বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০১৪

প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পরিষ্কার

শ্যাম্পু বা সাবান দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে যাদের চুল পড়ে যায় বা এলার্জি হয় তারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চুলের ক্ষতিও হবে না এবং চুলও অনেক কম পড়বে। যারা ঘরের বাইরে বেশি যান তারা সপ্তাহে দুদিন অবশ্যই চুল পরিষ্কার করবেন। বাইরের ধুলোবালির জন্যে চুলের গোড়ার লোমকুপগুলো বন্ধ হয়ে যেতে চায়। এতে চুল বেশি পড়ে। যাদের চুল তৈলাক্ত তাদের চুলে ময়লা আটকায় বেশি।মানুষের মুখের ত্বকের মতো চুলেরও বিভিন্ন ধরন আছে; যেমন :

১. তৈলাক্ত চুল
২.রুক্ষ চুল
৩. স্বাভাবিক চুল
তাই আপনার যে ধরনেরই চুল হোক না কেন, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না। রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার করলে তার অনেক বিধি-নিষেধ মানতে হয়, কিন্তু প্রাকৃতিক সামগ্রীর তেমন কোনো বিধি-নিষেধ নেই। এটি একটি বিরাট সুবিধা। এবার জেনে নিন কী কী উপায়ে প্রাকৃতিক শ্যাম্পু বানিয়ে আপনি মাথা পরিষ্কার করতে পারেন।

প্রথম পদ্ধতি
উপকরণ : 
২ চামচ মেথি, ৪টি শুকনো আমলকি (বিচি বাদ দিয়ে), মেহেদি পাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, খুসবু করার জন্যে ১ টুকরো সোন্দা ও ১ টুকরো লেবু।

প্রস্ত্তত প্রণালী :
মেথি, আমলকি ও সোন্দা একত্রে ধুয়ে ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন যে দিন মাথা ধোবেন তার ১ দিন আগেই এগুলো ভেজাতে হবে। মেথি, আমলকি ও সোন্দা ভিজে ফুলে নরম হবে। এবার শিলপাটায় মেথি পিষে নেবেন। মেথি ভেজানো পানি ফেলবেন না। ঐ পানি একত্রে মিশিয়ে নেবেন। এবার একটি পাত্রে বাটা মেহেদি, মেথি, লেবুর পিস থেকে রস নিয়ে একত্র করে চটকে নরম পেস্টের মতো করে নিন। এই পেস্ট চুলে তেল দেয়ার মত বিলি দিয়ে চামড়ায় এবং চুলে ভাল করে লাগিয়ে দু’ঘন্টা রাখবেন। কমপক্ষে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। গোসলের সময় প্রথমে মাথায় পানি ঢেলে একটু নরম হলে আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে পানি ঝেড়ে মাথা পরিষ্কার করবেন। এই পদ্ধতিতে চুল পরিষ্কার করতে একটু ঝামেলা মনে হলেও চুলের জন্যে বিশেষ উপকারী। মেথি পিচ্ছিল বলে এতে বেশ পানি দিয়ে মাথা পরিস্কার করতে হয়।

তৈলাক্ত চুল হলে গোসলের শেষে ১ পিস লেবুর রস মগে একটু পানির সাথে মিশিয়ে চুলে মেখে নিতে পারেন। এতে চুল যেমন নরম হবে তেমনি চকচকও করবে এবং মিষ্টি সুগন্ধ ভেসে আসবে। রুক্ষ্ম, স্বাভাবিক সব চুলেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। চুলের পরিমাণ বুঝে একই অনুপাতে দ্রব্য বাড়িয়ে নিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে চুল ধুলে চুলে খুসকি হয় না এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। যারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুলে রং করতে চান তারা মেহেদি পাতা বাটা বেশি করে দিলে আস্তে আস্তে কিছুদিন পর লালচে আভা আসবে। মেহেদি পাতার রস চুলের গোড়া শক্ত করে।


