শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

মাত্র দুই সপ্তাহে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের ত্বকের সমস্যা সমাধানে রইল অ্যালোভেরা জেলের তৈরি কিছু ফেস প্যাক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেইসপ্যাক
একটু উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। নিজের ত্বকের বর্ণকে একটু উজ্জ্বলতা দিতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন। মাত্র দুই সপ্তাহের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ছড়িয়ে যাবে অন্যরকম জেল্লা। রোদে পোড়া দাগ মুছে যাবে, আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক রঙটি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে অ্যালোভেরা জেল, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চমচ মধু, ১ চা চামচ দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল। প্রথমে মধু, হলুদ গুঁড়ো, দুধ ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেল পিষে কিংবা ব্লেন্ড করে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ত্বক শুষ্ক করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই হলদেটে রসটি ফেলে দিন।
-হলদেটে রস পড়া বন্ধ হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ কেটে ফেলে দিন।
-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই অ্যালোভেরা জেল, যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

মেঘ


বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

সমস্যা অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের? পার্লারে নয়, সমাধান হোক ঘরেই!

সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, ঝলমলে চুল সবারই কাম্য। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত কেমিকেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুর ব্যবহার, নিত্যনতুন চুলের স্টাইল পরিবর্তন, চুলে কালার করা এইসব মিলিয়ে দিন দিন চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও খসখসে। চুলের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা শেষ হয়ে যায় একেবারেই। অনেকেই এই ধরণের অতিরিক্ত রুক্ষ চুল থেকে রেহাই পেতে শরণাপন্ন হন ডাক্তারের কেউ যান পার্লারে। আবার অনেকেই রঙ-চঙে বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে ব্যবহার করেন নামি দামী ব্র্যান্ডের হেয়ার প্রোডাক্ট। কিন্তু এত ঝামেলায় না গিয়ে বাসায় বসে একটু সময় বের করেই আপনি চুলের রুক্ষতা দূর করতে পারেন। তাও আবার সামান্য ঘরোয়া জিনিষপত্র দিয়েই। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে চলুন দেখে নেই চুলকে রেশমের মত মোলায়েম করে তোলার সহজ একটি হেয়ার মাস্ক।

অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক
অ্যালোভেরা খুব ভালো একটি ময়েসচারাইজার। যা শুধুমাত্র ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতাই নয়, দূর করে চুলের রুক্ষতাও। অ্যালোভেরার ব্যবহার চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ৩/৪ টেবিল চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, দেড় টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৩ টেবিল চামচ টক দই। চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
একটি পাত্রে সকল উপাদান একসাথে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন ভালো করে। ২০-৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং একটি মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন! সপ্তাহে ৩ বার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পেতে।

মেঘ


বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪

সমস্যা যখন চুল পড়া

টাক হওয়ার চিন্তায় নাকি টাক হয়। টাক হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, অতিরিক্ত চুলপড়া কিন্তু আসলেই একটি বড় সমস্যা। মাথার চুল পড়া নিয়ে সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। চুল পড়া নিয়ে আপনাদের জ্ঞানের পরিধিকে আরো একটু বাড়ানোর প্রয়াস চালানো হয়েছে আজকের লেখায়।

চুলপড়ার স্বাভাবিক ধরন
আপনার আয়ুষ্কাল কত বিধাতা তা নির্দিষ্ট করে না দিলেও মাথার চুলের আয়ুষ্কাল কিন্তু নির্দিষ্ট। স্বাভাবিক পরিবেশে মাথার চুল তিন বছর পর্যন্ত বাচে। তিন বছর আয়ুষ্কাল পূর্ণ হওয়ার পর আস্তে সে চুল ঝরে পড়ে। মাথার চুল ঝরে পড়া কিন্তু পাতা ঝরা বৃক্ষের মতো নয়। মাথার চুল প্রতিদিনই ঝরে পড়ে এবং প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক। বুঝতেই পারছেন বালিশে কিংবা চিরুনির মধ্যে দু-চারটা চুল লেগে থাকলে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই বরং এটাই স্বাভাবিক। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা প্রায় দশ ভাগ চুল প্রতিদিন ঝরে পড়ার জন্য রেডি থাকে। যদি কোনো কারণে এ ঝরে পড়ার হার বেড়ে যায় তবেই সেটাকে চুল পড়া রোগ বলা যায়। উল্লেখ্য, প্রতিদিন যে পরিমাণ চুল ঝরে পড়ে সেটা আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে।

