ফ্যাশন সচেতন অনেককেই চুলরিবন্ডিং বা স্ট্রেইট
করতে দেখা যায়। কারন
ইদানিং উঠেছে স্ট্রেইট চুলের চল।
ঢেউ খেলানো ও কোঁকড়া চুলের
মেয়েরা চুল স্ট্রেইট করে ফেলছেন।
ছেলেরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই।
কারন লম্বা স্ট্রেইট চুলের
সাথে যে কোন ধরণের পোশাকের
স্টাইল মানিয়ে যায়। দেখতেও অনেক
স্মার্ট লাগে। এখন ১ বছরের জন্য চুল
স্ট্রেইট করা যায় পার্লারে।
অথবা বাসায় বসে স্ট্রেইটনার
দিয়ে অনেকে চুল স্ট্রেইট করে নেন।
ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট
করার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের
অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের
আগা ফাটে ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ।
যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। তখন
ঝামেলায় পড়ে যান অনেকে। কিন্তু
যদি স্ট্রেইটনার ছাড়াই প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করা যায়
তবে কেমন হয়? বাসায় বসে চুলের যত্ন
নেয়ার পাশাপাশি কিছু
পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক
উপায়ে চুল স্ট্রেইট করতে পারবেন
বেশ সহজে। এবং পাশাপাশি চুল
হবে স্বাস্থ্যোজ্জল।
দুধের ব্যবহার:
এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য
আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ,
১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল।
চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয়
তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু
দিয়ে নিন।
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও
পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান।
চুলের জট একটি বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই
মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব
দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন।
মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের
চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা রাখুন। তারপর
চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল
শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে।
এভাবে স্ট্রেইট
করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর
আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে।
মুলতানি মাটির হেয়ার মাস্ক:
এই পদ্ধতি ব্যাবহারের জন্য লাগবে ১
কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫
চা চামচ চালের গুঁড়ো।
প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব
ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর
এতে মুলতানি মাটি ও চালের
গুড়ো দিয়ে ভালো মত
মিশিয়ে একটি পেস্টের মত
তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড়
দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন।
এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই
পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন।
যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার
চেষ্টা করুন।
পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত
চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন।
এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই
পেস্টটি চুলে লাগান। চুল
প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।
অলিভ ওয়েল ও ডিমের মিশ্রণ:
মিশ্রণটি তৈরি করতে লাগবে ২
টি ডিম ও ২ চা চামচ অলিভ ওয়েল।
একটি বাটিতে ভালো করে ২ টি ডিম
ফেটে নিন। এতে অলিভ ওয়েল
ভালো করে মিশিয়ে রাখুন। চুলের জট
ছাড়িয়ে নিন। একটি হেয়ার ব্রাশের
সাহায্যে মিশ্রণটি চুলের সব
দিকে ভালো মত লাগান।
পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল
ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল স্ট্রেইট
হবে এবং পাশাপাশি চুলের উজ্জলতাও
বাড়বে।
মেঘ

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণেরসমস্যা সমাধানের অন্যতম
কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা।
অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায়
পাকাপোক্তভাবে স্থান
করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার
জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের
সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের
ত্বকে ব্রণের
সমস্যা সমাধানে রইলো অ্যালোভেরা জেলের
তৈরি কিছু ফেসপ্যাক। ব্রণের চিকিৎসায়
অ্যালোভেরা অন্যতম সেরা উপাদান।
যে কোনো পার্লারেও ব্রণের সমস্যায়
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করতেই বলা হয়। এখন
আর কষ্ট করে পার্লার যেতে হবে না,
অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক দিয়ে নিজেই করে নিন
পার্লারের ফেসিয়াল।
ব্রণ যে কোনো ধরণের ত্বকেই হতে পারে।
তবে সবচাইতে বেশি যন্ত্রণা করে তৈলাক্ত
ত্বকে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কত
কিছুই না করেছেন আপনি। কত ক্রিম মেখেছেন,
পার্লারে গিয়েছন। কিন্তু তাতেও কি ব্রণ দূর
হয়েছে? হয়নি। বরং এত
গুলো টাকা বেরিয়ে গেছে পকেট থেকে। আজ তাই
আমরা নিয়ে এলাম ব্রণ দূর করার দারুণ এক
পদ্ধতি। এতে টাকা আপনার মোটেও খরচ
হবে না। কিন্তু খুব সহজেই দূর হবে ব্রণের
উপদ্রব,ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার
নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই
জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার
তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল
বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু
প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন
পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।
-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার
দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর
কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের
হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত
এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই
হলদেটে রসটি ফেলে দিন।
-হলদেটে রস পড়া বন্ধ
হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর
পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ
কেটে ফেলে দিন।
-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ
চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত
অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই
অ্যালোভেরা জেল,
যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
ব্রণ দূর করার জন্য আপনার নিত্যদিনের সাধারণ
ফেসপ্যাকেই অ্যালোভেরা জেল
মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি ব্রণের পরিমাণ খুব
বেশি না হয় তাহলে মুলতানি মাটি, চন্দন,
গোলাপ জল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেস
প্যাক তৈরি করুন ও মুখে মাখুন।
শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রনে খুব
জ্বালাপোড়া ও
ব্যথা থাকলে অ্যালোভেরা জেল
ফ্রিজে জমিয়ে বরফ তৈরি করে নিন ও সেই বরফ
আক্রান্ত জায়গায় ঘষুন। আরাম মিলবে। ব্রণও?