রিঠার সাহায্যে চুল ধোয়া


মাথার চুল পরিষ্কার করার কাজে রিঠা ফলের গুরুত্ব আজও অপরিসীম। স্যাপিনডাস প্রজাতির গাছের ফল রিঠা। রিঠা ফল দেখতে দু’ধরনের- বড় ও ছোট। রিঠা ফলের শাঁস সাধারণত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে ১২ শতাংশ স্যাপেনিন নামক সাবান জাতীয় ফেনক রয়েছে বলে এটি মাথার চুলকে বেশ পরিষ্কার করে এবং ঝরঝরে রাখে।
রিঠা বীজের তেল সাবান তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। রিঠার নির্যাসের মধ্যে অল্প অল্প থাকায় এটি চুলের কিউটিকলের জন্যে বেশ উপকারী। আগে যখন শ্যাম্পু ছিল না তখন আমাদের মা-দাদীরা এই রিঠা ফল দিয়ে চুল ধোয়ার ফলেই তাদের চুল ঘন কালো আর লম্বা হতো। আজকাল যত রাসায়নিক সামগ্রী আমরা ব্যবহার করছি তত আমাদের চুল ঝরে পড়ছে।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ
কয়েকটি রিঠা ধুয়ে নিয়ে শীল পাটায় ভেঙ্গে ভিতরের বিচি বের করে ফেলুন। এবার চুলায় পরিষ্কার হাড়ি বসিয়ে ১ মগ পরিমাণ পানিতে রিঠার খোসা ছেড়ে ফুটিয়ে নিন। তিন চার মিনিট ফুটানোর পর ঠান্ডা করে হাত দিয়ে চটকে রসটাকে ভাল করে বের করে নিন। মাথাটা একটু ভিজিয়ে নিবেন তারপর এই রিঠার রস দিয়ে আস্তে আস্তে মাথা ঘষতে শুরু করবেন। মাথা ঘষার পর বেশি পানি দিয়ে চুল ধুতে হবে। তা না হলে রিঠার রস চুলে থেকে যাবে এবং চুল একটু আঠা আঠা মনে হবে। বাজারে মনোহারি দোকানে আপনি রিঠা কিনতে পাবেন। এই ফলটি দেখতে ঘন বাদামি ও গোলাকার।

সরিষার খৈল

সরিষা যে কেবলমাত্র আমাদের রান্না-বান্নায় ব্যবহৃত হয় তা নয়; রূপচর্চায়ও এর অবদান অনেকখানি। রূপচর্চা কথাটা এ কারণেই বললাম যে আপনারা হয়ত বলবেন চুলতো স্বাস্থ্যগত কারণেই ধোয়া দরকার, তার আবার রূপচর্চার সাথে সম্পর্ক কি? হ্যাঁ, আজকাল আর চুল শুধু ধুয়েই আমরা ক্লান্ত নই। এখন এটিকে রূপচর্চার অঙ্গ হিসেবেও দেখছি। আমরা যতই সাজগোজ করি না কেন মাথায় তেল চিট চিট চুল দেখলেই তাকে বলি একেবারে গেঁয়ো। চুল ধুয়ে আমরা দেখছি যে চুলটা চিকচিক করছে কিনা কিংবা সিল্কের মত মনে হচ্ছে কি না ইত্যাদি। তারপর রয়েছে নানা ঢং-এ চুল কাটা, বাধা ইত্যাদি। কারণ কেশবতী নারীর রূপই আলাদা।
এবার আসি সরিষার কথায়। বাচ্চা কিংবা যে কোন বয়সের হোক না কেন খাঁটি সরিষার তেল গায়ে মাখা আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে। কিন্তু গ্রাম বাংলায় সরিষা খৈল দিয়ে চুল ধোয়ার রেওয়াজ সম্পর্কে আমরা ক’জনই বা জানি। হাতের কাছের সস্তা জিনিস ব্যবহার করেও আমরা চুলকে অনেকখানি স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে পারি। এবার জেনে নিন কিভাবে সরিষা খৈল দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ
প্রথমে কিছুটা সরিষার খৈল একটি বাটিতে নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভাল করে চটকে নিয়ে ছাকুনি দিয়ে ভালভাবে ছেঁকে সে পানি মাথার চুলে ভাল করে মেখে ঘন্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসলের সময় মাথা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। বেশি করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালভাবে চুল শুকিয়ে নিন। দেখবেন চুল ঝরঝরে হয়ে বেশ ফুলে উঠেছে। তৈলাক্ত চুল হলে ১ পিস লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে চুলে ঢেলে নিতে পারেন। খৈল দিয়ে চুল ধুলে চুলে খুশকি হয় না।