চুলপড়ার কারণ
নানা কারণে মাথার চুল পড়তে পারে। কিছু কারণে মাথার সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়। আবার কিছু কারণে শুধু মাথার নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে।
. বংশগত কারণে অনেকের মাথার চুল পড়ে যায়। সোজা কথায় বংশে কারো টাক থাকলে আপনারও টাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ বছর বয়স থেকে আস্তে আস্তে চুল পড়া শুরু হয়। মহিলাদেরও বংশগত কারণে চুল পড়তে পারে। তবে তাদের তো আর টাক হয় না। পুরো মাথার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ চুল পড়ে যায়। আশার কথা হলো মহিলাদের ক্ষেত্রে এ চুল পড়া ৪০-৪৫ বছর বয়সে পিরিয়ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয়।
. তীব্র জ্বরের আক্রমণের পর মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। অনেকের মধ্যে অবশ্য একটা ধারণা বদ্ধমূল আছে যে, টাইফয়েড জ্বরের পর চুল পড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং খুব অল্প দিনের মধ্যে চুলের পরিমাণ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
. গর্ভাবস্থায় অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। স্বল্প সময়ে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে। আশার কথা হলো প্রথম প্রেগনেন্সিতে এমন সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে সাধারণত এমন হয় না।
. হঠাৎ করে অনেক ওজন কমে যাওয়া চুলপড়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে যারা একদম ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করে ডায়েটিং করেন এবং দ্রুত ওজন কমান, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও পরে আবার নতুন করে চুল গজিয়ে ওঠে।
. ক্যানসারের চিকিৎসা বিশেষ করে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির পর মাথাসহ সারা দেহের চুল পড়তে পারে। চিকিৎসা শেষে আবার নতুন চুল গজিয়ে ওঠে।
. থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও মাথার চুল পড়তে পারে।
. কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলোতে পুরো মাথার চুল না পড়ে নির্দিষ্ট অংশের চুল পড়ে যায়। যেমন- অটোইমিউন রোগ, অতিরিক্ত টেনশন, ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে মাথার চুল পড়তে পারে।

চুল পড়া রোগে কার কাছে যাবেন
রাস্তাঘাটের সাইনবোর্ড কিংবা পত্রিকার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট না হয়ে চুলপড়ার সমাধান পেতে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি রোগের ইতিহাস, রক্ত, চুল ইত্যাদির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ঠিক করবেন আপনার চিকিৎসার সর্বোত্তম পন্থা কি? প্রয়োজনে তিনি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীকে রেফার্ড করবেন।

