আসলে অতটা কঠিন নয়। 
আপনার রান্নাঘরের তাকে, রেফ্রিজারেটরে থাকা দৈনন্দিন খাবারদাবার আর ব্যবহার্য এটা-সেটা দিয়েই এই গরমের মৌসুমে ত্বক তেলমুক্ত, স্বাভাবিক ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন আপনি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’।
দুধ-লেবুর রস
ঠান্ডা করে রাখা কাঁচা দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে মুখ-হাত-পায়ে ভালো করে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এবং ত্বক কম তৈলাক্ত থাকবে।
মধু ও মুলতানি মাটি
মধু ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ বানিয়ে নিন। পুরো মুখে তা ভালো করে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এটা মুখের ত্বকে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এবং ত্বক সজীব ও কোমল দেখাবে।
ঘৃতকুমারী
এই গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখার সবচেয়ে ভালো উপাদান হলো ঘৃতকুমারী। এটা ত্বকের তেল শুষে নেওয়ার পাশাপাশি মুখে-হাতে-পায়ে ফুসকুড়ি থাকলে তাও পরিষ্কার করে। ঘৃতকুমারীর আঠাল রসের সঙ্গে স্ট্রবেরির মণ্ড এবং জইদানার গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ‘ফেসপ্যাক’ তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই ফেসপ্যাক কয়েক দিন রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিমের সাদা অংশ
ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়া এবং ত্বককে টানটান রাখার জন্য খুবই উপকারী ডিমের সাদা অংশ। একটি বা দুটি ডিম ভেঙে কুসুমটা সরিয়ে নিয়ে সারা মুখে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মাখুন। সাত থেকে ১০ মিনিট রাখার পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
টমেটো
টমেটোও ত্বক পরিষ্কারে দারুণ উপকারী। মাঝারি আকারের একটি বা দুটি টমেটোর মণ্ড বানিয়ে সারা মুখে ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

চন্দনের গুঁড়ো, লেবুর রস ও গোলাপজল
চন্দন-কাঠের ভেষজ গুণের কথা কে না জানে। চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে একটি লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো বানিয়ে নিন। আলতো করে হাত বুলিয়ে সারা গায়ে ভালো করে মাখুন। কিছুক্ষণ রেখে ভালোমতো গোসল করে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি শরীরজুড়ে ত্বকের নিচে রক্তপ্রবাহও বাড়বে। ত্বকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং কোমল ভাব।


মেঘ


ঘরেই বানান খুশকি তাড়ানো শ্যাম্পু!

খুশকি দূর করতে বাজারে পাওয়া সব শ্যাম্পুই পরীক্ষা করে দেখেছেন...কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছেন না কোনোটা ব্যবহারেই! এ নিয়ে অত চিন্তা না করে নিজের জন্য ঘরেই বানিয়ে নেন খুশকি-রোধক শ্যাম্পু! 

খুশকি-রোধক শ্যাম্পুর উপাদানবেকিং পাউডার: দুই টেবিল চামচ বা ৩০ মিলিলিটার
গরম পানি: এক কাপ
ভিনেগার: এক টেবিল চামচ বা ১৫ মিলিলিটার
পুদিনার রস: দুই টেবিল চামচ বা ৩০ মিলিলিটার

যেভাবে এই শ্যাম্পু বানাবেন
প্রয়োজনীয় সব উপাদান হাতের নাগালে রেখে প্রথমে তাজা পুদিনার পাতা ছেঁচে পরিমাণমতো রস বানিয়ে ফেলুন। এবার পরিষ্কার একটা পাত্রে বেকিং পাউডার এবং গরম পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মেশান ভিনেগার। পুদিনা পাতার রস ভালো করে ছেঁকে ঘন ভারী অংশটা পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। সবকিছু মেশানো হলে কিছুক্ষণ ভালো করে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পর গোসলের সময় তা ব্যবহার করুন।
ঘরে বানানো এই খুশকি-রোধক শ্যাম্পু সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে টানা মাস খানেক ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পেতে পারেন।