মুশুরের ডালের বেসন

রান্না ঘরের জিনিস দিয়েও আপনি আপনার চুল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন দিয়ে যেমন শরীর পরিষ্কার করতে পারেন, তেমনি চুল পরিষ্কারের কাজেও এর অবদান কম নয়। আমাদের মা-দাদীরা বেসন দিয়ে চুল পরিষ্কার করতেন।
প্রস্ত্তত প্রণালীঃ চুলের পরিমাণে ডাল নিয়ে ধুয়ে একটি পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর শিলপাটায় বেটে নিন। পানি মিশিয়ে পেস্টের মত করে চুলে বিলি কেটে ঘন্টাখানেক রেখে চুল ভালভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। ভালভাবে চুল শুকালে অাঁচড়ে ফেলুন। দেখবেন চুলগুলো ঝরঝরে হয়েছে। আপনার যদি গ্রিন্ডিং মেশিন থাকে তবে তাতেও ডাল গুড়ো করে বেসন তৈরি করে নিতে পারেন। বেসনের সাথে পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার হিসেবে লেবু পানি চুলে ঢেলে দিতে পারেন। এতে চুলের খুসকিও দূর হয়। যে কোন ডালের বেসন দিয়েই চুল ধোয়া যায়, তবে মুশুরের ডালের বেসনই সবচেয়ে ভাল।

পেঁয়াজের রস

এক কালে বলা হতো ‘বউ ভালো লাজে, সালুন (তরকারি) ভাল পেঁয়াজে’- একথা হয়ত আমরা অনেকেই জানি। এর সাথে হয়তো আমরা অনেকেই জানি না যে পেঁয়াজের রস চুলের এক মহা উপকারী ওষুধ। চুলের খুসকি দূর করতে পেঁয়াজের রসের জুড়ি নেই। এমনকি পেঁয়াজের রস মাথায় ঘষলে নতুন চুলও গজায়।
প্রস্ত্তত প্রণালী : ছোট পেঁয়াজ কিছু পরিমাণ নিয়ে থেতো করে রস বের করে সম্পূর্ণ মাথায় বিলি কেটে তেল দেয়ার মতো করে ত্বকে ও চুলে রস মেখে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে বেশি করে পানি দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিন। চুল শুকালে দেখবেন চুলগুলো রেশমের মতো ফুরফুরে হয়ে উঠেছে। অনেকে গন্ধের জন্যে পেঁয়াজ দিতে চান না। কিন্তু চুলের জন্যে পেঁয়াজ এক মহৌষধ। মাথা ধোয়ার শেষে পানির সাথে সুগন্ধি কিছু মিশিয়ে নিয়ে মাথায় ঢেলে নিতে পারেন। যেমন, এক মগ পানিতে সরবতি লেবুর ২ টুকরো নিয়ে চিপে রসটা পানিতে মিশিয়ে মাথা ধোয়ার পর সমস্ত চুল লেবু পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে সরবতি লেবুর খুসবু আসবে। সেন্টের মতো। আর যারা কৃত্রিম উপায়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে চান তারা চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধোবেন।

তেঁতুলের ক্বাথ

আপনার চুলের পরিমাণ মতো তেঁতুল নিয়ে ১টি বাটিতে পানির সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো বানিয়ে মাথায় বিলিকেটে ১০/১৫ মিনিট রেখে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিলে দেখবেন চুলগুলো শুকানোর পরে কেমন ফুরফুরে, নরম ও সিল্কি হয়েছে।
যাদের অন্য কিছু স্যুট করে না তারা তেঁতুল দিয়ে চুল ধুলে উপকৃত হবেন এবং চুলও ছিড়বে না। চুলে কন্ডিশনার হিসেবে কিছু ব্যবহার করতে হবে না।

সব ধরনের চুলের যত্নে করণীয়ঃ
১. সব সময় চিরুনী, ব্রাশ পরিষ্কার রাখবেন।
২. অন্যের চিরুনী, ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
৩. খুব ঘন ঘন চুল ছাটবেন না। অন্ততপক্ষে ১ মাস বা দেড় মাস অন্তর ছাটবেন।
৪. চুলের আগা ফাটলে ছেটে ফেলবেন।
৫. চুল খুব শক্ত কিংবা টান টান করে বাঁধবেন না।
৬. চুলে রাসায়নিক দ্রব্য পারত পক্ষে ব্যবহার করবেন না।
৭. অন্ততপক্ষে সপ্তাহে দুদিন চুলে তেল মালিশ করবেন।
৮. অতিরিক্ত সূর্যের আলো চুলের জন্যে খারাপ। তাই এর হাত থেকে চুলকে রক্ষা করবেন।
৯. বাইরে থেকে এসে চুল ব্রাশ করবেন যাতে ধুলোবালি জমতে না পারে।
১০. খাবারের সাথে ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স ও প্রোটিন রাখবেন এতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং চুল অকালে পাকবে না।
১১. ছোট মাছ খাবেন।
১২. সর্বোপরি জাজিন বা বজ্রাসনে বসে ছোট বেলা থেকে প্রতিদিন ১০০ বার চুল ব্রাশ করলে চুল অকালে পাকবে না। চুলে খুশকি হবে না।
মেঘ