সারবে।
ব্রণের সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা-মধু
ফেস প্যাক
যে কোনো ধরণের ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
দেখা যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এই
উপদ্রব হয় অনেক বেশি। যাদের মুখে ব্রণের
ভীষণ উপদ্রব, তারা ব্যবহার করতে পারেন এই
ফেসপ্যাকটি।
পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটির জন্য আপনার লাগবে শুধু
মাত্র অ্যালোভেরা পাতা ও মধু।
প্রথমে একটি বড়
অ্যালোভেরা পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তা পানিতে সেদ্ধ
করে নিন। এরপর সেদ্ধ
পাতাটি বেটে বা পিষে পেস্টের মত তৈরি করুন।
পেস্টটিতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু খুব
ভালো করে মেশান। এরপর এই
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২
বার ব্যাবহারে ত্বকে ব্রণের উপদ্রব
থেকে মুক্তি পাবেন।
মেঘ

আজকাল বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদেরদেশেও বডি স্পার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। ফেসিয়ালের মাধ্যমে আমাদের মুখের
ত্বক যেমন সুন্দর হয়,
তেমনি বডি স্পা করলে পুরো শরীরের ত্বকের
নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারনত
পার্লারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরাই
বডি স্পা করে থাকেন।
বডি স্পা-তে আপনার ত্বকের ধরন ও
সমস্যা বুঝে ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে। নিয়মিত
বডি স্পা করলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে ও
র্যাশের মতো সমস্যাগুলো সহজেই দূর হয়।
বডি স্পাতে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল
দিয়ে সারা শরীরে ভালো করে ম্যাসাজ
করা হয়ে থাকে। এতে শরীরের সমস্ত
ক্লান্তি কেটে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিম
দিয়েও ম্যাসাজ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার
বাথ সল্ট দিয়ে স্ক্রাবিং করা হয়, এতে ত্বকের
মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
বডি স্পা করার সময় ত্বকের ধরন
বুঝে নানা ধরনের প্যাক লাগানো হয়ে থাকে।
এক একটি প্যাকের গুণাবলী একেক রকম।
যেমন, পেঁপের প্যাক ত্বক ময়েশ্চারাইজ
করে আর চকলেটের প্যাক বডি ট্যান দূর
করতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নেয়া যাক বডি স্পা এর
উপকারিতা গুলো-
- বডি স্পাতে ডিপ টিস্যু মাসাজের
মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় ও
রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়
- বডি স্পা সানট্যান দূর করে ত্বকের
উজ্জলতা বাড়ায়।
- অনেক সময় বডি স্পাতে ওয়াটার
থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। এতে শুধু
ত্বক পরিষ্কারই হয় না, শরীর
থেকে টক্সিক উপাদানও দূর হয়ে যায়।
- বডি স্পা করলে মনের নানা টেনশন দূর
হয়ে মন প্রফুল্ল হয় ।
- ব্ল্যাক হেডস ও অ্যাকনের
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বডি স্পা দারুণ কাজ
দেয়।
বাড়িতেই করুন বডি স্পা–
যাদের পার্লারে গিয়ে বডি স্পা করানোর সময়
নেই তারা বাড়িতে বসে খুব সহজেই
বডি স্পা করতে পারেন । বাড়িতে ওটমিল, যবের
ভুসি ,টক দই ও মধু
একসাথে মিশিয়ে সারা শরীরে ঘষে ঘষে লাগান।
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে গিয়ে ত্বক
উজ্জ্বল হবে। তারপর মুলতানি মাটি ও চন্দন
গুঁড়ো কাঁচা দুধ দিয়ে গুলিয়ে বডি প্যাক
তৈরি করুন ও সারা শরীরে মেখে নিন।
শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড়
বা তুলো দিয়ে হালকা কুসুম
পানিতে ভিজিয়ে প্যাক তুলে ফেলুন।
সবশেষে অলিভ অয়েল দিয়ে সারা শরীর ম্যাসাজ
করে নিন । অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য দারুন
উপকারী, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল
করতে সাহায্য করে। তারপর সম্পূর্ণ শরীর কুসুম
গরম পানিতে ধুয়ে ভালো বডি ক্রিম
লাগিয়ে নিন।
এবার দেখুন তো, নিজের কাছেই অন্যরকম
লাগছে না?