মেঘ

এ সময়ে ত্বকের যত্ন

রোদ কিংবা বৃষ্টি থেকে চেহারাকে বাঁচানোর জন্য ছাতা এখন অপরিহার্য৷ ভালো মানের সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেল ছাড়া, শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিমযুক্ত সানস্ক্রিন উপযোগী৷ তবে সেটা আপনার ত্বকের জন্য মানানসই কি না, যাচাই করে নিন৷ ত্বক সুস্থ রাখার জন্য পানির ভূমিকা অনেক৷ রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, পানি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে৷ শরীরের চাহিদা পূরণ করতে এই আবহাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে৷ প্রতিদিন মুখে ৮ থেকে ১০ বার করে পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যাবে৷
এই আবহাওয়ায় মুখের ত্বক নিয়ে কী কী ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়? এই প্রশ্নের ভেতর দিয়ে তৈলাক্ত, শুষ্ক, মিশ্র ও সাধারণ ত্বকের অধিকারীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানা যায়৷ গরমে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের অধিকারীরা৷ একটু গরম কিংবা তাপে ত্বকের তেল বের হয়ে যায়৷ এর মধ্যে ধুলাবালু আটকে যাচ্ছে৷ ঘাম হচ্ছে বেশি৷ এ কারণে ব্রণের আগমনবার্তা পাওয়া যাচ্ছে কিছুদিন পরপরই৷ আফরোজা পারভীন এই সমস্যার সমাধান দিয়ে বলেন, যতটা সম্ভব ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে৷ দুই ঘণ্টা পরপর তেলবিহীন টোনার অথবা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন৷ তেল তাহলে মুখের ওপর বেশি আসবে না৷ মুলতানি মাটি ও শসার রস মিশিয়ে ১০ মিনিট মুখে রাখলে এই তেলতেলে ভাব কমবে৷ তিন থেকে চার ঘণ্টা সজীব দেখাবে৷ এ সময়ের আরেকটি সমস্যা, রোদে পোড়ার কারণে ত্বক কিছুটা নির্জীব হয়ে পড়ে৷ তরমুজ অথবা শসার রস মাখলে এর সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই৷ আরেকটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন৷ কলা, পেঁপেসহ বেশ কিছু ধরনের ফল ব্লেন্ড করে নিন৷ এবার অল্প পরিমাণে টকদই ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন৷ মুলতানি মাটির বদলে নিতে পারেন বেসন অথবা চালের গুঁড়া৷
.এ তো গেল গরমের সময়টার কথা৷ এবার আসা যাক বৃষ্টির সময়ে কী করতে হবে৷ বৃষ্টির পানি মাথায় লাগলে যত দ্রুত সম্ভব শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগাতে হবে৷ বৃষ্টির এই সময় চুলের আরও ভালো যত্ন নিতে হবে৷ বৃষ্টির সময় আদ্র৴তা বা ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বকের জন্য অনেক ভালো৷ কিন্তু বৃষ্টির আগে-পরে কখনো কখনো গুমোট গরম ভাব হয়৷ এই গরম-ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বক কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে যায়৷ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিলেই হয়৷ লিপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন৷ শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা ফেসওয়াশ ব্যবহার না করে হালকা কোনো ক্রিম ভালোভাবে মুখে মালিশ করে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে৷ শুষ্ক ভাব চলে যাবে৷ কোমলতা আসবে৷ বৃষ্টির পানিতে যেসব জায়গার ত্বক ভিজবে, সেখানে পরিষ্কার করে ফেলুন৷ ওয়াটার বেসড টোনার ব্যবহার করুন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য৷ এ ছাড়া ডাবের পানি বরফ করে রাখতে পারেন৷ সেটা মুখে ব্যবহার করতে পারেন৷ এ ছাড়া ডাবের পানি দিয়েও মুখ ধুতে পারেন৷ ত্বকের দাগ চলে যাবে, উজ্জ্বলতা বাড়বে৷
গুমোট গরমে ঘামের প্রবণতা দেখা যায়৷ ঘাম থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় বলে জানান আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ সমস্যা ও সমাধান দুটিই তুলে ধরলেন তিনি৷ ঘামের কারণে র্যাশ অথবা ফুসকুড়ি হয়৷ ব্রণ আছে যাঁদের, সেটা আরও বেড়ে যাচ্ছে৷ শসার রসের সঙ্গে মেথির গুঁড়া এখানে চমৎকার কাজ করবে৷ মেথি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করবে এবং শসার রস ত্বককে ঠান্ডা রাখবে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি খুব উপকারী৷ র্যাশের জন্য টকদই খুব ভালো৷ লাগিয়ে দেখতে পারেন৷ শুষ্ক ত্বকের সুস্থতার জন্য শসার রস, মেথির গুঁড়া ও টকদই যথেষ্ট৷ শুধু শসার রস তুলার সাহায্যে লাগালেও ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারবেন৷