চিকিৎসা
চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই কারণ নির্ণয় করতে হবে। অনেক সময় কোনো কারণ খুজে পাওয়া যায় না। তবে নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। যদি ফাংগাসের কারণে হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিফাংগাল দিতে হবে। যদি অটো ইমিউন রোগে হয়ে থাকে তবে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২% মিনোক্সিডিল (MINOXIDIL) Bswjk]
ব্যবহার করেও আপনি আপনার টাক সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এ ওষুধটি শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না বরং কিছু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ওষুধ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। তবে এর প্রধান সমস্যা হলো মাথার সামনের অংশে এটা তুলনামূলক কম কাজ করে। যদিও এ স্থানের টাক পুরুষদের বেশি বিব্রত করে। বর্তমানে এ ওষুধটি বেশি শক্তিসম্পন্ন ৫% হিসেবেও বাজারজাত হচ্ছে। বাজারে ফিনেসটেরাইড (FINASTERIDE) নামে আরো একটি ওষুধ পাওয়া যায়, যেটা মূলত চুল পড়া প্রতিরোধ করে। তাই যার মাথায় এখনো যথেষ্ট চুল আছে তার জন্য এটা ভালো ওষুধ হতে পারে। বয়স্ক মহিলারা এ ওষুধটি ব্যবহার করতে পারলেও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা নিরাপদ নয়।
বর্তমানে অত্যন্ত সফলভাবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মাথার পেছন থেকে চুল নিয়ে সামনে বসিয়ে দেয়া হয়। অপারেশনের মাধ্যমে টাক অংশের চামড়া ফেলে দিয়ে চুলযুক্ত অংশ জোড়া লাগানোর ঘটনাও এখন বিরল নয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পর রোগীকে ফিনেসটেরাইড খেতে দেয়া হয় যাতে নতুন লাগানো চুল ঝরে না পড়ে। কৃত্রিম চুল কিংবা অন্য লোকের চুল টাক মাথায় বপন করেও বর্তমানে টাক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

চুল পড়া বন্ধে বিউটি পার্লারে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার বেশি কার্যকর। কেননা পার্লারে নেয়া চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা চুল পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নিচে দেয়া সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া রোধ করা যায়।

১. হালকা গরম তেল ব্যবহার। যে কোন প্রাকৃতিক তেল যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) হালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে মেসেজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২. প্রাকৃতিক রস ব্যবহার। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন। রাত্রে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

৩. মাথা মেসেজ করা। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালু মেসেজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে।

৪. এন্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার। মাথার তালুতে হালকা সবুজ চা প্রয়োগ করে একঘণ্টা পর্যন্ত রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল কিছুক্ষণ কচলান। সবুজ চাতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

মেঘ


মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৪

জেনে নিন ব্ল্যাকহেডস দূর করার "ব্যথামুক্ত" পদ্ধতি

নাকের উপরে, নাকের আশেপাশে ও ঠোঁটের নিচে বেশিরভাগ মানুষেরই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডস হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বক নোংরা, অনুজ্জ্বল ও কালো দেখায়। এছাড়াও ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকলে ত্বক অমসৃণ থাকে এবং সহজে মেকআপ বসতে চায় না। যাদের ব্ল্যাকহেডস হয় তারা পরিষ্কার করতে রীতিমত হিমসিম খান তা বলাই বাহুল্য। একবার হলে সহজে যেতে চায়না ব্ল্যাকহেডস, পার্লারে গিয়ে পরিষ্কার করালেও কিছুদিন পরেই আবারো ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব শুরু হয়। তাছাড়া বারবার পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করানোও বেশ খরচের ব্যাপার। আরও খারাপ বিষয়টি হচ্ছে, এই ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক।

বেশ সহজেই ঘরেই পরিষ্কার করে ফেলা যায় ব্ল্যাকহেডস। ঘরোয়া ফেস প্যাক ব্যবহার করেই বিচ্ছিরি ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যথা বিহীন ঘরোয়া পদ্ধতি।

উপকরণঃ
১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

পদ্ধতিঃ

প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন।
শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি।
১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।
শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে।
সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।

মেঘ


রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪

আজীবনের জন্য নিখুঁত ত্বক ৬ রকমের তেলে!

শীত এবং শীত শেষের শুষ্ক রুক্ষ আবহাওয়া ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া দূষিত পরিবেশ ত্বকের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ, কালো ছোপ, শুষ্কতা এই সবই ত্বকের সমস্যা। এছাড়াও ত্বকে বয়স জনিত দাগ, রিঙ্কেলও অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। শুধুমাত্র মুখেই নয়, এই ধরণের ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় পুরো দেহে। কিন্তু খুব সহজেই এইসব ধরণের সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। কীভাবে, জানতে চান? কিছু তেলের ব্যবহারে।

অবাক হলেন? অবাক হলেও সত্যি তেল আমাদের ত্বকের যতটা উপকার করতে পারে তা কোন নামি দামী ক্রিম বা লোশন পারে না। তবে দেখে নিন ত্বকের যত্ন-আত্তির জন্য কার্যকরী ৬ ধরণের তেল। এই তেল গুলোই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনাকে দিতে পারবে নিখুঁত ত্বক। আজীবনের জন্য!