মিশ্র ত্বক

ত্বকের যত্নে ত্বক পরিষ্কার রাখাটা সব ত্বকের বেলায় এক। তাই মিশ্র ত্বক হলেও দিনে-রাতে কমপক্ষে ৫ বার ধুতে হবে। মিশ্র ত্বকের যত্নও স্বাভাবিক ত্বকের মতো। মিশ্র ত্বক দেখলেই বোঝা যায়। যেমন : সাধারণত নাকের ডগা, চিবুক তেলতেলে হয়ে থাকে। এ ত্বকের শুকনো জায়গায় শুকনো ত্বকের পরিচর্যার দরকার হয়। তাই মুখ ধোয়ার পর তৈলাক্ত অংশে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন এবং শুকনো অংশে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। এ ত্বকের বেলায়ও কিছু নিয়ম মানতে হয়, যেমন-

ক. মাঝে মাঝে ভাপ নিতে হয়।
খ. সপ্তাহে ৩/৪ দিন ফেসপ্যাক লাগাতে হয়।
গ. রাতে শোবার আগে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ক্রীম লাগাবেন। তবে শুকনো অংশে তৈলাক্ত ক্রীম এবং তৈলাক্ত অংশে লোশন ক্রীম লাগাবেন। তৈলাক্ত অংশে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ক্রীম ব্যবহার করবেন।
ঘ. বাইরে থেকে এসে সবসময় মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেবেন।
ঙ. বেশি করে পানি খাবেন। খাবারে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি রাখবেন।
মিশ্র ত্বকের জন্যে কয়েকটি ফেসপ্যাক 
১. ডিমের একটু সাদা অংশ + ২ চামচ কমলা লেবুর রস + ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
২. দুধের সর + বেসন বা ওটমিল + লেবুর রস মিলিয়ে মুখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. কাঁচা হলুদ + ময়দা + দুধের সর একত্রে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. শসার রস ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
মুখের পরিচর্যায় সবসময় মনে রাখবেন-
১. যে প্যাকটি আপনার ত্বকের সাথে সব চেয়ে মানিয়ে যাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
২. প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত।
৩. তেল-মশলা, ভাজা-পোড়া খাবার কম খাবেন।
৪. সব্জি, কাঁচা ফলমূল ও সালাদ বেশি পরিমাণে খাবেন।
৫. পানি বেশি করে পান করবেন।
৬. ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি এবং ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার প্রতিদিনই খাবেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
৭. সপ্তাহে অন্তত দু-দিন প্যাক ব্যবহার করবেন।
৮. প্রতিদিন রাতে ঘুমোবার আগে মুখ হালকা কুসুম গরম পানি, প্রাকৃতিক উপাদান অথবা আপনার পছন্দের সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজিং লোশন দিয়ে ৫ মিনিট হালকাভাবে মুখ ম্যাসাজ করুন।

মেঘ

শুকনো ত্বক

শুকনো ত্বকের খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। তা না হলে বয়স হলেই বলিরেখা পড়তে চায় এবং কুঁচকে যেতে চায়।

ক. শুকনো ত্বকে সবসময় তৈলাক্ত জিনিস ব্যবহার করা প্রয়োজন। বেশি সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। বেসন ব্যবহার করা উচিত। ছোলার ডালের বেসন এ ত্বকের জন্যে উপকারী। সাবান ব্যবহার করলে গ্লিসারিন সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

খ. মুখ ধোয়ার পর সবসময় কোনো স্কিন টনিক বা ফ্রেশনার লাগাবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

গ. মেক-আপের আগে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এতে মুখের ত্বক নরম ও ভেজা থাকবে।

ঘ. শুকনো ত্বকে কখনও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন লাগাবেন না। এতে ত্বক আরও রুক্ষ হবে।