মেঘ

বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০১৪

টিপস

রান্নাঘরের হাড়ি পাতিল ধরার কাপড়গুলোতে আগুন লাগিয়ে ফেলেননি কখনো, এমন রাঁধুনি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর গরম হাড়ি পাতিলের ছোঁয়ায় হাতে ছ্যাঁক লাগা বা পুড়ে যাওয়ার ঘটনা তো নিত্য দিনের। অথচ খুব ছোট্ট একটা বুদ্ধি করলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে মিলবে চিরতরে মুক্তি। না লাগবে আগুন লাগার ঝুঁকি, আর না আপনার হাতে লাগবে আগুনের আঁচ।
রান্নার সময় হাঁড়ি-পাতিল ধরার জন্য কারো পছন্দ বেড়ি, আবার কেউ ব্যবহার করেন কয়েক প্রস্থ কাপড় দিয়ে বানানো চারকোনা মোটা প্যাড। কিন্তু অনেকেই পুরনো গেঞ্জি-ব্লাউজ বা অন্য কোনো কাপড় ব্যবহার করেন। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, রান্নার সময়ে এগুলোতে আগুন ধরিয়ে ফেলেন নি, এমন রাঁধুনি বুঝি খুঁজে পাওয়া যাবে না। রান্নাঘরে এসব ছোট খাট কাপড় থেকে আগুন ধরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির কাহিনীও কম নয়। এই আগুন ধরার ঝুঁকি কমিয়ে আনার রয়েছে খুব সহজ একটা বুদ্ধি। কী সেটা? জেনে নিন!
রান্না শুরু করার আগে ধরার কাপড়টি ভালোভাবে ভিজিয়ে চিপে নিন। তাহলে জ্বলন্ত চুলার ওপরের পাতিল ধরার সময় কাপড়ের প্রান্ত এদিক-ওদিক ঝুলে থাকলেও সহজে আগুন ধরবে না। আবার কাপড়টি পাতলা হলেও আপনার হাতে ছ্যাঁক লাগবে না।

মেঘ

নষ্ট হয়ে যাওয়া ঘি করে তুলুন একদম নতুন

বাজারে ভেজালের ভীড়ে খাঁটি ঘি পাওয়াটাই দায়। তাই কষ্ট হলেও অনেকেই বাড়িতে ঘি তৈরি করে থাকেন। ঘি এমন একটি খাদ্যদ্রব্য যা সংরক্ষণ করে রাখা যায় দীর্ঘদিন। ঘি সহজে নষ্ট হয় না। তবে খুব বেশি পুরনো হয়ে গেলে তা থেকে আসতে থাকে কটু গন্ধ। তখন খাওয়ার যোগ্য থাকলেও এই গন্ধওয়ালা ঘি কেউ খেতে চায় না।
তাই বলে কি ঘিয়ের মতো দামি একটা জিনিস ফেলে দেবেন? মোটেও না! বরং খুব সহজেই ঘি থেকে আপনি কটু গন্ধ দূর করে দিতে পারবেন। কীভাবে? জেনে নিন খুব সহজ এই উপায়টি।
প্রতি ১ কাপ ঘিয়ের জন্য ১ চা চামচ লবণ নিন। এরপর ঘিয়ের ভেতর লবণ দিয়ে জ্বাল দিন। লবণ ঘিয়ের সাথে মিশে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর ঘি ঠান্ডা হলে অন্য একটি পরিষ্কার বয়ামে তুলে রাখুন। এতে ঘিয়ের কটু গন্ধ একেবারেই দূর হয়ে যাবে। ঘি থাকবে আরো দীর্ঘদিন ভালো

