রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

টিপস

দেখতে দেখতে এসে গেল বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে দিন! এখন সহজে কোনো কিছু শুকাবে না, হবে সবকিছুতে দুর্গন্ধ। আপনার রান্নাঘরটিও এর বাইরে নয়। বৃষ্টির দিনগুলোতে রান্নাঘরে কেমন ভ্যাঁপসা গন্ধ হয়ে যায়। দূর করতে চান এই গন্ধ? তাহলে জেনে নিন উপায়টি।
একটি পাতিলে পানি নিয়ে তাতে ব্যবহৃত লেবুর খোসা দিন। এরপর চুলোয় বসিয়ে রান্নাঘরের দরজা-জানালা আটকে দিন। পানি ফুটের ওঠার সাথে সাথে লেবুর সুগন্ধ রান্নাঘরের ভ্যাঁপসা গন্ধকে দূর করে দেবে।

মেঘ

নখের যত্নে কিছু কাজ, যা বাড়াবে হাতের সৌন্দর্য

অনেকেই সুন্দর নখের জন্য অনেক কাজ করে থাকেন। পার্লারে যেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেনিকিউর করানো, নানান ধরণের ট্রিটমেন্ট করা ইত্যাদি। কিন্তু নখের যত্নে এতোসব না করে নিজেই কিছুটা সময় বের করে যত্ন নিতে পারেন খুব ভালো করেই। এছাড়া কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করেও নখকে দিতে পারেন পরিপূর্ণ অন্য এক রূপ।
জানতে চান কী কী করা উচিৎ সুন্দর নখ পেতে এবং হাতের সৌন্দর্য বাড়াতে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আমাদের আজকের ফিচারটি।

নিজের নখের ধরণ সম্পর্কে জানুন

নখের ধরণ সম্পর্কে জানলে ঠিক মতো নখের যত্ন নেয়া সম্ভব হয় এবং এতে করে নখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। ভঙ্গুর, শুষ্ক, নরম ও সাধারণ নখের জন্য আলাদা ধরণের যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণ নখ খুব সহজেই যে কোনো ভাবে যত্ন নেয়া যায়। শুষ্ক নখের জন্য দিনে অন্তত ১ বার অলিভ অয়েল ম্যাসাজের প্রয়োজন রয়েছে। ভঙ্গুর নখের জন্য দরকার বিশেষ যত্নের। ভঙ্গুর নখের ভঙ্গুরতার কারণ হলো ময়সচারাইজারের অভাব। তাই নখের যত্নে ময়সচারাইজার লোশন ব্যবহার করুন। নরম নখের জন্য অনেকে নখ রাখতে পারেন না। এর কারণ নখে ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ময়সচারাইজার বেশি। তাই নরম নখের অধিকারীরা পানি থেকে একটু দুরেই থাকবেন। নখে খুব বেশি পানি লাগাবেন না।

নখ ফাইল করার সময় সতর্ক থাকুন

নখ কাতার পর নখ ফাইল করার সময় অনেক সতর্ক থাকবেন। কারণ নখ ফাইলের সামান্য ভুলের কারণে নখ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এতে করে নখের অনেক ক্ষতি হয়। নখ ফাইল করার সময় একই দিকে নখ ফাইল কউন। এক একবার একেক দিকে ফাইল করা এবং উল্টো করার ফলে নখ ফেটে যায়।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খান

নখ এবং হাড়ের সুগঠনের জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজনীয়তা সব চাইতে বেশি। নখ শক্ত এবং সুন্দর করতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস দুধ অবশ্যই খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে নখের গঠন মজবুত হবে। চাইলে নখে ভিটামিন ই তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নখ কামড়ানো বন্ধ করুন

অনেকেরই নখ কামড়ানোর বাজে অভ্যাসটি রয়েছে যা নখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে নখের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া নখ কামড়ালে নখের শেপ এবড়োথেবড়ো হয়ে যায় এতে হাত দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। তাই নখ কামড়ানোর বাজে অভ্যাসটি দূর করুন।