ঙ. গোসলের আগে প্রতিদিন তা না পারলে সপ্তাহে দুদিন অলিভ অয়েল কিংবা সর্ষের তেল ১৫/২০ মিনিট ধরে ঘষে ঘষে লাগাবেন। আধঘণ্টা পরে ছোলার ডালের বেসন ও দুধের সর বা কাঁচা দুধ মেশানো পেস্টের মতো করে গায়ে ও মুখে মেখে গোসল করবেন।

চ. রাতে ঘুমোবার আগে ১ চা চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে তুলোয় ভিজিয়ে মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলবেন।

ছ. শসার রস ১০ মিনিট মুখে মেখে ধুয়ে ফেলবেন। এতে রং ফর্সা হয় ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।

জ. বাইরে থেকে এসে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

ঝ. রাতে মুখ ধুয়ে সমপরিমাণ পানির সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। মুখ নরম থাকবে। খসখসে ভাব হবে না।

ঞ. প্রচুর পানি খাবেন। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডিযুক্ত খাবার খাবেন। প্রতিদিন দুধ খাবেন।

ট. রাতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করে ছোলার বেসন দিয়ে মুখ ধুয়ে কোনো ক্রিম বা গ্লিসারিন মেখে নেবেন। স্বাভাবিক ত্বকের ফেসপ্যাকগুলো শুকনো ত্বকেও ব্যবহার করা যায়।

মুখের পরিচর্যায় সবসময় মনে রাখবেন-
১. যে প্যাকটি আপনার ত্বকের সাথে সব চেয়ে মানিয়ে যাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
২. প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত।
৩. তেল-মশলা, ভাজা-পোড়া খাবার কম খাবেন।
৪. সব্জি, কাঁচা ফলমূল ও সালাদ বেশি পরিমাণে খাবেন।
৫. পানি বেশি করে পান করবেন।
৬. ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি এবং ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার প্রতিদিনই খাবেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
৭. সপ্তাহে অন্তত দু-দিন প্যাক ব্যবহার করবেন।
৮. প্রতিদিন রাতে ঘুমোবার আগে মুখ হালকা কুসুম গরম পানি, প্রাকৃতিক উপাদান অথবা আপনার পছন্দের সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজিং লোশন দিয়ে ৫ মিনিট হালকাভাবে মুখ ম্যাসাজ করুন।

মেঘ

তৈলাক্ত ত্বক

তৈলাক্ত ত্বক দেখলেই সহজে বোঝা যায়। তৈলাক্ত ত্বককে ভালো ত্বক বলা হলেও এর সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তবে এ ত্বক বেশি বয়স পর্যন্তও সজীব থাকে এবং বলিরেখা সহজে পড়ে না। গরম কালে এ ত্বক থেকে বেশি পরিমাণে তেল বের হয়। তাই অন্যান্য ত্বকের তুলনায় এ ত্বকের যত্ন বেশি নিতে হয় এবং পরিষ্কার রাখতে হয়। দিনে-রাতে মিলিয়ে ৮/১০ বার মুখ ধুয়ে এ ত্বক পরিষ্কার করলে ভালো। তা না হলে ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস, এ্যাকনে হবার আশংকা থাকে। ফলে মুখে দাগ সৃষ্টি হয়ে বিশ্রী হয়ে যায়।


ক. এ জাতীয় ত্বক সাবান বা বেসন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত।
খ. সবসময় হালকা গরম পানি দিয়ে ধোবেন এবং পরে নরম তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মুখ ভালো ভাবে মুছে নেবেন।

গ. মেক-আপ করার আগে কোনো অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন তুলোয় করে নিয়ে মুখে লাগাবেন। এর ফলে মুখ থেকে বেশি তেল বেরিয়ে মেক-আপ নষ্ট হবে না।

ঘ. মুখে ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোঁটাখুঁটি করবেন না।

ঙ. বেশি তেল ঘি ভাজা-পোড়া মশলা খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি মাঝে মধ্যে খেতে পারেন।

চ. প্রতিদিন ২/৩ লিটার পানি পান করবেন।

ছ. রাতে ঘুমোবার আগে হালকা গরম পানি মশুর ডালের বেসন দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে শোবেন। শীতের দিনে গ্লিসারিন সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। গরম কালে কিছু দেয়ার দরকার হবে না।