মেঘ

মাথায় খুব খুশকি হলে

চুল ধোয়ার আগে তেল গরম করে মাথায় মালিশ করে তারপর একটা তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে মাথায় ১০ মিনিট জড়িয়ে রাখবেন। তারপর খুশকি দূর করার ওষুধ বা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করবেন। এছাড়া প্রাকৃতিক উপায়েও আপনি খুশকি দূর করতে পারেন। যেমনঃ  কাঁচা পেঁয়াজের রস মাথায় ভালভাবে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখবেন। তারপর চুল ভাল করে পরিষ্কার করবেন। এভাবে কিছুদিন করার পর খুশকি দূর হবে। প্রতিদিন চিরুনী ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করবেন। অন্যের ব্রাশ, চিরুনী ব্যবহার করবেন না।


চায়ের কড়া লিকারের সাথে পাতি লেবুর রস
চায়ের কড়া লিকারের সাথে কয়েক ফোটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে মাথা ধোয়ার পর এই লিকার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। এতে চুল ওঠা বন্ধ হবে এবং চুল চক চক করবে।

শুকনো আমলকি 
শুকনো আমলকি দুধে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। নরম হলে বেটে পেস্টের মত করে মাথায় বিলি কেটে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগাবেন। অন্তত পক্ষে ১ ঘন্টা রেখে মাথা ধুয়ে ফেলবেন। আমলকির সাথে কয়েকটা মেহেদি পাতা দিতে পারলে খুব ভাল। এই পদ্ধতিতে চুল খুব ভাল থাকে।

দূর্বাঘাস ও নারকেল তেল
এক মুঠো দূর্বাঘাস খাঁটি নারকেল তেলের মধ্যে সারা রাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন এই তেল রোদে ভাল করে গরম করে নিয়ে মাথায় বিলি কেটে লাগালে চুল ঘন হয়। এই তেল বোতলে রেখে দিতে পারেন। তবে রোজ রোদে দিতে হবে। মাথায় দেয়ার সময় রোদে গরম করে নেবেন।


 চুলে উকুন হলে কি করবেনঃ
উকুন চুলের জন্যে যেমন ক্ষতিকর তেমনি নিজের কাছে অস্বস্তিকরও বটে।
‘পেডিকুলসি ক্যপিটিস’ জাতের উকুন পরাশ্রয়ী জীবাণু। উকুন একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় ছড়ায়। এরা মাথার ত্বকের উপর বাস করে। এদের ধূসর বা সাদা রংঙের লিক বা ডিম চুলের গোড়া থেকে একটু দূরে চুলের গায়ে গেঁথে থাকে। এর চিকিৎসা খুবই সহজ। বাজারে আজকাল উকুন মারার সাবান এবং শ্যাম্পুও পাওয়া যায়। এ দিয়েও আপনি উকুন দূর করতে পারেন

ক. সাড়ে পাঁচ গ্রাম ডিডিটির সঙ্গে সাড়ে তিন আউন্স ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে একটা চূর্ণ তৈরি করে রাতে শোবার আগে চুলের উপর বেশি করে দিয়ে একটা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। পরের দিন চিরুনী দিয়ে মাথা অাঁচড়াতে হবে। এভাবে দু’তিন দিন ওষুধ প্রয়োগ করলে উকুন মরে যাবে।

খ. নারকেল তেলের সাথে ন্যাপথালিন গুঁড়ো করে মিশিয়ে চুলে ঘন্টা খানেক লাগিয়ে রেখে দেবেন। তারপর মাথা ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে কয়েকদিন লাগানোর পর উকুন মরে যাবে।

গ. প্রাকৃতিক উপায়েও উকুন দূর করা যায়। তুলসী পাতার রস উকুন নিধনে উপকারী। এর রস মাথায় বিলি কেটে দিয়ে ঘন্টা খানেক রাখবেন। পরে মাথা ধুয়ে ফেলবেন।

