বুধবার, ৪ জুন, ২০১৪

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল

ফেসিয়াল শব্দটা শুনে মনে হয় কিছু একটা ঘটতে চলেছে চারপাশে, এমনটি ভাববার কোন কারণ নেই। ত্বকে চমক আনতে ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এক কথায়, এই তিন স্টেপেই ত্বক পুরোপুরি পরিষ্কার হয়। আর এই মুখ পরিষ্কার করার পোশাকি নামই হল ফেসিয়াল। নিজের স্কিন টাইপ জেনে সেই মতো পরিষ্কার করলেই হয়ে যাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল।


ক্লেনজিং
নরমাল স্কিন হলে কটন বল ঠাণ্ডা দুধে চুবিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর আরও একবার পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ড্রাই স্কিন হলে শসার রস ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ কটন বলে ডুবিয়ে পরিষ্কার করে নিন। অয়েলি স্কিনে বেশি ময়লা জমে বলে ঠাণ্ডা দুধের সঙ্গে পুদিনাপাতার রস মিশিয়ে নিন।
এরপর কটন বল দিয়ে, সেই মিশ্রণে ডুবিয়ে ভালো করে ক্লেনজিং করুন। কম্বিনেশন স্কিনের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা দুধে কটন বল ভিজিয়ে পরিষ্কার করলেই উপকার পাবেন।
স্ক্রাবিং  
নরমাল স্কিন হলে কমলালেবুর খোসা ও চালের গুঁড়ার পেস্ট অথবা বার্লি ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ ব্যবহার স্ক্রাবার হিসেবে করতে পারেন। ড্রাই স্কিনের ক্ষেত্রে চালের গুঁড়া ও দুধের সরের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিন।
অয়েলি স্কিনে মসুর ডালবাটা ও কমলালেবুর খোসা দিয়ে স্ক্রাব করা যায়। কম্বিনেশন স্কিনের ক্ষেত্রে কর্নফ্লাওয়ার ও এক চিমটে কর্পূর কুসুম গরম পানিতে মিশ্রণ করে স্ক্রাবিং করুন। মনে রাখতে হবে, স্ক্রাবিংয়ের সময় হালকা প্রেসার দিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করতে হবে।
টোনিং 
নরমাল ও ড্রাই স্কিনের জন্য শুধু গোলাপজল দিয়ে টোনিং করলেই হবে। অয়েলি স্কিনে পুদিনা পাতা, শসা ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাখতে পারেন। কম্বিনেশন স্কিনের জন্য টমেটো রস, শসার পেস্ট ও গোলাপজলের মিশ্রণ ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।
ময়শ্চারাইজিং  
নরমাল ও কম্বিনেশন স্কিনে অ্যালোভেরা জেল ও সামান্য মধু মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। অয়েলি স্কিনে আপেল কুচিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগিয়ে পরে ধুয়ে নিন। ড্রাই স্কিনে মধুর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে লাগালে বেশ উপকার পাবেন।
নরমাল স্কিনের ফেসপ্যাক 
দুই চামচ বেসন, দুই চামচ মধু, কচি গাজর পেস্ট ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির ঝাঁপটা দিয়ে ধুয়ে নিন।

টিপস

রান্নাঘরের একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ হলো বাসনকোসন ধোয়ার জায়গা। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় এটা-সেটা জমে সিঙ্ক অথবা বেসিনের পাইপ জ্যাম হয়ে যায়। ফলে পানি চলে না গিয়ে জমে থাকে। খুব সহজেই আপনি এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কীভাবে? জেনে নিন।
সিঙ্ক অথবা বেসিনের পাইপ জ্যাম হয়ে গেলে পাইপের ভেতরে বেশি কিছুটা কাপড় কাচার সোডা দিন। এরপর এতে আধা গ্লাস ভিনেগার ঢেলে দিন। সারা রাত এভাবেই থাকতে দিন। সকালে ঢেলে দিন ফুটন্ত গরম পানি। দেখবেন পাইপ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

ব্রণের বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তি পান খুব সহজ প্রাকৃতিক উপায়ে

ব্রণের সমস্যা হয়নি এমন মানুষ অনেক কম খুঁজে পাওয়া যাবে। নারী এবং পুরুষ উভয়েই ব্রণের সমস্যায় পরে থাকেন। হরমোনের সমস্যা, বিরূপ আবহাওয়া, ধুলোবালি, রোদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদির কারণে ব্রণের সমস্যা শুরু হয়। সমস্যা হলো ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেলেও ত্বকে রয়ে যায় ব্রণের বিশ্রী দাগ। এই দাগ খুবই অস্বস্তিকর।
ব্রণের বিশ্রী দাগ মুখের সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দেয়। অনেক নামি দামী প্রোডাক্টও ব্রণের এই দাগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয় না। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এর সমাধান? প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে ব্রণের এই অস্বস্তিকর বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তবে আজকে দেখে নেয়া যাক ব্রণের বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তির খুব সহজ প্রাকৃতিক উপায়গুলো।