জ. ক্রিম জাতীয় জিনিস তৈলাক্ত মুখে না দেয়াই ভালো। এতে ব্রণ হওয়ার আশংকা খুব বেশি।
ঝ. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে অবশ্যই মুখমন্ডল খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। তা না হলে বাইরের ধুলোবালি লোমকূপের গোড়ায় আটকে ব্রণ উঠতে পারে। প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন।

ট. সবসময় নিজের তোয়ালে ও চিরুনী পরিষ্কার রাখবেন।

ঠ. সপ্তাহে দুদিন মুখে ফুটন্ত পানির ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নেয়ার আগে মুখে কোনো নারিশিং ক্রিম ভালো করে মালিশ করে নেবেন। এতে ব্ল্যাক হেডগুলো (কালো মুখ ওয়ালা ব্রণ) নরম হয়ে উঠবে। তখন একটা স্টেরিলাইজড তুলো জড়ানো সরু কাঠি দিয়ে ব্ল্যাক হেডগুলোর চারপাশে চাপ দিলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে। তবে সাবধানে করতে হবে। নতুবা খোঁচা লেগে দাগ হতে পারে। একদিনে না বেরোলে জোর করে বের করতে যাবেন না। পরের দিন আবার চেষ্টা করবেন।

ড. যদি ভাপ নিতে না চান বা অসুবিধে মনে করেন তবে গরম পানিতে সামান্য বোরিক পাউডার মিশিয়ে তুলো ভিজিয়ে সেক দিতে পারেন। তাতেও উপকার পাবেন। এতে ব্রণের মধ্যকার জিনিস বেরিয়ে যায়। তবে ব্রণে যেন কোনো আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এক দিনে না বেরোলে দু-তিন দিনে বের করবেন। এক দিনে চেপে বের করতে গেলে ক্ষতি হতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বকের কয়েকটি ফেসপ্যাক

১. মশুরের ডালের বেসন + খাঁটি সর্ষের তেল একত্রে মিশিয়ে পাতলা ধরনের পেস্টের মতো করে মুখে লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ঘষার সময় দেখবেন সাবানের ফেনার মতো হচ্ছে। এতে মুখের দাগ উঠে যায়, রং ফর্সা হয়। এই প্যাকে পানি লাগাবেন না। বেসনের সাথে তেল মেশান।


২. মশুরের ডাল বাটা + দুধের সর একত্রে ১৫/২০ মিনিট মুখে রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. ডিমের সাদা অংশ + কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একত্র করে ১৫ মিনিট রেখে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৪. মশুরের ডালের বেসন + মধু একত্র করে ১৫/২০ মিনিট মুখে রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি এবং পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. অলিভ অয়েল + কাঁচা ডিমের কুসুম + মশুরের ডাল বাটা একত্রে মুখে মেখে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মুখের পরিচর্যায় সবসময় মনে রাখবেন-
১. যে প্যাকটি আপনার ত্বকের সাথে সব চেয়ে মানিয়ে যাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
২. প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত।
৩. তেল-মশলা, ভাজা-পোড়া খাবার কম খাবেন।
৪. সব্জি, কাঁচা ফলমূল ও সালাদ বেশি পরিমাণে খাবেন।
৫. পানি বেশি করে পান করবেন।
৬. ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি এবং ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার প্রতিদিনই খাবেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
৭. সপ্তাহে অন্তত দু-দিন প্যাক ব্যবহার করবেন।
৮. প্রতিদিন রাতে ঘুমোবার আগে মুখ হালকা কুসুম গরম পানি, প্রাকৃতিক উপাদান অথবা আপনার পছন্দের সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজিং লোশন দিয়ে ৫ মিনিট হালকাভাবে মুখ ম্যাসাজ করুন।

মেঘ

স্বাভাবিক ত্বক

ক. এ ধরনের ত্বকে সাধারণত সমস্যা অনেক কম। তাই অনেকে মনে করেন, এ ধরনের ত্বকের আর যত্নের দরকার কি? এমনিতেই ভালো আছে। কিন্তু একটা বয়সের পর ত্বক নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। তাই এ জাতীয় ত্বকের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা উচিত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানেই যেমন ধোয়া-মোছা তেমনি ত্বকের পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও ধোয়া-মোছাই প্রথম। দিনে-রাতে মিলিয়ে কম করে ৫ বার মুখ স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধোবেন। এতে ধুলোবালি লোম কূপের গোড়ায় আটকে থাকতে পারবে না। ত্বক সজীব মনে হবে। সাবান অথবা বেসন ব্যবহার করে মুখমন্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। তবে সাবান বেশি না দেয়াই ভালো। প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন: বুটের বেসন দিয়ে মুখমন্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। সাবানে যাদের এলার্জি তারা অনায়াসেই বেসন ব্যবহার করতে পারেন।