ঘ. ধুতরা পাতার রস, পানের রস, কর্পূর এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে উকুন মরে যায়। এরপর মাথা ভালভাবে ধুয়ে ফেলবেন।]

চুলের ডগা ফেটে গেলে
চুলের ডগা ফেটে গেলে মনে করবেন চুলের সর্বনাশ হয়েছে। কাজেই ডগা ফাটলে ডগা ছেটে ফেলবেন। এছাড়া কোন উপায় নেই। তা না হলে চুল আর বাড়বেনা। ধৈর্য ধরে চুল ব্রাশ করবেন। নিয়মিত খাবারের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার রাখবেন। তাহলে উপকার পাবেন। নিয়মিত তেল মালিশ করবেন। সপ্তাহে দু’দিন চুল ধুবেন। খাবারের মধ্যে ‘এ’ জাতীয় ভিটামিন রাখবেন। তা হলে চুল ও ত্বক উভয়ই সুন্দর হবে। গাজরে প্রচুর ‘এ’ ভিটামিন পাওয়া যায়। আমড়া, আমলকি, লেবু, পেয়ারায় প্রচুর ‘সি’ ভিটামিন পাওয়া যায়। মৌসুমের সময় এগুলো খেলে আপনি উপকার পাবেন। বাচ্চা হবার পরও অনেক মায়ের চুল পড়ে যায়। ক্যালসিয়াম ও আয়রণের অভাব হলে এটা হয়ে থাকে। তখন ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। মনে রাখবেন চুল নারীর সৌন্দর্যের এক অপরিহার্য অঙ্গ। একে অবহেলা করা উচিত নয়।

সব ধরনের চুলের যত্নে করণীয়ঃ
১. সব সময় চিরুনী, ব্রাশ পরিষ্কার রাখবেন।
২. অন্যের চিরুনী, ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
৩. খুব ঘন ঘন চুল ছাটবেন না। অন্ততপক্ষে ১ মাস বা দেড় মাস অন্তর ছাটবেন।
৪. চুলের আগা ফাটলে ছেটে ফেলবেন।
৫. চুল খুব শক্ত কিংবা টান টান করে বাঁধবেন না।
৬. চুলে রাসায়নিক দ্রব্য পারত পক্ষে ব্যবহার করবেন না।
৭. অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুদিন চুলে তেল মালিশ করবেন।
৮. অতিরিক্ত সূর্যের আলো চুলের জন্যে খারাপ। তাই এর হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবেন।
৯. বাইরে থেকে এসে চুল ব্রাশ করবেন যাতে ধুলোবালি জমতে না পারে।
১০. খাবারের সাথে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স ও প্রোটিন রাখবেন এতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং চুল অকালে পাকবে না।
১১. ছোট মাছ খাবেন।
১২. সর্বোপরি জাজিন বা বজ্রাসনে বসে ছোট বেলা থেকে প্রতিদিন ১০০ বার চুল ব্রাশ করলে চুল অকালে পাকবে না। চুলে খুশকি হবে না।

মেঘ

প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পরিষ্কার

শ্যাম্পু বা সাবান দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে যাদের চুল পড়ে যায় বা এলার্জি হয় তারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চুলের ক্ষতিও হবে না এবং চুলও অনেক কম পড়বে। যারা ঘরের বাইরে বেশি যান তারা সপ্তাহে দুদিন অবশ্যই চুল পরিষ্কার করবেন। বাইরের ধুলোবালির জন্যে চুলের গোড়ার লোমকুপগুলো বন্ধ হয়ে যেতে চায়। এতে চুল বেশি পড়ে। যাদের চুল তৈলাক্ত তাদের চুলে ময়লা আটকায় বেশি।মানুষের মুখের ত্বকের মতো চুলেরও বিভিন্ন ধরন আছে; যেমন :

১. তৈলাক্ত চুল
২.রুক্ষ চুল
৩. স্বাভাবিক চুল
তাই আপনার যে ধরনেরই চুল হোক না কেন, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না। রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার করলে তার অনেক বিধি-নিষেধ মানতে হয়, কিন্তু প্রাকৃতিক সামগ্রীর তেমন কোনো বিধি-নিষেধ নেই। এটি একটি বিরাট সুবিধা। এবার জেনে নিন কী কী উপায়ে প্রাকৃতিক শ্যাম্পু বানিয়ে আপনি মাথা পরিষ্কার করতে পারেন।