মেঘ

ছেলেদের চুলের যত্নে মনে রাখুন ৫টি টিপস

বর্ষা চলে এসেছে। বৃষ্টির পানিতে যখন তখন ভিজে যেতে পারে মাথার চুল। চুল ভেজার পর সহজে না শুকোলে মাথার ত্বক ও চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছেলেদের চুলেরও প্রয়োজন একটুখানি বাড়তি যত্নের। স্বাস্থ্যকর চুল সৌন্দর্যের বাহক। আর পুরুষের ক্ষেত্রে যেন এটা আরও অনেক বেশি সত্য টেকো হয়ে যাওয়ার ভয়ে। একটু যত্ন নিলেই আপনার চুল থাকতে পারে স্বাস্থ্যকর। ফুটিয়ে তুলতে পারে আপনার যথাযথ সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব। আসুন তবে জেনে নিই ছেলেদের চুলের যত্নে ৫ টি টিপস:
১। ভেজা চুল সাবধানে মুছে নিন। চুলের মূল উপাদান ক্যারাটিন নামক প্রোটিন। পানিতে ভিজলে ক্যারাটিনগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ভেজাচুল ভঙ্গুর হয়। তাই চুল ভেজা থাকা উচিত নয়। ভেজা চুল যত্নসহকারে হালকাভাবে মুছে নিন।
২। বেশি গরম পানি চুল ধোয়ার কাজে কখনো ব্যবহার করবেন না। চুল সব সময় ঠাণ্ডা বা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিবেন।
৩। চুল পরিষ্কার করতে ভালো মানসম্পন্ন এবং আপনার চুলের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্যাম্পু বেছে নিন। মানহীন শ্যাম্পু পরিহার করুন। ওগুলো আপনার চুলের বারোটা বাজাবে।
৪। চুল শুষ্ক হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আর অতি অবশ্যই কন্ডিশনারের মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইচ্ছে করলে বাড়িতে বসেই কন্ডিশনার বানিয়ে নিতে পারেন।
৫। চুলের ধরন ও মুখের গড়ন অনুযায়ী নিয়ে নিন সুবিধাজনক হেয়ারকাট। দীর্ঘদিন পর পর বা অনিয়মিত চুল না কেটে চুল কাটার একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন।


মেঘ

রূপচর্চায় উপকারী পানি- জেনে নিন ৮টি অজানা টিপস

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে পানির ভুমিকা অপরিহার্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়, শরীরকে সুস্থ ও প্রানবন্ত রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি খেলে শরীর ভালো থাকে আবার সেই পানি দিয়েই করা যায় ত্বক ও চুলের যত্ন। আসুন আজকে জেনে নেয়া যাক, পানি দিয়ে কীভাবে করবেন ত্বক ও চুলের পরিচর্যা।
১। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই অন্ততপক্ষে ১ গ্লাস পানি পান করুন। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া কে তরান্বিত করে ও রক্তের দূষিত পদার্থগুলি রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং নিয়মিত এ অভ্যাসে ত্বক এর লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায় ও উজ্জ্বল হয়।
২। প্রতিদিন পরিপূর্ণ গোসল আপনাকে এনে দিতে পারে একটি প্রাণবন্ত দিন। চেষ্টা করুন কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে। এতে করে শরীরের ক্লান্তিভাব দুর হয় উপরন্তু মনেও প্রশান্তি আসে। শাওয়ারের নিচে গোসল করলে এমনভাবে দাঁড়ান যাতে করে আপনার ঘাড়ে ও ঠিক পিঠ বরাবর পানি পড়ে। আর যাদের বাথটাব আছে, তারা চাইলে পানিতে গোলাপের পাপড়ি, লেবুর টুকরো , পুদিনা পাতা বা এক বা দু ফোঁটা ল্যাভেন্ডার/সুগন্ধি অয়েল দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে বিশ্রাম নিতে পারেন। শাওয়ারের পানি বা বাথটাব-এর এ পদ্ধতিকে বলা হয় হাইড্রোথেরাপি।
৩। ত্বকের টোনার হিসেবে পানি খুব ই উপকারি। ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে, আধা চামচ মধু ও ১ চা চামচ পানি ও ৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে চোখের চারপাশ বাদে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির সাহায্যে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বকের একটি সতেজ পরিবর্তন দেখুন।
৪। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা আধা চা চামচ গ্লিসারিন ,আধা চা চামচ গোলাপজল ও ১ চা চামচ পানি মিশিয়ে মুখে লাগাবেন এবং শুকালে হাল্কা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে তৈলাক্ত ভাব কমে আসবে।
৫। ভেজা চুলে শ্যাম্পু করার পর চেষ্টা করুন স্বাভাবিক বা ঠাণ্ডা পানিতে চুল পরিস্কার করে ধুতে। এতে করে চুল শুকানোর পর চুল থাকে নরম ও মসৃণ। কিন্তু, হাল্কা গরম পানি ব্যাবহারে চুল পরে যায় এবং রুক্ষ ও ম্যাড়মেড়ে হয়ে যায়।
৬। ত্বককে মসৃণ করতেও পানি কার্যকর ভুমিকা রাখে। গোসলের সময় ভেজা ত্বকে স্ক্র্যাব করুন, মরা কোষ ঝরে পরবে।
৭। যারা অতিরিক্ত ঘামান তাঁরা মুখে মেইকআপ করার আগে এক টুকরো ঠাণ্ডা বরফ ঘষে তারপর ফাউনডেশন দিন, সারাদিন সতেজ থাকবে মুখ ও ঘাম থেকে রক্ষা পাবেন।
৮। খুব ক্লান্ত লাগলে কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে পানিতে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করে ক্লান্তিভাব ও দুর হবে এবং পা ও গোড়ালির ত্বক ও নরম ও মসৃণ হবে।
মেঘ

শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর দারুণ সব ব্যবহার

সৌন্দর্যচর্চার খাতিরে না জানি কত অর্থই ব্যয় করছেন আপনি, তাই না? আজ পার্লারে তো কাল কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে। কিন্তু জানেন কি, সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি নিজেই সমাধান করে ফেলতে পারবেন সকল সৌন্দর্য সমস্যা? যেমন লেবুর কথাই ধরুন। এই এক লেবু দিয়ে শরীরের কালো দাগ দূর থেকে থেকে শুরু করে ব্রণ কমানো কিংবা বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করা, সবই সম্ভব। কীভাবে ব্যবহার করবেন? আসুন জেনে নেই।
১) লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।
২) লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ বা অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
৩) অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত কমে।
৪) হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু কার্যকর। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুড়ো মিশিয়ে হাত পায়ে লাগান।
৫) ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৬) ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সঙ্গে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।
৭) একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৮) একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ ত্বককে আরো ফর্সা করবে

মেঘ

সৌন্দর্যচর্চায় মধুর ৯টি অসাধারণ ব্যবহার

সৌন্দর্যচর্চার খাতিরে না জানি কত অর্থই ব্যয় করছেন আপনি, তাই না? আজ পার্লারে তো কাল কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে। কিন্তু জানেন কি, সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি নিজেই সমাধান করে ফেলতে পারবেন সকল সৌন্দর্য সমস্যা? যেমন মধুর কথাই ধরুন। প্রকৃতির এই অনন্য উপাদানটি কখনও নষ্ট হয় না। এই এক মধু আপনার চুল ও ত্বক সুন্দর করে তোলা থেকে শুরু করে আপনার ওজন কমানো পর্যন্ত অনেক কাজেই লাগবে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? আসুন জেনে নেই।
১) মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ত্বককে ভেতর থেকে ময়লা বের করে ও মরা কোষ দূর করে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। মধু দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক হবে দাগহীন ও সুন্দর। এক চামচ মধু ও এক চামচ উপটান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
২) ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মধু কার্যকর। শুষ্ক ত্বকে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।
৩) মধুতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে, ত্বক টানটান রাখে। তাই প্রতিদিন এক চামচ মধু খাওয়া ভালো।
৪) চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করতেও সিল্কি রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে চুলের নিচের অংশে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে কন্ডিশনারের বোতলে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন।
৫) মুখের দাগ দূর করতে মধু, আমন্ড অয়েল, গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস পরিমাণমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ বা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে কার্যকর।
৫) দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে।
৬) লিপবাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। এক চামচ আমন্ড অয়েল এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে রেখে দিন। ঠোঁট ফাটা রোধ করবে এবং সতেজতা ঠিক থাকবে।
৭) দুই চামচ মধু, আধা চামচ চিনি এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাব বানিয়ে নিতে পারেন। এই স্ক্র্যাব ২ থেকে ৩ মিনিট হালকাভাবে মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং মধু ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
৮) চুল প্রাকৃতিকভাবে হাইলাইটস বা কালার করতে চুল কতটা লম্বা সে অনুযায়ী মধু নিন এবং এতে টক দই দিন, যাতে মধুর আঠালো ভাবটা দূর হয়। এবার চুলের যে জায়গা হাইলাইট করতে চান, সেখানে মিশ্রণটি ভালোমতো লাগান এবং ২ ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। পর পর চার দিন লাগান।
৯) ২ চামচ মধু, ৩ চামচ অলিভ অয়েল এবং টক দই একসঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে ময়েশ্চার এবং হেয়ার ফলিকল উজ্জীবিত করে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মেঘ