মেঘ

অনেকে এসএমএস পাঠিয়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্টের কথা জানতে চেয়েছেন। আমি মেঘ সব সময় চেষ্টা করি রূপচর্চাকে সহজভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে। কতটুকু পারি জানি না তবে যখন আপনাদের ধন্যবাদ পাই তখন খুব ভালো লাগে। অনেক বক বক করেছি এবার কাজের কথায় আসি।
আমাদের চুল তৈরি হয়েছে ক্যারোটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে। এই ক্যারোটিনের কারণেই চুল সুস্থ ও সবল থাকে। চুলের ইলাস্টিসিটিও ধরে রাখে এই প্রোটিন। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট যা চুলের গভীরে পৌঁছে চুলে পুষ্টি জোগায়।
এছাড়াও এই ট্রিটমেন্ট দুর্বল বা ভঙ্গুর
চুলে পুষ্টি জুগিয়ে কয়েক গুন ঝরঝরে ও সতেজ করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ।
পদ্ধতি :
প্রোটিন ট্রিটমেন্টের বেশ কয়েকটি ধাপ
রয়েছে। প্রথমে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এবার চুলের
গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে তেল লাগান। খেয়াল রাখুন প্রতিটি চুলের গোড়ায যেন তেল পৌঁছায়। এবার গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন
১০ মিনিট। এতে তেল মাথার ত্বকের
গভীরে প্রবেশ করবে। এরপর চুলে প্রোটিন প্যাক লাগান। ১টি ডিম, আধা কাপ টক দই, ২ টেবিল চামচ মধু আর ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে আর চুলে ভালো করে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আপনার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার লাগান। হয়ে গেল আপনার চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।
এ ট্রিটমেন্ট মাসে দুবার করুন। চুলের স্বাস্থ্য
দেখে নিজেই অবাক হবেন।
মেঘ
বাংলাদেশের অতি সহজলভ্য একটি ফল হলো পেঁপে। প্রাচীন কাল থেকেই পেঁপে খাদ্য ও রূপ চর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন মিশরের সুন্দরী সম্রাজ্ঞীরা কাচা পেঁপে ব্যবহার করতেন ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল তুলতে। যুগে যুগে রূপ সচেতন নারীদের রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান ছিলো পেঁপে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপ চর্চায় পেঁপের দারুণ কিছু ব্যবহার প্রসঙ্গে।পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ এবং এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সহায়তা করে।
কাঁচা পেপে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পুরো মুখে নিয়মিত লাগালে ব্রণের উপদ্রব কমে এবং ব্রণের দাগ মিলিয়ে যায়।
পেঁপে বাটা পায়ের ফাটা দূর করে পাকে মসৃণ করতে সহায়তা করে।
পেঁপের খোসা মুখের ত্বকে, হাতে কিংবা পায়ে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
মুখের ত্বকে নিয়মিত পেঁপের রস লাগালে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে।
পেঁপে বাটা ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে ও ত্বক কোমল হবে।
চুল শ্যাম্পু করার আগে চুলে পেঁপে বাটা বা পেপের রস লাগালে খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে ।
মেঘ
ত্বকের উজ্জলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে ফেসিয়াল অনেক বেশি উপকারী। ফেসিয়াল করলে ত্বক অনেক সুন্দর থাকে, তারুণ্য ধরে রাখা যায় অনেকদিন। এছাড়া ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকেই পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন। ইদানিং ছেলেরাও ফেসিয়াল করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন অনেক ছেলেদের সেলুনেও করানো হয় ফেসিয়াল।কিন্তু যদি ঘরেই বসে করে নিতে পারেন ফেসিয়াল তবে কেমন হয়? আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ফেসিয়াল করার পদ্ধতি। সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য ঘরেই সেরে ফেলুন ফেসিয়াল। অবশ্যই পার্লারের তুলনায় মাত্র চার ভাগের একভাগ খরচে।
১ম ধাপ- ত্বক পরিস্কার করুন
প্রথমেই ত্বক পরিষ্কার করে নিন ভালো করে। কোনো সাবান বা ফেস ওয়াস দিয়ে নয়। পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর এক টুকরো টমেটো ত্বকে ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উপরভাগের ময়লা দূর হবে।