মধু

মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ভেতর থেকে এই সমস্যার সমাধান করে। মধু হাতের তালুতে নিয়ে মুখে প্রতিদিন ম্যাসেজ করলে এবং প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ মধু খেলে খুব দ্রুত ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধুর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ব্রণের দাগ ত্বক থেকে দূর করতে বিশেষ কার্যকর।

গোলাপজল ও চন্দনগুঁড়ো

১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়োয় সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হবে দ্রুত।

লেবুর রস

লেবুর রসের অ্যাসিটিক এসিড ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে রেহাই পাবেন।

অলিভ অয়েল

ব্রণের দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল জাদুর মতো কাজ করে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এপর ৩০ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

পুদিনা পাতা

এবশ কয়েকটি পুদিনা পাতা পিষে নিয়ে রস বের করে নিন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে রস টুকু আলাদা করুন। এই রস প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ৩০ মিনিট। এতে দ্রুত ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।

আলু

কাঁচা আলু ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আলু ধুয়ে মুছে নিয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ত্বকে ভালো করে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে আসবে। এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।

হলুদ ও পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার রসের সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। ত্বকের ওপর লাগান, বিশেষ করে ব্রণের দাগের ওপর। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। খুব দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।

মেঘ

টিপস

ত্বকের যত্নে আমরা কত কিছুই না করি! কিন্তু তারপরও কিছু জিনিস পিছু ছাড়ে না। যেমন ব্ল্যাকহেডস। দূষণ ও ময়লা লোপকূপে জমে ব্ল্যাকহেডস তৈরি করে। কালো রঙের এই বিন্দু বিন্দু জিনিসগুলো চেহারার সৌন্দর্যের বারোটা বাজিয়ে দেয়। বিউটি পারলারে না গিয়েও ঘরে বসেই এই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব। কী করে জেনে নিন সেই ঘরোয়া উপায়টি।
এক চা চামচ চালের গুঁড়া, আধা চা চামচ বেকিং পাউডার, এক চা চামচ মধু ও সামান্য একটু পানি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা ম্যাসাজ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার এ কাজ করুন, ব্ল্যাকহেডস ধারে কাছেও ঘেঁষবে না!

মেঘ

সোমবার, ২ জুন, ২০১৪

গরমে চাই ঝরঝরে চুল

চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। কে না চায় নিজের চুল যেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়? কিন্তু এর জন্য চাই সঠিক পরিচর্যা। তবেই না আপনি পেতে পারেন মনের মতো চুল। আর চুলের প্রতি অবহেলা করলে চুল হয়ে উঠবে শুষ্ক ও নির্জীব। যা আপনার সৌন্দর্যকে নিমিষেই ম্লান করে দিতে পারে। 
গরম মানেই ঘাম। আর এ ঘাম নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। বিশেষ করে চুলের ক্ষেত্রে। গরমে চুলের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ চুলেই সবচেয়ে বেশি ময়লা আটকায়। ময়লা ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা যেমন- খুশকি, চুলপড়া, চুলে আঠালো ভাব ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়া ঘরে-বাইরে কাজের চাপে সব সময় পার্লারে যাওয়ার সময়ও হয়ে ওঠে না। আবার অনেকেই হয়তো মনে করেন, বাড়িতে চুলের যত্ন নেয়াটা বেশ পরিশ্রমের কাজ। সব মিলিয়ে দিনশেষে মনে হয় চুল না থাকলেই ভালো হতো। কিন্তু নিয়মিত কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এ ভ্যাপসা গরমে ঝরঝরে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়াটা কঠিন কাজ নয়।
যেহেতু বাইরে প্রচুর রোদের তাপ। শরীর থেকে প্রচুর ঘাম হয়। ফলে চুল ভিজে যায়। চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়তে শুরু করে। তাই কোনো অবস্থাতেই চুল ভেজা রাখা যাবে না। প্রতিদিন চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
প্রতিদিনই চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু করতে হবে। আর বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই চুল আটকিয়ে নিতে হবে। এরপর গন্তব্যে পৌঁছানোর পর চুল ছেড়ে দিলে চুলের গোড়া শুকিয়ে যাবে। কারণ চুল ছেড়ে বাইরে বের হলে ঘামে গোড়া ভিজে যায় এবং পরে শুকিয়ে গেলে চুলে একটা আঠালো ভাব বিরাজ করে। জট বেঁধে যায় এবং দেখতেও খারাপ লাগে।
কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাতে হবে চুলের ধরন অনুযায়ী। সপ্তাহে দুইদিন অয়েল ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া সঙ্গে প্যাক লাগাতে হবে।
প্যাক ১ : টকদই ও পাকা কলা ভালো করে ব্লেন্ড করে ২০ মি. মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্যাকটি চুলকে ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করবে।
প্যাক ২ : টকদই, পাকা পেঁপে, কলা ও মধু ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে।২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে চুল ঝরঝরে ও চকচকে থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বিরাজ করবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই সৌন্দর্যের মূল কথা। ঘরে-বাইরে কাজের ভিড়ে এ গরমে সুরভিত থাকুন, আনন্দের সঙ্গে থাকুন। অস্বস্তি আর গরমের কষ্টকে না বলুন।

কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

* প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
* খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন
* বেশি করে তরমুজ ও বেলের শরবত পান করুন
* তেল মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন
* রাস্তার খোলা খাবার থেকে বিরত থাকুন
* দিনের শেষে বাড়ি ফিরে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন
* গরমে বেশি চা, কফি খাবেন না
মেঘ

এই গরমে ত্বকের যত্ন

এই গরমে ঘাম থেকে ঘামাচিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও ত্বকের যত্ন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। 
ত্বক সতেজ রাখতে : গোলাপের পাপড়ি, খেজুর, দুধে ভিজিয়ে রাখুন। ২-৩ ঘণ্টা পেস্ট করে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। পরে ঠাণ্ডা পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।ত্বক মসৃণ হবে।
এ ছাড়া কমলালেবুর রস ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। এর সঙ্গে দুধ ও ময়দা মিশিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত খসখসে ভাব থাকলে রাতে ঘুমানোর সময় ত্বক পরিষ্কার করে পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন, উপকার পাবেন। সারা বছরই ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে : গরমে ত্বকে তেলের পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে। ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর করতে সিদ্ধ ওটস্, ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস এবং থেঁতো করা আপেল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বক দ্রুত ঘেমে যায় ও ময়লা দ্রুত শুষে নেয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি শসার রস পরিমাণমতো, আধা চা চামচ লেবুর রস, আধা চামচ গোলাপ জলে মিশিয়ে লোশনের মতো মুখে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত চার-পাঁচ দিন করুন।
ব্রণ দূর করতে : গরমে ব্রণের মাত্রা বেড়ে যায়। ব্রণ এড়াতে সপ্তাহে তিন-চার বার চিরতার পানি এবং দুই-তিনটি কাঁচা হলুদ ও আখের গুঁড় খেতে পারেন। সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখবেন। নিমপাতা, হলুদ, চিরতা ও মুলতানি মাটি এক সঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
ঘামাচির সমস্যায় : যাদের ত্বকে নিয়মিত ঘামাচি হয়, তারা নিমপাতার রস লাগালে উপকার পাবেন। তেঁতো জাতীয় খাবার খান। ঘাম বেশি হলে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে এক চিমটি খাওয়ার সোডা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ডিওডোরান্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহার করুন। সমস্যা বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ছত্রাকনাশক ক্রিম, লোশন ও পাউডার ব্যবহার করুন।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন : রোদে পোড়ার কারণে ত্বকে এক ধরনের বাদামি ও কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এ দাগ দূর করা কঠিন নয়। ঘরে বসেই তা করতে পারেন। টক দই, শসার রস, তিলের তেল এক সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এ ছাড়া দিনে একবার রোদ থেকে ফিরে তরমুজের রস লাগাতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল লাগবে। এক চা-চামচ মুগ ডাল সামান্য কাঁচা দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পেস্ট করে মুখে-ঘাড়ে মাখুন। ১০ মিনিট পর স্ক্রাব করুন। তারপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের ওপরের মরা কোষের আবরণ সরিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। মধু আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ দেবে আর লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরও পরিষ্কার করবে। লাউয়ের রস, তরমুজের জুস বরফ করে মুখে ঘষুন। এতে রোদে পোড়াভাব দূর হয়ে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল মোলায়েম।
মেঘ

চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার প্যাকে

দই, কলা, ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকার। তবে প্রচন্ড গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও বেশ কাজ করে এগুলো। এ তিনটির মিশ্রনে তৈরি প্যাক আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কেরামতি দেখাবে। এমনকি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন পার্লারের ফেসিয়ালের মতো উপকারিতা।


অর্ধেকটা কলা, ১টি ডিমের সাদা অংশ ও ১ টেবিল চামচ দই একসাথে মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন।


প্রথমে কলা ভালো করে চটকে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ ও দইয়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পুরো মুখে ভালো করে সমান ভাবে লাগান।

১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। দেখবেন কতটা সতেজ হয়ে উঠে আপনার ত্বক।

মেঘ