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

দারুণ সুন্দর ত্বকের জন্য খেতে হবে যে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো

প্রতিদিনের ধূলোবালি আর আর্দ্র আবহাওয়ায় আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রসাধনী আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করছি ঠিকই কিন্তু পাশাপাশি অবশ্যই কিছু পুষ্টিকর খাবারও খাওয়া উচিৎ যেগুলো দেহের পুষ্টির সাথে ত্বকের ক্ষেত্রেও রাখতে পারে বিশেষ প্রভাব। আপনি যদি মসৃণ, নরম এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের খাবারগুলো খাবেন।

১. গোলমরিচ ঘন্ট :

গোলমরিচে নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালোরি এবং অন্যান্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন পুষ্টি যুগিয়ে থাকে। আপনি চাইলে গোলমরিচগুলোকে ভেজে নিয়ে খেতে পারেন বা একেবারে কোনো প্রসেসিং না করেই কাঁচাই খেতে পারেন। এই উপকরণটিকে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে আপনি যদি ভালো ত্বক পেতে চান তাহলে অবশ্যই গোলমরিচগুলো সরাসরি খাবেন।

২. ডার্ক চকোলেট :

চকোলেট বেশিরভাগ মানুষেরই অনেক প্রিয় একটি খাবার। প্রিয় এই খাবারটি দিয়েও আপনি আপনার ত্বকটি ঠিক রাখতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন কিছুটা হলেও এই ডার্ক চকোলেট খান তাহলে এটি আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন সহজ করে আপনার ত্বককে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাণবন্ত করে তুলবে। এছাড়া এটি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

৩. গ্রীন টি :

গ্রীন টি অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি আপনার প্রতিদিনের পানীয়ের পরিবর্তে এই ভেষজ গুণসম্পন্ন গ্রীন টি খেতে পারেন। এতে করে এটি আপনার দেহের ভেতরে কাজ করবে ঠিকই কিন্তু ফলাফল দেখা দেবে দেহের বাহিরে অর্থাৎ আপনার ত্বকে প্রাণ এনে দেবে।

৪. বিভিন্ন বীজ উপাদান :

বিভিন্ন বীজের উপাদান খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। বিশেষ করে সূর্যমুখী, চিয়া, শণ, কুমড়া এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বীজ থেকে বের হওয়া তেল জাতীয় পদার্থ ত্বকের মশ্চারাইজার ধরে রাখতে সহায়তা করে পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামন ই এবং প্রোটিন পেতে সাহায্য করে।

৫. পেঁপে :

পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ যদিও কম থাকে তারপরও এটি ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর। এটি খুব ভালো একটি ফেসপ্যাক হিসেবে কাজ করে। বেশিরভাগ মহিলাদের ওভারিন জাতীয় নানা সমস্যা থাকে। এই সমস্যাও সমাধান করে। পেঁপেতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং বিটাক্যারোটিন ত্বকের পুষ্টি যোগাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

মেঘ