২য় ধাপ- ত্বক স্ক্রাব করুন
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্ক্রাবার তৈরি করে স্ক্রাব করে নিন। একটি বাটিতে আধ কাপ নারিকেল তেল নিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ চিনি ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আঙ্গুলে ডগা দিয়ে হালকা করে ম্যাসাজ করে নিন ১০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।
৩য় ধাপ- ত্বকে লাগান ফেইস প্যাক
ত্বকে ঘরে তৈরি একটি ফেইস প্যাক লাগিয়ে ফেলুন। একটি বাটিতে একটি পাকা কলা নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে পিষে নিন। এতে একটি গোটা টমেটোর রস চিপে দিন। এরপর এতে যোগ করুন ১ চা চামচ অলিভ অয়েল। ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এই সময়ে চোখে শসার কুচি দিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। ও মুখ ভালো করে ধুয়ে মুছে ফেলুন।
৪র্থ ধাপ- ত্বকে লাগান টোনার
মুখ মুছে ফেলে ত্বকে টোনার লাগান। এটাও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই করে ফেলুন। কাঁচা দুধে একটি তুলোর বল ডুবিয়ে নিয়ে ত্বকে ঘষুন। ত্বক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবং ত্বক মুছে ফেলুন।
৫ম ধাপ- ত্বকে ময়েসচারাইজার ম্যাসাজ করুন
এই ধাপে একটি ভালো ময়েসচারাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক সবচেয়ে ভালো ময়েসচারাইজার হচ্ছে অলিভ অয়েল এবং বাটার। ১ চা চামচ অলিভ অয়েল কিংবা বাটার হাতে নিয়ে ১০ মিনিট মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ব্যস হয়ে গেল আপনার ফেসিয়াল করা। মাসে বেশ কয়েক বার করতে পারেন এই ফেসিয়াল। কারন এতে ত্বকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। বরং ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।
মেঘ

ত্বকের সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার জেল রুক্ষ, শুষ্ক, তৈলাক্ত সকল ধরনের ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। তাই আজকে আপনাদের ত্বকের সমস্যা সমাধানে রইল অ্যালোভেরা জেলের তৈরি কিছু ফেস প্যাক।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেইসপ্যাক
একটু উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না মন চায়। নিজের ত্বকের বর্ণকে একটু উজ্জ্বলতা দিতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। উপকার পাবেন। মাত্র দুই সপ্তাহের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ছড়িয়ে যাবে অন্যরকম জেল্লা। রোদে পোড়া দাগ মুছে যাবে, আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক রঙটি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
পদ্ধতিঃ
এই ফেস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে অ্যালোভেরা জেল, ১ চিমটি হলুদ গুড়ো, ১ চা চমচ মধু, ১ চা চামচ দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল। প্রথমে মধু, হলুদ গুঁড়ো, দুধ ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। এরপর এতে অ্যালোভেরা জেল পিষে কিংবা ব্লেন্ড করে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি মুখে, হাতে, গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ত্বক শুষ্ক করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করার নিয়মঃ
বাসায় অ্যালোভেরা পাতা থেকে খুব সহজেই জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।
-একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর গোড়ার দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
-এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস বের হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই রাখুন পাতাটি। এই হলদেটে রসটি ফেলে দিন।
-হলদেটে রস পড়া বন্ধ হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ কেটে ফেলে দিন।
-কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই অ্যালোভেরা জেল, যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।
মেঘ