খ. রাতে শোবার আগে হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে বেসন দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। পরে মুখ মুছে গ্লিসারিনের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। এতে মুখের ত্বক নরম থাকবে এবং খসখসে হবে না। এছাড়া আপনি কোন স্কিন টনিক বা ফ্রেশনারও লাগাতে পারেন।
গ. সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২/৩ দিন ফেসপ্যাক লাগাবেন। ফেসপ্যাক লাগানোর ১৫/২০ মিনিট পরে মুখমন্ডল ভালো ভাবে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ঘ. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে অবশ্যই মুখমন্ডল ভালো ভাবে ধোবেন যাতে মেক-আপ লেগে না থাকে। বাইরের ধুলোবালি লোমকূপের গোড়ায় যেন আটকে না থাকে। তাহলে ব্রণ হবার ভয় থাকে না।

ঙ. মাঝে মাঝে মুখে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে লোমকূপের গোড়া খুলে গিয়ে তেল-ময়লা জমতে পারবে না এবং ব্রণ হবার আশংকা কমে যাবে।
প্রতি রাতে অবশ্যই খুব ভালো ভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে ঘুমোবেন। অসুবিধা হলে নিয়মিত ক্রিম লাগাতে পারেন। যে ক্রিম আপনার ত্বকে স্যুট করবে সেটাই ব্যবহার করবেন।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্যে কয়েকটি ফেসপ্যাক
এই ফেসপ্যাক থেকে যেকোনো একটি সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।


১. কমলা লেবুর খোসা বাটা + অলিভ অয়েল + কাঁচা ডিমের কুসুম। এগুলো একত্রে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখমন্ডলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।


২. কয়েকটি চিনা বাদাম ভিজিয়ে বেটে নিন + কয়েক ফোঁটা খাঁটি মধু একত্রে মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৩. কমলা লেবুর খোসা বাটা + কয়েক ফোঁটা মধু একত্রে মিলিয়ে মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. কাঁচা ডিমের কুসুম + ১ চামচ বেসন ও দুধের সর একত্রে পেস্টের মতো করে মুখে ১৫/২০ মিনিট রেখে প্রথমে কুসুম গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. কাঁচা ডিমের কুসুম + ১ চামচ অলিভ অয়েল একত্রে মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট রেখে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৬. কাঁচা ডিমের কুসুম + অলিভ অয়েল ও মধু একত্রে মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৭. ছোলার ডালের বেসন + মধু একত্রে মিশিয়ে মুখে ১৫/২০ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এ পদ্ধতি মুখের রং উজ্জ্বল করে এবং ত্বক নরম রাখে।

৮. মশুরের ডাল বাটা বা ডালের বেসন + কাঁচা দুধ + কয়েক ফোঁটা লেবুর রস + কয়েক ফোঁটা মধু একত্রে পেস্টের মতো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মুখের পরিচর্যায় সবসময় মনে রাখবেন-
১. যে প্যাকটি আপনার ত্বকের সাথে সব চেয়ে মানিয়ে যাবে সেটি ব্যবহার করবেন।
২. প্রতিদিন ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত।
৩. তেল-মশলা, ভাজা-পোড়া খাবার কম খাবেন।
৪. সব্জি, কাঁচা ফলমূল ও সালাদ বেশি পরিমাণে খাবেন।
৫. পানি বেশি করে পান করবেন।
৬. ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি এবং ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার প্রতিদিনই খাবেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
৭. সপ্তাহে অন্তত দু-দিন প্যাক ব্যবহার করবেন।
৮. প্রতিদিন রাতে ঘুমোবার আগে মুখ হালকা কুসুম গরম পানি, প্রাকৃতিক উপাদান অথবা আপনার পছন্দের সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজিং লোশন দিয়ে ৫ মিনিট হালকাভাবে মুখ ম্যাসাজ করুন।