নারকেল তেল
নারকেল তেল আমরা ব্যবহার করে থাকি চুলের যত্নে। কিন্তু এই নারকেল তেলের ব্যবহার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও হাত পায়ের ত্বককে মসৃণ ও কোমল করতে ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল। ছেলেদের শেভিং ক্রিমের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল।

সূর্যমুখী তেল
সূর্যমুখী বীজ অনেকেই খেয়ে থাকেন এর অসাধারণ স্বাদের জন্য। কিন্তু এই বীজ থেকে যে তেল হয় তা আমাদের ত্বকের কতোটা কার্যকরী সেটা অনেকেই জানেন না। সূর্যমুখী তেল খুব ভালো একটি প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। তা ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বককে করে মসৃণ ও সুন্দর।

কাঠ বাদাম তেল (আলমন্ড অয়েল)
কাঠ বাদাম তেল শুধুমাত্র চুলকে ঝলমলে উজ্জ্বল করতেই নয় ব্যবহার হয় ত্বকের সমস্যা সমাধানে। ত্বকের বয়স জনিত চাপ দূর করতে কাঠ বাদামের তেল অনেক বেশি কার্যকরী। কাঠ বাদামের তেলের সাথে খানিকটা মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা ফেইস প্যাক মুখের বয়সের ছাপ এবং রিঙ্কেল দূর করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বককে কোমল উজ্জ্বল এবং নরম করে কাঠ বাদামের তেল।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল রান্নায় ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। এর পাশাপাশি অলিভ অয়েল ত্বকের মহাঔষধ হিসেবেও কাজ করে। অলিভ অয়েল সব চাইতে ভালো প্রাকৃতিক ময়সচারাইজার। এছাড়াও অলিভ অয়েলের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকে যে কোন ধরণের ইনফেকশন দ্রুত ঠিক করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে ত্বকে আসে দীপ্তি।

তিলের তেল
হাড় মজবুত করার জন্য তিলের তেলের মালিশের গুণ প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু তিলের তেল ত্বকের জন্যও অসাধারণ একটি উপাদান। তিলের তেলের রয়েছে ত্বক ফাটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে নিজের ইলাস্টিসিটি ফেরত পায়। এতে করে ত্বক ফাটার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় রুক্ষ আবহাওয়াতেও।

গোলাপের তেল
শুনতে নতুন শোনালেও ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। তৈলাক্ত ত্বকে অন্যান্য সকল ধরণের তেল ব্যবহার করা না গেলেও গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় অনায়েসে। গোলাপের তেল ব্যবহার করা যায় প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। গোলাপের তেল ত্বক ঝুলে পরার হাত থেকে রক্ষা করে। এবং এই তেল ব্রণের বিরুদ্ধেও কাজ করে।

মেঘ



রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার

শীতকালীন সবজি টমেটো এখন সারাবছরের সবজি হিসেবে সব সময়ই দেখতে পাওয়া যায়। পাকা টমেটো অনেকেই বেশ পছন্দ করে খেয়ে থাকেন। টমেটোর সবচাইতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় যদি টমেটো কাঁচা খাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ১ টি কাঁচা টমেটো আপনাকে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। টমেটোর রয়েছে আরও একটি গুণ। আর তা হলো টমেটো রূপচর্চার জন্য বেশ কার্যকরী একটি সবজি। রূপচর্চায় নানান ভাবে টমেটো ব্যবহার করা যায়। আসুন তবে দেখে নিই টমেটোর এমনই কিছু ব্যবহার।