প্রথম পদ্ধতি
উপকরণ : 
২ চামচ মেথি, ৪টি শুকনো আমলকি (বিচি বাদ দিয়ে), মেহেদি পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, খুসবু করার জন্যে ১ টুকরো সোন্দা ও ১ টুকরো লেবু।

প্রস্ত্তত প্রণালী :
মেথি, আমলকি ও সোন্দা একত্রে ধুয়ে ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন যে দিন মাথা ধোবেন তার ১ দিন আগেই এগুলো ভেজাতে হবে। মেথি, আমলকি ও সোন্দা ভিজে ফুলে নরম হবে। এবার শিলপাটায় মেথি পিষে নেবেন। মেথি ভেজানো পানি ফেলবেন না। ঐ পানি একত্রে মিশিয়ে নেবেন। এবার একটি পাত্রে বাটা মেহেদি, মেথি, লেবুর পিস থেকে রস নিয়ে একত্র করে চটকে নরম পেস্টের মতো করে নিন। এই পেস্ট চুলে তেল দেয়ার মত বিলি দিয়ে চামড়ায় এবং চুলে ভাল করে লাগিয়ে দু’ঘন্টা রাখবেন। কমপক্ষে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। গোসলের সময় প্রথমে মাথায় পানি ঢেলে একটু নরম হলে আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে পানি ঝেড়ে মাথা পরিষ্কার করবেন। এই পদ্ধতিতে চুল পরিষ্কার করতে একটু ঝামেলা মনে হলেও চুলের জন্যে বিশেষ উপকারী। মেথি পিচ্ছিল বলে এতে বেশ পানি দিয়ে মাথা পরিস্কার করতে হয়।

তৈলাক্ত চুল হলে গোসলের শেষে ১ পিস লেবুর রস মগে একটু পানির সাথে মিশিয়ে চুলে মেখে নিতে পারেন। এতে চুল যেমন নরম হবে তেমনি চকচকও করবে এবং মিষ্টি সুগন্ধ ভেসে আসবে। রুক্ষ্ম, স্বাভাবিক সব চুলেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। চুলের পরিমাণ বুঝে একই অনুপাতে দ্রব্য বাড়িয়ে নিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে চুল ধুলে চুলে খুসকি হয় না এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। যারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুলে রং করতে চান তারা মেহেদি পাতা বাটা বেশি করে দিলে আস্তে আস্তে কিছুদিন পর লালচে আভা আসবে। মেহেদি পাতার রস চুলের গোড়া শক্ত করে।


রিঠার সাহায্যে চুল ধোয়া


মাথার চুল পরিষ্কার করার কাজে রিঠা ফলের গুরুত্ব আজও অপরিসীম। স্যাপিনডাস প্রজাতির গাছের ফল রিঠা। রিঠা ফল দেখতে দু’ধরনের- বড় ও ছোট। রিঠা ফলের শাঁস সাধারণত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে ১২ শতাংশ স্যাপেনিন নামক সাবান জাতীয় ফেনক রয়েছে বলে এটি মাথার চুলকে বেশ পরিষ্কার করে এবং ঝরঝরে রাখে।
রিঠা বীজের তেল সাবান তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। রিঠার নির্যাসের মধ্যে অল্প অল্প থাকায় এটি চুলের কিউটিকলের জন্যে বেশ উপকারী। আগে যখন শ্যাম্পু ছিল না তখন আমাদের মা-দাদীরা এই রিঠা ফল দিয়ে চুল ধোয়ার ফলেই তাদের চুল ঘন কালো আর লম্বা হতো। আজকাল যত রাসায়নিক সামগ্রী আমরা ব্যবহার করছি তত আমাদের চুল ঝরে পড়ছে।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ
কয়েকটি রিঠা ধুয়ে নিয়ে শীল পাটায় ভেঙ্গে ভিতরের বিচি বের করে ফেলুন। এবার চুলায় পরিষ্কার হাড়ি বসিয়ে ১ মগ পরিমাণ পানিতে রিঠার খোসা ছেড়ে ফুটিয়ে নিন। তিন চার মিনিট ফুটানোর পর ঠান্ডা করে হাত দিয়ে চটকে রসটাকে ভাল করে বের করে নিন। মাথাটা একটু ভিজিয়ে নিবেন তারপর এই রিঠার রস দিয়ে আস্তে আস্তে মাথা ঘষতে শুরু করবেন। মাথা ঘষার পর বেশি পানি দিয়ে চুল ধুতে হবে। তা না হলে রিঠার রস চুলে থেকে যাবে এবং চুল একটু আঠা আঠা মনে হবে। বাজারে মনোহারি দোকানে আপনি রিঠা কিনতে পাবেন। এই ফলটি দেখতে ঘন বাদামি ও গোলাকার।