মেঘ

যেভাবে চোখে আনবেন গ্লসি স্মোকি এবং ড্রামাটিক ব্লু স্মোকি লুক

গ্লসি স্মোকি আই

নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে সম্প্রতি নতুন নজরকাড়া স্টাইল- গ্লসি স্মোকি আই সবার নজর কেড়েছে। 
-গ্লসি স্মোকি আইয়ের জন্য একটি ক্রিমি ব্ল্যাক আই পেন্সিল নিন। পেন্সিলটি দিয়ে চোখের পাতার উপরের ও নিচের ল্যাশ লাইনে দাগ দিন। এরপর তা ভাজের সঙ্গে মিলিয়ে দিন।
-এরপর একটি সিলভার শ্যাডো ব্যবহার করে ভেতরের কোনাগুলো উজ্জ্বল করুন।
-চোখের পাতায় গ্লসি ভাব আনার জন্য আপনার অনামিকা আঙুলে ক্লিয়ার গ্লস নিয়ে সেখানে আলতো করে মাখিয়ে দিন। এরপর প্রয়োজনমতো মাসকারা লাগিয়ে দিন।


বুধবার, ৪ জুন, ২০১৪

বাড়িতেই চটজলদি তৈরি করে ফেলুন দারুণ কার্যকরী শ্যাম্পু

হঠাৎ করেই লক্ষ্য করলেন আপনার শ্যাম্পুর বোতলটি একেবারেই খালি, অথচ চুল পরিষ্কার করাটা খুবই জরুরি। অথবা কেনা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে করতে আপনি ক্লান্ত, চুলকে এসব রাসায়নিকের পাল্লা থেকে একটু মুক্তি দিতে চান। কি করতে পারেন এমন অবস্থায়? নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন ঘরোয়া একটি শ্যাম্পু।
কী কী উপাদান ব্যবহার করতে পারেন বাড়িতে শ্যাম্পু তৈরি করার জন্য? মূলত দুইটি উপাদান খুব কাজে লাগে। একটি হলো ডিম, আরেকটি হলো বেকিং সোডা।
শুনতে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু শ্যাম্পু তৈরির জন্য ডিম বেশ ভালো একটি উপাদান। ডিমে আছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যান্য পুষ্টি। ডিম ব্যবহারে চুল হয়ে ওঠে নরম, ঘন এবং ঝলমলে। তবে একটা জিনিস মনে রাখুন। রান্না করে ডিম খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন, নিজের মাথায় রান্না করা ডিম মাখতে ভালো লাগবে না। তাই শ্যাম্পু হিসেবে ডিম ব্যবহারের সময়ে কখনই গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
১) খুব সহজে শুধু ডিমকেই ব্যবহার করতে পারেন শ্যাম্পু হিসেবে। ২-৩টি ডিম একটি পাত্রে ফেটিয়ে নিন। এরপর আপনার সাধারণ শ্যাম্পু যেভাবে ব্যবহার করে থাকেন সেভাবেই একে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। চুল থেকে ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কন্ডিশনার।
২) আরেকটি উপায় হলো মধুর সাথে ডিম ব্যবহার। তিনটা ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিন তিন টেবিল চামচ মধুর সাথে। এরপর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। এর পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার ব্যবহার না করলেও চলবে।
৩) শুষ্ক চুলের জন্য ২-৩টি ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন কিছুটা পানিতে, এরপর এতে ৩-৪ ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মতো ব্যবহারের পর ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
৪) সব চুলের জন্য ব্যবহার করা যাবে এমন একটি রেসিপি রইলো। দুইটি ডিমের সাথে মিশিয়ে নিন দুই টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ মধু এবং ৩ ফোঁটা অলিভ অয়েল। এই শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে পরিষ্কার, ঝলমলে এবং সুস্থ।
শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহারের জন্য আরেকটি চমৎকার উপাদান হলো বেকিং সোডা। তবে এই শ্যাম্পু মোটেও প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। মাসে একবার বা দুবার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বেকিং সোডা চুল থেকে টেনে বের করে ফেলে সব তেল এবং ময়লা। খুব ঘন ঘন ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
১) খুব সহজে শ্যাম্পু হিসেবে বেকিং সোডা ব্যবহারের একটি উপায় হলো, এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে ৩টি ডিমের কুসুম মিশিয়ে নেওয়া। এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে সাধারণ শ্যাম্পুর মতোই। পরে ব্যবহার করতে পারেন কন্ডিশনার।
২) শুধু বেকিং সোডা এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা দিয়েও চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।

মেঘ