রোদে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে টমেটো
রোদে পোড়া দাগ ও রোদের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য সবচাইতে বেশি কার্যকরী এই টমেটো। একটি গোটা টমেটো দুভাগ করে কেটে নিয়ে বিচির দিকের অংশ মুখে গলায় ও হাতে ঘষে নিন ভালো করে। রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনের বাবহারে দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বককে আরও উজ্জ্বল করবে।

ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল দূর করতে টমেটো
ডার্ক সার্কেল ও বয়সের ছাপ জনিত রিঙ্কেল দূর করতে টমেটোর জুড়ি নেই। একটি টমেটো চিপে এর রস বের করে রাখুন একটি পাত্রে। এরপর এতে দিন সমপরিমাণ লেবুর রস। ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে ও রিঙ্কেলের ওপর লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর সাধারণভাবেই ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে দূর হবে ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেল।

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটো
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে টমেটোর ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন যাবত। ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস, ১ টেবিল চামচ কমলালেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ শসার রস দিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ। মুখের ত্বক ভালো করে পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

মেঘ


শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

সুন্দর ত্বকের জন্য ৫টি দারুণ খাবার

দেহের সুস্থতার জন্যে আমরা কত কিছুই তো করে থাকি। আর এর প্রভাব অবশ্যই পড়ে ত্বকে। আর ত্বকের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটু বেশিই যত্ন বরাদ্দ করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, যেসব নামী দামী প্রসাধনী আপনার ত্বকের উপকার করছে বলে ভাবছেন, সেগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়াটাই বেশি? সুন্দর ত্বকের জন্য এত কিছু প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন কেবল সঠিক খাবারের। এমন কিছু খাবার, যেগুলো খাওয়া এবং ত্বকে মাখা উভয়ই বেশ উপকারী। এগুলো আপনার ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও সুস্থ।

জেনে নিন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

অলিভ অয়েলঃ
সেই প্রাচীণকাল থেকেই কিন্তু রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার হত। প্রাচীণ রোমানরা ত্বকচর্চায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতো।রাতে ঘুমাবার আগে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন অলিভ ওয়েল। এটা আপনার ত্বককে করবে কোমল ও উজ্জ্বল। আরো ভাল ফল পেতে সালাদের সাথে মিশিয়ে নিন খানিকটা অলিভ তেল। ত্বক, স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভালো।

স্ট্রবেরীঃ
আপনি কি জানেন, স্ট্রবেরীতে আছে কমলা বা আঙ্গুরের চেয়ে বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্যে দারুণ কার্যকর। এটি ত্বকে বাড়তি আর্দ্রতা যুগিয়ে ত্বককে করে তোলে কোমল আর লাবণ্যময়।এছাড়া দই ও মধুর সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন ত্বকেও! পেয়ে যান সহজেই কোমল প্রাকৃতিক ত্বক।

গ্রীন টিঃ
গ্রীন টি এখন যথেষ্ট সহজলভ্য। এটি শুধু আপনার ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং আপনার ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এমনকি এটা স্কিন ক্যান্সারকেও রাখে ১০০ হাত দূরে। গ্রীন টির ব্যবহৃত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এটা আপনার চোখের কালি ও ফোলাভাব দূর করবে খুব সহজে!

বেদানাঃ
আপনি কি জানেন, বেদানার রস গ্রীন টির চেয়ে দ্রুত কাজ করে আপনার ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দিতে। রোজ খানিকটা বেদানা আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন। খাবার পাশাপাশি খানিকটা ওটমিলের সাথে বেদানার রস মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০ মিনিট। ব্যস! নিমেষেই পেয়ে যান সুন্দর ত্বক।

মিষ্টি কুমড়াঃ
আপনি কি জানেন এই অতি পরিচিত সবজিটি আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। কুমড়ায় আছে ভিটামিন এ ও সি এবং প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই খাবারটি। খাবার পাশাপাশি, কুমড়োর পেস্ট বানিয়ে খানিকটা টকদই ও মধু মেশান ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। দেখবেন ত্বক হয়ে উঠেছে নরম ও কোমল।

এবার এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, সহজেই!

মেঘ