সরিষার খৈল

সরিষা যে কেবলমাত্র আমাদের রান্না-বান্নায় ব্যবহৃত হয় তা নয়; রূপচর্চায়ও এর অবদান অনেকখানি। রূপচর্চা কথাটা এ কারণেই বললাম যে আপনারা হয়ত বলবেন চুলতো স্বাস্থ্যগত কারণেই ধোয়া দরকার, তার আবার রূপচর্চার সাথে সম্পর্ক কি? হ্যাঁ, আজকাল আর চুল শুধু ধুয়েই আমরা ক্লান্ত নই। এখন এটিকে রূপচর্চার অঙ্গ হিসেবেও দেখছি। আমরা যতই সাজগোজ করি না কেন মাথায় তেল চিট চিট চুল দেখলেই তাকে বলি একেবারে গেঁয়ো। চুল ধুয়ে আমরা দেখছি যে চুলটা চিকচিক করছে কিনা কিংবা সিল্কের মত মনে হচ্ছে কি না ইত্যাদি। তারপর রয়েছে নানা ঢং-এ চুল কাটা, বাধা ইত্যাদি। কারণ কেশবতী নারীর রূপই আলাদা।
এবার আসি সরিষার কথায়। বাচ্চা কিংবা যে কোন বয়সের হোক না কেন খাঁটি সরিষার তেল গায়ে মাখা আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে। কিন্তু গ্রাম বাংলায় সরিষা খৈল দিয়ে চুল ধোয়ার রেওয়াজ সম্পর্কে আমরা ক’জনই বা জানি। হাতের কাছের সস্তা জিনিস ব্যবহার করেও আমরা চুলকে অনেকখানি স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে পারি। এবার জেনে নিন কিভাবে সরিষা খৈল দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ
প্রথমে কিছুটা সরিষার খৈল একটি বাটিতে নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভাল করে চটকে নিয়ে ছাকুনি দিয়ে ভালভাবে ছেঁকে সে পানি মাথার চুলে ভাল করে মেখে ঘন্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসলের সময় মাথা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। বেশি করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালভাবে চুল শুকিয়ে নিন। দেখবেন চুল ঝরঝরে হয়ে বেশ ফুলে উঠেছে। তৈলাক্ত চুল হলে ১ পিস লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে চুলে ঢেলে নিতে পারেন। খৈল দিয়ে চুল ধুলে চুলে খুশকি হয় না।

মুশুরের ডালের বেসন

রান্না ঘরের জিনিস দিয়েও আপনি আপনার চুল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন দিয়ে যেমন শরীর পরিষ্কার করতে পারেন, তেমনি চুল পরিষ্কারের কাজেও এর অবদান কম নয়। আমাদের মা-দাদীরা বেসন দিয়ে চুল পরিষ্কার করতেন।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ চুলের পরিমাণে ডাল নিয়ে ধুয়ে একটি পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর শিলপাটায় বেটে নিন। পানি মিশিয়ে পেস্টের মত করে চুলে বিলি কেটে ঘন্টাখানেক রেখে চুল ভালভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ভালভাবে চুল শুকালে অাঁচড়ে ফেলুন। দেখবেন চুলগুলো ঝরঝরে হয়েছে। আপনার যদি গ্রিন্ডিং মেশিন থাকে তবে তাতেও ডাল গুড়ো করে বেসন তৈরি করে নিতে পারেন। বেসনের সাথে পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার হিসেবে লেবু পানি চুলে ঢেলে দিতে পারেন। এতে চুলের খুসকিও দূর হয়। যে কোন ডালের বেসন দিয়েই চুল ধোয়া যায়, তবে মুশুরের ডালের বেসনই সবচেয়ে ভাল।

পেঁয়াজের রস

এক কালে বলা হতো ‘বউ ভালো লাজে, সালুন (তরকারি) ভাল পেঁয়াজে’- একথা হয়ত আমরা অনেকেই জানি। এর সাথে হয়তো আমরা অনেকেই জানি না যে পেঁয়াজের রস চুলের এক মহা উপকারী ওষুধ। চুলের খুসকি দূর করতে পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। এমনকি পেঁয়াজের রস মাথায় ঘষলে নতুন চুলও গজায়।
প্রস্ত্তত প্রণালী : ছোট পেঁয়াজ কিছু পরিমাণ নিয়ে থেতো করে রস বের করে সম্পূর্ণ মাথায় বিলি কেটে তেল দেয়ার মতো করে ত্বকে ও চুলে রস মেখে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে বেশি করে পানি দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিন। চুল শুকালে দেখবেন চুলগুলো রেশমের মতো ফুরফুরে হয়ে উঠেছে। অনেকে গন্ধের জন্যে পেঁয়াজ দিতে চান না। কিন্তু চুলের জন্যে পেঁয়াজ এক মহৌষধ। মাথা ধোয়ার শেষে পানির সাথে সুগন্ধি কিছু মিশিয়ে নিয়ে মাথায় ঢেলে নিতে পারেন। যেমন, এক মগ পানিতে সরবতি লেবুর ২ টুকরো নিয়ে চিপে রসটা পানিতে মিশিয়ে মাথা ধোয়ার পর সমস্ত চুল লেবু পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে সরবতি লেবুর খুসবু আসবে। সেন্টের মতো। আর যারা কৃত্রিম উপায়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে চান তারা চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধোবেন।

তেঁতুলের ক্বাথ

আপনার চুলের পরিমাণ মতো তেঁতুল নিয়ে ১টি বাটিতে পানির সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো বানিয়ে মাথায় বিলিকেটে ১০/১৫ মিনিট রেখে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিলে দেখবেন চুলগুলো শুকানোর পরে কেমন ফুরফুরে, নরম ও সিল্কি হয়েছে।
যাদের অন্য কিছু স্যুট করে না তারা তেঁতুল দিয়ে চুল ধুলে উপকৃত হবেন এবং চুলও ছিড়বে না। চুলে কন্ডিশনার হিসেবে কিছু ব্যবহার করতে হবে না।

সব ধরনের চুলের যত্নে করণীয়ঃ
১. সব সময় চিরুনী, ব্রাশ পরিষ্কার রাখবেন।
২. অন্যের চিরুনী, ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
৩. খুব ঘন ঘন চুল ছাটবেন না। অন্ততপক্ষে ১ মাস বা দেড় মাস অন্তর ছাটবেন।
৪. চুলের আগা ফাটলে ছেটে ফেলবেন।
৫. চুল খুব শক্ত কিংবা টান টান করে বাঁধবেন না।
৬. চুলে রাসায়নিক দ্রব্য পারত পক্ষে ব্যবহার করবেন না।
৭. অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুদিন চুলে তেল মালিশ করবেন।
৮. অতিরিক্ত সূর্যের আলো চুলের জন্যে খারাপ। তাই এর হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবেন।
৯. বাইরে থেকে এসে চুল ব্রাশ করবেন যাতে ধুলোবালি জমতে না পারে।
১০. খাবারের সাথে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স ও প্রোটিন রাখবেন এতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং চুল অকালে পাকবে না।
১১. ছোট মাছ খাবেন।
১২. সর্বোপরি জাজিন বা বজ্রাসনে বসে ছোট বেলা থেকে প্রতিদিন ১০০ বার চুল ব্রাশ করলে চুল অকালে পাকবে না। চুলে খুশকি হবে না।
মেঘ